Skip to main content

Posts

অফিস সহকারী কাম হিসাব সহকারী পদের কাজ, যোগ্যতা এবং বেতন কত?

  অফিস সহকারী কাম হিসাব সহকারী পদের কাজ, যোগ্যতা এবং বেতন কত? প্রত্যেকটি সরকারি বা বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের শাখা প্রশাখায় প্রসাশন ও হিসাব শাখা সহ আরও অন্যান্য শাখা থাকে যা ঐ প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম ৬কে সচল রাখে এবং উদ্দেশ্য পূরনের সহায়ক হিসেবে কাজ করে। যারা বিভিন্ন প্রতষ্ঠানে চাকরি করেন এবং যারা চাকরি করবেন এই জন্য আবেদন করেছেন । তাদের সকলকেই জানা উচিত কোন ধরনের পদে কি ধরনের কাজ রয়েছে। আজ আমি আপনাদের সামনে অফিস সহকারী কাম  হিসাব সহকারী পদের কাজ, যোগ্যতা এবং বেতন কত এই সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করবো। তাহলে চলুন শুরু করা যাকঃ অফিস সহকারী কাম হিসাব সহকারী এর কাজ কি? একটি অফিসে নানা কাজে সহযোগীতার জন্য দক্ষ কর্মী নিয়োগ করা হয়, এদের অফিস সহকারী বলে। যখন অফিসের হিসাব বিভাগে প্রধান হিসাব রক্ষকের সাহায্য সহযোগিতার জন্য দক্ষ কর্মচারী রাখা হয় তখন তাকে হিসাব সহকারী বলে। কিন্তু হিসাব সহকারী একই সঙ্গে অফিসের অন্যন্য কিছু কাজের দায়িত্বপ্রাপ্ত হলেই তাকে অফিস সহকারী কাম হিসাব সহকারী বলা হয়। সরকারি প্রতিষ্ঠানের প্রশাসনিক পদের নিম্নস্তর হচ্ছে অফিস সহকারী বা অফিস সহকারী কাম হিসাব সহকারী পদ।...

বাঙালির ইতিহাসের লজ্জাজনক এক অধ্যায় ছিল জিয়ার শাসনামল

বাঙালির ইতিহাসের লজ্জাজনক এক অধ্যায় ছিল জিয়ার শাসনামল ১৯৭৫-এর ১৫ আগস্ট থেকে ১৯৮১ সময়কাল ছিল স্বাধীন বাংলাদেশের ইতিহাসের কালো অধ্যায়। ঘোর অমানিশার অন্ধকারে নিমজ্জিত ছিল বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের আমল। জিয়ার শাসনামলকে কেবল বাঙালির ইতিহাসের লজ্জা ও কলঙ্কিত অধ্যায় হিসেবেই অভিহিত করা যায়। জিয়া শাসনামলে বাংলাদেশের সাধারণ মানুষকে সামরিক কার্ফু মাথায় নিয়ে দিনাতিপাত করতে হতো। জিয়ার শাসনামল বিশ্লেষণ করলে ভেসে ওঠে একজন সামরিক অফিসারের বন্দুকের নলে ক্ষমতা দখল, নিজেকে সেনাপ্রধান ঘোষণা, অবৈধ উপায়ে একই সাথে সেনাপ্রধান ও রাষ্ট্রপতি থাকা, হ্যাঁ-না ভোট, সামরিক শাসন নিয়ন্ত্রিত ঘরোয়া রাজনীতি, যুদ্ধাপরাধীদের পুনর্বাসন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধী রাজনীতি, উগ্র সাম্প্রদায়িক রাজনীতির বিষবৃক্ষ রোপণ, মদ, জুয়া ও পতিতাবৃত্তির লাইসেন্স দেওয়ার মাধ্যমে সামাজিক বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি, ইচ্ছামতো ফরমান আদেশ অধ্যাদেশ জারি, তথাকথিত ক্যু’র অভিযোগে শত শত সৈনিক হত্যা, ইনডেমনিটি অধ্যাদেশের মধ্য দিয়ে ১৫ আগস্টের নির্মম হত্যাকা-ের বিচারের পথ রুদ্ধ করে রাখা ও জেলহত্যা বিচারের উদ্যোগ না নেওয়া, খুনিদের সুরক্ষা ও হত্যাকারীদের বিদেশ...

ওয়াকফকৃত সম্পত্তির হস্তান্তর দলিল রেজিস্ট্রিকালে ওয়াকফ প্রশাসক বা সরকারের অনুমতি গ্রহণ করতে হয়

  ওয়াকফকৃত সম্পত্তির হস্তান্তর দলিল রেজিস্ট্রিকালে ওয়াকফ প্রশাসক বা সরকারের অনুমতি গ্রহণ করতে হয় ফলে উপযুক্ত আইনে ওয়াকফকৃত স্থাবর সম্পত্তির হস্তান্তর দলিল রেজিষ্ট্রিকালে ওয়াকফ প্রশাসক বা সরকারের পূর্ব অনুমতি গ্রহণ বাধ্যতামূলক করা হয়েছে বিধায় ঐরুপ দলিল রেজিষ্ট্রেশনের পূর্বে ওয়াকফ প্রশাসক বা ক্ষেত্রমত সরকারের অনুমতি গ্রহণ করতে হবে। এক্ষেত্রে দলিল দাখিল কালে প্রয়োজনীয় অনুমতি পত্রটি রেজিস্ট্রারিং অফিসার কর্তৃক পরীক্ষা করা সমীচীন; প্রয়োজনীয় অনুমতি না থাকলে দলিল রেজিষ্ট্রেশনের পরিবর্তে প্রয়োজনীয় অনুমতিপত্রসহ দলিলটি দাখিল করার জন্য রেজিস্ট্রারিং অফিসার সংশ্লিষ্ট পক্ষকে পরামর্শ প্রদান বা দলিল দাখিল গ্রহণ প্রত্যাখ্যান করবেন। নতুবা দলিল রেজিষ্ট্রির জন্য রেজিস্ট্রারিং অফিসার ব্যক্তিগতভাবে অভিযুক্ত হতে পারে।

ব্যাংকে রেখে যাওয়া মৃত ব্যক্তির আমানত কে পাবে?

 ব্যাংকে রেখে যাওয়া মৃত ব্যক্তির আমানত কে পাবে? সুপ্রিম কোর্টের আপীল বিভাগ কর্তৃক ভিন্ন কোন মত বা সিদ্ধান্ত না আসা পর্যন্ত আমানতকারীর মৃত্যুর পর আমানতের টাকা তার নির্ধারিত নমিনিকেই প্রদান করতে হবে। এটাই এখন প্রচলিত আইন। তাছাড়া ব্যাংক-কোম্পানী আইন ১৯৯১ এর ১০৩ ধারার বিধান মতে, নমিনিই মৃত ব্যক্তির আমানতের টাকা পাওয়ার অধিকারী। এ ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোতে মৃত ব্যক্তির টাকা ধরে রাখা আইনের ব্যত্যয় ছাড়া কিছুই নয়।

যে প্রতিহিংসার সূচনা জিয়াউর রহমান করেছিলেন সেই আগুনে আজ পুড়ছে তার দল?

বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের সবচেয়ে বড় বেনিফিশিয়ারি জিয়াউর রহমান। যার প্রমাণ তিনি নিজেই দিয়ে গেছেন, ১৯৭৯ সালে সংবিধানের চতুর্থ তফসিলে ইনডেমনিটি অর্ডিন্যান্স সংযুক্ত করে। ৪ এপ্রিল ১৯৭৯ সাল। দ্বিতীয় জাতীয় সংসদে সংবিধানের পঞ্চম সংশোধনী বিল উথাপন করলেন তৎকালীন আইন প্রতিমন্ত্রী ব্যারিস্টার আবদুস সালাম তালুকদার। সংসদে বিএনপির আসন ২০৭। আসাদুজ্জামান খানের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ (মালেক) এর সংসদ সদস্য ৩৯ জন। মিজানুর রহমান চৌধুরীর নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ (মিজান) এর সদস্য সংখ্যা ২ জন। অন্যান্যর মধ্যে সংসদে আছেন, তৎকালীন একতা পার্টির নেতা সুরঞ্জিত সেন গুপ্ত। সংসদে বিএনপির দুই তৃতীয়াংশ সংসদ সদস্য। তাই সংবিধান সংশোধনী পাশ তাদের জন্য সময়ের ব্যাপার মাত্র। বিলে ইনডেমনিটি অধ্যাদেশসহ অনেকগুলো মানবতা বিরোধি এবং নিপীড়ন মূলক কালো আইনকে বৈধতা দেয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে। সংসদের বিরোধী দলের নেতা আসাদুজ্জামান খান এই বিলের তীব্র বিরোধীতা করলেন। এনিয়ে বিরোধী দলকে বক্তব্য রাখার সুযোগ দেয়া হলো না। পয়েন্ট অব অর্ডারে দাড়িয়ে একতা পার্টির সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত বলেন,‘ আজ সংখ্যা গরিষ্ঠতার জোরে আপনারা বঙ্গবন্ধুর হত্যার বিচার রোধ করেছেন। ৭২...

