Skip to main content

Posts

Showing posts with the label মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিন

Featured post

ভয়ের দেশে, নিরাপত্তার প্রশ্ন: এক গভীর বিশ্লেষণ

ভয়ের দেশে, নিরাপত্তার প্রশ্ন: এক গভীর বিশ্লেষণ ভয়ের দেশে, নিরাপত্তার প্রশ্ন: এক গভীর বিশ্লেষণ লেখক: আফজাল হোসেন মন্ডল | প্রকাশের তারিখ: ২৫ মার্চ ২০২৫ ভূমিকা নিরাপত্তা মানুষের অন্যতম মৌলিক অধিকার। কিন্তু বর্তমান বিশ্ব, বিশেষ করে বাংলাদেশে নগর জীবনে নিরাপত্তাহীনতা একটি উদ্বেগজনক বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। দিন দিন বাড়ছে ছিনতাই, ডাকাতি, চাঁদাবাজি, সাইবার অপরাধ এবং বিভিন্ন ধরনের সহিংসতা। এ পরিস্থিতি নাগরিকদের মানসিক চাপ, অর্থনৈতিক ক্ষতি এবং সামাজিক অবক্ষয়ের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই নিবন্ধে আমরা বাংলাদেশের বর্তমান নিরাপত্তা পরিস্থিতি, অপরাধ বৃদ্ধির কারণ, আইনের দুর্বলতা, প্রযুক্তির অপব্যবহার এবং সমাধান নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করবো। ১. বর্তমান ...

১০ জানুয়ারি ১৯৭২: মুক্তিদাতা তাঁর জনগণের সাথে পুনর্মিলন

১০ জানুয়ারি ১৯৭২: মুক্তিদাতা তাঁর জনগণের সাথে পুনর্মিলন ১০ জানুয়ারি ১৯৭২: মুক্তিদাতা তাঁর জনগণের সাথে পুনর্মিলন বিষয়বস্তু ভূমিকা I. ঐতিহাসিক দিনের পূর্বাপর ১. মুক্তিযুদ্ধের পটভূমি ২. বঙ্গবন্ধুর বন্দিত্ব II. স্বদেশ প্রত্যাবর্তন ১. প্রত্যাশা এবং প্রস্তুতি ২. তেজগাঁও বিমানবন্দরে আগমন III. আবেগময় পুনর্মিলন ১. বঙ্গবন্ধুর প্রথম ভাষণ ২. প্রত্যাবর্তনের প্রতীকীতা IV. জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া ১. দেশীয় প্রভাব ২. বৈশ্বিক দৃষ্টিভঙ্গি V. ১০ জানুয়ারি ১৯৭২ এর উত্তরাধিকার ১. ঐতিহাসিক গুরুত্ব ২. বঙ্গবন্ধুর অব্যাহত প্রভাব উপসংহার ভূমিকা ১০ জানুয়ারি ১৯৭২ তারিখে বাংলাদেশে একটি ঐতিহাসিক মুহূর্ত...

বঙ্গবন্ধুর ১০ জানুয়ারি ১৯৭২ ভাষণ: জাতির প্রতি একটি ঐতিহাসিক ভাষণ

বঙ্গবন্ধুর ১০ জানুয়ারি ১৯৭২ ভাষণ: জাতির প্রতি একটি ঐতিহাসিক ভাষণ ভূমিকা ১০ জানুয়ারি ১৯৭২, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান একটি ভাষণ দিয়েছিলেন যা বাংলাদেশের ইতিহাসে চিরস্থায়ী হয়ে যাবে। এই ভাষণটি, যা একটি স্বাধীন বাংলাদেশে তার প্রত্যাবর্তনের সময় দেওয়া হয়েছিল, স্বাধীনতার দীর্ঘ সংগ্রামের সমাপ্তি এবং যুদ্ধের ধ্বংসযজ্ঞের পরে একটি জাতির জন্য আশার একটি প্রদীপ ছিল। এই ভাষণটি, এখন ইংরেজিতে অনুবাদ করা হয়েছে, নতুন স্বাধীন দেশের আত্মা এবং তার নেতার দৃষ্টির একটি গভীর অন্তর্দৃষ্টি প্রদান করে। ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট বাংলাদেশের স্বাধীনতার পথ চ্যালেঞ্জ এবং বলিদানের সাথে ভরা ছিল। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ মার্চ ১৯৭১ এর ভাষণ জাতিকে উদ্দীপিত করেছিল, মুক্তি সংগ্রামের মঞ্চ তৈরি করেছিল। নয় মাসের যুদ্ধে অসীম কষ্ট ...

