Posts

Showing posts from June, 2023

বাংলাদেশের নামকরণ,৫ ডিসেম্বর,১৯৭১

Image
বাংলাদেশের নামকরণ,৫ ডিসেম্বর,১৯৭১ ১৯৬৯ সালের ৫ ডিসেম্বর বাঙালি তথা বাংলাদেশের জাতির জনক বাংলাদেশের নামকরণ করেন সোহরাওয়ার্দীর কবর জিয়ারত করতে এসে।তখন ১৯৬৯ সাল, শুরু হয় পাকিস্তানি স্বৈরশাসক আইয়ুব খান বিরোধী আন্দোলন। পূর্ব বাংলা তখন বিক্ষোভে উত্তাল। এই অঞ্চলের জনগণ ততদিনে বুঝে গেছে স্বাধীনতা ছাড়া আর কোনো পথ নেই। সোহরাওয়ার্দীর ষষ্ঠ মৃত্যুবার্ষিকীতে তাঁর মাজার প্রাঙ্গণে এক আলোচনাসভার আয়োজন করে আওয়ামী লীগ। সভায় বঙ্গবন্ধু এই অঞ্চলটির নাম করেন ‘বাংলাদেশ’। বঙ্গবন্ধু আলোচনা সভায় সদর্পে ঘোষণা দেন একসময় এ দেশের বুক হইতে, মানচিত্রের পৃষ্ঠা হইতে ‘বাংলা’ কথাটির সর্বশেষ চিহ্নটুকুও চিরতরে মুছিয়া ফেলার চেষ্টা করা হইয়াছে…একমাত্র ‘বঙ্গোপসাগর’ ছাড়া আর কোনো কিছুর নামের সঙ্গে ‘বাংলা’ কথাটির অস্তিত্ব খুঁজিয়া পাওয়া যায় নাই…আর পূর্ব পাকিস্তান নয়, আর পূর্ব বাংলা নয়। শেরেবাংলা ও শহীদ সোহরাওয়ার্দীর এই মাজারের পাশে দাঁড়িয়ে জনগণের পক্ষ হইতে আমি ঘোষণা করিতেছি, আজ হইতে পাকিস্তানের পূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশটির নাম ‘পূর্ব পাকিস্তান’-এর পরিবর্তে শুধুমাত্র ‘বাংলাদেশ’। সূত্র : এম এ ওয়াজেদ মিয়া- ‘বঙ্গবন্

যাদের নেতৃত্বে ভারত স্বাধীনতা পেয়েছে , বঙ্গবন্ধু তাদের চেয়ে বড় নেতা – অটল বিহারী বাজপেয়ী

Image
যাদের নেতৃত্বে ভারত স্বাধীনতা পেয়েছে , বঙ্গবন্ধু তাদের চেয়ে বড় নেতা – অটল বিহারী বাজপেয়ী ভারতবর্ষের স্বাধীনতা সংগ্রামের নেতাদের চেয়েও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে বড় নেতা বলে মন্তব্য করেছেন ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারী বাজপেয়ী। সশ্রদ্ধ চিত্তে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বের প্রশংসা করে তিনি বাংলাদেশি সাংবাদিক মুসা সাদিককে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ‘ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামে যারা প্রথম সারির নেতা ছিলেন এবং যাদের নেতৃত্বে ভারত স্বাধীনতা অর্জন করেছিল, তাদের সবার চেয়ে শেখ মুজিব অনেক বড় নেতা ছিলেন। ভারতের নেতাজি সুভাষ বসু, যিনি বাংলাদেশের মতো মুক্তিযুদ্ধ করে ভারতের আজাদি ছিনিয়ে আনতে চেয়েছিলেন, একমাত্র তার সঙ্গে তোমাদের নেতার (বঙ্গবন্ধুর) তুলনা হতে পারে।’ ১৯৯৬ সালের ২৫ মে, ভারতে বসে বাংলাদেশ ও মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে খোলামেলা কথা বলেন অটল বিহারী বাজপেয়ী। বাংলাদেশি সাংবাদিককে তিনি আরো বলেন, ‘তোমাদের মুক্তিযোদ্ধাদের জানিয়ে দিও যে- আমি বলেছি, তোমাদের শেখ মুজিবুর রহমান, বিশ্বের বহু নেতার চেয়ে অনেক বড় নেতা। তিনি পাকিস্তানের মোহাম্মদ আলী জিন্নাহর চেয়েও অনেক বড় নেতা। এমনকি ভারতের স্বাধীনতা