হিন্দু বিবাহ নিবন্ধন করবেন যেভাবে (খরচসহ)

    হিন্দু বিবাহ নিবন্ধন করবেন যেভাবে (খরচসহ ) হিন্দু বিবাহ নিবন্ধন আইন ২০১২ এই আইনের আগে হিন্দুরা বিবাহ করলেও তার কোন আইনানুগ ভিত্তি তৈরির উপায় ছিল না। এখন অন্তত নিজেদেরকে স্বামী স্ত্রী হিসেবে প্রমাণ দেওয়ার জন্য হিন্দু বিবাহ নিবন্ধন আইন কাজে আসবে। একটা আইনি ডকুমেন্ট তৈরির পথ অন্তত তৈরি হল। আসুন কিভাবে হিন্দু বিবাহ নিবন্ধন করবেন, আজ সেই সম্বন্ধে জানবো। হিন্দু বিবাহ নিবন্ধন আইন ২০১২ এর ৩ ধারার ১ উপধারা  অনুসারে হিন্দু ধর্মাবলম্বী এবং হিন্দু রীতিনীতি তথা শাস্ত্র অনুসারে সম্পাদিত বিবাহ সমূহকে নিবন্ধন করা যাবে। এখানে নিবন্ধন করতেই হবে এই ধরনের বাধ্যবাধকতার পরিবর্তে বলা হয়েছে নিবন্ধন করা যাবে অর্থাৎ আপনি ইচ্ছা করলে নিবন্ধন করতে পারবেন আবার ইচ্ছা অনুযায়ী নিবন্ধন না করে থাকতে পারবে। কেননা উক্ত আইনের ৩ ধারার ২ উপধারায় বলা হয়েছে যে, ৩ ধারার ১ উপধারায় যা কিছু বলা থাকুক না কেন, কোন হিন্দু শাস্ত্র অনুযায়ী সম্পন্ন হওয়া বিয়ে এই আইনের অধীন যদি নিবন্ধন করা না হয় তাহলে উক্ত বিয়ের বৈধতা ক্ষুণ্ণ হবে না। অর্থাৎ এই আইনের ৩ ধারার ১ উপধারায় বলা হয়েছে, হিন্দু শাস্ত...

স্বামীকে ডিভোর্স না দিয়ে অন্যকে বিয়ে করলে আইন কি বলে?  

  স্বামীকে ডিভোর্স না দিয়ে অন্যকে বিয়ে করলে আইন কি বলে।     

ভাড়া বাসা থেকে উচ্ছেদ

বাড়ি ভাড়া নিয়ন্ত্রণ আইন .... বাড়িভাড়া নিয়ন্ত্রণ আইন-১৯৯১ এর প্রয়োজনীয় অংশঅগ্রিম ভাড়াঃ বাড়ি ভাড়া নিয়ন্ত্রণ আইন ১৯৯১-এর ১০ ও ২৩ ধারা মোতাবেক বাড়ি ভাড়া নিয়ন্ত্রকের লিখিত আদেশ ছাড়া অন্য কোনোভাবেই বাড়ি মালিক তার ভাড়াটিয়ার কাছ থেকে অগ্রিম বাবদ এক মাসের বাড়ি ভাড়ার অধিক কোনো প্রকার ভাড়া, জামানত, প্রিমিয়াম বা সেলামি গ্রহণ করতে পারবেননা। তা হলে দণ্ডবিধি ২৩ ধারা মোতাবেক তিনি দণ্ডিত হবেন।  ভাড়া বাড়ানো   বাড়ি ভাড়া নিয়ন্ত্রণ আইনের ১৬ ধারায় স্পষ্ট করে উল্লেখ করা হয়েছে যে, মানসম্মত ভাড়া কার্যকরী হবার তারিখ হতে দুই বছর পর্যন্ত বলবৎ থাকবে।দুই বছর পর মানসম্মত ভাড়ার পরিবর্তন করা যাবে।  এই আইনের ৮ ধারা এবং ৯ ধারায় বর্ণিত রয়েছে যে, মানসম্মত ভাড়া অপেক্ষা প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে অধিক বাড়ি ভাড়া আদায় করলে সে ক্ষেত্রে প্রথমবারের অপরাধের জন্য মানসম্মত ভাড়ার অতিরিক্ত যে অর্থ আদায় করা হয়েছে তার দ্বিগুণ অর্থদণ্ডে বাড়ি মালিক দণ্ডিত হবেন এবং পরবর্তী প্রত্যেক অপরাধের জন্য এক মাসের অতিরিক্ত যে ভাড়া গ্রহণ করা হয়েছে তার তিনগুণ পর্যন্ত অর্থদণ্ডে বাড়ি মালিক দণ্ডিত হ...

দেওয়ানি মামলা চলাকালে দখলের হুমকির ক্ষেত্রে ১৪৬ ধারার প্রতিকার না চাওয়া

 দেওয়ানি মামলা চলাকালে দখলের হুমকির ক্ষেত্রে ১৪৬ ধারার প্রতিকার না চাওয়া একই পদের মধ্যে দেওয়ানি মামলা বিচারাধীন অবস্থায় সিআরপিসির ১৪৬ ধারার মামলা করাকে যথাযথ বলা যায় না। দেওয়ানি মামলার কোন পক্ষকে যদি তার বিষয়ে হুমকি দেয়া হয় তবে তিনি দেওয়ানি আদালতের কাছ থেকে প্রতিকার চাইতে পারেন। সেই প্রতিকার ফৌজদারি আদালতের কাছ থেকে চাওয়া উচিত নয়, কারণ জমি সংক্রান্ত বিরোধের ক্ষেত্রে দেওয়ানি আদালত চূড়ান্ত নির্ধারক। [সিরাজুল ইসলাম বনাম ফজলুল হক, ৪৭ ডিএলআর (১৯৯৫) ৪৮০ ]

দেনমোহরের পরিবর্তে হেবাবিল এওয়াজ

 দেনমোহরের পরিবর্তে হেবাবিল এওয়াজ ইসলাম ধর্মাবলম্বী কোনো ব্যক্তি তার বিবাহের দেন-মোহর বাবদ অপরিশোধিত অর্থের পরিবর্তে স্বীয় মালিকানাধীন কোন সম্পত্তি, তার স্ত্রী বরাবর দান করলে, তাকে দেন-মোহরের পরিবর্তে হেবাবিল এওয়াজ বলে। এরূপ দলিলে হেবা অর্থাৎ দান শব্দটি ব্যবহৃত হলেও রিগ্য প্রকৃতপক্ষে এটি দান নয়, কারণ উক্ত দলিলে দেন-মোহরের অর্থ দলিলের পণ মূল্য হিসাবে নির্ধারিত হয়েছে সমপরিমাণ মাটির দান বিধায় এটি কবলা দলিল হিসাবে বিবেচিত হয়

আপনার জমির খতিয়ান বা রেকর্ড অন্যের নামে হয়ে গেলে

  সাধারনত খাজনা আদায়ের উদ্দেশ্য সরকার সারাদেশে জরিপ করে থাকে। খতিয়ান হচ্ছে প্রাথমিকভাবে দখলের প্রামাণ্য দলিল, মালিকানার দলিল নয়। খতিয়ান একটি সরকারি দলিল, কাজেই ভূমি হস্তান্তর, খাজনা/রাজস্ব আদায়সহ অন্যান্য ক্ষেত্রে এটি বেশ গুরুত্বপূর্ণ দলিল। তাই খতিয়ানে ভুল হলে তা সংশোধন করা বাধ্যতামূলক। জরিপ চলাকালিন সময়ে খতিয়ানে কোন ভুল ধরা পরলে তখন সেটেলমেন্ট অফিসারের নিকট ৩০ ধারা / ৩১ ধারায় আপিল করে খুব সহজেই ভুলগুলো সংশোধন করে নেওয়া যায়। কিন্তু যদি এই সময়ের মধ্যে ভুলগুলো সংশোধন করা না হয় এবং চূড়ান্ত খতিয়ান প্রকাশিত হয়ে যায়, তবে উক্ত খতিয়ান সংশোধনের ক্ষমতা আর সেটেলমেন্ট অফিসারের থাকে না তখন এই খতিয়ান সংশোধন করতে হয় কোর্টে মামলা করে। তবে চূড়ান্ত রেকর্ড প্রকাশিত হয়ে গেলেও কিছু কিছু ক্ষেত্রে সেটেলমেন্ট অফিসার রেকর্ড সংশোধন করতে পারে, যেমন উক্ত ভুলগুলো যদি হয় শুধুমাত্র কারণিক ভুল বা প্রিন্টিং –এ ভুল সেক্ষেত্রে এ ধরনের সামান্য ভুল গুলো অবশ্য সেটেলমেন্ট অফিসার সংশোধন করতে পারে, তবে অন্যান্য সকল প্রকারের ভুল সংশোধনের ক্ষমতা একমাত্র কোর্টের। খতিয়ান সংশোধন করতে কি কি কাগজপত্র লাগব...

কখন পুলিশ কোনো সাক্ষীকে গ্রেফতার করতে পারে

  আদালত হতে ফৌজদারি কার্যবিধি ১৭০ ধারা মতে সমন প্রাপ্তির পর কোন সাক্ষী আদালতে হাজির হতে অস্বীকার করলে অথবা হাজির হবার নিমিত্তে মুচলেকা দিতে অস্বীকার করলে থানার অফিসার ইনচার্জ বা তার নিয়োজিত কোনো তার নিয়োজিত কোনো পুলিশ অফিসার সেই সাক্ষীকে আদালতে হাজির হওয়ার নিমিত্তে মুচলেকা প্রদান না করা পর্যন্ত আটক রাখার জন্য বিনা পরোয়ানায় গ্রেপ্তার করতে পারেন। গ্রেফতারকৃত সাক্ষীকে যথানিয়মে আদালতে চালান করতে হবে। পুলিশকে এই কাজটি আদালতের সুবিচার স্বার্থেই করতে হয়। [ ফৌজদারি কার্যবিধি ১৭১ ধারা দ্রষ্টব্য ] Afzal hosen Mandal Apprentice lawyer Narsingdi judge court. Mobile 01726634656 Stipu93@gmail.com@gmail.com

তালাকের পর সন্তান কার?

  মুসলিম আইন অনুযায়ী, বাবা অপ্রাপ্তবয়স্ক সন্তানের আইনগত অভিভাবক, আর মা হচ্ছেন- সন্তানের জিম্মাদার। বিচ্ছেদ হলেও মা তার সন্তানের তত্ত্বাবধান করার ক্ষমতা হারান না। ছেলের ক্ষেত্রে সাত বছর বয়স পর্যন্ত এবং মেয়ে সন্তানের বয়ঃসন্ধি বয়স পর্যন্ত মা তাদের নিজের কাছে রাখতে পারবেন। যদি আদালতের কাছে প্রতীয়মান হয় যে, সন্তান মায়ের হেফাজতে থাকলে তার শারীরিক ও মানসিক বিকাশ স্বাভাবিক হবে, সন্তানের কল্যাণ হবে এবং স্বার্থ রক্ষা পাবে সেক্ষেত্রে আদালত মাকে ওই বয়সের পরেও সন্তানের জিম্মাদার নিয়োগ করতে পারেন। তবে মা যদি দ্বিতীয় বিয়ে করেন, তাহলে সন্তানকে নিজের হেফাজতে রাখার ক্ষমতা হারাতে হতে পারে। মায়ের অগোচরে যদি বাবা জোরপূর্বক সন্তানকে নিজের হেফাজতে গ্রহণ করেন, সে ক্ষেত্রে বাবার বিরুদ্ধে অপহরণের মামলা পর্যন্ত দায়ের করা যাবে। আদালত প্রয়োজন বোধ করলে সন্তানকে আলাদা করে বিচারক নিজের কাছে নিয়ে তার মতামত জেনে নিতে পারেন। আবার মা-বাবা পর্যায়ক্রমে সন্তানকে কাছে রাখা কিংবা একজনের কাছে থাকলে অন্যজনকে দেখা করার অনুমতিও দিয়ে থাকেন। পারিবারিক আদালতে নিজেদের মধ্যে আলোচনার মাধ্যমে সন্তানকে কাছে রাখার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত ...