খতিয়ানের করণিক ভুল সংশোধন নিয়ম । পর্চা সংশোধনের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র কি কি লাগে?


"খতিয়ানের করণিক ভুল সংশোধন নিয়ম । পর্চা সংশোধনের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র কি কি লাগে?

সূচীপত্র
রেকর্ড সংশোধনের আবেদন করা যায় না- তাই সাদা কাগজেই আবেদন করতে হবে – খতিয়ানের করণিক ভুল সংশোধন নিয়ম
সহকারী এসিল্যান্ড কি রেকর্ড সংশোধন করতে পারে? – হ্যাঁ। করনিক ভুল সহকারী ভূমি কর্মকর্তা সংশোধন করতে পারেন। রেকর্ডের ভুলের ধরণ অনুসারে রেকর্ড বা খতিয়ান সংশোধন ক্ষমতা বিকেন্দ্রীকরণ রয়েছে। ভুলের ধরন বা ক্ষেত্র মোতাবেক আবেদন ফরওয়ার্ড করে ক্ষমতা প্রাপ্ত কর্মকর্তার নিকট প্রেরণ করবেন এসি ল্যান্ড অফিস।
আবেদন প্রাপ্তির পর সংশ্লিষ্ট রেজিস্টারে এন্ট্রি দিয়ে ইউনিয়ন ভূমি অফিসে প্রেরণ করা হয়। ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা সরজমিন তদন্ত ও রেকর্ডপত্র যাচাই অন্তে প্রস্তাব/প্রতিবেদন উপজেলা ভূমি অফিসে প্রেরণ করেন। উক্ত প্রতিবেদন প্রাপ্তির পর বা আবেদন প্রাপ্তির পরই ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তার প্রতিবেদন দাখিলের সময়সীমা নির্ধারণ করার পাশাপাশি সহকারী কমিশনার (ভূমি) শুনানির তারিখ/দিন ধার্য করে আবেদনকারী/রেকর্ডীয় মালিক এবং স্বার্থসংশ্লিষ্টদের নোটিশ প্রদান করেন। ধার্য তারিখে শুনানি ও কাগজপত্র পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে খতিয়ানের করণিক ভুল সংশোধনের আদেশ দেওয়া হয়।
আদেশ অনুসারে ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা কর্তৃক প্রস্তুতকৃত সংশোধিত ০৫ (পাঁচ) কপি খতিয়ানে স্বাক্ষর অন্তে প্রয়োজনীয় ফি আদায় সাপেক্ষে আবেদনকারীকে ১ (এক) কপি, মূল নথিতে ১ (এক), মূল খতিয়ান ভলিউমের সঙ্গে ১ (এক) কপি, জেলা রেকর্ড রুমে ১ (এক) কপি এবং ইউনিয়ন ভূমি অফিসের মূল ভলিউমে ১ (এক) কপি সংরক্ষণের জন্য প্রেরণ করা হয়। ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা রেজিস্টার-২ হালনাগাদ করে প্রতিবেদন দাখিল করার মাধ্যমে খতিয়ানের করণিক ভুল সংশোধন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়।
প্রয়োজনীয় ফি এবং কোথায় আবেদন করতে হবে? কোর্ট ফি- ২০ টাকা, রেকর্ড সংশোধন ফি- ১০০০ টাকা, খতিয়ান ফি (প্রতি কপি)- ১০০ টাকা। খতিয়ান সংশোধন বা সেবা প্রাপ্তির জন্য উপজেলা/রাজস্ব সার্কেল ভূমি অফিস অথবা ইউনিয়ন ভূমি অফিস দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা/কর্মচারী অথবা সহকারী কমিশনার (ভূমি) অথবা ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা অথবা নামজারি সহকারী। মূলত করনিক ভূলগুলো উপরোক্ত অফিসগুলো হতে সংশোধন করা যায়।