বঙ্গবন্ধুর মুক্তি: ৮ জানুয়ারি ১৯৭২ | Afzal Hosen Mandal

বঙ্গবন্ধুর মুক্তি: ৮ জানুয়ারি ১৯৭২ | Afzal Hosen Mandal বঙ্গবন্ধুর মুক্তি: ৮ জানুয়ারি ১৯৭২ ভূমিকা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মুক্তির পটভূমি: ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের পর, পাকিস্তান সরকার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে বন্দি করে রাখে। দীর্ঘ ৯ মাস কারাবাসের পর, ১৯৭২ সালের ৮ জানুয়ারি তাকে মুক্তি দেওয়া হয়। এই মুক্তির দিনটি বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হিসেবে চিহ্নিত। মুক্তির তারিখ এবং এর তাৎপর্য: ৮ জানুয়ারি ১৯৭২, বঙ্গবন্ধুর মুক্তির দিনটি বাংলাদেশের জনগণের জন্য এক আনন্দের দিন। এই দিনটি বাংলাদেশের স্বাধীনতার পথে একটি বড় পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হয়। বঙ্গবন্ধুর মুক্তি বাংলাদেশের জনগণের জন্য স্বাধীনতার স্বপ্নকে বাস্তবে রূপান্তরিত করে। মুক্তির দিন পাকিস্তান সরকারের সিদ্ধান্ত এবং বঙ্গবন্ধুর লন্ডনে য...

Respectful Homage to Father of the Nation Bangabandhu Sheikh Mujibur Rahman

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন ## ভূমিকা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী একটি চমৎকার ম্যুরাল নির্মাণ করেছে। এই বিশাল শিল্পকর্ম বঙ্গবন্ধুর অসাধারণ নেতৃত্ব এবং বাঙালির স্বাধীনতা সংগ্রামে অমূল্য অবদানের সাক্ষ্য দেয়। ম্যুরালটির সাত দেয়াল বাঙালি জাতির মুক্তির যাত্রার একটি শক্তিশালী গল্প বর্ণনা করে - ১৯৫২ সালের ঐতিহাসিক ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে বীরত্বপূর্ণ স্বাধীনতা যুদ্ধ পর্যন্ত। ## ম্যুরালের প্রতীকএবং এর আকর্ষণীয় চিত্র ম্যুরাল এবং এর মনোমুগ্ধকর চিত্রগুলি বাঙালি জনগণের অদম্য চেতনা এবং অবিচল সংকল্পের একটি শক্তিশালী উপস্থাপনা হিসাবে কাজ করে। ম্যুরালের প্রতিটি দেয়ালে জাতির স্বাধীনতা সংগ্রামের একটি ভিন্ন অধ্যায় চিত্রিত করা হয়েছে, যা গুরুত্বপূর্ণ মুহুর্তগুলিকে তুলে ধরেছে যা আকার দেয় মুক্তির পথে তাদের যাত্রা। জটিল চিত্রায়ণ ও প্রাণবন্ত রঙের মাধ্যমে ম্যুরালটি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দূরদর্শী নেতৃত্বের পাশাপাশি বাঙালির আত্মত্যাগ, সংকল্প ও সাহসকে জীবন্ত করে তুলেছে। শেখ মুজিবুর রহমান, যাকে স্নেহ...

"সপ্তম নৌবহরের যাত্রায় চাঞ্চল্য

"সপ্তম নৌবহরের যাত্রায় চাঞ্চল্য ভারত মহাসাগরের দিকে যুক্তরাষ্ট্রের সপ্তম নৌবহর রওনা হওয়ার খবর জানাজানি হলে দিল্লি ও মুজিবনগরের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক মহলেও ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি করে। সায়গন থেকে নিউইয়র্ক টাইমসের সংবাদদাতা ১৩ ডিসেম্বর জানান, সপ্তম নৌবহরের পরমাণুশক্তিচালিত বিমানবাহী জাহাজ এন্টারপ্রাইজ আরও কয়েকটি জাহাজ, ডেস্ট্রয়ারসহ ১০ ডিসেম্বর সায়গনের দরিয়া থেকে ভারত মহাসাগরের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করেছে।  হংকং উপসাগরে এন্টারপ্রাইজের সঙ্গে কর্তব্যরত বিমানবাহী জাহাজ কন্সটেলেশনের একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, বঙ্গোপসাগরে যাওয়ার চূড়ান্ত নির্দেশ না পাওয়া পর্যন্ত এন্টারপ্রাইজ এবং তার সহযোগী সব জাহাজকে সিঙ্গাপুরের কাছে মালাক্কা প্রণালিতে গিয়ে অপেক্ষা করতে বলা হয়েছে। এন্টারপ্রাইজ যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় বিমানবাহী জাহাজ। যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী মেলভিন লেয়ার্ড ওয়াশিংটনে সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ঢাকা থেকে যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকদের অপসারণের ব্যাপারে তাঁর দেশের পরিকল্পনা রয়েছে। এন্টারপ্রাইজের ভারত মহাসাগরের দিকে যাত্রা শুরু করার খবরটি নিয়ে তিনি কোনো মন্তব্য করতে অস্বীকার করেন। দিল্লিতে ভারত সরকারে...

বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস

বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস দেশ মানুষের যতগুলো অনুভুতি আছে তার মাঝে সবচেয়ে সুন্দর অনুভুতি হচ্ছে ভালোবাসা। আর এই পৃথিবীতে যা কিছুকে ভালোবাসা সম্ভব তার মাঝে সবচেয়ে তীব্র ভালোবাসাটুকু হতে পারে শুধুমাত্র মাতৃভূমির জন্যে। যারা কখনো নিজের মাতৃভূমির জন্যে ভালোবাসাটুকু অনুভব করেনি তাদের মতো দুর্ভাগা আর কেউ নেই। আমাদের খুব সৌভাগ্য আমাদের মাতৃভূমির জন্যে যে স্বাধীনতা যুদ্ধ হয়েছিল তার ইতিহাস হচ্ছে গভীর আত্মত্যাগের ইতিহাস, অবিশ্বাস্য সাহস ও বীরত্বের ইতিহাস এবং বিশাল এক অর্জনের ইতিহাস। যখন কেউ এই আত্মত্যাগ, বীরত্ব আর অর্জনের ইতিহাস জানবে, তখন সে যে শুধুমাত্র দেশের জন্যে একটি গভীর ভালোবাসা আর মমতা অনুভব করবে তা নয়, এই দেশ, এই মানুষের কথা ভেবে গর্বে তার বুক ফুলে উঠবে। পূর্ব ইতিহাস যেকোনো কিছু বর্ণনা করতে হলে সেটি একটু আগে থেকে বলতে হয়, তাই বাংলাদেশের ইতিহাস জানার জন্যেও একটু আগে গিয়ে ব্রিটিশ আমল থেকে শুরু করা যেতে পারে। ব্রিটিশরা এই অঞ্চলটিকে প্রায় দুইশ বছর শাসন-শোষণ করেছে। তাদের হাত থেকে স্বাধীনতার জন্যে হাজার হাজার মানুষ প্রাণ দিয়েছে, জেল খেটেছে, দ্বীপান্তরে গিয়েছে। ১৯৪০ সালে ‘লা...