Posts

জমি খাস আইন ১৯৫০ । ৯২ ধারা মোতাবেক ভূমি খাস করা যায় কি?

"জমি খাস আইন ১৯৫০ । ৯২ ধারা মোতাবেক ভূমি খাস করা যায় কি? তিন বছর একাধারে খাজনা না দিলে ভূমি খাস হয়ে যাইবে-এই আইনটি কি নতুন করা হয়েছে? না এটি ১৯৫০ সালে প্রণয়ন করা হয়েছে সেটিই কার্যকর করা হচ্ছে –জমি খাস আইন ১৯৫০ অনলাইনে ভূমি কর পরিশোধ করতে হবে? – হ্যাঁ। এখন আর ম্যানুয়ালী ভূমি কর নেওয়া হবে না। ভূমি কর পরিশোধে সুবিধা এবং উৎসাহিত করতে সরকার গত ১ লা বৈশাখ ১৪৩০ হতে অনলাইনে ভূমি কর বা খাজনা পরিশোধ বাধ্যতামূলক করেছে। তাই কর পরিশোধ না করলে পূর্বের আইনটি সরকারি মনে করিয়ে দিচ্ছে। যাদের ভূমি উন্নয়ন কর বা জমির খাজনা বকেয়া রয়েছে তাদেরকে হালসন পর্যন্ত ভূমি উন্নয়ন কর পরিশোধ করার জন্য অনুরোধ করা হলো। যে সকল ভূমি মালিকগণ ও (তিন) বছর বা তার অধিককাল যাবত ভূমি উন্নয়ন কর বা খাজনা পরিশোধ করেননি তাদেরকে অতিসত্ত্বর অনলাইনে হালসন পর্যন্ত ভূমি উন্নয়ন কর বা খাজনা পরিশোধ করার কথা বলা হলো (কোন কারণে অনলাইনে খাজনা পরিশোধ পদ্ধতি বোধগম্য না হলে স্ব স্ব ইউনিয়ন ভূমি অফিস হতে পরামর্শ গ্রহণ করা যাবে)। অন্যথায়, সরকারী দাবি আদায়ের স্বার্থে ০১-০৩ বছরের অনাদায়ী বকেয়া ভূমি উন্নয়ন কর আদায়ের জন্য সরকারি দাবি আদ

উপজেলা ভূমি অফিস কর্তৃক নামজারি সেবা প্রদান সংক্রান্ত ।

Image
উপজেলা ভূমি অফিস কর্তৃক নামজারি সেবা প্রদান সংক্রান্ত । লেখকঃ গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার প্রকাশের তারিখঃ ২৭ মাঘ ১৪২৩ / ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ ভূমি রাজস্ব ব্যবস্থাপনায় মাঠ পর্যায়ের দপ্তরসমূহের মধ্যে উপজেলা ভূমি অফিসের ভূমিকা বিশেষভাবে প্রণিধানযোগ্য। বিদ্যমান বিধি-বিধান সম্পর্কে ওয়াকিবহাল, সৃজনশীলতা, উদ্ভাবন-চর্চা, অন্যান্য উপজেলা ভূমি অফিস হতে লব্ধকৃত উত্তম চর্চা স্থানীয় বৈশিষ্ট্যের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে বাস্তবায়ন, স্বল্প সময়ে ও স্বল্প ব্যয়ে জনগণকে সেবা প্রদান, তথ্য-প্রযুক্তির বহুল ব্যবহার, সুদৃশ্যমান অফিস ব্যবস্থাপনা, দক্ষতা, অভিজ্ঞতা ইত্যাদি বিষয়ের ওপর দপ্তর-প্রধান হিসাবে সহকারী কমিশনার (ভূমি)-এঁর সাফল্য নির্ভর করে। ভূমির সঙ্গে প্রায় সকল শ্রেণি ও পেশার জনগণের বহুমাত্রিক সম্পৃক্ততা থাকায় উপজেলা ভূমি অফিস কর্তৃক যথাযথ সেবা প্রদান একান্তভাবে কাম্য। নামজারি উপজেলা ভূমি অফিসের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ কার্যক্রম। কিন্তু, লক্ষ্য করা যাচ্ছে যে কোন কোন উপজেলা ভূমি অফিস হতে উক্ত বিষয়ে যথাযথভাবে সেবা প্রদান করা হচ্ছে না। উল্লেখ্য, এই কার্যক্রমকে আরও গতিশীল, নির্ভুল, সহজতর ও গণমুখী করার লক্ষ

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, নারী জাগরণে যার চিন্তা চেতনা ছিল সমসাময়িক অবস্থার চেয়ে অনেক অগ্রসর (ঠাকুর বাড়ির মেয়েরা)

Image
  রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, যার চিন্তা চেতনা ছিল সমসাময়িক অবস্থার চেয়ে অনেক অগ্রসর রবি ঠাকুরের মা   নারীবাদীর দৃষ্টি কোন  থেকে দেখলে সে সময়ের সমাজ ব্যবস্থায় নারীর করুন অবস্থা দেখা যায়। আর এই অবস্থা থেকে জোড়া সাঁকোর ঠাকুর বাড়িও ব্যতিক্রম ছিল না।    রবি ঠাকুরের অন্দর মহলের নারীরা কঠোর পর্দা প্রথার মধ্যে থাকতেন। তারা ছিলেন  অবরুদ্ধ। রেনেসার আগে ঠাকুর পরিবারে পর্দা প্রথা এতোই কঠিন ছিল যে তখন নারীরা  গঙ্গা স্নান করতে যেতে পারতেন না। যেতে পারতেন বছরে একবার মাত্র। সেটা ছিল মেয়েরা পালকির মধ্যে বসে থাকতো এবং  তা বিরাট এক চাদর দিয়ে ঢাকা থাকতো,  যাকে বলা হতো ‘প্যালেনকুইন’। চাদর  দিয়ে ঢাকা অবস্থাতেই মেয়েদেরকে পানিতে ডুবানো হতো। পালকিতে বসানো অবস্থাতে তারা স্নান সারতেন।         এই সেই অন্দর মহল ,যেখানে ঠাকুর বাড়ির নারীরা অবরুদ্ধ থাকতেন       অপ্রাপ্ত বয়েসে  বিবাহ   জ্ঞানদা নন্দিনী মাত্র সাত বছর বয়সে এবং কাদম্বরী দেবী মাত্র নয় বছর বয়েসে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। রবীন্দ্র  ঠাকুরের স্ত্রী মৃণালিনী দেবী মাত্র নয় বছরে বিবাহিত জীবনে প্রবেশ করেন দিগম্বর দেব

রবীন্দ্রনাথ গল্পে কোন ধরনের ভাষার পক্ষে ছিলেন? কাব্যাড়ম্বরপূর্ণ নাকি সরল ভাষা!

Image
গল্পের ভাষা কেমন হওয়া উচিত—সরল, জটিল না কৌতুকপূর্ণ? এ বিষয়ে কী বলেন রবীন্দ্রনাথ? রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর (২৫ বৈশাখ ১২৬৮—২২ শ্রাবণ ১৩৪৮ বঙ্গাব্দ) রবীন্দ্রনাথ বলেছেন, ‘মোপাসাঁর যেসব বিদেশি লেখকের কথা তোমরা প্রায়ই বলো, তাঁরা তৈরি ভাষা পেয়েছিলেন। লিখতে লিখতে ভাষা তৈরি করতে হলে তাদের কী দশা হতো জানি নে।’ গদ্য তৈরির সেই পথরেখা রবীন্দ্রনাথের একাধিক গল্পের চরিত্রদের নিজেদের লেখার মধ্যে আছে। ‘নষ্টনীড়’ গল্পে অমল যা লিখত, ‘আমার খাতা’—‘হে আমার শুভ্র খাতা, আমার কল্পনা এখনো তোমাকে স্পর্শ করে নাই। সূতিকাগৃহে ভাগ্যপুরুষ প্রবেশ করিবার পূর্বে শিশুর ললাটপত্রের ন্যায় তুমি নির্মল, তুমি রহস্যময়।’...আর ‘আষাঢ়ের চাঁদ’ রচনায় অমল লিখেছিল, ‌‘আজ কেন আষাঢ়ের চাঁদ সারা রাত মেঘের মধ্যে এমন করিয়া লুকাইয়া বেড়াইতেছে। যেন স্বর্গলোক হইতে সে কী চুরি করিয়া আনিয়াছে, যেন তাহার কলঙ্ক ঢাকিবার স্থান নাই।’ ইত্যাদি। আর চারু কী লিখেছিল? ‘কোনোমতেই অমলের গণ্ডি এড়াইতে না পারিয়া অবশেষে চারু রচনার বিষয় পরির্বতন করিল। চাঁদ, মেঘ, শেফালি, বউ-কথা-কও এ সমস্ত ছাড়িয়া সে “কালীতলা” বলিয়া একটা লেখা লিখিল। তাহাদের গ্রামে ছায়ায়-অন্ধকার পুকুরটির ধারে কালীর

ফৌজদারি আইন ও বাংলাদেশের সংবিধান (পর্ব-২) |

Image
  ফৌজদারি আইন ও বাংলাদেশের সংবিধান (পর্ব-২) | সংবিধান ও ফৌজদারি কার্যবিধির অধীনে বিচার ও শাস্তি বাংলাদেশের সংবিধানের ৩৫ নং অনুচ্ছেদের বিধান: ৩৫ নং অনুচ্ছেদ দণ্ডমূলক আইন বা অন্যান্য আইনের সাথে সম্পর্কিত যার অধীনে সমাজের স্বার্থে ব্যক্তির ব্যক্তিগত সুরক্ষা বা স্বাধীনতা কেড়ে নেওয়া যেতে পারে এবং এটি রাষ্ট্রীয় নিয়ন্ত্রণের সীমা নির্ধারণ করে। এই নিবন্ধটি নিম্নরূপ: অনুচ্ছেদ ৩৫: বিচার ও শাস্তির ক্ষেত্রে সুরক্ষা (1). কোন ব্যক্তি অপরাধ হিসাবে অভিযুক্ত কার্য সম্পাদনের সময় বলবৎ আইন লঙ্ঘন ব্যতীত অন্য কোন অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হইবেন না, অথবা অপরাধ সংঘটিত হইবার সময় বলবৎ আইনের অধীন প্রযোজ্য হইতে পারে এমন আইনের অধীন আরোপিত জরিমানার অধিক বা ভিন্ন রূপের অধীন হইবেন না। (2). একই অপরাধের জন্য কোনো ব্যক্তির বিরুদ্ধে একাধিক বার মামলা ও শাস্তি দেওয়া যাবে না। (3). ফৌজদারি অপরাধে অভিযুক্ত প্রত্যেক ব্যক্তির আইন দ্বারা প্রতিষ্ঠিত একটি স্বাধীন ও নিরপেক্ষ আদালত বা ট্রাইব্যুনালের মাধ্যমে দ্রুত ও জনসমক্ষে বিচারের অধিকার থাকবে। (4). কোনো অপরাধে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে নিজের বিরুদ্ধে সাক্ষী হতে বাধ্য করা যাবে না।