Posts

Showing posts from April, 2023

নাবালক সম্পত্তি বিক্রি আইন ৩য় পর্ব

Image
  নাবালক সম্পত্তি বিক্রি আইন আগের দুই পর্বে আমরা নাবালকের সম্পত্তি কি এবং কোন পরিস্থিতিতে নাবালকের বিক্রি করা যাবে সেই সম্বন্ধে আলোচনা করার পর এই পর্বে আমরা কে বা কারা নাবালকের সম্পত্তি বিক্রি করতে পারবে সেই সম্বন্ধে আলোচনা করা হবে। নাবালকের অভিভাবক বলতে আমরা অনেকেই আবার আইনগত অভিভাবক এবং কার্যত অভিভাবক এর মধ্যে পার্থক্য বুঝতে পারি না। আইনগত অভিভাবক হচ্ছে, যে অভিভাবক নাবালকের স্বার্থে নাবালকের শরীর এবং সম্পত্তির দায়িত্ব নিবেন এবং প্রয়োজনবোধে সম্পত্তি বিক্রি, বন্ধক, যেকোনো ধরনের পরিবর্তন, পরিবর্ধন, হস্তান্তর ইত্যাদি করতে পারেন। পক্ষান্তরে কার্যত অভিভাবক হচ্ছে, যে অভিভাবক স্বেচ্ছায় নাবালকের শরীর বা সম্পত্তির দায়িত্ব নিতে পারেন কিন্তু নাবালকের সম্পত্তি হস্তান্তর করতে পারেন না এবং তিনি যদি কোনভাবে সম্পত্তি হস্তান্তর করে থাকেন তবে তা বাতিল বলে গণ্য হয়। সাধারণত অভিভাবক বাবার বংশের প্রতিষ্ঠাতা কে তবে তারা ব্যর্থ হলে মায়ের বংশের আত্মীয় না সে দায়িত্ব গ্রহণ করতে পারে। আইনগত অভিভাবকের ক্ষেত্রে পিতা ব্যতীত বাকি সকলেই আদালত কর্তৃক নিয়োগ প্রাপ্ত হবেন; কেননা পিতা স্বাভাবিক অভিভাবক। এবার চলুন জ

নাবালকের সম্পত্তি বিক্রি: পর্ব ২

Image
  নাবালক সম্পত্তি বিক্রি আইন আমরা আগের পর্বের সমাপ্তি টেনেছিলাম একটি প্রশ্ন উত্থাপন করে। প্রশ্নটি ছিল এমন যে, একজন নাবালকের সম্পত্তি বিক্রির করার প্রয়োজন কেন? জি হ্যাঁ, একজন নাবালকের সম্পত্তি যেহেতু নাবালক বিক্রি করতে পারে না। সেহেতু, কেনই বা জটিলতা সৃষ্টি করে নাবালকের সম্পত্তি বিক্রি করতে হবে। আর কিছু দিন অপেক্ষা করলে তো নাবালক সাবালক হয়ে যাবে আর তখন নিজের সম্পদ নিজেই বিক্রি করতে পারবে, তখন তো আর এতো প্রশ্ন উত্থাপনের প্রয়োজন পড়ছে না। কিন্তু, সত্যিকার অর্থেই, কিছু না কিছু কারণ রয়েছে, যার ফলে নাবালকের সম্পত্তি বিক্রি করার প্রয়োজন পড়তে পারে। প্রথমত, নাবালক বা সাবালক যেই হোক না কেন, তার মৌলিক চাহিদাগুলো (অর্থাৎ, অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান, চিকিৎসা, শিক্ষা) পূরণের স্বার্থে নাবালক বা সাবালককে অর্থ ব্যয় করতে হয়। এখন আপনি আমি এমনও পরিবার দেখেছি যারা সাবালক পুত্র বইকি সাবালক পুত্রের স্ত্রী সন্তানকেও বাড়ির কর্তা তথা সাবালক পুত্রের পিতা ভরণপোষণ দিচ্ছে সাথে মৌলিক চাহিদাগুলো পূরণ করার অর্থও। অন্যদিকে, নাবালকের ভরণপোষণের জন্য তার সম্পত্তি বিক্রি করতে হচ্ছে, এমন পরিবারও আমরা কদাচিৎ দেখতে পাই। এই ধরনের প

