Posts

Showing posts with the label জিয়ার ষড়যন্ত্র

The General and His Sins: A Reflection on General Ziaur Rahman's Regime

Image
The General and His Sins: A Reflection on General Ziaur Rahman's Regime The General and His Sins: A Reflection on General Ziaur Rahman's Regime General Ziaur Rahman, Bangladesh’s first military dictator, died in a putsch in Chittagong on 30 May 1981. All these decades on, it is important to survey the damage inflicted on the nation’s social and political fabric, not to mention the history of the Bengali nation, by the regime he headed. Simply put, the Zia regime was symbolic of darkness, of truth being sidelined by forces inimical to the concept of Bangladesh. Prising Out of Two Fundamental Principles of the Constitution: Secularism and Socialism The five and a half years of Zia's military regime remain noted for the regressive politics, or patently anti-politi

7 নভেম্বর, 1975: বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি অন্ধকার অধ্যায়

Image
7 নভেম্বর, 1975: বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি অন্ধকার অধ্যায় 7 নভেম্বর, 1975: বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি অন্ধকার অধ্যায় পটভূমি 15 আগস্ট, 1975 সালে, শ্রদ্ধেয় নেতা শেখ মুজিবুর রহমান, যিনি বাংলাদেশকে তার স্বাধীনতার পথ দেখিয়েছিলেন, একদল অসন্তুষ্ট সেনা কর্মকর্তাদের দ্বারা তার পরিবারের বেশিরভাগ সদস্যকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছিল। এই ঘটনা বাংলাদেশকে এক অস্থিরতা ও অনিশ্চয়তার মধ্যে নিমজ্জিত করে। হত্যাকাণ্ডের পর বিতর্কিত ব্যক্তিত্ব খন্দকার মোশতাক আহমেদ অবৈধভাবে রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব গ্রহণ করেন। ক্ষমতায় তার অবৈধ উত্থান জাতিকে আরও অস্থিতিশীল করে এবং রাজনৈতিক সংকটকে আরও গভীর করে। এই বিশৃঙ্খল পটভূমির মধ্যে, জিয়াউর রহমান, একজন উচ্চাভিলাষী সেনা কর্মকর্তা, 24শে আগস্ট সেনাবাহিনীর উপপ্রধান নিয়ুক্ত হন। তার নিয়োগকে ক্ষমতা একত্রিত করতে এবং অস্থিতিশীল পরিস্থিতির উপর নিয়ন্ত্রণ বজায় রাখার জন্য একটি কৌশলগত পদক্ষেপ হিসাবে দেখা হয়। 1975 সালের 7 নভেম্বরের ঘটনা যখন উত্তেজনা বৃদ্ধি পায় এবং রাজনৈতিক চাল-চলন তীব্রতর হয়, 6 নভেম্বর সন্ধ্যায় সেনানিবাসের মধ্যে গোলযোগ

**জিয়ার মরণোত্তর বিচার ও কবর অপসারণের দাবি**

Image
বাংলাদেশের সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের শাসনামলে ১৯৭৭ সালের ২ অক্টোবর তথাকথিত বিদ্রোহ দমনের নামে ১১৫৬ জন সামরিক সদস্যকে ফাঁসি দেওয়া হয়। এই হত্যাকাণ্ডের শিকার পরিবারের সদস্যরা জিয়াউর রহমানের মরণোত্তর বিচার ও সংসদ ভবন এলাকা থেকে তার কবর অপসারণের দাবি জানিয়েছেন। রংপুর টাউন হল মাঠে মায়ের কান্না সংগঠন আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই দাবি জানানো হয়। সংবাদ সম্মেলনে ১৯৭৭ সালে ফাঁসিতে মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর মুক্তিযোদ্ধা সার্জেন্ট সাইদুর রহমান মিঞার ছেলে মো: কামরুজ্জামান মিঞা লেলিন লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন। তিনি বলেন, "জিয়াউর রহমানের হাতে আমাদের বাবা, ভাই, স্বামী, সন্তান, স্বজনরা নিহত হয়েছেন। আমরা তাদের হত্যার সুষ্ঠু বিচার চাই।" সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্য বক্তারাও জিয়াউর রহমানের মরণোত্তর বিচারের দাবি জানান। তারা বলেন, "জিয়াউর রহমান একজন খুনি, একজন ষড়যন্ত্রকারী। তিনি মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধ্বংস করতে চেয়েছিলেন। তার কবর সংসদ ভবন এলাকা থেকে অপসারণ করা হোক।" জিয়াউর রহমান ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার পর ক্ষমতায় আস

৭ মার্চ, ১৯৭৬ : কেমন ছিলো সেই দিনটি?

Image
৭ মার্চ, ১৯৭৬ : কেমন ছিলো সেই দিনটি? অধ্যাপক ডা. মামুন আল মাহতাব (স্বপ্নীল): ৭ মার্চ এখন ৫১’য়। সংগত কারণেই সারা দেশে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনায় উদযাপিত হচ্ছে ৭ মার্চ। আর এবারের ৭ মার্চের ঠিক আগ দিয়ে মন্ত্রিসভায় ‘জয় বাংলা’ স্লোগানের জাতীয় স্লোগান হিসেবে স্বীকৃতি ৭ মার্চে অন্যরকম দ্যোতনা যোগ করেছে। ৭ মার্চে এই গৌরবকালে একটু ফিরে তাকানো যাক ১৯৭৬ সালের দিকে। ক্যালেন্ডারের পাতা উল্টিয়ে সে বছরও মার্চে এসেছিলো ৭। কেমন ছিলো সেই দিনটি? কীভাবে উদযাপিত হয়েছিলো ছিয়াত্তরের ৭ মার্চ? আজ ৭ মার্চ যখন বাংলাদেশের জাতীয় দিবস আর ৭ মার্চের ভাষণ যখন একমাত্র ভাষণ হিসেবে বিশ্ব ঐতিহ্যের অংশ, তখন ঘুরে আসা যাক বঙ্গবন্ধুর শরীরি অনুপস্থিতিতে বাংলাদেশের প্রথম ৭ মার্চে। সেদিন বাংলাদেশে রাষ্ট্র ক্ষমতায় ছিলেন জেনারেল জিয়া। তিনি ছিলেন একাধারে সেনাপ্রধান আর প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক। জিয়ার পৃষ্ঠপোষকতায় ছিয়াত্তরের ৭ মার্চে, ওই ঐতিহাসিক রেসকোর্স ময়দানেই আয়োজন করা হয়েছিলো একটি বিশাল ইসলামী জলসার। সামরিক শাসনের অধীনে দেশে সব রকম সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ থাকলেও এই জলসার ব্যাপারে তা প্রযোজ্য হয়নি। হয়নি কারণ এর আয়োজকরা সবাই ছিলেন জামায়

বিশ্বমানবতার ইতিহাসে নজিরবিহীন ঘটনা ৩ নভেম্বরের জেল হত্যা

Image
বিশ্বমানবতার ইতিহাসে নজিরবিহীন ঘটনা ৩ নভেম্বরের জেল হত্যা এম. নজরুল ইসলাম: দীর্ঘ ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মাধ্যমে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছিল। বাঙালির হাজার বছরের ইতিহাসে শ্রেষ্ঠ গৌরব এই স্বাধীনতায় কিন্তু পরাজিত শক্তি থেমে থাকেনি। সদ্য স্বাধীন দেশে নানা রকম চক্রান্ত চালিয়ে যেতে থাকে। অবশেষে আসে ১৯৭৫ সাল। ১৫ই আগস্ট রাতে সেনাবাহিনীর একটি অংশের সহায়তায় কিছু ‘বিপথগামী’ সেনা সদস্যকে দিয়ে সপরিবারে হত্যা করা হয় জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। এরই ধারাবাহিকতায় ৩ নভেম্বর মধ্যরাতে সেই সেনা সদস্যরা ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে ঢুকে নির্মমভাবে হত্যা করে মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী জাতীয় চার নেতাকে। আজ আমরা পরম শ্রদ্ধায় স্মরণ করি সেই চার জাতীয় নেতা স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদ, ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলী ও এ এইচ এম কামরুজ্জামানকে। একাত্তরের পরাজয় মেনে নেয়নি এবং নিজেদের অবস্থান থেকেও সরে আসেনি যে শক্তি তারাই পরবর্তীকালে সংগঠিত হওয়ার চেষ্টা করে এবং নানা রকম ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়। সপরিবারে বঙ্গবন্ধুকে হত্য

জাতীয় চার নেতার ঘাতকেরা এবং হত্যার ইতিবৃত্ত

Image
জাতীয় চার নেতার ঘাতকেরা এবং হত্যার ইতিবৃত্ত জেল হত্যা নিয়ে অনেক সমীকরণ সামনে চলে আসে অন্তদৃষ্টি এবং একটু ফ্যাক্ট নিয়ে ঘাঁটাঘাটি করলে… মোশতাকের নির্দেশে এই নির্মম বর্বরোচিত হত্যাকান্ড ঘটলেও অনেকে এই ঘটনায় মৌন সমর্থন দিয়ে সুবিধা নিয়ে ক্ষমতার মসনদে বসতে চেয়েছিলেন ।তার প্রমাণ খালেদ মোশাররফ তেমন কোন প্রতিক্রিয়া দেখাননি জাতীয় চার নেতার হত্যার খবর শুনেও।এমনকি বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পরেও তার কোন প্রতিবাদ কিংবা প্রতিক্রিয়ার কথা শোনা যায় না।অথচ পঁচাত্তরের পুরো ঘটনাপ্রবাহে খালেদ মোশাররফ রহস্যময় ভূমিকা রেখেছেন। খালেদ মোশাররফ বঙ্গবন্ধু হত্যা কিংবা জাতীয় চার নেতা হত্যার ঘটনাপ্রবাহের অনেক ঘটনা সম্পর্কে জ্ঞাত ছিলেন খুব সম্ভবত। না হলে তিনি নিজে ১৯৭৪ সালের শেষের দিকে অভ্যুত্থান করতে চেয়ে ব্যর্থ হওয়া ফারুকের বিচার না করে উল্টো একটি রেজিমেন্টের দায়িত্ব দিতেন না। বঙ্গবন্ধু হত্যার পরেও খালেদ মোশাররফ প্রকাশ্যে কোন প্রতিক্রিয়া দেখাননি।৪ নভেম্বরের অভ্যুত্থানে তিনি করেছিলেন ক্ষমতা অধিগ্রহণের অভিলাষ থেকেই।তিনি ক্ষমতা পেয়ে কি করেছিলেন ? বঙ্গবন্ধু হত্যাকারীদের নিরাপদে বিদেশে পালিয়ে যেতে সর্বোচ্চ সহয

বিশ্বাসঘাতক জিয়ার ইতিকথা

Image
ইন রিসিভ মুড দিয়ে অডিও শুনতে পারবেন এবং 32% জুম করে ফুলবি দেখুন বিশ্বাসঘাতক জিয়ার ইতিকথা জিয়ার বহুরূপ- হয়ত নিরপেক্ষতার মুখোশ পরা কিংবা সস্তা জনপ্রিয়তার কারণে অনেকে জিয়াকে নিয়ে সুন্দর সুন্দর মিথ্যার ফুলঝরি রটিয়ে থাকে।কিন্তু মেজর জিয়া কি রকম ব্যাক্তি সেটি জানতে হলে প্রকৃত ইতিহাস জানতে হবে,জানতে হবে কীভাবে ছলচাতুরী করে সবাইকে বিভ্রান্ত করেছিল। তথাকথিত অনেক বুদ্ধিজীবী জিয়ার পক্ষে মাঝে মাঝে সাফাই গাওয়ার চেষ্টা করে,কিন্তু প্রকৃত সত্য তারা সদর্পে যেভাবে লুকিয়ে রাখেন তা ভাবতেই লজ্জা লাগে।এরা হয়ত কেউ জিয়ার আমলে সুবিধাবাদী ছিল।অথবা মুক্তিযুদ্ধের সময় বিদেশে পালিয়ে ছিল,অথবা বঙ্গবন্ধু হত্যার পরে ভোল পাল্টে জিয়ার পা চেটে ভাল থেকেছিল,জেল জুলুম থেকে বেঁচে গিয়েছিল। কিন্তু ওরা বোধহয় জানে না সত্যকে দুনিয়ার কোন শক্তি লুকিয়ে রাখতে পারেনা। অনেকদিন যাবৎ বাংলাদেশে জিয়ার ভূমিকা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করার ইচ্ছে ছিল।তাই লেখাটিকে তিন ভাগে ভাগ করেছি।একাত্তরে জিয়ার ভূমিকা , বঙ্গবন্ধু হত্যায় জিয়ার ভূমিকা,জিয়ার শাসনামল…একটু সময় নিয়ে পড়ুন, জিয়া সমন্ধে অনেক অজানা তথ্য জানতে পারবেন।

জিয়ার শাসনামল পুরোটাই অবৈধ

Image
  জিয়ার শাসনামল পুরোটাই অবৈধ জিয়াউর রহমানের জিয়াউর রহমানের ক্ষমতায় আসা নিয়ে বিতর্কের শেষ নেই। যে প্রক্রিয়ায় তিনি ক্ষমতায় আরোহণ করেন, তা ছিল ক্ষমতা দখল। বিশ্লেষকরা বলেন, ১৯৭৮ সালের ৩ জুন জিয়া যখন রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে অংশ নেন, তখনও তিনি সেনাপ্রধান ছিলেন। রাষ্ট্রের একজন কর্মকর্তা হয়েও তিনি রাষ্ট্রপতির পদ দখল করেন।   সে সময় রাষ্ট্রপতি হওয়ার জন্য তিনি সংবিধান ছিন্নভিন্ন করেন বলেও অভিযোগ করেছেন বিশেষজ্ঞরা এবং তারা এসব ঘটনার তদন্তে স্বাধীন কমিশন গঠনেরও পরামর্শ দিয়েছেন।     দীর্ঘ ২৭ বছর পর জিয়ার সেই শাসনামলকে অবৈধ ঘোষণা করেন উচ্চ আদালত। ২০০৫ সালের ২৯ আগস্ট পুরান ঢাকার মুন সিনেমা হলের মালিকানা নিয়ে করা এক রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্ট এ রায় দেন।   বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারই তখন ক্ষমতায় ছিল। এ রায় তাদের জন্য বিব্রত ও অস্বস্তিকর পরিস্থিতি তৈরি করেছিল তখন।   রায়ে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট থেকে ১৯৭৯ সালের ৯ এপ্রিল পর্যন্ত জারি করা সব ধরনের নির্দেশ অবৈধ ঘোষণা করা হয়। ১৯৭৫ সালে খন্দকার মোশতাক আহমদ, একই বছরের ৬ নভেম্বর বিচারপতি আবু সা