Skip to main content

Posts

আকাশে পাখি বা পানিতে মাছের ঝাঁক দেখলে অসাধারণ বিন্যাস চোখে পড়ে৷

বৃষ্টিভেজা বিকেলে ব্রহ্মপুত্র নদীতে নৌকায়।ধাঁধার চরের পাশে নদীর এক জায়গায় পোঁতা বাঁশের ওপর বসে ছিল সোনালি ডানাএকটি চিল। আকাশেও উড়ছে এ রকম দু-চারটি পাখি। কোনো কোনোটা বয়সে তরুণ, এখনো রং ফোটেনি। পাখিগুলোকে দেখে কবি জীবনান্দ দাশের ‘হায় চিল’ কবিতাটি মনে পড়ে গেল— ‘হায় চিল, সোনালি ডানার চিল, এই ভিজে মেঘের দুপুরে তুমি আর কেঁদো নাকো উড়ে উড়ে ধানসিড়ি নদীটির পাশে! তোমার কান্নার সুরে বেতের ফলের মতো তার ম্লান চোখ মনে আসে! পৃথিবীর রাঙা রাজকন্যাদের মতো সে যে চলে গেছে রূপ নিয়ে দূরে; আবার তাহারে কেন ডেকে আনো? কে হায় হৃদয় খুঁড়ে বেদনা জাগাতে ভালোবাসে!’

বাংলাদেশে সর্বাধিক বেতনের চাকুরীগুলো কী কী?

সরকারি pay scale অনুসারে,  "সর্বনিম্ন থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ কতটা বেতন হতে পারে, কোন চাকরি কত-তম গ্রেড, কে কতটা সুযোগ-সুবিধা পান। এসব আলোচনা করার চেষ্টা করব। " নিচের পিকচারটা লক্ষ্য করুন। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের  ৮ম পে স্কেল  অনুসারে, সরকারি চাকরিতে যারা কর্মরত আছেন তারা এই পে স্কেল অনুযায়ী বেতন পান। Class-8/SSC  এগুলো দ্বারা বুঝানো হয়েছেঃ যেসব সরকারি চাকরির যোগ্যতা class-8/ SSC চাওয়া হবে তাদের বেতন এই স্কেলে হবে। যেসব জায়গায় ফুল স্টপ(.) দেওয়া, এর মানে হলোঃ এইসব গ্রেডে ডাইরেক্টলি নিয়োগ দেওয়া হয় না। এই পোস্টগুলা প্রমোশনের মাধ্যমে নিয়োগ দেওয়া হয়। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার, সব  চাকরিকে   ২০ টা গ্রেডে  বিভক্ত করেছে। এগুলো একনজর দেখে নেই। ১ম গ্রেড থেকে ২০ পর্যন্ত। এখন, আমরা আরো জানবোঃ যারা প্রজাতন্ত্রের কর্মে নিয়োজিত তারা বাড়ি ভাড়াবাবদ বেতনের কত পার্সেন্টেজ পান। নিচের পিকচারটি লক্ষ্য করুন। ডট(.) এর মানে হলো, উপরের সুযোগ সুবিধা নিচেও প্রযোজ্য। এছাড়াও সরকার আরো বেশ কিছু সুযোগ সুবিধা দিয়ে থাকে। ধন্যবাদ।

দেড় ডিগ্রি বনাম দুই ডিগ্রি সেলসিয়াস

কয়েক মাস আগের কথা। আমেরিকা থেকে ফিরছি দোহা এয়ারপোর্টে যাত্রা বিরতিকালে পরিচয় হলো বাংলাদেশি একজন ব্যবসায়ীর সঙ্গে। তিনি বাংলাদেশের একটি বেসরকারি এয়ারলাইনসের মালিক। এয়ারপোর্ট লাউঞ্জে আমাকে নিয়ে ঢুকে দেশের অবস্থা নিয়ে আলাপ করলেন। আমিআইনের শাসন বিষয়ে সমালোচনা করলাম। তিনি চুপচাপ শুনলেন। শেষে সরকারের উন্নয়নকাজের প্রশংসা করলেন।ঢাকাগামী ফ্লাইটে যখন  উঠতে যাব, হন্তদন্ত করে আমার হাতে একটা বই তুলে দিলেন। হোমো ডিউস: আ ব্রিফ হিস্ট্রি অব টুমোরো। মানে, মানুষ দেবতা: আগামীর সংক্ষিপ্ত ইতিহাস। অক্সফোর্ড থেকে পিএইচডি করা অধ্যাপক ইয়োভাল নোয়া হারারির বই। সেই বই পড়ে মুগ্ধ হলাম। তাঁর আরও বিখ্যাত বই সেপিয়েনস: আ ব্রিফ হিস্ট্রি অব হিউম্যানকাইন্ড সংগ্রহ করে পড়ে ফেলি এক নিশ্বাসে। প্রথমে সেপিয়েনসের কথা বলি। এর শুরুটা যে কাউকে চমকে দেওয়ার মতো। সংক্ষেপে অনুবাদ করলে তা এমন: সাড়ে তেরো শ কোটি বছর আগে: মহাজগতের সূচনা। সাড়ে চার শ কোটি বছর আগে: পৃথিবী নামক গ্রহের গঠন শুরু। দুই লাখ বছর আগে: হোমো সেপিয়েনস, (মানে আমাদের মানবগোষ্ঠীর) সূচনা। ৩০ হাজার থেকে ১৩ হাজার বছর আগে: হোমো সেপিয়েনসদের হাতে এবং অন্যান্য কারণে বাদবাকি মান...

'হ্যাশ ট্যাগ' কেন ও কোথায় ব্যবহৃত হয় এবং ভুলভাল ব্যবহারের সমস্যা

  'হ্যাশ ট্যাগ' কি ? '#' বর্গাকার এক চিহ্নটির নাম ''হ্যাশ"। আর 'ট্যাগ' ? Price Tag বা Name Tag এর সাথে নিশ্চই সবার পরিচয় আছে। দোকানে নতুন জামা-কাপড়ের সাথে মুল্য লেখা যে একটুকরা কাগজ থাকে তা হল Price Tag । আর Name Tag দেখা যায় গবেষনাগারে বা ক্লিনিকে কোন স্যাম্পল এর গায়ে।মোদ্দাকথা, কোনকিছু চিন্হিত করতে Tag ব্যবহৃত হয়। ঠিক তেমনি, 'হ্যাশ ট্যাগ' হল অসাধারণ এক কৌশল(strategy; কোন আর্ট বা স্টাইল নয়) যা দ্বারা কোন keyword কে চিন্হিত করে সোশ্যাল মিডিয়াতে message/status সমূহ শ্রেণীকরণ (categorizing) করা যায়। কোন একটি বিষয়ে বা থিম সংক্রান্ত আলোচনায় কোন ব্যক্তিকে সুকৌশলে পরিচালিত করার এক অসাধারণ মার্কেটিং কৌশল হলো এই 'হ্যাশ ট্যাগ' । অবাক হবেন জেনে, এর জন্য একটি নিবেদিতপ্রাণ ওয়েবসাইটও আছে যার ঠিকানা হল https://www.hashtags.org/ 'হ্যাশ ট্যাগ' কিভাবে ও কোথায় ব্যবহৃত হয় ? সাধারনভাবে সবাই বুঝি যে কোনো শব্দের আগে # চিন্হ বসিয়ে দিলেই হয়ে গেল হ্যাশট্যাগ। যেমন : #আমার #জন্মদিনের #ফটো। ব্যাপারটা মোটেও এরকম না। হ্যাশট্যাগ যেহেতু শুধুমাত্র key...

হ্যাশ ট্যাগ কি ? কেন ,কিভাবে ,কখন ,কোথায় ব্যবহার করবেন?

তারানা বার্গের নাম ইতিহাস ভুলবে না । আমরাও ভুলি নি।রাতারাতি বিশ্ব মিডিয়ার দৃষ্টি কেড়ে নেওয়া সেই মহিলা এখন ইতিহাসের নায়ক।হ্যাঁ সামাজিক যোগযোগ মাধ্যমে #মিটু আন্দোলনের স্রষ্টা তারানা বার্গের কথাই বলছি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম যে আন্দোলনের বড় মাধ্যম সেটা ভার্চুয়ালি আবার প্রমাণ করলেন তিনি । সেই দুনিয়া কাঁপানো আন্দোলনের পেছনের পর্দার নায়ক বলতে হবে #(হ্যাশ ট্যাগ) কে। আপনার কি বোর্ডের বাম পাশে থাকা বাটনটি সেটি।আজকের লেখা এই ক্ষুদ্র হ্যাশ ট্যাগ নিয়েই। হ্যাশট্যাগ (ইংরেজি: Hashtag) একটি শব্দ অথবা অ-ব্যবধানযুক্ত শব্দগুচ্ছের সামনে যুক্ত হ্যাশ চিহ্ন ("#")। এটি মেটাডাটা ট্যাগের একটি ফর্ম। ফেসবুকে বা অন্য কোনো সামাজিক যোগাযোগের সাইট যেমন: টুইটার, গুগল প্লাস, ইন্সটাগ্রাম ইত্যাদিতে কোনো শব্দের পূর্বে স্পেস না দিয়ে '#' (হ্যাশ) প্রতীকটি যুক্ত করলে লেখাটি নীল বর্ণ ধারণ করে এবং একটি আলাদা ওয়েবলিংকে পরিণত হয়।হ্যাশ ট্যাগ নাম্বার কিংবা লেটার দুটিই হতে পারে । যেমন :  #afzalhosen প্রথম হ্যাশ ট্যাগের প্রচলন শুরু হয় 2007 সালে। মূলত সামাজিক যোগযোগ মাধ্যমে তথ্য ব্যাপক মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে এটি ...

হ্যাশট্যাগ কি এবং কেন?

একসময় যখন ল্যান্ডলাইনের প্রচলন ছিল তখন টেলিফোন  সেটের সব বাটনের সঙ্গে আমাদের পরিচয় ছিল না। তখন শুধু এক থেকে নয় এবং শূন্য বাটনের সঙ্গেই আমাদের সাধারণ মানুষের পরিচয় ছিল।  তবে যারা ফোন লক করে রাখতেন তাদের অবশ্য টেলিফোন  সেটের হ্যাশ (#) এবং স্টার (*) বাটনের সঙ্গেও পরিচয় ছিল।  পরবর্তীতে এ দুইটি বাটনের সঙ্গে পরিচয় ঘটে যখন আমাদের  দেশে মোবাইল ফোন আসে। মোবাইল ফোনে রিচার্জ করতে এবং ব্যালেন্স দেখতে এ দুইটি বাটনের প্রয়োজন হতো। তবে গত কয়েক বছরে ডায়াল করা ছাড়াও আমরা # বাটনের একটি ব্যবহার দেখছি। যা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে। আর তা হলো,  যে কোনো ইভেন্ট বা বিষয়কে একতাবদ্ধ করতে এর ব্যবহার। প্রায়ই আমাদের চোখে পড়ে হ্যাশট্যাগ (#ট্যাগ) সংবলিত স্ট্যাটাস বা ছবি। অনেকেই বুঝতে পারেন না, এই স্ট্যাটাস বা ছবির পেছনে  কেন আঠার মতো লেগে আছে হ্যাশ (#)। আসলে এটাকে মাইক্রোব্লগিংয়ের ভাষায় বলা হয় হ্যাশট্যাগ। এটা একই ধরনের বক্তব্যকে একীভূত করে। যেমন, সামনে আসছে একুশের বইমেলা। এখন যদি কেউ মেলা সম্পর্কে তথ্য বা কোনো বক্তব্য দিতে ব্যবহার করে #একুশেরমেলা, তবে বুঝত...

আফ্রিকার কিছু দেশ এখনো কেন তাদের (আফ্রিকার দেশসমূহ) মোট বার্ষিক আয়ের অর্ধেক ফ্রান্সকে দিতে বাধ্য?

  সবই “জোর যার মুল্লুক তার” নীতির বদৌলতে চলছে। অর্থাৎ ক্ষমতা এবং অস্ত্রের ঝনঝনানির কারণে। নিম্নোক্ত লেখাটি মনোযোগ দিয়ে পড়লে আশা করি পূর্ণাঙ্গ ধারণা পাবেন। ফ্রান্সের শক্তির উৎস কোথায়? ফ্রান্সকে দমাতে হলে দরকার তার শক্তির মূল উৎস আফ্রিকার দেশগুলোকে ফ্রান্সের উপনিবেশ হতে মুক্ত করা।আফ্রিকায় ফ্রান্সের ঘৃণ্য পলিসি নিয়ে আজকের এই লিখা।পুরোটা পড়লে অবাকই হবেন যে একবিংশ শতাব্দীতেও এমন নিকৃষ্ট উপনিবেশ কিভাবে চলে তা দেখে। আফ্রিকা! ফ্রান্সের রান্নাঘর। উপনিবেশিক আমলে আফ্রকিার ২৪ টি দেশে ফ্রান্স তার কলোনি স্থাপন করেছিলো।দেশগুলো হলোঃ ক) উত্তর আফ্রিকাঃ আলজেরিয়া,মরক্কো, তিউনিসিয়া খ)সাহিল অঞ্চল বা পশ্চিম আফ্রিকাঃ মৌরতানিয়া,মালি,চাদ,নাইজার,সেনেগাল,টোগো বেনিন,বুর্কিনা ফাসো,আইভরিকোষ্ট, গিনি। গ)মধ্য আফ্রিকাঃ ক্যামেরুন,মধ্য আফ্রিকান প্রজাতন্ত্র, কঙ্গো(রিপাবলিক), গ্যাবন ঘ)পূর্ব আফ্রিকাঃ জিবুতি,কমোরোস,মাদাগাস্কার। উল্লিখিত কলোনিগুলোর বেশিরভাগকেই ফ্রান্স ১৯৬০ সালে স্বাধীনতা প্রদান করে।মোটামুটি ১৯৮০ সালের মধ্যেই সব আফ্রিকান দেশকে ফ্রান্স স্বাধীনতা দিয়ে দেয়। তাহলে আজ ৪০-৫০ বছর পরও আমি কেনো বলছি আফ্রিকাকে লুটে ...