“বাবারা, একটু লেখাপড়া শিখ। যতই জিন্দাবাদ আর মুর্দাবাদ কর, ঠিকমত লেখাপড়া না শিখলে কোন লাভ নেই”

Image
“বাবারা, একটু লেখাপড়া শিখ। যতই জিন্দাবাদ আর মুর্দাবাদ কর, ঠিকমত লেখাপড়া না শিখলে কোন লাভ নেই” “বাবারা, একটু লেখাপড়া শিখ। যতই জিন্দাবাদ আর মুর্দাবাদ কর, ঠিকমত লেখাপড়া না শিখলে কোন লাভ নেই। আর লেখাপড়া শিখে যে সময়টুকু থাকে বাপ-মাকে সাহায্য কর। প্যান্ট পরা শিখছো বলে বাবার সাথে হাল ধরতে লজ্জা করো না। দুনিয়ার দিকে চেয়ে দেখ। কানাডায় দেখলাম ছাত্ররা ছুটির সময় লিফট চালায়। ছুটির সময় দু’পয়সা উপার্জন করতে চায়। আর আমাদের ছেলেরা বড় আরামে খান, আর তাস নিয়ে ফটাফট খেলতে বসে পড়েন। গ্রামে গ্রামে বাড়ীর পাশে বেগুন গাছ লাগিও, কয়টা মরিচ গাছ লাগিও,কয়টা লাউ গাছ ও কয়টা নারিকেলের চারা লাগিও। বাপ-মারে একটু সাহায্য কর। কয়টা মুরগী পাল, কয়টা হাঁস পাল। জাতীয় সম্পদ বাড়বে। তোমার খরচ তুমি বহন করতে পারবে। বাবার কাছ থেকে যদি এতোটুকু জমি নিয়ে ১০ টি লাউ গাছ, ৫০ টা মরিচ গাছ, কয়টা নারিকেলের চারা লাগায়ে দেও, দেখবে ২/৩ শত টাকা আয় হয়ে গেছে। তোমরা ঐ টাকা দিয়ে বই কিনতে পারবে। কাজ কর, কঠোর পরিশ্রম কর, না হলে বাঁচতে পারবে না। ভাষণ দিচ্ছেন বঙ্গবন্ধু শুধু ‘বি,এ- এম,এ’ পাস করে লাভ নেই। আমি চাই কৃষি কলেজ, কৃষি স্কুল,ইঞ্জিনিয়ারিং স্কুল,কল