নাবালক সম্পত্তি বিক্রি আইন

Image
  নাবালক সম্পত্তি বিক্রি আইন ‘নাবালকের সম্পত্তি বিক্রি’ বলতে প্রথমত আমরা যা বুঝি তা হচ্ছে, একজন ‘নাবালক’ যে কিনা এখনো ‘সাবালকত্ব’ অর্জন করেনি, কিন্তু তার নামে কিছু সম্পত্তি রয়েছে, সেই সম্পত্তি বিক্রি। এই অণুচ্ছেদে আমরা জানার চেষ্টা করবো, নাবালকের সম্পত্তি বিক্রি করার প্রক্রিয়া। এখন প্রশ্ন হচ্ছে, অন্য কারো সম্পত্তি বিক্রি নিয়ে তো আলাদা করে কথা বলতে বা লেখা পড়তে দেখা যায় না; যার সম্পত্তি বিক্রির প্রয়োজন হয়, সে গিয়ে সাব- রেজিস্ট্রি অফিসে ক্রেতার কাছে বিক্রি করে দিচ্ছে, লেটা চুকে গেলো। সেখানে, নাবালকের সম্পত্তি বিক্রি নিয়ে কেন আলাদা করে এতো মাতামাতি? প্রসঙ্গে ফিরে আসা যাক, নাবালকের সম্পত্তি বিক্রি নিয়ে কেন এতো মাতামাতি?- প্রিয় ভাই/বোন, মাতামাতিটা সবসময় ব্যতিক্রমকে নিয়েই হয়ে থাকে। নাবালকের বিপরীত হচ্ছে সাবালক; সাবালককে তার সম্পত্তি বিক্রি করতে কখনো কাউকে জিজ্ঞাসা করতে হয় না। সাবালক নিজের সিদ্ধান্ত নিজে নিতে পারে, তাই তার স্থাবর অস্থাবর সম্পত্তি বিক্রি করতে তার বাপকেও জিজ্ঞাসা করতে হয় না; জোকস এ পার্ট। নাবালক ব্যক্তি সাবালক হওয়ার আগ পর্যন্ত তার সম্পত্তি বিক্রি করার জন্য তার বাপ তথা বাবার কাছ

নিবন্ধিত পোস্ট এডি কি?

Image
রেজিস্টার্ড পোস্ট এডি কি? কখনও কখনও আইন আমাদের আইনী বিষয়ে বিভিন্ন বিধানের অধীনে "নিবন্ধিত পোস্ট এডি" প্রেরণ ের প্রয়োজন হয়, এই "নিবন্ধিত পোস্ট এডি" অর্থ স্বীকৃতি বকেয়া বা নিবন্ধন স্বীকৃতিসহ নিবন্ধিত পোস্ট। আপনি প্রায়শই আইনী চিঠির শীর্ষে এটি দেখতে পারেন। এখন প্রশ্ন জাগে "রেজিস্টার্ড পোস্ট উইথ অ্যাকনোলেজমেন্ট ডিউ (আরপিএডি) কি? সাধারণ ডাক পরিষেবায়, আমরা একটি নির্দিষ্ট গন্তব্যে পৌঁছানোর জন্য একটি চিঠি প্রেরণ করি এবং আমরা বিশ্বাস করি যে এটি তার উদ্দেশ্যপূর্ণ রিসিভারের কাছে অবতরণ করবে, তবে এটি সর্বদা নাও হতে পারে তবে কিছু আইনী ইস্যুতে আমরা কেবল সেই ধরণের ঝুঁকি নিতে পারি না যেখানে ভুল হাতে শেষ হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে, অতএব, রিসিভারের কাছ থেকে তার চিহ্ন (বা যিনি তার পক্ষে গ্রহণ করেন) সহ কাগজের টুকরো দ্বারা একটি "স্বীকৃতি" পেয়ে একটি চেক সিস্টেম বজায় রাখা হয় যা নিশ্চিত করে যে নথিটি সঠিকভাবে পরিবেশন করা হয়েছে, যা জটিল আইনি বিষয়গুলিতে খুব গুরুত্বপূর্ণ এবং আদালতে প্রমাণ হিসাবে ব্যবহার করা যেতে পারে। সেই স্বাক্ষরিত নথিটি (প্রাপ্তির) তারপরে প্রেরকের কাছে পৌঁছ

চেক ডিসঅনার মামলা কখন ও কিভাবে করবেন?

Image
চেক ডিসঅনার মামলা কখন ও কিভাবে করবেন ?  ধরুন , আপনি এক ব্যক্তির কাছে দুই লাখ টাকা পান । সেই টাকা পরিশোধের জন্য তিনি দুই লাখ টাকার একটি চেক দিলেন । আপনি চেকটি সংশ্লিষ্ট ব্যাংকে জমা দিলেন । কিন্তু ব্যাংক ‘ অপর্যাপ্ত ফান্ড ’ ( টাকা নেই ) বা অন্য কোন করান দেখিয়ে   চেক   ডিসঅনার করল   অথ্যাৎ আপনাকে টাকাটি দিল না । সোজা কথায় আপনি ৬ মাসের ( চেকের তারিখ থেকে ) মধ্যে আপনি টাকা তুলতে গেলেন ; কিন্তু বলা হল , যিনি আপনাকে চেকটি ইস্যু করেছেন , তাঁর অ্যাকাউন্টে পর্যাপ্ত টাকা নেই । চেক দাতার কাছে বারবার চেয়েও আর লাভ হল না । প্রশ্ন হল এখন আপনি কি করবেন ? সমস্যা নেই , আইন সব সময় আপনার পাশেই আছে । আপনি যদি এমন চেকের মাধ্যমে প্রতারিত হন , তাহলে চাইলেই আইনের আশ্রয় নিতে পারেন । এই অপরাধের বিচারের জন্য   হস্তান্তরযোগ্য দলিল আইন , ১৮৮১   নামের একটি আইন রয়েছে । এই আইনের ১৩৮ নম্বর ধারায় আপনি সেই প্রতারক ব্যক্তির বিরুদ্ধে প্রতিকার পেতে পারেন এবং তার কাছে থেকে তিন গুন টাকা আদায়