Posts

Showing posts with the label ছোট গল্পঃ

মানুষ কী নিয়ে বাঁচে – লিও টলস্টয়1

আফজাল হোসেন মন্ডল

মানুষ কী নিয়ে বাঁচে – লিও টলস্টয় 2

Image
মানুষ কী নিয়ে বাঁচে – লিও টলস্টয় (২) মানুষ কী নিয়ে বাঁচে – লিও টলস্টয় ছয় দিন যায়, সপ্তাহ যায়, ধীরে ধীরে বছরও শেষ হয়ে আসে। এখন মিখাইলের মতো সুন্দর আর মজবুত জুতো আর কেউ সেলাই করতে পারে না। সারা জেলার লোক জুতোর জন্য সাইমনের বাড়ি আসতে লাগল। ফিরে গেল তার বরাত। একদিন শীতকালে সাইমন বসে মিখাইলের সঙ্গে কাজ করছে, এমন সময় তিন-ঘোড়ার একখানি ঘন্টা বাধা দ্ৰেজগাড়ি তার কুঁড়ের দরজায় এসে দাড়াল। একটি ছোটছেলে কোচয়ানের আসন থেকে লাফ দিয়ে নেমে খুলে দিল গাড়ির দরজা। ফারকোট গায়ে একজন ভদ্রলোক স্লেজ থেকে নেমে সাইমনের ঘরের দিকে পা বাড়ালেন। মাত্রোনা ছুটে গিয়ে খুলে দিল দরজা। মাথা নিচু করে তিনি ঘরে ঢুকলেন। আবার যখন মাথা উঁচু করলেন তখন মাথা প্রায় ছাদ ছোয়-ঘেঁয়। ঘরের একটা কোণই তিনি দখল করে ফেললেন প্রায়। সাইমন উঠে দাড়িয়ে নমস্কার দিয়ে হাঁ করে ভদ্রলোককে দেখতে লাগল। এরকম মানুষ সে এর আগে কখনও দেখেনি। সাইমন নিজে রোগা, মিখাইলও তাই ; মাত্রোনা তো একগাছি শুকনো লাঠির মতো দেখতে। কিন্তু ইনি—যেন অন্য জগতের লোক; ফোলা ফোলা লাল মুখ, ষাড়ের মতো ঘাড়, ঢালাই লোহা দিয়ে গড়া দেহ। ভদ্রলোক হাঁপাতে লাগলেন। গায়ের কোট খুলে বেঞ্চিতে বসে বললেন :“বড় ম

দুর্গম পাহাড়ী এলাকায় পানি বহনের একটি শিক্ষামূলক ঘটনা

Image
দুর্গম পাহাড়ী এলাকায় পানি বহনের একটি শিক্ষামূলক ঘটনা পাহাড়ী এলাকায় পানি বহনের ঘটনা অনেক কাল আগের কথা। একজন দরিদ্র লোক একটি দুর্গম পাহাড়ী এলাকায় পানি বহনের কাজ করত। তার দুইটি পাত্র ছিল, একটি লাঠির দুই প্রান্তে পাত্র দুটি ঝুলিয়ে কাঁধে নিয়ে সে পানি বহন করত। রোজ অনেকটা পথ তাকে হেঁটে পাড়ি দিতে হত। দুটি পাত্রের একটি কিছুটা ভাঙ্গা, আরেকটি ত্রুটিহীন। পানি নিয়ে যেতে যেতে ভাঙ্গা পাত্রটি প্রায় অর্ধেক খালি হয়ে যেত। অপরদিকে ত্রুটিহীন পাত্রটি প্রতিদিন সুন্দরভাবে কানায় কানায় ভরে পানি পৌছে দিত। এভাবে দরিদ্র লোকটি রোজ তার মনিবের বাড়িতে এক পাত্র আর অর্ধেক অর্থাৎ দেড় পাত্র পানি পৌছে দিত।স্বাভাবিকভাবেই, ভালো পাত্রটি তার এ কাজের জন্য খুব গর্বিত ও আনন্দিত থাকত। অপরদিকে ভাঙ্গা পাত্রটির মন খুব খারাপ থাকত। সে খুব লজ্জিত আর বিমর্ষ থাকত। কেননা তাকে যে কাজের জন্য বানানো হয়েছিল সে তার সেই কাজ পুরোপুরিভাবে করতে পারছিল না। ত্রুটিপুর্ণ পাত্রটি এভাবে অনেকদিন পানি বহনের কাজ করার পর একদিন আর সইতে না পেরে লোকটির কাছে তার ব্যর্থতার জন্য ক্ষমা চাইলো। সে বলে উঠলো, “আমি আমাকে নিয়ে লজ্জিত ও হতাশ, আমি তোমার কাছে ক্ষমা চা

