জিয়ার শাসনামল পুরোটাই অবৈধ

 
জিয়ার শাসনামল পুরোটাই অবৈধ


জিয়াউর রহমানের

জিয়াউর রহমানের ক্ষমতায় আসা নিয়ে বিতর্কের শেষ নেই। যে প্রক্রিয়ায় তিনি ক্ষমতায় আরোহণ করেন, তা ছিল ক্ষমতা দখল। বিশ্লেষকরা বলেন, ১৯৭৮ সালের ৩ জুন জিয়া যখন রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে অংশ নেন, তখনও তিনি সেনাপ্রধান ছিলেন। রাষ্ট্রের একজন কর্মকর্তা হয়েও তিনি রাষ্ট্রপতির পদ দখল করেন।

 

সে সময় রাষ্ট্রপতি হওয়ার জন্য তিনি সংবিধান ছিন্নভিন্ন করেন বলেও অভিযোগ করেছেন বিশেষজ্ঞরা এবং তারা এসব ঘটনার তদন্তে স্বাধীন কমিশন গঠনেরও পরামর্শ দিয়েছেন।

 

 

দীর্ঘ ২৭ বছর পর জিয়ার সেই শাসনামলকে অবৈধ ঘোষণা করেন উচ্চ আদালত। ২০০৫ সালের ২৯ আগস্ট পুরান ঢাকার মুন সিনেমা হলের মালিকানা নিয়ে করা এক রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্ট এ রায় দেন।

 

বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারই তখন ক্ষমতায় ছিল। এ রায় তাদের জন্য বিব্রত ও অস্বস্তিকর পরিস্থিতি তৈরি করেছিল তখন।

 

রায়ে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট থেকে ১৯৭৯ সালের ৯ এপ্রিল পর্যন্ত জারি করা সব ধরনের নির্দেশ অবৈধ ঘোষণা করা হয়। ১৯৭৫ সালে খন্দকার মোশতাক আহমদ, একই বছরের ৬ নভেম্বর বিচারপতি আবু সাদাত মোহাম্মদ সায়েম ও পরবর্তী সময়ে জিয়াউর রহমানের ক্ষমতা গ্রহণ এবং সামরিক শাসন জারি অবৈধ ও সংবিধান পরিপন্থি হিসেবে উল্লেখ করেন আদালত।

 

সায়েমকে উৎখাত করে যেভাবে ক্ষমতায় আসেন জিয়া

 

রায়ের বিরুদ্ধে অবশ্য আপিল করে বিএনপি। তবে ২০১০ সালের ২ ফেব্রুয়ারি সে আবেদন খারিজ করে আপিল বিভাগ। ওই বেঞ্চের বিচারক ছিলেন এএইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক।

 

কেন জিয়ার শাসন অবৈধ

 

বুধবার (২০ এপ্রিল) সময় সংবাদকে বিচারপতি মানিক বলেন, জিয়া যেদিন রাষ্ট্রপতি হয়েছেন, সেদিনও তিনি সরকারি চাকরিতে ছিলেন। অর্থাৎ সামরিক বাহিনীর কর্মকর্তা ছিলেন। সুতরাং তার শাসনের কোনো বৈধতা ছিল না। তারপর রায়ে আরেকটি কথা বলা হয়, ওই যে হ্যাঁ-না ভোটে জিয়ার প্রেসিডেন্ট হওয়া, তা ছিল জাতির সঙ্গে একটি প্রতারণা। আমাদের সংবিধানে এমন কোনো বিধান ছিল না।

 

তিনি বলেন, ‘সংবিধান লঙ্ঘনের জন্য বিচারপতি সায়েম, খন্দকার মোশতাক ও জিয়া তিন জনেই রাষ্ট্রদ্রোহিতার অপরাধে অপরাধী। তাদের বিচার হওয়া উচিত। জাতির উচিত তাদের ধিক্কার জানানো। জীবিত থাকলে তো জিয়ার ফাঁসি হতো। তার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহিতার মামলা হতো।’

 

আদালতের রায়ে জিয়ার শাসন অবৈধ হওয়া নিয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, জিয়া ও এরশাদ রাষ্ট্রপতি হিসেবে গণ্য হবেন না। এটিই হচ্ছে আসল কথা। তবে মরণোত্তর বিচারের ব্যবস্থা আমাদের দেশ কিংবা অন্যকোনো দেশে নেই।

 

অবৈধ ক্ষমতা দখলকারীরা কখনো রাষ্ট্রপতি হিসেবে পরিগণিত হতে পারেন না বলে মন্তব্য করেন সাবেক এই বিচারপতি।

 

বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা যদি জিয়াউর রহমান হন, আর তার শাসন যদি অবৈধ হয়, তাহলে দলটির আইনগত পরিণতি নিয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, দলও অবৈধ। এই দল সেনাছাউনিতে তৈরি হওয়া দল। বিএনপি স্বাধীনতাবিরোধী।

 

১৯৭৩ এই তৎপর হন জিয়া

 

ভারতীয় কূটনীতিক শশাঙ্ক ব্যানার্জীর লেখা ‘ইন্ডিয়া, মুজিবুর রহমান, বাংলাদেশ লিবারেশন অ্যান্ড পাকিস্তান’ (অ্যা পলিটিক্যাল ট্রিটিজ) বইয়ের একটি বিশেষ অধ্যায়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যা এবং জিয়ার ক্ষমতা দখলের নানা বিষয় উঠে এসেছে।

 

বইয়ের তথ্যমতে, জিয়াউর রহমান ১৯৭৩ সালে বঙ্গবন্ধুর প্রতিনিধি হয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পক উন্নয়নের জন্য আসেন। সে সময় তিনি পেন্টাগন, সিআইএসহ গোয়েন্দা সংস্থার বিভিন্ন প্রতিনিধির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।

 

. জিয়ার ষড়যন্ত্র শুরু একাত্তরেই

 

একই সময় তিনি পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআইয়ের প্রতিনিধিদের সঙ্গেও কথা বলেন। আর সেই সময়েই মুজিব সরকারকে উৎখাতের পরিকল্পনার শুরু বলে দাবি করেন শশাঙ্ক ব্যানার্জী। পরবর্তীতে গণমাধ্যমে দেয়া সাক্ষাৎকারে এ বিষয়ে কথাও বলেন ভারতীয় এ কূটনীতিক।

 

সাক্ষাৎকারে শশাঙ্ক ব্যানার্জী বলেন, ‘১৯৭৩ সালে বসন্তের এক বিকেলে খেলা শুরু হয়, স্থান লন্ডন। প্রধান চরিত্র ছিলেন বাংলাদেশের ডেপুটি চিফ অব স্টাফ জিয়াউর রহমান। ভারতের বিচক্ষণ গোয়েন্দা তথ্যের মাধ্যমে জানা যায়, পাকিস্তানের রাওয়ালপিণ্ডির সদর দফতরে জেনারেলরা হতাশা ও ক্রোধে উন্মত্ত হয়ে গোয়েন্দা প্রধানের সঙ্গে আলোচনা করছেন কীভাবে শেখ মুজিবুর রহমানকে নিশ্চিহ্ন করে দেয়া যায়। এর জন্য তারা সাধারণ জনগণের মধ্যে মুজিবের বিরুদ্ধে প্রোপাগান্ডা ছড়ায়।’

 

তিনি দাবি করেন, ‘রাওয়ালপিণ্ডির সামরিক গোয়েন্দা ও জেনারেলরা অ্যাবোটাবাদের যে প্রশিক্ষণ শিবিরে প্রশিক্ষণ নিয়েছেন জিয়াউর রহমানও একই স্থানে প্রশিক্ষণ নেন। সে সময়েই তাদের মধ্যে সখ্য গড়ে ওঠে। তাছাড়া জিয়াউর রহমান এর আগে পাকিস্তান সেনাবাহিনীতেই কর্মরত ছিলেন। তাই পাকিস্তানি গোয়েন্দা ও জেনারেলদের জন্য জিয়াউর রহমানই বেস্ট অপশন।’

 

১৯৭৩ সালের দিকে গুজব উঠেছিল পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই এবং যুক্তরাষ্ট্রের সিআইএ, এই দুই সংস্থা মিলে শেখ মুজিবের হত্যার পরিকল্পনা করেছে। আর সেই সময়ে জিয়াউর রহমান ওয়াশিংটন সফরে গিয়ে পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই সদস্যদের সঙ্গে বৈঠক করেন।

 

ভারতীয় গোয়েন্দা সূত্র তখন জানিয়েছিল, জিয়াউর রহমান ওয়াশিংটনে গিয়ে পাকিস্তানি মিলিটারি অ্যাটাশের সঙ্গে বৈঠক করেছেন, অথচ জিয়াউর রহমান শশাঙ্ক ব্যানার্জীর সঙ্গে লন্ডনে বৈঠকের সময় সে বিষয়ে কিছু বলতে চাননি।

 

কর্নেল ফারুক ও জিয়াউর রহমানের সখ্য, সামরিক ক্যু’র বিষয়ে সে সময় লন্ডনে ভারতীয় হাইকমিশনের অ্যাটাশের দায়িত্ব পালনকারী শশাঙ্ক ব্যানার্জী আরও বলেন, ‘লন্ডন থেকে ৩ ডিসেম্বর ১৯৭১ সালে ভারতীয় সেনাবাহিনীর সঙ্গে মিলে স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশগ্রহণের আগে ফারুক রহমান তার একটি স্যুটকেস ও কর্নেল ব্যাটন আমার কাছে রেখে যান।’

 

‘১৯৭৩ সালে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্কোন্নয়নের অংশ হিসেবে ওয়াশিংটন সফরে আসেন তদানীন্তন ডেপুটি চিফ অব স্টাফ জিয়াউর রহমান। ৬ সপ্তাহের যুক্তরাষ্ট্র সফরের সময় পেন্টাগন, সিআইএ এবং স্টেট ডিপার্টমেন্টের প্রধানদের সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি করে ফেরার পথে লন্ডনে এসে আমার সঙ্গে দেখা করেন জিয়া। তিনি মূলত ফারুক রহমানের স্যুটকেসটি ফেরত নিতে এসেছিলেন। কিন্তু তার আগমন ও অধঃস্তন কর্মকর্তার সুটকেস বহনই ইঙ্গিত দেয় অন্য কিছু ঘটতে যাচ্ছে,’ বলেন শশাঙ্ক ব্যানার্জী।

 

তিনি আরও বলেন, সাংবাদিক অ্যান্থনি মাসকারেনহাসকে দেয়া বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত খুনি লেফটেন্যান্ট কর্নেল ফারুক রহমান স্বীকার করেছিলেন বঙ্গবন্ধু সরকারকে উৎখাত ও রক্তাক্ত অভ্যুত্থানের বিষয়ে জিয়াউর রহমান আগে থেকেই জানতেন। কর্নেল ফারুক রহমান তার সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘শেখ মুজিবুর রহমানকে উৎখাতের পর ক্ষমতায় বসানোর জন্য তাদের সন্দেহাতীত পছন্দ ছিল আর্মি পারসন জিয়াউর রহমান।’

 

কর্নেল ফারুকের মতে, সেই সময়ে জিয়া বিতর্কিত ছিলেন না। এ সাক্ষাৎকারে মুজিব হত্যার নীলনকশা বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে ১৯৭৫ সালের ২০ মার্চ বিকেলে কর্নেল ফারুক রহমান জিয়াউর রহমানের সঙ্গে দেখা করেন বলেও স্বীকার করেছিলেন।

 

 

বন্দুকের নলে জিয়ারগণতন্ত্র প্রতিষ্ঠারদিন

 

এ থেকে বোঝা যায় বঙ্গবন্ধুকে হত্যা ও পাকিস্তানি পরিকল্পনা বাস্তবায়নের পেছন থেকে খেলে গেছেন জিয়া। যার শুরু হয়েছিল বঙ্গবন্ধুর প্রতিনিধি হিসেবে ১৯৭৩ সালে যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়ার পর।

 

বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর নিয়ন্ত্রণ নেন জিয়া

 

১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বরের পর থেকেই জিয়াউর রহমান বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার নিয়ন্ত্রণে আসেন। পরে ১৯৭৬ সালের ১৯ নভেম্বর সামরিক আইন জারির মধ্য দিয়ে প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক হন তিনি।

 

আর ১৯৭৭ সালের ২১ এপ্রিল সেনাপ্রধান থাকা অবস্থা ‘হ্যাঁ-না’ ভোট দিয়ে রাষ্ট্রপতি বনে যান জিয়াউর রহমান। পরে সেনাপ্রধান ও রাষ্ট্রপতি থাকা অবস্থায় ১৯৭৮ সালের ৩ জুন রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা হয়। তার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন পাঁচ দলের সমন্বয়ে গঠিত গণঐক্য জোটের প্রার্থী মুক্তিযুদ্ধের প্রধান সেনাপতি জেনারেল (অব.) এম এ জি ওসমানী। ভোটে জিয়াউর রহমান ৭৬ দশমিক ৬ শতাংশ ভোট পেয়ে জয়ী হন।

 

তবে সে সময় নিউ ইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়, কোনো কোনো কেন্দ্রে ১১০ শতাংশের বেশি ভোট পড়েছিল, জাল ভোটও পড়েছিল। এসব ওই প্রতিবেদনে উল্লেখ ছিল।

 

রাজনৈতিক বিশ্লেষক মেজর জেনারেল এ কে মোহাম্মদ আলী শিকদার (অব.) বলেন, নির্বাচনের আগেই কিন্তু তিনি প্রেসিডেন্ট হলেন স্বঘোষিত হিসেবে। এর আগে তিনি সামরিক আইন প্রশাসক হন। আর একের পর এক আদেশ জারি করে নিজের প্রার্থিতাকে বৈধতা দেয়ার চেষ্টা করেছেন। শেষ পর্যন্ত তিনি পারেননি।

 

২০২০ সালের ১৭ আগস্ট সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব আসাদুজ্জামান নূর বলেন, জিয়াউর রহমান মুক্তিযুদ্ধের অনুপ্রবেশকারী ছিলেন। জিয়াউর রহমান চট্টগ্রামে পাকিস্তানি অস্ত্র খালাস করতে গিয়ে জনগণের প্রতিরোধের মুখে পড়ে মুক্তিযুদ্ধে যোগ দিয়েছিলেন।

 

যেভাবে ক্ষমতা কুক্ষিগত করেন জিয়া

 

বিচারপতি মানিক জানান, বঙ্গবন্ধু হত্যার সবচেয়ে বড় বেনিফিশিয়ারি ছিলেন জিয়াউর রহমান। তিনি যাদের নিয়ে দল গঠন করেছিলেন তারা সবাই ছিল স্বাধীনতাবিরোধী। জিয়া যখনই ক্ষমতা পান, তখনই বাংলাদেশকে পাকিস্তান বানানোর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হন। সে কাজ করেছে পাকিস্তানের প্রভুদের নির্দেশে। তিনি কখনও বঙ্গবন্ধুর নাম উচ্চারণ করেননি, সাতই মার্চের ভাষণ বাজাতে দেননি।

 

মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আলী শিকদার (অব.) সময় সংবাদকে বলেন, ১৯৭৭ সালের ২১ এপ্রিল রাত্রিবেলায় দলবল ও সেনাবাহিনীর লোকজন নিয়ে হাজির হন জিয়াউর রহমান। রাষ্ট্রপতিকে একেবারে কিছু না জানিয়ে তারা বঙ্গভবনে প্রবেশ করেন। এরপর বিচারপতি সায়েমকে বলেন, রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা আপনাকে ছেড়ে দিতে হবে। এই ক্ষমতা আমার কাছে অর্পণ করবেন। সেই মর্মে আপনি আদেশনামায় সই করে দেন। কিন্তু ক্ষমতা ছাড়তে অস্বীকার করেন সায়েম। এরপর অনেক বাগবিতণ্ডা ঘটে, এক পর্যায়ে রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা জিয়ার হাতে অর্পণ করতে বাধ্য হন সায়েম।

 

তিনি বলেন, যেভাবে সায়েমের কাছ থেকে রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা কেড়ে নেয়া হয়, তাতে মনে হবে, পিস্তল ঠেকিয়েই সায়েমের কাছ থেকে ক্ষমতা কেড়ে নিয়েছেন জিয়া। অ্যান্থনি মাসকারেনহাসের বইতে এসব তথ্য আছে।

 

এই রাজনৈতিক বিশ্লেষক বলেন, সন্ধ্যা থেকে রাত একটা পর্যন্ত বাগবিতণ্ডা চলে। ক্ষমতা জিয়াউর রহমানের কাছে হস্তান্তর করতে অনিচ্ছুক ছিলেন সায়েম। কিন্তু অনেক চাপাচাপির পর রাত ১টায় বিচারপতি আবদুস সাত্তারের অনুরোধে তিনি জিয়ার কাছে ক্ষমতা ছেড়ে দেন।

 

তদন্ত কমিশনের দাবি

 

ক্ষমতা দখল এবং ক্ষমতায় টিকে থাকতে অসংখ্য সেনা কর্মকর্তাকে বিচারবহির্ভূতভাবে হত্যার অভিযোগ রয়েছে জেনারেল জিয়ার বিরুদ্ধে। এ নিয়ে বিভিন্ন সময় ভুক্তভোগী পরিবারগুলো বিচারের দাবি জানিয়েছে। তবে বাংলাদেশের আইনে মৃত্যু পরবর্তী কাউকে বিচারের আওতায় আনা যায় না।

 

তবে সেই সময়ের ঘটনাপ্রবাহ তদন্তে একটি তদন্ত কমিশন করা প্রয়োজন বলে মনে করেন বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক। সময় সংবাদকে তিনি বলেন, কমিশনের ফলে এটির বিচার বিভাগীয় দালিলিক প্রমাণ থাকবে। জিয়া কী কী অন্যায়, অপরাধ করে গেছেন, বঙ্গবন্ধু হত্যা এবং সংবিধান ছিন্নভিন্ন করে গেছেন, পরবর্তীও প্রজন্মও তা জানতে পারবে।

 

 

 

 


Comments

Popular posts from this blog

ভাড়াটিয়া-ভাড়াদার আইনের জটিলতা পার হওয়া: ভাড়াটিয়াদের জন্য একটি গাইড

একটি ভিত্তিহীন গুজব উড়িয়ে দেওয়া: বাংলাদেশী সাংবাদিকদের ফ্রেঞ্চ ভিসা প্রত্যাখ্যান করা হয়নি৷

অধ্যায় 2: বাংলায় ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসন