Skip to main content

Posts

Showing posts with the label জিয়াউর রহমানের

জননিরাপত্তা নিশ্চিত করা: সরকারের দায়বদ্ধতা

  শিরোনাম: জননিরাপত্তা নিশ্চিত করা: সরকারের দায়বদ্ধতা মেটা বর্ণনা : পুলিশ হত্যা, অগ্নিসংযোগ, ভাংচুর, এবং জনসাধারণের ও সরকারি সম্পত্তি ধ্বংসের মতো অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার সহ কার্যকর পদক্ষেপের মাধ্যমে জননিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সরকারের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা আবিষ্কার করুন। ভূমিকা : যে কোনো সুষ্ঠুভাবে কাজ করে এমন সমাজে নাগরিকদের নিরাপত্তা ও নিরাপত্তা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। বিশ্বব্যাপী সরকারগুলির দায়িত্ব রয়েছে তাদের জনগণের মঙ্গল রক্ষা করা এবং প্রত্যেকের উন্নতির জন্য একটি শান্তিপূর্ণ পরিবেশ নিশ্চিত করা। এই নিবন্ধটি নিরাপত্তা প্রদানে সরকারের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়ে আলোচনা করে এবং পুলিশ হত্যা, অগ্নিসংযোগ, ভাংচুর এবং জনসাধারণের ও সরকারি সম্পত্তি ধ্বংসের মতো অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড মোকাবেলার জন্য গৃহীত ব্যবস্থাগুলি তুলে ধরে। জননিরাপত্তা নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে সরকারের ভূমিকা: 1. আইন প্রয়োগকারী : সরকার তার আইন প্রয়োগকারী সংস্থার মাধ্যমে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় কেন্দ্রীয় ভূমিকা পালন করে। অপরাধ প্রতিরোধ ও তদন্ত, অপরাধীদের ধরতে এবং নাগরিকদের ক্ষতি থেকে রক্ষা করার দায়িত্ব পুলিশ ব...

**জিয়ার মরণোত্তর বিচার ও কবর অপসারণের দাবি**

বাংলাদেশের সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের শাসনামলে ১৯৭৭ সালের ২ অক্টোবর তথাকথিত বিদ্রোহ দমনের নামে ১১৫৬ জন সামরিক সদস্যকে ফাঁসি দেওয়া হয়। এই হত্যাকাণ্ডের শিকার পরিবারের সদস্যরা জিয়াউর রহমানের মরণোত্তর বিচার ও সংসদ ভবন এলাকা থেকে তার কবর অপসারণের দাবি জানিয়েছেন। রংপুর টাউন হল মাঠে মায়ের কান্না সংগঠন আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই দাবি জানানো হয়। সংবাদ সম্মেলনে ১৯৭৭ সালে ফাঁসিতে মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর মুক্তিযোদ্ধা সার্জেন্ট সাইদুর রহমান মিঞার ছেলে মো: কামরুজ্জামান মিঞা লেলিন লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন। তিনি বলেন, "জিয়াউর রহমানের হাতে আমাদের বাবা, ভাই, স্বামী, সন্তান, স্বজনরা নিহত হয়েছেন। আমরা তাদের হত্যার সুষ্ঠু বিচার চাই।" সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্য বক্তারাও জিয়াউর রহমানের মরণোত্তর বিচারের দাবি জানান। তারা বলেন, "জিয়াউর রহমান একজন খুনি, একজন ষড়যন্ত্রকারী। তিনি মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধ্বংস করতে চেয়েছিলেন। তার কবর সংসদ ভবন এলাকা থেকে অপসারণ করা হোক।" জিয়াউর রহমান ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার পর ক্ষমতায় আস...

৭ নভেম্বর: সেনানিবাসে মুক্তিযোদ্ধা সেনা সদস্যদের হত্যার ষড়যন্ত্র

৭ নভেম্বর: সেনানিবাসে মুক্তিযোদ্ধা সেনা সদস্যদের হত্যার ষড়যন্ত্র ১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বর মধ্যরাতের পর পরই ঢাকা সেনানিবাসে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। বঙ্গবন্ধু হত্যার পৃষ্ঠপোষক তৎকালীন সেনাপ্রধান জিয়াউর রহমানের আহ্বানে সাড়া দিয়ে কর্নেল তাহেরের বিপ্লবী সামরিক বাহিনীর সদস্যরা সক্রিয় হয়ে ওঠেন। পাকিস্তান থেকে ফিরে আসা সৈন্যরা বঙ্গবন্ধুর খুনি মেজর মহিউদ্দিনের নেতৃত্বে হত্যা ও লুটপাট শুরু করে। এটি বাঙালি জাতির ইতিহাসের এক জঘন্য অধ্যায়। ১৫ আগস্টের বর্বরতার পর ৩ নভেম্বর বঙ্গবন্ধুর খুনিদের হাত থেকে দেশকে বাঁচাতে দেশপ্রেমিক সেনা কর্মকর্তারা যে উদ্যোগ নিয়েছিলেন, তা অকালে শেষ হয়ে যায়। এক নারী চিকিৎসকসহ ১৩ জন সেনা কর্মকর্তা নৃশংস সহিংসতায় নিহত হন। ৭ নভেম্বর সকালে তিন বিখ্যাত মুক্তিযোদ্ধা সেনা কমান্ডারকেও নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়। জিয়াউর রহমান তখন খুনিদের বেকসুর খালাস দেন এবং নিজেকে প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক এবং পরে রাষ্ট্রপতি ঘোষণা করেন। স্বাধীনতাবিরোধীরা সারা দেশে পুনর্বাসন শুরু করে। বাংলাদেশের মাটিতে যে ধুলোবালি, চরমপন্থা ও মৌলবাদের উত্থান হয়েছে তাতে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধ্বংস হয়ে গেছ...

মুক্তিযুদ্ধে জিয়ার রেডিও বিবৃতি ও কিছু কথা মোহাম্মদ শাহাবুদ্দিন:

মুক্তিযুদ্ধে জিয়ার রেডিও বিবৃতি ও কিছু কথা মোহাম্মদ শাহাবুদ্দিন : ২৫শে মার্চ ১৯৭১। রাত ১১ টা ৪৫ মিনিট। পাকিস্তানি দখলদার বাহিনী সর্বশক্তি নিয়ে অতর্কিতভাবে নিরস্ত্র বাঙালির ওপর ঝাঁপিয়ে পড়লো। আক্রান্ত মানুষের আর্তচিৎকার, কামানের আওয়াজ, রকেট লাঞ্চার আর ট্রেসার বুলেটের আগুনের ঝলকানিতে সমগ্র ঢাকা নগরী পরিণত হলো নরকের বিভীষিকা। এমনই মুহূর্তে বঙ্গবন্ধু গোপন ট্রান্সমিটারের মাধ্যমে বলধা গার্ডেন থেকে অথবা মগবাজার বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতা যুদ্ধের ঘোষণা ইথারে, টেলিগ্রাফ, টেলিগ্রামে তিন/চারটি চ্যানেলে প্রচারিত হতে থাকলো। রাজারবাগ পুলিশ লাইন, পিলখানা ও বিশ্ববিদ্যালয় আক্রান্ত হলো। শুরু হলো স্বাধীনতার জন্য মরণপন লড়াই। ২৬শে মার্চ ভোরের আলো ফুটবার আগেই সারাদেশে যুদ্ধের দামামা বেজে উঠল। মরণপন লড়াইয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ল বীর বাঙালি। জয়দেবপুরে মেজর কে এম শফিউল্লাহ, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মেজর খালেদ মোশাররফ এবং মেজর শাফায়াত জামিল, কুষ্টিয়ায় মেজর ওসমান। চট্টগ্রামে মেজর রফিক। টাঙ্গাইলে কাদের সিদ্দিকী। কিন্ত কোথায় চট্টগ্রামের সবচেয়ে সিনিয়র বাঙালি অফিসার ব্রিগেডিয়ার মজুমদার? কোথায় কর্নেল এম আর চৌধুরী? কোথায় ৮ম বেঙ্গলের মেজর জিয়...

বিশ্বাসঘাতক জিয়ার ইতিকথা

ইন রিসিভ মুড দিয়ে অডিও শুনতে পারবেন এবং 32% জুম করে ফুলবি দেখুন বিশ্বাসঘাতক জিয়ার ইতিকথা জিয়ার বহুরূপ- হয়ত নিরপেক্ষতার মুখোশ পরা কিংবা সস্তা জনপ্রিয়তার কারণে অনেকে জিয়াকে নিয়ে সুন্দর সুন্দর মিথ্যার ফুলঝরি রটিয়ে থাকে।কিন্তু মেজর জিয়া কি রকম ব্যাক্তি সেটি জানতে হলে প্রকৃত ইতিহাস জানতে হবে,জানতে হবে কীভাবে ছলচাতুরী করে সবাইকে বিভ্রান্ত করেছিল। তথাকথিত অনেক বুদ্ধিজীবী জিয়ার পক্ষে মাঝে মাঝে সাফাই গাওয়ার চেষ্টা করে,কিন্তু প্রকৃত সত্য তারা সদর্পে যেভাবে লুকিয়ে রাখেন তা ভাবতেই লজ্জা লাগে।এরা হয়ত কেউ জিয়ার আমলে সুবিধাবাদী ছিল।অথবা মুক্তিযুদ্ধের সময় বিদেশে পালিয়ে ছিল,অথবা বঙ্গবন্ধু হত্যার পরে ভোল পাল্টে জিয়ার পা চেটে ভাল থেকেছিল,জেল জুলুম থেকে বেঁচে গিয়েছিল। কিন্তু ওরা বোধহয় জানে না সত্যকে দুনিয়ার কোন শক্তি লুকিয়ে রাখতে পারেনা। অনেকদিন যাবৎ বাংলাদেশে জিয়ার ভূমিকা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করার ইচ্ছে ছিল।তাই লেখাটিকে তিন ভাগে ভাগ করেছি।একাত্তরে জিয়ার ভূমিকা , বঙ্গবন্ধু হত্যায় জিয়ার ভূমিকা,জিয়ার শাসনামল…একটু সময় নিয়ে পড়ুন, জিয়া সমন্ধে অনেক অজানা তথ্য জানতে পারবেন। ...

জিয়ার ষড়যন্ত্র শুরু একাত্তরেই

  ঠান্ডা মাথার এক অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে ১৯৭৭ সালের ২১ এপ্রিল রাষ্ট্রপতি আবু সাদাত মোহাম্মদ সায়েমের কাছ থেকে ক্ষমতা হস্তগত করেন জিয়াউর রহমান। কিন্তু বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ষড়যন্ত্রের জাল তিনি ছড়িয়েছিলেন ১৯৭১ সালেই। তার অতিরিক্ত রাজনৈতিক উচ্চাভিলাষের কারণে বঙ্গবন্ধু তাকে সেনাপ্রধান করেননি। যে কারণে সুযোগ পেলেই তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করতেন। এরপর ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট সপরিবারে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যা করা হলে জিয়া তার সর্বগ্রাসী ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে প্রথমে সেনাপ্রধান, তারপর প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক ও রাষ্ট্রপতি পদে আসীন হন। ‘বঙ্গভবনের শেষ দিনগুলি’ বইয়ে বিচারপতি সায়েম লিখেছেন, ‘১৯৭৬ সালের ২৯ নভেম্বর তিনি জিয়াউর রহমানের হাতে প্রধান সামরিক আইন প্রশাসকের পদ ছেড়ে দেন। রাষ্ট্রপতির পদ ছেড়ে দেন কয়েক মাস পর ১৯৭৭ সালের ২১ এপ্রিল।’ ক্ষমতার নিয়ন্ত্রণ নিতে আইয়ুব খানকে অনুসরণ করেন জিয়াউর রহমান। ইস্কান্দার মির্জাকে আইয়ুব খান প্রেসিডেন্টের পদ থেকে সরিয়ে নিজেই পাকিস্তানের প্রেসিডেন্টের পদ গ্রহণ করেন। প্রথমে খন্দকার মোশতাক আহমেদকে ক্ষমতাচ্যুত করার প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে ৭ নভেম্বর ক্ষমত...

জিয়ার শাসনামল পুরোটাই অবৈধ

  জিয়ার শাসনামল পুরোটাই অবৈধ জিয়াউর রহমানের জিয়াউর রহমানের ক্ষমতায় আসা নিয়ে বিতর্কের শেষ নেই। যে প্রক্রিয়ায় তিনি ক্ষমতায় আরোহণ করেন, তা ছিল ক্ষমতা দখল। বিশ্লেষকরা বলেন, ১৯৭৮ সালের ৩ জুন জিয়া যখন রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে অংশ নেন, তখনও তিনি সেনাপ্রধান ছিলেন। রাষ্ট্রের একজন কর্মকর্তা হয়েও তিনি রাষ্ট্রপতির পদ দখল করেন।   সে সময় রাষ্ট্রপতি হওয়ার জন্য তিনি সংবিধান ছিন্নভিন্ন করেন বলেও অভিযোগ করেছেন বিশেষজ্ঞরা এবং তারা এসব ঘটনার তদন্তে স্বাধীন কমিশন গঠনেরও পরামর্শ দিয়েছেন।     দীর্ঘ ২৭ বছর পর জিয়ার সেই শাসনামলকে অবৈধ ঘোষণা করেন উচ্চ আদালত। ২০০৫ সালের ২৯ আগস্ট পুরান ঢাকার মুন সিনেমা হলের মালিকানা নিয়ে করা এক রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্ট এ রায় দেন।   বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারই তখন ক্ষমতায় ছিল। এ রায় তাদের জন্য বিব্রত ও অস্বস্তিকর পরিস্থিতি তৈরি করেছিল তখন।   রায়ে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট থেকে ১৯৭৯ সালের ৯ এপ্রিল পর্যন্ত জারি করা সব ধরনের নির্দেশ অবৈধ ঘোষণা করা হয়। ১৯৭৫ সালে খন্দকার মোশতাক আহমদ, একই বছ...