Posts

Showing posts with the label মজার গল্প

দুর্গম পাহাড়ী এলাকায় পানি বহনের একটি শিক্ষামূলক ঘটনা

Image
https://1drv.ms/w/s!AkMbJo1ErScMigA9KQNbXG5T5QG- দুর্গম পাহাড়ী এলাকায় পানি বহনের একটি শিক্ষামূলক ঘটনা পাহাড়ী এলাকায় পানি বহনের ঘটনা অনেক কাল আগের কথা। একজন দরিদ্র লোক একটি দুর্গম পাহাড়ী এলাকায় পানি বহনের কাজ করত। তার দুইটি পাত্র ছিল, একটি লাঠির দুই প্রান্তে পাত্র দুটি ঝুলিয়ে কাঁধে নিয়ে সে পানি বহন করত। রোজ অনেকটা পথ তাকে হেঁটে পাড়ি দিতে হত। দুটি পাত্রের একটি কিছুটা ভাঙ্গা, আরেকটি ত্রুটিহীন। পানি নিয়ে যেতে যেতে ভাঙ্গা পাত্রটি প্রায় অর্ধেক খালি হয়ে যেত। অপরদিকে ত্রুটিহীন পাত্রটি প্রতিদিন সুন্দরভাবে কানায় কানায় ভরে পানি পৌছে দিত। এভাবে দরিদ্র লোকটি রোজ তার মনিবের বাড়িতে এক পাত্র আর অর্ধেক অর্থাৎ দেড় পাত্র পানি পৌছে দিত।স্বাভাবিকভাবেই, ভালো পাত্রটি তার এ কাজের জন্য খুব গর্বিত ও আনন্দিত থাকত। অপরদিকে ভাঙ্গা পাত্রটির মন খুব খারাপ থাকত। সে খুব লজ্জিত আর বিমর্ষ থাকত। কেননা তাকে যে কাজের জন্য বানানো হয়েছিল সে তার সেই কাজ পুরোপুরিভাবে করতে পারছিল না। ত্রুটিপুর্ণ পাত্রটি এভাবে অনেকদিন পানি বহনের কাজ করার পর একদিন আর সইতে না পেরে লোকটির কাছে তার ব্যর্থতার জন্য ক্ষমা চাইলো। সে বলে উঠলো, “

শেখ সাদির গল্প: পোশাকের গুণ

Image
শেখ সাদির গল্প: পোশাকের দাম শেখ শাদী (রঃ) সাধারনত খুবই সাদাসিধে জীবনযাপন করতেন। একবার এক দাওয়াতে তিনি ছেড়া ও নোংরা কাপড় চোপড় পড়ে চলে গেলেন। তাই মেজবান তাকে চিনতে না পেরে ফকির ভেবে অপেক্ষাকৃত কম ও অনুন্নত খাবার দিলেন। শেখ শাদী বিষয়টি বুঝতে পারলেন। তিনি ঐ কম ও অনুন্নত খাবার খেয়ে ফিরে এলেন এবং কিছুদিন পর আবার ভালো ও শাহেনশাহী কাপড় চোপড় পড়ে ঐ বাড়িতে গেলেন। এবার তার সামনে সকল উন্নত খাবার দাবার ও যথাযত সম্মান দেখানো হলো। তিনি খাবার খেতে বসে কিছু খেলেন এবং কিছু খাবার তার পরনে পরা জামার পকেটে ঢুকালেন । এই অবস্থা দেখে মেজবান প্রশ্ন করলেন, জনাব এটা কি করছেন ? জবাবে শেখ শাদী (র) বললেন, কিছুদিন আগে আমি এসেছিলাম, আমার শরীরে ছিলো ছেড়া ও নোংরা কাপড়। তাই আপনি আমাকে যেভাবে সম্মান দেখালেন এখন আমার বেশভুসার কারনে আমাকে তার ছেয়ে অনেক বেশি সম্মান দেখিয়েছেন। তাই ভাবলাম এই সম্মান ও খাবার দাবার আমার প্রাপ্য নয়, ওগুলো সব ঐ বেশভুসার। সেই ব্যাক্তি লজ্জিত হলেন। নিজের ভুল বুঝতে পারলেন। এর কিছুদিন পরের কথা। সেই মহান ব্যাক্তিকে শেখ সাদিকে একদিন একজন প্রশ্ন করলেন, জনাব আপনি এত আদব কিভাবে শিখলেন ? তিনি জবাব দিলেন,

জেনেভায় বঙ্গবন্ধু ওয়ালিউর রহমানঃ

Image
জেনেভায় বঙ্গবন্ধু ওয়ালিউর রহমানঃ ১৯৭২ সালে মার্চের শেষে জেনেভায় যাওয়ার আগে হঠাৎ বঙ্গবন্ধুর একটি টেলিফোন পেলাম। তিনি বললেন, ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইমস ট্রাইব্যুনাল এ্যাক্টের একটি ড্র্যাফট পাঠালাম, তুই একটু দেখতো। এই মহান মানুষটি সম্পর্কে যখন লিখতে যাই তখন কেমন জানি আনমনা হয়ে যাই। হারিয়ে যাই সেই অতীতের স্মৃতিতে। তখন চোখ দুটি অশ্রুতে ছল ছল করে ওঠে। এই মহান মানুষটিকে একনজর দেখার জন্য দূর-দূরান্ত থেকে লোকজন ছুটে আসত, মানুষের ঢল পড়ে যেত। আর তাকে কত কাছ থেকে দেখেছি, জেনেছি, উপলব্ধি করেছি তার অসাধারণ ভাবনাগুলোকে। তাঁর সংস্পর্শে থেকে তাঁর নির্দেশ অনুযায়ী কাজ করেছি। অনেক কিছু শিখতে পেরেছি। এটা ছিল পরম সৌভাগ্য। এই মহান নেতার জন্ম না হলে আমরা একটি স্বাধীন বাংলাদেশ পেতাম না। তাঁর সঙ্গে কাটানো প্রতিটি স্মৃতিই নাড়া দেয় মনকে। বঙ্গবন্ধুকে দেখার প্রথম স্মৃতি। ১৯৭২ সালে আগস্ট মাসে হঠাৎ প্রয়াত রফিকুল্লাহ চৌধুরীর ফোন আসে। তিনি ছিলেন বঙ্গবন্ধুর একান্ত ব্যক্তিগত সচিব এবং বর্তমানে জাতীয় সংসদের স্পীকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর পিতা। তিনি বললেন, বঙ্গবন্ধু জেনেভায় আসতে চান। বিষয়টা দেখেন। শতাব্দীর মহানায়ক বাংলাদেশের প্রত

মজার গল্প: আমি দুইখান তুমি একখান

Image
মজার গল্প: আমি দুইখান                    তুমি একখান   মজার গল্প: আমি দুইখান তুমি একখান এক ছিল বউ আর তার স্বামী। দুইজনের সংসার। কষ্টেসৃষ্টে তাদের দিন চলে যায়। একটু ভালমন্দ খাবার ইচ্ছা তাদের প্রবল। কিন্তু পয়সাপাতির তেমন জোর নেই যে একখান বাক্কা’ (মনের মতো) বাজার করে হাউস মিটিয়ে খাবে। তাই রোজ শাক, বে-মজা ভাজি আর ভর্তা দিয়ে তাদের ভাত খেতে হয়। একই জিনিস রোজ রোজ মুখে রোচে না। বউটি তাই স্বামীকে বলে : ‘একই ভাজি আর বিস্বাদ ভর্তা খেতে খেতে মুখে চড়া পড়ে গেল। মাছ মাংস খাই না কতদিন তা মনেও করতে পারছি না—মাংস খাব এমুন পিতলা হাউস করে লাভ নেই। তবে মাছ তো না কিনেও পাওয়া যায়। বিলে গিয়ে ছোটমোট মাছ ধরে আনলে তো মুখের স্বাদটা বদলাতে পারি।’ স্বামী বলে : তাইলে মাছ মারনের জন্যই যাই। চাঙ্গের ওপর থাইকা ‘ওচা’ দেও। দেহি কিছু পাই কিনা।’ বউ বাঁশের ওচা বের করে দেয়। স্বামী ওচা আর খালুই নিয়ে বিলে যায়। প্রথমে কিছু তিতপুঁটি, ছোট ছোট চান্দা, কুঁচো চিংড়ি আর চেলা মাছ ওঠে। পরে জংলা ঘাসের ছোপের ঘোলা পানিকে পা দিয়ে খলবল করে নাড়িয়ে ওচা ফেলতেই গটর গটর শব্দ হয়। ওচা তুলতেই দেখা গেল তিনখানা ডাঙ্গর কই। এমন দশা