আমার একটা খতিয়ান প্রয়োজন, কিভাবে পেতে পারি? আপনাকে https://eporcha.gov.bd এই ওয়েবসাইটের মাধ্যমে আপনি খতিয়ানের জন্য আবেদন করতে পারেন অন্যথায় আমাদের মাধ্যমেও আবেদনটি সম্পন্ন করতে পারেন। বিষয়টি সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ভূমি সেবা হেল্পলাইন ১৬১২২ নম্বরে কল করুন।
যেভাবে রেকর্ড সংশোধন আবেদন শুরু এবং নিষ্পত্তি করা হয় / খতিয়ানের করণিক ভুল সংশোধনের ম্যাপ
সেবা প্রাপ্তি সময় সাধারণত ৩০-৪৫ দিন । ডি সি আর ফি দেওয়ার কতদিন পরে খতিয়ান পাওয়া যাবে? এক্ষেত্রে নির্দিষ্ট কোনো সময়সীমা নেই।
ভূমি অফিসের ভুল বা করণীয় সংশোধন করতে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র যা যা দাখিল করতে হবে
সর্বশেষ নামজারি ও জমাভাগ/জমা একত্রিকরণের খতিয়ান (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে)
• মূল দলিলের ফটোকপি/সার্টিফাইড কপি
• করণিক ভুলের স্বপক্ষের কাগজপত্র বা প্ৰমানপত্ৰ
• হালনাগাদ ভূমি উন্নয়ন কর পরিশোধের দাখিলা
• আদালতের রায়/আদেশ/ডিক্রি থাকলে আদেশের সার্টিফাইড কপি
• আদালতের রায়/আদেশ/ডিক্রি থাকলে আরজির সার্টিফাইড কপি
• আবেদনকারীর জাতীয় পরিচয় পত্রের ফটোকপি
• আবেদনের সঙ্গে আবেদনকারীর সদ্য তোলা এক কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি;
• আবেদনকারীরি পক্ষে মনোনীত কোনো ব্যাক্তি শুনানীতে থাকতে চাইলে ছবিসহ হলফনামার কপি।
কোন কোন আইন বলে রেকর্ড সংশোধন করা হয় ?
দাবির স্বপক্ষে কাগজ সহ আবেদন দাখিল করতে হবে। রাষ্ট্রীয় অধিগ্রহণ ও প্রজাস্বত্ব আইন ১৯৫০, প্রজাস্বত্ব বিধিমালা ১৯৫৫, ভূমি ব্যবস্থাপনা ম্যানুয়াল ১৯৯০, ভূমি মন্ত্রণালয়ের ৩০ জুন ২০১৫ তারিখের ৩১.০০.০০০০.০৪২.04.019.08-598 নম্বর পরিপত্র মোতাবেক সেবা প্রদানে ব্যর্থ হলে প্রতিকারকারী কর্মকর্তা বা জেলা প্রশাসক / অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) বরাবর আবেদন করতে হবে।
সি এস ও এস এ খতিয়ানের জমির দাগ নং জানি, কিন্তু RS খতিয়ান নাই দাগ নং জানিনা খতিয়ান কিভাবে পাবো? খতিয়ান নম্বর বা দাগ নম্বর জানতে অনুগ্রহ করে ইউনিয়ন ভূমি অফিসে যোগাযোগ করুন। বিষয়টি সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ভূমি সেবা হেল্পলাইন ১৬১২২ নম্বরে কল করুন।
আমি যদি খতিয়ানটি না নেই তাহলে কি কোন সমস্যা হবে?
আপনি যদি খতিয়ানটি গ্রহন না করেন এক্ষেত্রে কোন সমস্যা হবে না। আপনি যদি পুনরায় আবেদন করতে চান https://eporcha.gov.bd ওয়েবসাইট এ প্রবেশ করে আবেদন সম্পন্ন করতে পারবেন। বিস্তারিত জানতে ভূমি সেবা হেল্পলাইন ১৬১২২ নম্বরে কল করুন।"

Comments

Popular posts from this blog

ভাড়াটিয়া-ভাড়াদার আইনের জটিলতা পার হওয়া: ভাড়াটিয়াদের জন্য একটি গাইড

একটি ভিত্তিহীন গুজব উড়িয়ে দেওয়া: বাংলাদেশী সাংবাদিকদের ফ্রেঞ্চ ভিসা প্রত্যাখ্যান করা হয়নি৷

অধ্যায় 2: বাংলায় ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসন