Skip to main content

Featured post

Bangladesh Declaration of Independence: Full Analysis with Photos (1971)

Bangladesh Declaration of Independence: Full Analysis with Photos (1971) The Juridical Birth and Enduring Resonance: An Exhaustive Analysis of the Declaration of Independence of Bangladesh By Afzal Hosen Mandal Published on: April 14, 2025 Table of Contents 1. Introduction: Situating the Declaration 2. Antecedents and Catalysts 3. The Declaratory Acts 4. Intrinsic Legal Character and Constitutional Ramifications 5. Implications for Public International Law 6. Symbolism, National Identity, and Collective Memory 7. Historical Controversies and Judicial Clarification 8. Contemporary Relevance and Unfinished Legacies ...

মিডিয়া ট্রায়ালের নির্মম বলি ছাত্রলীগ



মিডিয়া ট্রায়ালের নির্মম বলি ছাত্রলীগ



বাঙালির ইতিহাস,বাংলাদেশের ইতিহাস বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ইতিহাস। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পরে ছাত্র রাজনীতি তার জৌলুস হারায়,এরপর ৮৯ এর স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে ছাত্রলীগের নেতৃত্বে বাংলাদেশের মানুষ গণতান্ত্রিক অধিকার ফিরে পায়।কিন্তু ৯০ পরবর্তী সময়ে ছাত্র রাজনীতি ধীরে ধীরে আগের প্রতাপ প্রতিপত্তি হারিয়ে আজকের বর্তমান অবস্থানে এসেছে।


ছাত্রলীগ গত এক যুগ ধরে ছাত্র রাজনীতির ধারা পরিবর্তনে আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছে।কিন্তু এক যুগ ধরে ছাত্রলীগের ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকার ফলে অনেকের চক্ষুশূল হয়ে পড়েছে,তাই সবাই বিশেষদাগার ছড়ানোর জন্য ছাত্রলীগের ভুল ত্রুটি খুঁজে নিজেকে প্রচারের আলোয় আলোকিত করতে চায়।

তাদের কিছু জনপ্রিয় যুক্তি খন্ডন করা একেবারে কর্তব্যের মধ্যে পড়ে ছাত্রলীগের একজন কর্মী হিসেবে।

প্রথমেই বলে রাখি আপনার সাথে বা আপনাদের সাথে আমাদের কখনোই মতের মিল হবেনা কারণ আপনি সারাদিন ছাত্রলীগের সমালোচনায় ব্যস্ত।ছাত্রলীগের নেগেটিভ কিছু দেখলেই ঝাপিয়ে পড়তে চান। আর সবসময় মুখে তোতাপাখির মত ছাত্রলীগের বিষেদাগারে ব্যস্ত।যেহেতু নেগেটিভ কিছু দেখলেই ঝাপিয়ে পড়েন তাই নেগেটিভ বিষয় দিয়ে শুরু করি।

আপনাদের কয়েকটি জনপ্রিয় যুক্তি ও তার খণ্ডন করি-


*অনেকেই বলে থাকে ছাত্রলীগ ছাত্রদের নিয়ে কাজ করেনা, চাঁদাবাজি,টেন্ডারবাজিতে মত্ত,ওদের ছাত্রদের নিয়ে কাজ করার সময় কই?


তাদের প্রতি উত্তরটা প্রথাগত – ছাত্রলীগের অভিভাবকসুলভ দল আওয়ামীলীগ এখন ক্ষমতায়।কিছু অসাধু লোক আছে যারা রাজনীতি করে জনগণের টাকা লুটে বড়লোক হওয়ার জন্য।দল যেহেতু ক্ষমতায় আছে সেহেতু তারা দলের নাম ভাঙ্গিয়ে চাঁদাবাজি-টেন্ডারবাজি করার সুযোগটা নেয়,উপমহাদেশীয় রাজনীতির হিসেবে করলে এটা অস্বাভাবিক(টেন্ডারবাজির ক্ষেত্রে) না।তবে আরেকটা ব্যাপার আছে টেন্ডারের ক্ষেত্রে যে দল ক্ষমতায় থাকে সে দল সবসময় চায় তার লোক কাজ পাক,এজন্য অল্প কিছু ক্ষেত্রে ক্ষমতাসীন দলের ছাত্রসংগঠনের কর্মীরাই সুবিধা নিয়ে থাকে।

আর অনেক বড় সংগঠন যেহেতু ছাত্রলীগ ভাল-খারাপ মিশ্রণ থাকবেই,এটা এড়ানোর কোন সুযোগ নেই। ছাত্রলীগে যেমন ধার্মিক লোক আছে-তেমন চোর-চাঁদাবাজ ও আছে এটা কোনভাবেই অস্বীকার করা যায়না। সবচেয়ে নির্মম সত্য হচ্ছে ছাত্রলীগের অধিকাংশ কর্মী বাবার পাঠানো টাকা কিংবা টিউশনির টাকা দিয়ে রাজনীতিতে সক্রিয় থাকে, যা সবার অলক্ষ্যে থেকে যায়। তবে বর্তমানে ছাত্রলীগের সবচেয়ে বড় সমস্যা হচ্ছে অনুপ্রবেশকারী সমস্যা।এরা দলে প্রবেশ করে পদ বাগিয়ে নেওয়া থেকে শুরু করে এমন কোন হেন অপকর্ম নেই যে তা করেনা, ছাত্র রাজনীতিকে এরা অর্থ বিত্ত আয়ের শর্টকাট হিসেবে দেখে। অনুপ্রবেশকারীরা ছাত্রলীগের বদনামের জন্য দায়ী থাকে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে।

*অনেকে বলেন ছাত্রলীগে গ্রুপিং বিদ্যমান, নিজেরা নিজেদের মধ্যেই গ্রুপিং করে –

হ্যা আমরা স্বীকার করি ছাত্রলীগের মধ্যে গ্রুপিং আছে,তবে এই গ্রুপিং অন্য কোন গ্রুপিং না।এত বড় একটি দলকে একা কোনভাবেই চালানো সম্ভব না,আবার একজনের পক্ষে ছাত্রলীগকে নিয়ন্ত্রণ বা কর্মকাণ্ড পরিচালনা করা খুব কষ্টকর ব্যাপার।এজন্য ছাত্রলীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক সংগঠনের কাজ গতিশীল করার জন্য দায়িত্ব আলাদা করে নেয় এবং ভাগ করে দিয়ে থাকেন। এভাবে প্রত্যেকটি ইউনিটের সভাপতি -সাধারণ সম্পাদক দায়িত্ব আলাদা করে নেয়,যাতে কাজের সুবিধা হয় সংগঠন ভালোভাবে চলে।তাই গ্রুপিং নিয়ে আপনাদের ধারণা ভ্রান্ত ও ভূয়া।


*অনেকেই বলে থাকেন ছাত্রলীগ এই অপকর্ম করে, ওই অপকর্ম করে, এরা সংগঠন হিসেবে খারাপ-


এখন ধরুন, একজন মুসলিম বা হিন্দু একটি খুন করলো সম্পূর্ণ নিজ স্বার্থে,এখন কি ওই মুসলিম বা হিন্দুর জন্য ওই ধর্মের সবাই কী দন্ডিত হবে বা খুনের দায়ে সাব্যস্ত হবে? না, কখনোই না। যেমন- কোন ব্যাক্তির দায় কখনোই কোন গোষ্ঠী, সংগঠন নিতে পারেনা বা তাদের এজন্য দোষী করা ও ঠিকনা।তেমনি ছাত্রলীগের সাথে জড়িত কেউ যদি কোন অপকর্ম করে তাহলে কি ছাত্রলীগের সবাই দোষী?অপকর্মে দুষ্ট?

আবারো পুরোনো কথা বলি সংগঠন ছাত্রলীগ সবসময় শিক্ষা,শান্তি,প্রগতির পথে চলতে বলে,এখন যদি কেউ সংগঠনের নিয়মনীতি ভেঙ্গে অপকর্ম করে তাহলে সংগঠন ছাত্রলীগকে দোষারোপ করার কোন মানেই হয়না।ব্যাক্তির অপকর্মের দায়ভার কোনভাবেই ছাত্রলীগের হতে পারেনা। ব্যাক্তির অপরাধের দায় একমাত্র ব্যাক্তির।অপরাধীকে অপরাধী হিসেবে উপস্থাপন করলে বিচার প্রক্রিয়া দ্রুত হবে,কিন্তু রাজনৈতিক দলের পরিচয় দিয়ে উপস্থাপন করা হলে অপরাধী আইনের মারপ্যাঁচে বেরিয়ে যাবে।

*আরেকটি বহুল প্রচলিত মতবাদ হলো- ছাত্রলীগ দখলদারিত্ব করে বিভিন্ন ক্যাম্পাসে-

আগেও বলেছি যখন নিজ দল ক্ষমতায় থাকে তখন ওই দলের সবাই সুবিধা নিতে চায়,নেতারা চায় তাদের তাদের কর্মীরা সুখে থাক, কারণ দলের দুর্দিনে কর্মীরাই সাথে থাকে দলের।তাই একটু সুবিধা বেশীই পেয়ে থাকে ছাত্রলীগ ক্যাম্পাসে।বিরোধী দলের ছাত্রসংগঠন নাজুক অবস্থায় থাকবে সরকার ক্ষমতায় থাকাকালীন এটাও বাংলাদেশের ঐতিহ্য অনুসারে বা রাজনৈতিক ধারামতে,

বিরোধীদল সমূহের ছাত্রসংগঠন ছাত্রলীগের মত দাপট দিয়ে ক্যাম্পাসে চলাফেরা করতে পারেনা বিধায় তারা বিভিন্ন মিথ্যা গুজব ছড়ায়।আর হ্যা আরেকটি কথা সত্য, ছাত্রলীগ স্বাধীনতাবিরোধী কোন সংগঠনকে কিংবা এদের কোন পৃষ্ঠপোষক কোন দলকে ক্যাম্পাসে নূন্যতম ছাড় দেয়না কিংবা সুযোগ দেয়না সেটা যে ব্যাপারেই হোক না কেন।




* আরেকটি জনপ্রিয় মতবাদ হলো“ছাত্রলীগের অতীত ইতিহাস ছাড়া কিছুই নেই”

এটা ঠিক ৫২,৬৯,৭১,৮৯,০৭ নেমে এসেছে বাংলার বুকে ছাত্রলীগের হাত ধরে।যে ছাত্রসংগঠনের ইতিহাস বাংলাদেশের ইতিহাস, সে ছাত্রসংগঠনের অতীত ইতিহাস গৌরবের,কিন্তু বর্তমানে ছাত্রলীগ ওই ছাত্রলীগের ধারেকাছে না হলেও অন্যান্য ছাত্রসংগঠন থেকে বিস্তর ভালো এ বিষয়ে অনেক উদাহরণ দেয়া যায়।করোনা সংকটে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের বুক চিতিয়ে লড়াইয়ের গল্প কিংবা এরকম আরো অনেক নজীর আছে,আশেপাশে পক্ষপাত মুক্ত দৃষ্টিভঙ্গি দিয়ে দেখলেই দেখবেন।

ছাত্রলীগ নিয়ে ত্যানা পেচানো লোকদের বহুল জনপ্রিয় পদ্ধতি তারা সোশ্যাল মিডিয়ায় পড়ে থাকেন কিংবা বাস্তব জীবনে তোতাপাখির মত ছাত্রলীগের কেউ একটি খারাপ কাজ করলে তা নিয়ে বিশেষদাগার করতে থাকেন,অথচ হাজার ভাল কাজ ত্যানা পেচানো ব্যাক্তিটি এড়িয়ে যান । এদের একটাই কাজ ফেসবুক টাইমলাইন ছাত্রলীগের কারো নেগেটিভ কাজ দেখলেই ছাত্রলীগ নিয়ে পোষ্ট শুরু হয়ে যায়।মজার ব্যাপার হচ্ছে এদের ৯০% ছাত্রদল – বিএনপি,বা জামাত-শিবিরের অনুসারী।এরা ছাত্রলীগের সমালোচনা করবে স্বাভাবিক,এদের সমালোচনা কানে নিয়ে লাভ নেই।একটি ধারণা দিলে ব্যাপারটা পরিষ্কার হবে-আপনি ছাত্রলীগ করেন আপনার মুখে ছাত্রলীগের সমালোচনা শোনা অস্বাভাবিক, আর ছাত্রদলের কর্মীর মুখে ছাত্রলীগের সমালোচনা শোনা স্বাভাবিক ঘটনা। তেমনি ছাত্রদল-ছাত্রশিবিরের কেউ ছাত্রলীগের প্রশংসা করবেনা এটাই স্বাভাবিক,উল্টো মিথ্যা নেগেটিভ সংবাদ পেলেও তা সত্য করে প্রকাশ করতে আপ্রাণ চেষ্টা করবে। কোটা সংস্কার আন্দোলনেই দেখা গেছে ছাত্রদল-ছাত্রশিবিরের কর্মীরা কি পরিমাণ গুজব ছড়িয়েছিলো তা কোটা সংস্কার গ্রুপে প্রবেশ করলে এখন দেখবেন ।

মিডিয়া ছাত্রলীগের যে প্রশংসা করেনা বা দেখায়না সেগুলো হলোঃ-


*আগে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে চার বছরের স্নাতক সম্পন্ন করতে ৬-৭ বছর লাগতো,আর এখন অধিকাংশ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে এখন ৪ বছরের স্নাতক চার বছরেই শেষ হয়,কোন কোন ক্ষেত্রে ৪ বছরের ও কম লাগে।এত কম সময়ের কারণ কী জানেন? পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় এখন আর রাজনৈতিক দাঙ্গা-হাঙ্গামা নেই।এখন কোন রাজনৈতিক কারণে ক্লাস- পরিক্ষা বর্জন হয়না ছাত্রলীগের নেওয়া ছাত্রবান্ধব কর্মসূচীর কারণে। প্রায় সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় এ চিত্র দেখতে পারবেন।অনেকে হয়তবা দেখতে চাইবেনা কারণ অনেকে টিনের চশমা পরে থাকে।

* ২০১৮ সালে কক্সবাজারে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পাঁচ মাসের মত সেচ্ছাসেবী মেডিকেল ক্যাম্প চালিয়েছিলো ছাত্রলীগ।।বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা,ঔষধ ইত্যাদি দেয়া হয়েছিলো ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে।

এসব কি ভালো কাজ না?

কই কোন মিডিয়াকে তো দেখলাম না নূন্যতম প্রশংসা করতে এ বিষয়ে,বা জামাত শিবির বা বিএনপির কাউকে দেখলাম না এ ব্যাপারে ছাত্রলীগ নামক সংগঠনকে সোশ্যাল মিডিয়ায় বাহবা দিতে।




ছাত্রলীগের আরো অপ্রকাশিত কিছু ভাল কাজ দেখে নিন :-

রক্তদান


বিভিন্ন হলের বা বিভিন্ন এলাকার ছাত্রলীগ কর্মীরা যখন রক্ত দিয়ে অন্য মানুষের জীবন বাঁচায় তখন ছাত্রলীগ নাম জড়িয়ে তখনও লোকজন ভালো কিছু বলেনা,চোখ-কান দুটোই বন্ধ রাখে,অথচ ঢাকা মেডিকেলে দেয়া রক্তের অধিকাংশই ঢাবির বিভিন্ন হলের ছাত্রলীগ কর্মীদের।এরকম দেশের বিভিন্ন অঞ্চল বা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় গেলেও ছাত্রলীগ নেতা কর্মীদের রক্তদানের কথা শোনা যাবে।কিন্তু মিডিয়া ভুলে ও ছাত্রলীগের এসব পজিটিভ কাজ তুলে ধরবেনা।

মানবিক কাজ


নুরুল আজম রনি ছাত্রলীগের নেতা।তিনি যখন ডাস্টবিন থেকে নবজাতক শিশু উদ্ধার করে জীবন বাঁচান তখন কোন খবর আসেনা কোন সংবাদপত্রে কিংবা তখন ও নিউজ হয়না যখন তিনি বিভিন্ন কলেজ থেকে অতিরিক্ত ফি আদায়ের বিরুদ্ধে আন্দোলন করেন ছাত্রদের নিয়ে।কোন পত্রিকায় বা মিডিয়ায় তখন ছাত্রলীগ কিংবা ছাত্রলীগ নেতা হাইলাইটেড হয়না ছাত্রলীগ হওয়ার কারণে। কিন্তু তিনি নিজের পাওনা টাকা আদায়ে(যা তার অধিকার) একটি অনভিপ্রেত ঘটনা ঘটে যায়,তা সারা দেশের মিডিয়া প্রথম পাতায় প্রকাশ করলো ছাত্রলীগ নেতা হিসেবে।খাদে পড়লে ছাত্রলীগ নাম মুখে আসে সব পত্রিকার প্রথম পৃষ্ঠায়। ভালো কাজগুলো কখনোই মিডিয়া দেখায়না ছাত্রলীগ হওয়ার অপরাধে…এরকম হাজার হাজার সত্য ঘটনা প্রকাশ করেনা মিডিয়া ছাত্রলীগের ভাল প্রচার হবে বলে ।

না এখনো ভালো কাজের ফিরিস্তি শেষ হয়নি ,আসুন অসংখ্য ভাল কাজের মধ্যে আরো কিছু ভালো কাজ দেখে নিই –

* বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষার সময়ে হেল্প ডেক্স বা বিনামূল্যে পানি দেয়া সহ বিভিন্ন কাজে সাহায্য করা সংগঠন ছাত্রলীগকে কেউ কোন বাহবা দেয়না কখনো।পহেলা বৈশাখ কিংবা অন্যান্য জাতীয় উৎসবে নিরাপত্তা সেচ্ছাসেবী হিসেবে এই ছাত্রলীগ কর্মীরাই দায়িত্ব পালন করে,তখনও কেউ দেখেনা।

*গরীব-দুস্থদের শীতকালে শীতের কাপড় বিতরণ,বন্যা কিংবা বিভিন্ন দুর্যোগী ছাত্রলীগের সেচ্ছাসেবী টিমের নেওয়া জননিরাপত্তামূলক ব্যাবস্থা,গরীব ছাত্রদের আর্থিক সহয়তা কিংবা পরিবেশ পরিছন্নতা কাজের জন্য ও ছাত্রলীগ কখনো বাহবা পায়না,মিডিয়া কভারেজ তো স্বপ্নের ব্যাপার।



* করোনা দুর্যোগের সময়ে ছাত্রলীগের নেতা কর্মীরা মানবতার অন্যন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। লক্ষ লক্ষ মানুষের খাদ্য ও ত্রাণের ব্যবস্থা করেছে ছাত্রলীগের নেতা কর্মীরা। গরীব কৃষকদের ধান কেটে দিয়েছে,বিনামূল্যে প্লাজমা যোগাড় করে দেওয়া, বিনামূল্যে জয় বাংলা অক্সিজেন সেবা সহ অভিনব কায়দায় সেবা দিয়ে যাচ্ছে মানুষকে।


কিন্তু উপরোক্ত হাজার হাজার ভালো কাজগুলোর কথা মিডিয়া কখনো প্রকাশ করেনা,কিন্তু সামান্য খুঁত পেলে তা নিয়ে নিউজ করবে। বর্তমানে মিডিয়া ট্রায়ালের নির্মম শিকার ছাত্রলীগ।


হ্যাঁ জানি ছাত্রলীগ নিয়ে মানুষের আশা অনেক বেশী।অনেক সময় অনেক সীমাবদ্ধতা থাকে সংগঠন ছাত্রলীগের বিভিন্ন কাজ-কর্মের।তাই বলে ছাত্রলীগের সব সময় সমালোচনা করবেন,আর ভালো কাজগুলো আড়াল করে রাখবেন, এটা মেনে নেয়া যায়না।এজন্য সবার প্রতি অনুরোধ আপনি যদি ছাত্রলীগের ভালো কাজগুলোর প্রশংসা করতে না পারেন, প্রচার করতে না পারেন,তাহলে ছাত্রলীগের নাম জড়িয়ে ব্যাক্তির করা অপকর্মের জন্য ছাত্রলীগকে অপবাদ দিয়ে প্রচার থেকে বিরত থাকুন।আমরাই আমাদের ভালো কা

জের প্রশংসা করবো, খারাপ কাজের সমালোচনা করবো তা হোক অনলাইনে অথবা অফলাইনে।


Comments

Popular posts from this blog

ভাড়াটিয়া-ভাড়াদার আইনের জটিলতা পার হওয়া: ভাড়াটিয়াদের জন্য একটি গাইড

ভাড়াটিয়া-ভাড়াদার আইনের জটিলতা পার হওয়া: ভাড়াটিয়াদের জন্য একটি গাইড ভাড়াটিয়া-ভাড়াদার আইনের জটিলতা পার হওয়া: ভাড়াটিয়াদের জন্য একটি গাইড সূচিপত্র ভূমিকা অধ্যায় 1: ভাড়াটিয়া হিসেবে আপনার অধিকার ও দায়িত্ব বুঝুন অধ্যায় 2: বহিষ্করণ ও ভাড়াদারি শেষ অধ্যায় 3: ভাড়া ও নিরাপত্তা জমা অধ্যায় 4: রক্ষণাবেক্ষণ ও মেরামত অধ্যায় 5: আফজাল অ্যান্ড অ্যাসোসিয়েটস কীভাবে ভাড়াটিয়া পরামর্শ দিতে পারে উপসংহার অতিরিক্ত সংস্থান যোগাযোগের তথ্য ভূমিকা ভাড়াটিয়া-ভাড়াদার আইন বুঝতে ভাড়াটিয়াদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই সম্পূর্ণ গাইডের উদ্দেশ্য হচ্ছে ভাড়াটিয়াদের তাদের সম্পত্তি পরিচালনা করার জন্য প্রয়োজনীয় তথ্য প্রদান করা। আপনি একজন অভিজ্ঞ ভাড়াটিয়া হোক বা শুরু করছেন, এই নিবন্ধটি আপনাকে আপনার অধিকার ও দায়িত্ব, বহিষ্করণ প্রক্রিয়া, ভাড়া ও নিরাপত্তা জমা, রক্ষণাবেক্ষণ ও মেরামত, এবং আফজাল অ্যান্ড অ্যাসোসিয়েটস কীভাবে বিশেষজ্ঞ আইনি পরামর্শ দিতে পারে তা ব...

অধ্যায় 2: বাংলায় ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসন

বাংলায় ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসন বাংলায় ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসন সুচিপত্র ভূমিকা পলাশীর যুদ্ধ (১৭৫৭) ব্রিটিশ শাসনের প্রাথমিক বছরগুলি (1757-1857) 1857 সালের বিদ্রোহ এবং এর প্রভাব প্রয়াত ঔপনিবেশিক সময়কাল (1858-1947) বঙ্গভঙ্গ (1905) ব্রিটিশ শাসনের অবসান এবং ভারত বিভাজন (1947) উপসংহার বাংলায় ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসন (1757-1947) পরিচয় বাংলায় ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসন 1757 থেকে 1947 সাল পর্যন্ত প্রায় দুই শতাব্দী বিস্তৃত ছিল। এই সময়কালে উল্লেখযোগ্য রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক এবং সামাজিক পরিবর্তন দেখা যায় যা এই অঞ্চলে স্থায়ী প্রভাব ফেলে। বাংলার ইতিহাসের জটিলতা এবং ঔপনিবেশিকতার বৃহত্তর প্রেক্ষাপটে এর স্থানকে উপলব্ধি করার জন্য এই ঐতিহাসিক যুগকে বোঝা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ৷ ...

Ahmedabad Satyagraha in Gujarat (1918)

Ahmedabad Satyagraha in Gujarat (1918) Introduction The Ahmedabad Satyagraha of 1918 marks a significant chapter in India's struggle for independence. It was a labor strike initiated by the mill workers in Ahmedabad, Gujarat, demanding an increase in wages. The strike was not just a protest against economic injustice, but it also symbolized the fight against oppressive colonial rule. The term 'Satyagraha' was coined by Mahatma Gandhi, which translates to 'insistence on truth' or 'soul force'. It was a method of non-violent resistance, and the Ahmedabad Satyagraha was one of the early instances where this method was employed in the Indian independence movement. The Satyagraha in Ahmedabad was a turning point as it marked the beginning of Gandhi's active involvement in Indian politics. It was here that Gandhi first introduced his methodology of peaceful resistance and negotiation as a means to achieve political and social change. The event holds histori...