Posts

Showing posts from May, 2023

গ্রাম আদালত আইন । গ্রাম আদালতে বিচার পদ্ধতি জানুন

Image
চলুন প্রথমেই জানি গ্রাম আদালত কি? গ্রাম আদালত আইন 2006 এর পূর্ণাঙ্গ আইনটি পেতে পিডিএফ আকারে এই লিংকে ক্লিক করুন গ্রামাঞ্চলের সুবিধা বঞ্চিত অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর ছোট খাট দেওয়ানী ও ফৌজদারী মামলা নিষ্পত্তির জন্য ইউনিয়ন পরিষদের আওতায় যে আদালত গঠিত তাই হলো গ্রাম আদালত। ২০০৬ সালের গ্রাম আদালত আইন অনুযায়ী ইউনিয়ন পরিষদে ২৫,০০০ টাকা মূল্যমানের দেওয়ানী ও ফৌজদারী মামলা নিষ্পত্তি করতে পারে। গ্রাম আদালতের সুবিধাদিঃ ১। মামলার খরচ খুবই কম। ফৌজদারী মামলা হলে মাত্র ২ টাকা এবং দেওয়ানী মামলা হলে মাত্র ৪ টাকা। ২। মামলা পরিচালনায় কোন আইনজীবির প্রয়োজন হয় না ফলে মামলা দীর্ঘস্থায়ী হওয়ার কোন সুযোগ নেই। ৩। এখানে মিথ্যা সাক্ষী দেওয়ার কোন সুযোগ থাকে নাই কারণ স্থানীয় ইউপি সদস্য এবং গন্যমান্য বিচারকের উপস্থিতিতে এই আদালত বসে। আদালতের বিচারক সংখ্যা মোট ০৫ জন যা একজন চেয়ারম্যান এবং প্রত্যেক পক্ষ কর্তৃক মনোনীত ২ জন ব্যক্তি নিয়ে গঠিত। ৪। গ্রাম আদালতের বিচার পদ্ধতি আনুষ্ঠানিক হলেও মীমাংসা বন্ধুসুলভ হয়। ৫। গ্রাম আদালত আইনি পদ্ধতি হলেও বিবাদমান পক্ষসমূহ এটিকে সামাজিক সংগঠন মনে করে এবং গ্রাম আদালতের রায়কে সামাজিক সিদ্ধান্ত হিস

প্রাকৃতিক এবং আইনগত অধিকার -

প্রাকৃতিক এবং আইনগত অধিকার হল দুই ধরনের অধিকার। প্রাকৃতিক আইন কোনো ধরনের কোনো বিশেষ ধরনের সংস্কৃতি বা সরকারী আইন বা প্রথার ওপর নির্ভর করে না। এবং এই আইনগুলো সার্বজনীন এবং অবিচ্ছেদ্য (এই আইনগুলি কোনোদিনই কোনো আইন এর দ্বারা পরিবর্তিত হতে পারবে না, এমনকি একজন অন্যের কাজের দ্বারা তাদের খারাপ প্রচেষ্টা প্রয়োগ করে যেমনঃ কারো আইনি অধিকার ছিন্ন করা)। আইনি অধিকার একটি আইনি ব্যবস্থার মাধ্যমে যে কারো ওপর অর্পিত হয় (এগুলো মানুষের আইনের দ্বারা পরিবর্তিত, পরিবর্ধিত ও বাতিল হতে পারে)। প্রাকৃতিক আইনের ধারণা প্রাকৃতিক অধিকারের সাথে সম্পর্কিত। প্রাকৃতিক আইন সর্বপ্রথম প্রাচীন গ্রিক দর্শনে আবির্ভূত হয়[১] এবং রোমান দার্শনিক সিসারো এর প্রথম উল্লেখ করেন। পরবর্তীকালে এটি বাইবেলেও উল্লেখিত হয়,[২] এবং মধ্যযুগের ক্যাথলিক দার্শনিক, তথা আলবার্ট দা গ্রেট ও তার ছাত্র টমাস আকুইনাসের দ্বারা বিকশিত হয়। পরে আলোকিত যুগে প্রাকৃতিক আইন রাজাদের বিভিন্ন ঐশ্বরিক কাজে ব্যবহৃত হতো এবং সরকার, সামাজিক যোগাযোগ এমনকি গনতন্ত্রনীতির আইনি অধিকারেও এই প্রাকৃতিক আইনকে ব্যবহার করা হয়। অর্থাৎ বলা যায়, অনেক গুরুত্বপূর্ণ কাজে প্রাকৃত

কেমন ছিল একাত্তরের ঈদুল ফিতর?

Image
কেমন ছিল একাত্তরের ঈদুল ফিতর?কেমন ছিল একাত্তরের ঈদুল ফিতর? ‘চাঁদ তুমি ফিরে যাও... দেখো মানুষের খুনে খুনে রক্তিম বাংলা রূপসী আঁচল কোথায় রাখবো বলো?’ একাত্তরের ২০ নভেম্বর ছিল পবিত্র ঈদুল ফিতর। স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র থেকে প্রচারিত বিশেষ অনুষ্ঠানমালার মধ্যে অন্যতম অসামান্য ছিল শহীদুল ইসলামের লেখা ও অজিত রায়ের সুরে এই গানটি। কোরাসে গেয়েছিলেন শিল্পী রুপা ফরহাদসহ আরো অনেকে। ঈদের আনন্দ ভাগ করে নিতে মুসলিম ধর্মাবলম্বীরা অপেক্ষায় থাকে সারাবছর, খুবই বিশেষ এই উপলক্ষ্যের গুরুত্ব বলাই বাহুল্য। কিন্তু একাত্তরের সেই শ্বাপদসংকুল সময়ে ঈদের আনন্দ উপভোগ বা ঈদ পালনের কথা কেউ চিন্তাও করেনি। অন্তহীন কষ্ট আর যন্ত্রণায় জর্জরিত সাধারণ মানুষ, দেশটা পরিণত হয়েছে এক বিশাল বধ্যভূমিতে, প্রতিমুহুর্তেই তাড়া করে ফিরছে মৃত্যু। অন্যদিকে শত্রুদের নিশ্চিহ্ন করে শত্রুমুক্ত ভূখন্ডে পরবর্তী ঈদ উদযাপন দৃঢ় সংকল্পে বলীয়ান মুক্তিযোদ্ধারা। এই সবই যেন শহীদুল তুলে আনলেন তার আবেগমথিত গানের কথায়। গানটি এত তীব্রভাবে ভেতরটা নাড়িয়ে দিয়েছিল যে, শুধু মুক্তিযোদ্ধারাই নয়, সাধারণ মানুষ ঈদের দিন এই গান শুনে কেঁদে আকুল হয়ে বুক ভাসিয়েছে। ঈদের

ভূ-সম্পত্তি

Image
ভূ-সম্পত্তি বাংলাদেশে জমি সংক্রান্ত যাবতীয় দলিল,খতিয়ান সরকারি গেজেট,ভূমি অফিস,রেজিষ্টেশন অফিস ও জমির ব্যবসায় জমির পরিমাপক ছয়টি- Ø অযুতাংশ Ø শতাংশ Ø কাঠা Ø বিঘা Ø একর Ø হেক্টর জমির ইতিহাসঃ বাংলাদেশের ভূমির ইতিহাস বা জমির ইতিহাস জানতে হলে আমাদেরকে পাঁচটি আমল জানতে হবে তাহলে আমরা জমি সর্ম্পকে জানতে পারব- i. মুঘল আমল ii. বৃটিশ ইষ্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি আমল iii. বৃটিশ আমল iv. পাকিস্তান আমল v. বাংলাদেশ আমল মোগল সাম্রাজ্যঃ (১৫২৬-১৭৫৭)ঃ ১৫২৬ সালে পানি পথের প্রথম যুদ্ধে বাবরের বিজয়ের মাধ্যমে মোঘল শাসনের সূচনা হয়।কালের পরিক্রমায় ১৫৫৬ সালে পানি পথের দ্বিতীয় যুদ্ধে জালাল উদ্দিন মোহাম্মদ আকবরের জয়ের ফলে মোগল সাম্রাজ্য বিকশিত হয় এবং বিস্তৃতি লাভ করে।এখন কার বাংলাদেশ,পাকিস্তান,ভারত আফগানিস্তান এই সাম্রাজের অন্তর্ভুক্ত ছিল। এই আমলে জমির মালিক কে রায়ত বলা হত এবং যারা জমির খাজনা আদায় করে রাজাদের দিতেন তাদেরকে জমিদার বলা হত। রায়তরা দুই ভাগে বিভক্ত ছিল। · খুদকাস্ত · পাইকাস্ত খুদকাস্তঃ যারা গ্রামে বসবাস করতেন।সেখানে বাড়ি ঘর করে থাকতেন এবং জমি জমা চাষাবাদ করতেন