Posts

দেওয়ানি মামলা চলাকালে দখলের হুমকির ক্ষেত্রে ১৪৬ ধারার প্রতিকার না চাওয়া

 দেওয়ানি মামলা চলাকালে দখলের হুমকির ক্ষেত্রে ১৪৬ ধারার প্রতিকার না চাওয়া একই পদের মধ্যে দেওয়ানি মামলা বিচারাধীন অবস্থায় সিআরপিসির ১৪৬ ধারার মামলা করাকে যথাযথ বলা যায় না। দেওয়ানি মামলার কোন পক্ষকে যদি তার বিষয়ে হুমকি দেয়া হয় তবে তিনি দেওয়ানি আদালতের কাছ থেকে প্রতিকার চাইতে পারেন। সেই প্রতিকার ফৌজদারি আদালতের কাছ থেকে চাওয়া উচিত নয়, কারণ জমি সংক্রান্ত বিরোধের ক্ষেত্রে দেওয়ানি আদালত চূড়ান্ত নির্ধারক। [সিরাজুল ইসলাম বনাম ফজলুল হক, ৪৭ ডিএলআর (১৯৯৫) ৪৮০ ]

দেনমোহরের পরিবর্তে হেবাবিল এওয়াজ

Image
 দেনমোহরের পরিবর্তে হেবাবিল এওয়াজ ইসলাম ধর্মাবলম্বী কোনো ব্যক্তি তার বিবাহের দেন-মোহর বাবদ অপরিশোধিত অর্থের পরিবর্তে স্বীয় মালিকানাধীন কোন সম্পত্তি, তার স্ত্রী বরাবর দান করলে, তাকে দেন-মোহরের পরিবর্তে হেবাবিল এওয়াজ বলে। এরূপ দলিলে হেবা অর্থাৎ দান শব্দটি ব্যবহৃত হলেও রিগ্য প্রকৃতপক্ষে এটি দান নয়, কারণ উক্ত দলিলে দেন-মোহরের অর্থ দলিলের পণ মূল্য হিসাবে নির্ধারিত হয়েছে সমপরিমাণ মাটির দান বিধায় এটি কবলা দলিল হিসাবে বিবেচিত হয়

আপনার জমির খতিয়ান বা রেকর্ড অন্যের নামে হয়ে গেলে

  সাধারনত খাজনা আদায়ের উদ্দেশ্য সরকার সারাদেশে জরিপ করে থাকে। খতিয়ান হচ্ছে প্রাথমিকভাবে দখলের প্রামাণ্য দলিল, মালিকানার দলিল নয়। খতিয়ান একটি সরকারি দলিল, কাজেই ভূমি হস্তান্তর, খাজনা/রাজস্ব আদায়সহ অন্যান্য ক্ষেত্রে এটি বেশ গুরুত্বপূর্ণ দলিল। তাই খতিয়ানে ভুল হলে তা সংশোধন করা বাধ্যতামূলক। জরিপ চলাকালিন সময়ে খতিয়ানে কোন ভুল ধরা পরলে তখন সেটেলমেন্ট অফিসারের নিকট ৩০ ধারা / ৩১ ধারায় আপিল করে খুব সহজেই ভুলগুলো সংশোধন করে নেওয়া যায়। কিন্তু যদি এই সময়ের মধ্যে ভুলগুলো সংশোধন করা না হয় এবং চূড়ান্ত খতিয়ান প্রকাশিত হয়ে যায়, তবে উক্ত খতিয়ান সংশোধনের ক্ষমতা আর সেটেলমেন্ট অফিসারের থাকে না তখন এই খতিয়ান সংশোধন করতে হয় কোর্টে মামলা করে। তবে চূড়ান্ত রেকর্ড প্রকাশিত হয়ে গেলেও কিছু কিছু ক্ষেত্রে সেটেলমেন্ট অফিসার রেকর্ড সংশোধন করতে পারে, যেমন উক্ত ভুলগুলো যদি হয় শুধুমাত্র কারণিক ভুল বা প্রিন্টিং –এ ভুল সেক্ষেত্রে এ ধরনের সামান্য ভুল গুলো অবশ্য সেটেলমেন্ট অফিসার সংশোধন করতে পারে, তবে অন্যান্য সকল প্রকারের ভুল সংশোধনের ক্ষমতা একমাত্র কোর্টের। খতিয়ান সংশোধন করতে কি কি কাগজপত্র লাগবেঃ

কখন পুলিশ কোনো সাক্ষীকে গ্রেফতার করতে পারে

Image
  আদালত হতে ফৌজদারি কার্যবিধি ১৭০ ধারা মতে সমন প্রাপ্তির পর কোন সাক্ষী আদালতে হাজির হতে অস্বীকার করলে অথবা হাজির হবার নিমিত্তে মুচলেকা দিতে অস্বীকার করলে থানার অফিসার ইনচার্জ বা তার নিয়োজিত কোনো তার নিয়োজিত কোনো পুলিশ অফিসার সেই সাক্ষীকে আদালতে হাজির হওয়ার নিমিত্তে মুচলেকা প্রদান না করা পর্যন্ত আটক রাখার জন্য বিনা পরোয়ানায় গ্রেপ্তার করতে পারেন। গ্রেফতারকৃত সাক্ষীকে যথানিয়মে আদালতে চালান করতে হবে। পুলিশকে এই কাজটি আদালতের সুবিচার স্বার্থেই করতে হয়। [ ফৌজদারি কার্যবিধি ১৭১ ধারা দ্রষ্টব্য ] Afzal hosen Mandal Apprentice lawyer Narsingdi judge court. Mobile 01726634656 Stipu93@gmail.com@gmail.com

তালাকের পর সন্তান কার?

Image
  মুসলিম আইন অনুযায়ী, বাবা অপ্রাপ্তবয়স্ক সন্তানের আইনগত অভিভাবক, আর মা হচ্ছেন- সন্তানের জিম্মাদার। বিচ্ছেদ হলেও মা তার সন্তানের তত্ত্বাবধান করার ক্ষমতা হারান না। ছেলের ক্ষেত্রে সাত বছর বয়স পর্যন্ত এবং মেয়ে সন্তানের বয়ঃসন্ধি বয়স পর্যন্ত মা তাদের নিজের কাছে রাখতে পারবেন। যদি আদালতের কাছে প্রতীয়মান হয় যে, সন্তান মায়ের হেফাজতে থাকলে তার শারীরিক ও মানসিক বিকাশ স্বাভাবিক হবে, সন্তানের কল্যাণ হবে এবং স্বার্থ রক্ষা পাবে সেক্ষেত্রে আদালত মাকে ওই বয়সের পরেও সন্তানের জিম্মাদার নিয়োগ করতে পারেন। তবে মা যদি দ্বিতীয় বিয়ে করেন, তাহলে সন্তানকে নিজের হেফাজতে রাখার ক্ষমতা হারাতে হতে পারে। মায়ের অগোচরে যদি বাবা জোরপূর্বক সন্তানকে নিজের হেফাজতে গ্রহণ করেন, সে ক্ষেত্রে বাবার বিরুদ্ধে অপহরণের মামলা পর্যন্ত দায়ের করা যাবে। আদালত প্রয়োজন বোধ করলে সন্তানকে আলাদা করে বিচারক নিজের কাছে নিয়ে তার মতামত জেনে নিতে পারেন। আবার মা-বাবা পর্যায়ক্রমে সন্তানকে কাছে রাখা কিংবা একজনের কাছে থাকলে অন্যজনকে দেখা করার অনুমতিও দিয়ে থাকেন। পারিবারিক আদালতে নিজেদের মধ্যে আলোচনার মাধ্যমে সন্তানকে কাছে রাখার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেয়া

Imported post: Facebook Post: 2022-07-25T01:10:02

Image
Alhamdulillah 7 th Convocation 2022 Uttara Unversity 24.07.2022

শ্রীলঙ্কার বিপর্যয়ে এ দেশের কোনো মহলের মধ্যে চাপা উল্লাস দেখে আমি প্রথমে অবাক হয়ে যাই।

চরম অর্থনৈতিক বিপর্যয়ে শ্রীলঙ্কা। প্রতিদিনই গণমাধ্যমে দেশটির নানা দুরবস্থার কথা প্রচারিত হচ্ছে। একটি দেশের মানুষের কষ্ট কোনোভাবেই কাম্য নয়। কিন্তু শ্রীলঙ্কার বিপর্যয়ে এ দেশের কোনো মহলের মধ্যে চাপা উল্লাস দেখে আমি প্রথমে অবাক হয়ে যাই। কেন? এ প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে বেশি দূর যাওয়ার দরকার হয় না। একশ্রেণির সুশীল ও পণ্ডিতের মধ্যে শ্রীলঙ্কা চর্চা শুরু হয়েছে প্রচণ্ড উত্তেজনা নিয়ে। শ্রীলঙ্কার ঘটনা যেন বিএনপির মরা গাঙে জোয়ার এনেছে। ‘বাংলাদেশ শ্রীলঙ্কার পথেই এগোচ্ছে।’ ঋণ করে ঘি খেলে কী হয় তার ফিরিস্তি দিচ্ছেন প্রতিদিনই কেউ কেউ। অপ্রয়োজনীয় মেগা প্রকল্প দেশের জন্য কী সর্বনাশ ডেকে আনে শ্রীলঙ্কা তার উদাহরণ। এমন উদাহরণ দিয়েই তারা বাংলাদেশকে সতর্ক করেছেন। কেউ কেউ বাংলাদেশের পরিস্থিতিও শ্রীলঙ্কার মতো হতে পারে মন্তব্য করে মুচকি হাসছেন। শ্রীলঙ্কার ঘটনার পর কেউ কেউ ধরেই নিয়েছেন শিগগিরই বাংলাদেশের পরিস্থিতি এ রকম হতে যাচ্ছে। যারা এ ধরনের মন্তব্য করছেন তাদের মধ্যে কারও আতঙ্ক দেখছি না, দেখছি এক ধরনের বুনো আনন্দ। বাংলাদেশ সরকার বিপদে পড়বে, এ স্বপ্নে কারও কারও যেন ঘুম নেই। ১৩ বছরের বেশি সময় ধরে আওয়ামী লীগ সরকার