Posts

Showing posts with the label জিয়ার শাসনামল

**জিয়ার মরণোত্তর বিচার ও কবর অপসারণের দাবি**

Image
বাংলাদেশের সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের শাসনামলে ১৯৭৭ সালের ২ অক্টোবর তথাকথিত বিদ্রোহ দমনের নামে ১১৫৬ জন সামরিক সদস্যকে ফাঁসি দেওয়া হয়। এই হত্যাকাণ্ডের শিকার পরিবারের সদস্যরা জিয়াউর রহমানের মরণোত্তর বিচার ও সংসদ ভবন এলাকা থেকে তার কবর অপসারণের দাবি জানিয়েছেন। রংপুর টাউন হল মাঠে মায়ের কান্না সংগঠন আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই দাবি জানানো হয়। সংবাদ সম্মেলনে ১৯৭৭ সালে ফাঁসিতে মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর মুক্তিযোদ্ধা সার্জেন্ট সাইদুর রহমান মিঞার ছেলে মো: কামরুজ্জামান মিঞা লেলিন লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন। তিনি বলেন, "জিয়াউর রহমানের হাতে আমাদের বাবা, ভাই, স্বামী, সন্তান, স্বজনরা নিহত হয়েছেন। আমরা তাদের হত্যার সুষ্ঠু বিচার চাই।" সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্য বক্তারাও জিয়াউর রহমানের মরণোত্তর বিচারের দাবি জানান। তারা বলেন, "জিয়াউর রহমান একজন খুনি, একজন ষড়যন্ত্রকারী। তিনি মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধ্বংস করতে চেয়েছিলেন। তার কবর সংসদ ভবন এলাকা থেকে অপসারণ করা হোক।" জিয়াউর রহমান ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার পর ক্ষমতায় আস

৭ নভেম্বর: সেনানিবাসে মুক্তিযোদ্ধা সেনা সদস্যদের হত্যার ষড়যন্ত্র

Image
৭ নভেম্বর: সেনানিবাসে মুক্তিযোদ্ধা সেনা সদস্যদের হত্যার ষড়যন্ত্র ১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বর মধ্যরাতের পর পরই ঢাকা সেনানিবাসে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। বঙ্গবন্ধু হত্যার পৃষ্ঠপোষক তৎকালীন সেনাপ্রধান জিয়াউর রহমানের আহ্বানে সাড়া দিয়ে কর্নেল তাহেরের বিপ্লবী সামরিক বাহিনীর সদস্যরা সক্রিয় হয়ে ওঠেন। পাকিস্তান থেকে ফিরে আসা সৈন্যরা বঙ্গবন্ধুর খুনি মেজর মহিউদ্দিনের নেতৃত্বে হত্যা ও লুটপাট শুরু করে। এটি বাঙালি জাতির ইতিহাসের এক জঘন্য অধ্যায়। ১৫ আগস্টের বর্বরতার পর ৩ নভেম্বর বঙ্গবন্ধুর খুনিদের হাত থেকে দেশকে বাঁচাতে দেশপ্রেমিক সেনা কর্মকর্তারা যে উদ্যোগ নিয়েছিলেন, তা অকালে শেষ হয়ে যায়। এক নারী চিকিৎসকসহ ১৩ জন সেনা কর্মকর্তা নৃশংস সহিংসতায় নিহত হন। ৭ নভেম্বর সকালে তিন বিখ্যাত মুক্তিযোদ্ধা সেনা কমান্ডারকেও নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়। জিয়াউর রহমান তখন খুনিদের বেকসুর খালাস দেন এবং নিজেকে প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক এবং পরে রাষ্ট্রপতি ঘোষণা করেন। স্বাধীনতাবিরোধীরা সারা দেশে পুনর্বাসন শুরু করে। বাংলাদেশের মাটিতে যে ধুলোবালি, চরমপন্থা ও মৌলবাদের উত্থান হয়েছে তাতে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধ্বংস হয়ে গেছ

বিশ্বাসঘাতক জিয়ার ইতিকথা

Image
ইন রিসিভ মুড দিয়ে অডিও শুনতে পারবেন এবং 32% জুম করে ফুলবি দেখুন বিশ্বাসঘাতক জিয়ার ইতিকথা জিয়ার বহুরূপ- হয়ত নিরপেক্ষতার মুখোশ পরা কিংবা সস্তা জনপ্রিয়তার কারণে অনেকে জিয়াকে নিয়ে সুন্দর সুন্দর মিথ্যার ফুলঝরি রটিয়ে থাকে।কিন্তু মেজর জিয়া কি রকম ব্যাক্তি সেটি জানতে হলে প্রকৃত ইতিহাস জানতে হবে,জানতে হবে কীভাবে ছলচাতুরী করে সবাইকে বিভ্রান্ত করেছিল। তথাকথিত অনেক বুদ্ধিজীবী জিয়ার পক্ষে মাঝে মাঝে সাফাই গাওয়ার চেষ্টা করে,কিন্তু প্রকৃত সত্য তারা সদর্পে যেভাবে লুকিয়ে রাখেন তা ভাবতেই লজ্জা লাগে।এরা হয়ত কেউ জিয়ার আমলে সুবিধাবাদী ছিল।অথবা মুক্তিযুদ্ধের সময় বিদেশে পালিয়ে ছিল,অথবা বঙ্গবন্ধু হত্যার পরে ভোল পাল্টে জিয়ার পা চেটে ভাল থেকেছিল,জেল জুলুম থেকে বেঁচে গিয়েছিল। কিন্তু ওরা বোধহয় জানে না সত্যকে দুনিয়ার কোন শক্তি লুকিয়ে রাখতে পারেনা। অনেকদিন যাবৎ বাংলাদেশে জিয়ার ভূমিকা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করার ইচ্ছে ছিল।তাই লেখাটিকে তিন ভাগে ভাগ করেছি।একাত্তরে জিয়ার ভূমিকা , বঙ্গবন্ধু হত্যায় জিয়ার ভূমিকা,জিয়ার শাসনামল…একটু সময় নিয়ে পড়ুন, জিয়া সমন্ধে অনেক অজানা তথ্য জানতে পারবেন।

জিয়ার শাসনামল পুরোটাই অবৈধ

Image
  জিয়ার শাসনামল পুরোটাই অবৈধ জিয়াউর রহমানের জিয়াউর রহমানের ক্ষমতায় আসা নিয়ে বিতর্কের শেষ নেই। যে প্রক্রিয়ায় তিনি ক্ষমতায় আরোহণ করেন, তা ছিল ক্ষমতা দখল। বিশ্লেষকরা বলেন, ১৯৭৮ সালের ৩ জুন জিয়া যখন রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে অংশ নেন, তখনও তিনি সেনাপ্রধান ছিলেন। রাষ্ট্রের একজন কর্মকর্তা হয়েও তিনি রাষ্ট্রপতির পদ দখল করেন।   সে সময় রাষ্ট্রপতি হওয়ার জন্য তিনি সংবিধান ছিন্নভিন্ন করেন বলেও অভিযোগ করেছেন বিশেষজ্ঞরা এবং তারা এসব ঘটনার তদন্তে স্বাধীন কমিশন গঠনেরও পরামর্শ দিয়েছেন।     দীর্ঘ ২৭ বছর পর জিয়ার সেই শাসনামলকে অবৈধ ঘোষণা করেন উচ্চ আদালত। ২০০৫ সালের ২৯ আগস্ট পুরান ঢাকার মুন সিনেমা হলের মালিকানা নিয়ে করা এক রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্ট এ রায় দেন।   বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারই তখন ক্ষমতায় ছিল। এ রায় তাদের জন্য বিব্রত ও অস্বস্তিকর পরিস্থিতি তৈরি করেছিল তখন।   রায়ে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট থেকে ১৯৭৯ সালের ৯ এপ্রিল পর্যন্ত জারি করা সব ধরনের নির্দেশ অবৈধ ঘোষণা করা হয়। ১৯৭৫ সালে খন্দকার মোশতাক আহমদ, একই বছরের ৬ নভেম্বর বিচারপতি আবু সা