বঙ্গবন্ধুর ৫৫ বছরের জীবনে আলোচিত ৫৫ উক্তি

Image
বঙ্গবন্ধুর ৫৫ বছরের জীবনে আলোচিত ৫৫ উক্তিবঙ্গবন্ধুর ৫৫ বছরের জীবনে আলোচিত ৫৫ উক্তি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের সৃষ্টির কারিগর, বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে অন্যতম পুরোধা ব্যক্তিত্ব এবং বাংলাদে শের জাতির জনক ।শেখ মুজিব বাংলাদেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি এবং পরবর্তীতে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। বঙ্গবন্ধু দীর্ঘ ৫৫ বছরের জীবনে বিভিন্ন সময়ে অনেক অবিস্মরণীয় উক্তি দেন।সেগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য বাছাইকৃত ৫৫ টি উক্তি তুলে ধরা হল – ১. এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম ২. গণআন্দোলন ছাড়া, গণবিপ্লব ছাড়া বিপ্লব হয় না ৩. অযোগ্য নেতৃত্ব, নীতিহীন নেতা ও কাপুরুষ রাজনীতিবিদদের সাথে কোন দিন একসাথে হয়ে দেশের কাজে নামতে নেই। তাতে দেশসেবার চেয়ে দেশের ও জনগণের সর্বনাশই বেশি হয় ৪. আমার সবচেয়ে বড় শক্তি আমার দেশের মানুষকে ভালবাসি, সবচেয়ে বড় দূর্বলতা আমি তাদেরকে খুব বেশী ভালবাসি ৫. যে মানুষ মৃত্যুর জন্য প্রস্তত, কেউ তাকে মারতে পারে না ৬. যখন তুমি কোন ভদ্রলোকের সাথে খেলবে তখন তোমাকে ভদ্রলোক হতে হবে, যখন তুমি কোন বেজন্মার সাথে খেলবে তখন অবশ্যই তোমাকে তা

মিয়ানওয়ালি কারাগারে শেখ মুজিবের সংগ্রাম

Image
মিয়ানওয়ালি কারাগারে শেখ মুজিবের সংগ্রাম ১৯৭১ সালের ২৬ শে মার্চের প্রথম প্রহরে বঙ্গবন্ধুকে গ্রেফতার করে পাক সামরিক জান্তা।এরপর বঙ্গবন্ধুকে আদমজী ক্যান্টনমেন্ট স্কুলে টানা চারদিন অবরুদ্ধ করে রাখা হয়। ৩১ মার্চ বঙ্গবন্ধু কে গোপনে সামরিক বিমানে করে পাকিস্তানে নিয়ে যাওয়া হয়।বঙ্গবন্ধুকে বিমানবন্দর থেকে লাহোরের ৮০ মাইল দূরের লায়ালপুর শহরের মিনওয়ালি কারাগারে নিয়ে বন্দী করে রাখা হয়। বঙ্গবন্ধু মুক্তিযুদ্ধের পুরো সময় দুর্বিষহ জীবন কাটিয়েছেন মিয়ানওয়ালি কারাগারে… ২৬ শে মার্চে গ্রেপ্তারের পর বঙ্গবন্ধু বঙ্গবন্ধুকে একা কনডেম সেলে বন্দী করে রাখা হয়েছিল,যেখানে সূর্যের আলো প্রবেশ করতো পারতোনা।জেলে থাকা অবস্থায় দীর্ঘ দশ মাস বঙ্গবন্ধুকে কারো সাথে কথা বলতে দেওয়া হয়নি,শুধু মাত্র কারারক্ষী সর্বক্ষণ পাহারায় থাকতেন। বঙ্গবন্ধুকে ভয়ংকর অপরাধীর মতো মধ্যযুগের বর্বর কায়দায় নির্মম অত্যাচারের ব্যবস্থা করে রেখেছিল পাকিস্তানী সামরিক জান্তা। বঙ্গবন্ধুকে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত করে ফাঁসির কাষ্ঠে ঝুলিয়ে হত্যা করা ছিল পাকিস্তানী সামরিক জান্তার মূল লক্ষ্য। গ্রীষ্মে লায়ালপুর পাকিস্তানের উষ্ণতম স্থান, গ্রীষ

মিডিয়া ট্রায়ালের নির্মম বলি ছাত্রলীগ

Image
মিডিয়া ট্রায়ালের নির্মম বলি ছাত্রলীগ বাঙালির ইতিহাস,বাংলাদেশের ইতিহাস বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ইতিহাস। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পরে ছাত্র রাজনীতি তার জৌলুস হারায়,এরপর ৮৯ এর স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে ছাত্রলীগের নেতৃত্বে বাংলাদেশের মানুষ গণতান্ত্রিক অধিকার ফিরে পায়।কিন্তু ৯০ পরবর্তী সময়ে ছাত্র রাজনীতি ধীরে ধীরে আগের প্রতাপ প্রতিপত্তি হারিয়ে আজকের বর্তমান অবস্থানে এসেছে। ছাত্রলীগ গত এক যুগ ধরে ছাত্র রাজনীতির ধারা পরিবর্তনে আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছে।কিন্তু এক যুগ ধরে ছাত্রলীগের ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকার ফলে অনেকের চক্ষুশূল হয়ে পড়েছে,তাই সবাই বিশেষদাগার ছড়ানোর জন্য ছাত্রলীগের ভুল ত্রুটি খুঁজে নিজেকে প্রচারের আলোয় আলোকিত করতে চায়। তাদের কিছু জনপ্রিয় যুক্তি খন্ডন করা একেবারে কর্তব্যের মধ্যে পড়ে ছাত্রলীগের একজন কর্মী হিসেবে। প্রথমেই বলে রাখি আপনার সাথে বা আপনাদের সাথে আমাদের কখনোই মতের মিল হবেনা কারণ আপনি সারাদিন ছাত্রলীগের সমালোচনায় ব্যস্ত।ছাত্রলীগের নেগেটিভ কিছু দেখলেই ঝাপিয়ে পড়তে চান। আর সবসময় মুখে তোতাপাখির মত ছাত্রলীগের বিষেদাগারে ব্যস্ত।যেহেতু নেগেটিভ কিছু দেখলে

চট্টগ্রাম বিভাগের গণহত্যা ও নির্যাতনের বিবরণ

Image
 চট্টগ্রাম বিভাগের গণহত্যা ও নির্যাতনের বিবরণ সূত্র – বাংলা একাডেমী দলিলপত্র, ১৯৭২-৭৪ গণহত্যা ও নির্যাতনের বিবরণঃ বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকায় গৃহীত সাক্ষাৎকার হত্যা, ধ্বংস ও নির্যাতনের বিবরণ ।। চট্টগ্রাম বিভাগ ।। ।। ২১৮ ।। শ্রী অমল কান্তি সেন অধ্যাপক সাতকানিয়া কলেজ চট্টগ্রাম ১৯৭১ সালের ২৩ এপ্রিল পাক বাহিনী দোহাজারীতে ঘাঁটি স্থাপন করে। ২৪ এপ্রিল পাক বর্বর বাহিনী সাতকানিয়া থানার কাঞ্চনা গ্রামে সর্বপ্রথম অগ্নীসংযোগ ও হত্যাযজ্ঞ চালায়। এই সময় তাদের সাথে তাদের পথ প্রদর্শক হিসেবে ছিল অন্যান্যদের মধ্যে সাতকানিয়ার এক দুর্বৃত্ত। ১৩ ডিসেম্বরের আগ পর্যন্ত দখলদার বাহিনী এবং রাজাকারদের সাথে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেছে এবং সাতকানিয়া থানার বিভিন্ন এলাকায় হিন্দু সম্প্রদায় ও মুসলিম প্রগতিবাদী শ্রেণির লোকদের নানাভাবে হয়রানি করেছে। সে কারো কারো কাছ থেকে বিভিন্ন পরিমাণ টাকা আদায় করেছে ঘরবাড়ী করার ওয়াদা দিয়ে অথবা প্রাণ রক্ষার অঙ্গীকারে। ২৪শে এপ্রিল যে কাঞ্চনা গ্রামটি ভস্মীভূত করা হয়েছে, সে দিন আমি সেখানে উপস্থিত ছিলাম। ঘরে মূল্যবান জিনিস ছিল, তা প্রথমে লুট করা হয়েছে। ঘর থেকে পালিয়ে লোকজন যখন এদিক সেদিক যাচ্ছ