খলিফা উমর (রাঃ) এবং তাঁর মোমবাতি

Image
খলিফা উমর (রাঃ) এবং তাঁর মোমবাতি মোমের আলোয় কাজ করছিলেন খলিফা উমর (রাঃ)। এমন সময় সেখানে আসলেন তার দুই আত্মীয়। খলিফা তাড়াতাড়ি ফুঁ দিয়ে মোমবাতিটি নিভিয়ে দিলেন। অন্য আরেকটি মোমবাতি ধরিয়ে অতিথিদের বসতে দিয়ে তাদের খোজখবর নিলেন। কৌতুহল চাপতে না পেরে একজন জানতে চাইলেন, আমাদের দেখে কেন আপনি আগের মোমবাতি নেভালেন আর নতুন একটি জ্বালালেন? খলিফা জবাব দিলেন : আগের মোমবাতি ছিল রাষ্ট্রের সম্পত্তি থেকে কেনা। তোমরা যেহেতু আমার আত্মীয়, তাই তোমাদের সাথে আমার ব্যক্তিগত অনেক আলাপ হবে। আমার নিজের কাজে জনগণের আমানত থেকে আমি কিছু খরচ করতে পারি না। তাহলে আল্লাহর দরবারে আমাকে জবাবদিহি করতে হবে। তাই নিজের টাকায় কেনা মোমবাতিটি তোমাদের দেখে জ্বালালাম। এই জবাবে আত্মীয়রা হতভম্ব হলেন । তারা এসেছিলেন আত্মীয়তার খাতিরে বিশেষ কোন সুবিধা পাওয়া যায় কি না , সেই অনুরোধ করতে। কিন্ত্ত সামান্য মোমবাতি নিয়ে খলিফার এত বিবেচনা ও সতর্কতা দেখে নিজেদের প্রস্তাব জানাতে তারা আর সাহসই করলেন না। আরেকবার খলিফার কাছে এক লোক অবৈধ সুবিধা চায়। খলিফার সামনে রাখা কিছু কাঠে তখন আগুন জ্বলছিল। খলিফা বললেন, ঠিক আছে। তুমি এই আগুনের

শিয়াল ও সিংগাড়া – মজার গল্প

Image
শিয়াল ও সিংগাড়া – মজার গল্প 'শিয়াল ও সিংগাড়া' শিক্ষামূলক গল্প একটি বিরাট পাহাড়। পাহাড়ের উঁচুতে ছিল একটি কুটির। সেখানে বাস করতো এক গেরস্থ আর তার বউ। একদিন গেরস্তের বউ তিনটি সিংগাড়া তৈরি করলো। একটি বড়ো, একটি মাঝারি আর একটি ছোট। তিনটি সিংগাড়া ভাল করে ভেজে গিন্নি সেগুলো রেখে দিলো জানালার ধারে মিটসেফের ওপর একটি বারকোশে। তিনটি সিংগাড়ার মধ্যে ছোটটি ছিল খুবই চালাক। কড়াইয়ের কড়া ভাজায় তার মেজাজটাও হয়ে উঠেছিল তিরিক্ষি। গায়ের রংটা ছিল বাদামী। লোভনীয় ঘ্রাণ ছুটছিল তার শরীর থেকে। নিজের সৌন্দর্য ও সুঘ্রাণে নিজেই চমৎকৃত হলো সে। সিংগাড়া মনে মনে ভাবলো, কি সুন্দর আমি! আমার রূপের কোন জুড়ি নেই। আমার পক্ষে বারকোশে শুয়ে থাকা এবং অচিরেই মানুষের পেটে যাওয়া উচিত নয়। নিশ্চয়ই আমার রূপ আর সৌন্দর্য নিয়ে বাইরে গেলে আমি যথেষ্ট সমাদর লাভ করতে পারবো। যেই না ভাবা সেই না কাজ। সিংগাড়া এক লাফ মেরে জানালা গলিয়ে বাইরে নামলো। পাহাড়ের গা বেয়ে দ্রুত ছুটলো সে। ‘হ্যা, খুব দ্রুত এসেছি। আমার কোন ত্রুটি হয়নি।’ আনন্দে নেচে উঠলো তার মন। পাহাড়ের পাদদেশে আকাবাঁকা পথ বেয়ে খানিকটা এগিয়ে গেলো স

কাউকে মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দেওয়া থেকে বিরত থাকুন

Image
কাউকে মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দেওয়া থেকে বিরত থাকুন কানাডায় এক বরফ শীতল রাতে, একজন কোটিপতি তার ঘরের সামনে এক বৃদ্ধ দরিদ্র মানুষকে দেখতে পেলেন। তিনি বৃদ্ধ মানুষটিকে জিজ্ঞাসা করলেন, “বাইরে এত ঠাণ্ডা আর আপনার গায়ে কোনো উষ্ণ কাপড় নেই, আপনার কি ঠাণ্ডা লাগে না? বৃদ্ধ লোকটি উত্তর দিল, “আমার কাছে উষ্ণ কাপড় নেই কিন্তু আমি মানিয়ে নিয়েছি।” কোটিপতি উত্তর দিয়েছিলেন, “আমার জন্য অপেক্ষা করুন। এখন আমি আমার ঘরে ঢুকে আপনার জন্য একটা উষ্ণ কাপড় নিয়ে আসবো।” দরিদ্র বৃদ্ধ খুব খুশি হয়ে বলল, সে তার জন্য অপেক্ষা করবে। কোটিপতি তার বাড়িতে ঢুকলেন এবং সেখানে ব্যস্ত হয়ে গেলেন এবং দরিদ্র মানুষটার কথা ভুলে গেলেন। সকালে তার মনে হলো, সেই দরিদ্র বৃদ্ধের কথা। তিনি সাথে সাথে ঘর থেকে বেরিয়ে গেলেন বৃদ্ধকে খুঁজে বের করার জন্য। কিন্তু তিনি বৃদ্ধ মানুষটাকে ঠান্ডার কারণে মৃত অবস্থায় দেখতে পান। আর বৃদ্ধ মানুষটার হাতে একটা চিরকুট দেখতে পেলেন। চিরকুটে লিখা ছিলো – “যখন আমার কোন উষ্ণ কাপড় ছিল না, তখন ঠান্ডার সাথে লড়াই করার ক্ষমতা আমার ছিল কারণ আমি মানিয়ে নিয়েছিলাম। কিন্তু যখন আপনি আমাকে সাহায্য করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, তখন আ

মজার গল্প: 'স্বভাব যায় না বদলানো'

মজার গল্প: স্বভাব যায় না বদলানো মজার গল্প: 'স্বভাব যায় না বদলানো' অনেক কাল আগের কথা। মানুষ ধর্ম কর্ম থেকে অনেক দূরে সরে গিয়েছিল। পৃথিবীতে সর্বশেষ যে নবী এসেছিলেন, মানুষ তার শিক্ষাগুলো প্রায় ভুলেই গিয়েছিল। তো, এক জেলের ছেলের শখ হয়েছে শুধু মাছ ধরার কাজ না করে কিছু ধর্মকর্মও করবে। সে তার চেনাজানা আল্লাহভীরু প্রকৃতির এক লোককে ধরে একদিন বলেঃ কাকা, বাপদাদার পেশায় আছি, মাছ ধরি, বাজারে নিয়া বেচি। মাছের পয়সা দিয়া তেল-নুন-চাল-ডাল কিনে খাই। মাছ ধরায় নেশা আছে, উত্তেজনাও আছে। বেড় জালে বড় একখান মাছ ধরা পড়ে যখন খুলরবলর এবং লাফালাফি করতে থাকে তখনকার মত আনন্দ আর কিসে! কিন্তু কাজটা তো একঘেয়ে, রোজ একই রকম। তাই মাঝে মাঝে ক্লান্তি আর হতাশা আসে। আর আমাদের কাজ কঠিনও। মেঘ বৃষ্টি ঝড় হলেও গহীন গাঙে যেতে হয়। ভিজেপুরে হতে হয় একশেষ। তাও রাতের বেলার কাজ। সারা রাত জেগে যেদিন জালে ধরা পড়ে শুধু কিছু কুচো চিংড়ি আর তিতপুঁটি সেদিন মনমেজাজ বিগড়ে যায়। বাড়িতে এসে বউয়ের ঘ্যানর ঘ্যানর শুনিঃ ঘরে চাল বাড়ন্ত। চুলায় খড়ি নাই। হাঁড়ি জ্বলবে না। চুপ করে ঘুম দেই। বউ চেয়েচিন্তে এনে ভাত রাঁধে, কুচ

সফলতা পেতে কারো সমালোচনায় কান দিবেন না

Image
সফলতা পেতে কারো সমালোচনায় কান দিবেন না দুটো ব্যাঙ। দুজনে খুব ভালো বন্ধু। দুই বন্ধু গল্প করতে করতে হাঁটছিল, মহা আনন্দ তাঁদের জীবনে। সামনে যে বিশাল একটা গর্ত, সে খেয়াল নেই তাঁদের। এই বেখেয়ালই বলতে গেলে ওদের সর্বনাশ করলো। হাঁটতে হাঁটতেই ধুপ করে গর্তে পড়ে গেল দুজনেই। গর্ত অনেক গভীর, ব্যাঙদের রাজ্যে আবার কোন মই-টইও নেই। তাই আশেপাশের যে ব্যাঙগুলো ছিলো তারা ধরেই নিলো যে এই ব্যাঙদুটোর সলিল সমাধি ওখানেই হচ্ছে। ওরা আর সাহায্য করতেও গেলো না, কে নিজের প্রাণটা হারাতে যায়? সাহায্য না হয় না করলো, গর্তে পড়া ব্যাঙদুটোকে উৎসাহও তো দেয়া যায়, তাই না? সমস্যা হলো সেই উৎসাহটাও দিতে রাজি নয় উপরের ব্যাঙরা। একটা ব্যাঙ বললো, এই গর্তটা পুরো ব্যাঙরাজ্যের সবচেয়ে গভীর গর্ত, তোমরা কোনদিন পার হতে পারবে না!” আরেকটা ব্যাঙ এসে বললো, “এই গর্তে পড়েই গত বছরে কতগুলো ব্যাঙাচি মরে গেলো! তোদের কপালেও মরণ আছে রে!” আরেকজন তো আরেক কাঠি সরেস। সে ধরেই নিয়েছে গর্তে পড়া ব্যাঙ দুটো আর ফিরবে না। সে বলে বসলো, “তোমাদের পরিবারকে খবর দিয়ে না হয় নিয়ে আসি, প্রিয়জনকে শেষ দেখা দেখে নিক!” এইরকম ভয়াবহ ডিমোটিভেটিং কথাবার্তা শুনেই গর্তের এক

'বুড়ো মানুষের মূল্য' শিক্ষামূলক গল্প

Image
বুড়ো মানুষের মূল্য – শিক্ষামূলক গল্প 'বুড়ো মানুষের মূল্য' শিক্ষামূলক গল্প কোন এক দেশে অভাব অনটন লেগেই থাকতো। রাজা ভাবলো, দেশের মানুষ কমাতে হবে। তবেই অভাব থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে। রাজা এক অদ্ভুত আইন জারি করলো, যে সব বুড়ো বাবা-মা কাজ করতে পারে না, কেবল শুয়ে বসে খায়, তাদেরকে বনে ফেলে আসতে হবে। কি আর করা যায়, আইন না মানলে যে প্রাণ যায়। তাই লোকজন তাদের বুড়ো বাবা-মাকে পাহাড়ের ধারে বনে ফেলে আসতো। বুড়ো- বুড়িরা সেখানে না খেয়ে মরতো, কিংবা যেতো বাঘের পেটে। বুড়ো-বুড়িদের বনবাসে না পঠিয়ে উপায় ছিলনা। প্রহরীরা ঘুরে ঘুরে দেখতো কারা আইন অমান্য করেছে। বুড়ো- বুড়িকে বসিয়ে খাওয়ানো হচ্ছে জানতে পারলেই, প্রহরীরা বাড়ির কর্তাকে ধরে নিয়ে যেতো। তার মাথাটা কেটে ফেলতো ঘ্যাচাং করে। বুড়ো-বুড়িকেতো বনবাসে পাঠাতোই। একটি ছেলে তার বাপকে খুব ভালোবাসতো। বাপও তার ছেলেকে প্রাণের চেয়ে বেশী ভালবাসতো। তবুও রাজার ভয়ে বাপকে বনবাসে যেতে হবে। কারণ সে কাজ করতে পারেনা। গায়ে শক্তি নেই, লাঠি ভর দিয়ে হাঁটে। ছেলে কাঁদতে কাঁদতে বাপকে কাধে নিলো। তারপর চললো বনের দিকে। বাপের মনেও নানা চিন্তা। নিজে মরে গে

দুর্গম পাহাড়ী এলাকায় পানি বহনের একটি শিক্ষামূলক ঘটনা

Image
https://1drv.ms/w/s!AkMbJo1ErScMigA9KQNbXG5T5QG- দুর্গম পাহাড়ী এলাকায় পানি বহনের একটি শিক্ষামূলক ঘটনা পাহাড়ী এলাকায় পানি বহনের ঘটনা অনেক কাল আগের কথা। একজন দরিদ্র লোক একটি দুর্গম পাহাড়ী এলাকায় পানি বহনের কাজ করত। তার দুইটি পাত্র ছিল, একটি লাঠির দুই প্রান্তে পাত্র দুটি ঝুলিয়ে কাঁধে নিয়ে সে পানি বহন করত। রোজ অনেকটা পথ তাকে হেঁটে পাড়ি দিতে হত। দুটি পাত্রের একটি কিছুটা ভাঙ্গা, আরেকটি ত্রুটিহীন। পানি নিয়ে যেতে যেতে ভাঙ্গা পাত্রটি প্রায় অর্ধেক খালি হয়ে যেত। অপরদিকে ত্রুটিহীন পাত্রটি প্রতিদিন সুন্দরভাবে কানায় কানায় ভরে পানি পৌছে দিত। এভাবে দরিদ্র লোকটি রোজ তার মনিবের বাড়িতে এক পাত্র আর অর্ধেক অর্থাৎ দেড় পাত্র পানি পৌছে দিত।স্বাভাবিকভাবেই, ভালো পাত্রটি তার এ কাজের জন্য খুব গর্বিত ও আনন্দিত থাকত। অপরদিকে ভাঙ্গা পাত্রটির মন খুব খারাপ থাকত। সে খুব লজ্জিত আর বিমর্ষ থাকত। কেননা তাকে যে কাজের জন্য বানানো হয়েছিল সে তার সেই কাজ পুরোপুরিভাবে করতে পারছিল না। ত্রুটিপুর্ণ পাত্রটি এভাবে অনেকদিন পানি বহনের কাজ করার পর একদিন আর সইতে না পেরে লোকটির কাছে তার ব্যর্থতার জন্য ক্ষমা চাইলো। সে বলে উঠলো, “