Posts

হেবা দলিল।

Image
    আজকের আলোচনার বিষয়বস্তু হেবা দলিল। এ বিষয়ে পরামর্শ দিতে গিয়ে দেখেছি, শিক্ষিত অশিক্ষিত অনেকের মধ্যেই হেবা নিয়ে ভ্রান্ত ধারণা আছে। সবার ধারণা হেবা দলিল একবার সম্পাদন এবং রেজিস্ট্রির পরেও চাইলেই মনে হয় বাতিল করা যায় অথবা একজন ব্যক্তি কেবল মাত্র ১/৩ সম্পত্তি হেবা করতে পারে? ইত্যাদি । একবার দলিল রেজিস্ট্রি হলে আদালতও উপযুক্ত গ্রাউন্ড ছাড়া বাতিল করেন না। চলুন জেনে নেওয়া যাক, হেবার বিষয়ে । আইনের সরল ভাষায়, এক ব্যক্তি কর্তৃক অপর ব্যক্তির কাছে স্বেচ্ছায় এবং বিনা প্রতিদানে কতিপয় বিদ্যমান স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তির হস্তান্তরকে দান বলে। কোন মুসলিম হেবা করতে পারে? তার কী যোগ্যতা থাকা উচিত- এর উত্তর হলো, নাবালক নয় এমন সুস্থ মস্তিষ্কসম্পন্ন প্রত্যেক মুসলমান হেবা বা দানের মাধ্যমে সম্পত্তি হস্তান্তর করতে পারেন। দানের উদ্দেশ্য- প্রত্যেক দানের ক্ষেত্রে দাতার মনোভাব সৎ হতে হবে। কাউকে প্রতারিত করার উদ্দেশ্যে দান করা হলে উত্তমর্ণ এবং ক্ষতিগ্রস্তদের ইচ্ছা অনুযায়ী তা বাতিল ঘোষিত হতে পারে। কে হেবা গ্রহণ করতে পারে- একজন মুসলিম তার সমগ্র ভূ-সম্পত্তি যেকোনো ব্যক্তি হোক সে অমুসলিম বরাবর

বিদেশ বা প্রবাস থেকে কিভাবে তালাক দেয়া যায় জেনে নিন

Image
  যে বিদেশ থেকে কিভাবে তালাক দেয়া যায়। আজ সে সম্পর্কেই আলোচনা করবো।  বিদেশ থেকে তালাক দেয়া খুবই ঝামেলাপূর্ণ, সময় সাপেক্ষ ও ব্যয় সাপেক্ষ ব্যাপার। যদি সম্ভব হয় তাহলে সবদেশে এসে তালাক দেয়াই ভালো। তারপরও যাদের দেশে আসা সম্ভব নয় তারা স্ত্রীকে তালাক প্রদান করতে হলে দেশে কোন নিকটাত্মীয় কিংবা বিশ্বস্ত কাউকে তালাক প্রদানের ক্ষমতা প্রদান করবেন। এই  ক্ষমতাকে আমরা পাওয়ার অব এ্যাটর্নী বা আমমোক্তারনামা বলি। এটি হচ্ছে একটি আইনগত দলিল। সহজ কথায় বলতে গেলে যে দলিল দিয়ে কোনো ব্যক্তিকে অপর কোনো ব্যক্তির পক্ষে হাজির হয়ে যে সকল কার্যাবলী সম্পাদন করার ক্ষমতা দেয়া হয় তাকে আমমোক্তারনামা দলিল বলে। এ ক্ষেত্রে যাকে আমমোক্তার নিয়োগ করা হলো তিনি আপনার পক্ষে দেশে আপনার স্ত্রীকে তালাকের নোটিশ পাঠানো, সালিশ কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করা, তালাক রেজিষ্ট্রেশন করা ইত্যাদি কার্যাবলি সম্পাদন করবেন। বিদেশ থেকে তালাক দিতে হলে কয়েকটি প্রক্রিয়া সম্পন্ন কর‍তে হয়।  প্রথমত দেশে অবস্থিত কোন আইনজীবীর সাথে যোগাযোগ করে আইনজীবীর মাধ্যমে তালাকের নোটিশ এবং আম মোক্তারনামা প্রস্তত করতে হবে।   এরপর আমমোক্তার নামাটি এবং তালাকের নোটিশটি আপনার কাছে

মিথ্যা মামলা করলে কাউন্টার মামলা কিভাবে করতে হয় | মিথ্যা মামলা দায়েরের শা

Image
মিথ্যা মামলা করলে কাউন্টার মামলা কিভাবে করতে হয় | মিথ্যা মামলা দায়েরের শাস্তি মিথ্যা মামলা করলে কাউন্টার মামলা কিভাবে করতে হয়? আজকে এই আর্টিকেলে তা নিয়ে আলোচনা করবো৷ যখন আপনার নামে মিথ্যা মামলা হবে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে তখন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন, ২০০০ এর ১৭ ধারা অনুসারে মিথ্যা মামলার জন্য আপনি কাউন্টার মামলা দায়ের করতে পারবেন মিথ্যা মামলা দায়েরকারীর বিরুদ্ধে৷ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন, ২০০০ এর ধারা ১৭ তে বলা হয়েছে- যদি কোন ব্যক্তি অন্য কোন ব্যক্তির বিরুদ্ধে ক্ষতিসাধন করার উদ্দেশ্যে আইনগত মামলা দায়েরের ন্যায্য বা আইনানুগ কারণ না থাকা সত্ত্বেও এই আইনের অধীন কোন ধারা অনুসারে যদি মামলা দায়ের করে থাকে তাহলে তার শাস্তি হবে অনধিক সাত বছর পর্যন্ত সশ্রম কারাদণ্ড এবং অর্থদণ্ডে দণ্ডনীয় হবেন৷ যৌতুকের মিথ্যা মামলার ক্ষেত্রেও আপনারা যৌতুক নিরোধ আইন, ২০১৮ এর ধারা ৬ অনুসারে মিথ্যা অভিযোগকারীর বিরুদ্ধে কাউন্টার মামলা দায়ের করতে পারবেন৷  যৌতুক নিরোধ আইন, ২০১৮ এর ধারা ৬ বলা হয়েছে- যদি কোন ব্যক্তি অন্য কোন ব্যক্তির ক্ষতি সাধনের উদ্দেশ্যে ন্যায্য বা আইনানুগ কারণ নাই জানিয়া এই

বিরোধ নিষ্পত্তি কিংবা কোনো আইনি বিষয় নিষ্পত্তির জন্য আপস মীমাংসাই কার্যকর উপায়।

Image
আপোষ নামা ফরমেট pdf ফাইল ডাউলোড করতে করতে নিচের ডাউনলোড বাটনে ক্লিক করুন ডাউনলোড মামলা-মোকদ্দমা চলাকালীন আপস কোনো বিষয় নিয়ে মামলা-মোকদ্দমা হলে তা চলাকালীন অবস্থায় আপস মীমাংসা করে নিজেদের মধ্যে বিরোধ মিটিয়ে ফেলার সুযোগ রয়েছে। বিশেষ করে সব ধরনের দেওয়ানি প্রকৃতির মোকদ্দমায়। বর্তমান দেওয়ানি আইনে এই আপস মীমাংসার মাধ্যমে নিষ্পত্তি করার বিষয়টি বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। দুই পক্ষ আদালতে হাজির হওয়ার পরে অনুমতিক্রমে আদালতের আপস মীমাংসার মাধ্যমে বিরোধটি মিটিয়ে ফেলতে পারেন। এমনকি আপিলে গেলেও এই সুযোগ রয়েছে। একে বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তি বলা হয়। দেওয়ানি কার্যবিধিতে সমঝোতার মাধ্যমে আদালত থেকে ডিক্রি নেওয়ার বিধানও রয়েছে। আদালতে যেকোনো সময় আপসনামা দায়ের করে নিষ্পত্তি চাওয়া যায়। একে আইনি ভাষায় সোলেমূলে নিষ্পত্তি বলে। পারিবারিক আদালতে প্রথমে বিচার শুরু হওয়ার আগে একবার এবং রায় ঘোষণার আগে দ্বিতীয়বার আপস মীমাংসার মাধ্যমে বিরোধ নিষ্পত্তির বিধান আছে। সোলেমূলে নিষ্পত্তির জন্য উভয় পক্ষÿসম্মতিক্রমে কার্ট্রিজ কাগজে নিষ্পত্তির বিষয়ে বিভিন্ন শর্ত লিখে এবং তাদের আইনজীবীরা স্বাক্ষর দিয়ে আদালতে জমা দেন। আদালতে জমা দেওয়ার পর

স্ত্রী কখন, কি কারণে স্বামীর কাছ থেকে ভরণপোষণ পাবে না!

Image
  স্ত্রী যতদিন তার স্বামীর আস্থাভাজন থাকবে ও স্বামীর ন্যায় সঙ্গত আদেশ পালন করবে, ততদিন স্বামী স্ত্রীকে ভরনপোষন দিবে। কিন্তু যে স্ত্রী স্বামীর সাথে যৌনমিলন অস্বীকার করবে অথবা অন্য কোন প্রকার স্বামীর অবাধ্য হবে সে স্ত্রীকে ভরণপোষন দিতে স্বামী বাধ্য থাকবে না। (মিতা খান বনাম হেমায়েত বিবি, ১৪ ডিএলআর (হাইকোর্ট), পৃষ্ঠা-৪৫৫)। তবে কোনো যুক্তিসঙ্গত কারণে স্ত্রী আলাদা বসবাস করলে স্বামী ভরণপোষণ দিতে বাধ্য। (মোঃ ইব্রাহিম হোসেন সরকার বনাম মোসা. সোলেমান্নেসা (১৯৬৭, ১৯ ডি এল আর পৃষ্ঠা ৭৫১)। স্ত্রী কখন ভরণপোষণ পাবে না- ১. স্ত্রী স্বামীর নিষেধাজ্ঞা সত্বেও যেখানে স্বামী অবস্থান করে সেখানে ভিন্ন অন্যত্র বসবাস করলে। ২. স্ত্রী বন্দিদশায় থাকলে। তবে স্বামী বন্দিদশায় থাকলে স্ত্রী ভরণপোষন হতে বঞ্চিত হবে না। ৩. স্ত্রী অন্যায়ভাবে অবাধ্য হয়ে স্বামীর অনুমতি ছাড়া অসংগত কারণে স্বামীর গৃহ ত্যাগ করলে। ৪. স্ত্রী ধর্মত্যাগ করলে ৫. স্ত্রীর অবাধ্যাচারণে বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটলে। ৬. স্বামীর মৃত্যুজনিত কারণে ইদ্দত পালনরত থাকলে; তবে শর্ত হলো যে, বিধবা অন্তঃসত্তা হলে গর্ব খালাস না অবধি খোরপোষ পাবে। ৭. স্ত্রীকে অপহরণ করে নিয়ে গেলে।

বাঙালির বংশ পদবীর ইতিহাস

Image
  মধ্যযুগে সামন্তবাদী সমাজ ব্যবস্থার ফলে পরবর্তীতে বৃটিশ আমলে চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের সমান্তরালে বাঙালির পদবীর বিকাশ ঘটেছে বলে মনে করা হয়। অধিকাংশ ব্যক্তি নামের শেষে একটি পদবী নামক পুচ্ছ যুক্ত হয়ে আছে। যেমন উপাধি, উপনাম কিংবা বংশসূচক নামকে সাধারণ ভাবে পদবী বলা হয়। বাঙালির জমি- জমা বিষয় সংক্রান্ত কিছু পদবী যেমন- হালদার, মজুমদার, তালুকদার, পোদ্দার, সরদার, প্রামাণিক, হাজরা, হাজারী, মন্ডল, মোড়ল, মল্লিক, সরকার, বিশ্বাস ইত্যাদি বংশ পদবীর রয়েছে হিন্দু-মুসলিম নির্বিশেষে সকল সম্প্রদায়ের একান্ত রূপ। বাঙালি মুসলমানের শিক্ষক পেশার পদবী হলো- খন্দকার, আকন্দ, নিয়াজী ইত্যাদি। আর বাঙালি হিন্দুর শিক্ষক পদবী হচ্ছে দ্বিবেদী, ত্রিবেদী, চর্তুবেদী ইত্যাদি। এবার জানার চেষ্টা করি বাঙালির কিছু বিখ্যাত বংশ পদবীর ইতিহাস। যেমন- শিকদার, সৈয়দ, শেখ, মীর, মিঞা, মোল্লা, দাস, খন্দকার, আকন্দ, চৌধুরী, ভুইয়া, মজুমদার, তরফদার, তালুকদার, সরকার, মল্লিক, মন্ডল, পন্নী, ফকির, আনসারী, দত্ত ইত্যাদি। শিকদারঃ  সুলতানি আমলে কয়েকটি মহাল নিয়ে গঠিত ছিল এক একটি শিক। আরবি শিক হলো একটি খন্ড এলাকা বা বিভাগ। এর সাথে ফারসি দার যুক্

Facebook Post: 2023-01-04T11:43:51

Image
শুভ জন্মদিন 'বাংলাদেশ ছাত্রলীগ'। অতীতের ন্যায় তোমার হাত ধরেই রচিত হোক মহাকালের শ্রেষ্ঠ ইতিহাস। ইতিহাসের পাতায় পাতায় অনন্ত অক্ষয় হয়ে থাকুক তোমার নাম। জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু।