Skip to main content

শেখ হাসিনার ১৬ বছরের উন্নয়ন: একটি বিশ্লেষণ (২০০৯-২০২৪)

শেখ হাসিনার ১৬ বছরের উন্নয়ন: এক বিশ্লেষণ (২০০৯-২০২৪)

শেখ হাসিনার ১৬ বছরের উন্নয়ন: এক বিশ্লেষণ

শেখ হাসিনার ১৬ বছরের উন্নয়ন: এক বিশ্লেষণ (২০০৯-২০২৪)

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের ১৬ বছরের উন্নয়নমূলক প্রকল্প ও সামাজিক রূপান্তরের কৌশলগত বিশ্লেষণ (২০০৯-২০২৪)

I. কার্যনির্বাহী সারাংশ: রূপান্তরের পথরেখা (২০০৯-২০২৪)

গত ষোলো বছরে বাংলাদেশের উন্নয়ন নীতিগুলি মূলত দীর্ঘমেয়াদী অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিকে উৎসাহিত করার লক্ষ্যে বৃহৎ অবকাঠামো নির্মাণ, জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ, এবং বিস্তৃত সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী তৈরির ওপর কেন্দ্রীভূত ছিল। এই সময়ের একটি উল্লেখযোগ্য সাফল্য হলো স্বল্পোন্নত দেশ (LDC) থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের ভিত্তি স্থাপন । অবকাঠামো খাতে পদ্মা সেতু , মেট্রোরেল , এবং কর্ণফুলী টানেলের মতো মেগা-প্রকল্পগুলি জাতীয় সক্ষমতার প্রতীক হিসেবে দাঁড়িয়েছে, যা দেশের পরিবহন ও নগর গতিশীলতায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন এনেছে।

তবে, এই অবকাঠামোগত উন্নয়নের উচ্চ মূলধন ব্যয় (High Capital Cost) সামষ্টিক অর্থনীতিতে একটি জটিল পরিস্থিতি তৈরি করেছে। বিশেষ করে, নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতুর মতো প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য অভ্যন্তরীণ বাজার থেকে বৈদেশিক মুদ্রা (প্রায় $১.৯ বিলিয়ন) সংগ্রহ এবং উচ্চ সুদহারে ঋণ নেওয়ার ফলে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পেয়েছে এবং মুদ্রাস্ফীতিতে চাপ সৃষ্টি করেছে । এটি নির্দেশ করে যে, জাতীয় আত্মনির্ভরতা প্রদর্শনের জন্য সরকার একটি উচ্চ আর্থিক মূল্য প্রদান করেছে। অন্যদিকে, সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচিতে ভাতা ও খাদ্য সহায়তার ব্যাপক সম্প্রসারণ (যেমন: বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা, ভিজিএফ) এবং এই সেবাপ্রদান প্রক্রিয়াকে জিটুপি (Government to Person) পদ্ধতির মাধ্যমে ডিজিটালাইজ করা হয়েছে, যা স্বচ্ছতা নিশ্চিত করেছে । বৈশ্বিক অঙ্গনে ছিটমহল সমস্যার শান্তিপূর্ণ সমাধান এবং সমুদ্রসীমা জয় দেশের সার্বভৌমত্ব ও কূটনৈতিক সক্ষমতাকে সুসংহত করেছে ।

II. সংযোগ ও নগর গতিশীলতা (Connectivity and Urban Mobility)

পরিবহন এবং যোগাযোগ খাতে সরকারের বিনিয়োগ বাংলাদেশের ভৌগোলিক সংযোগ কাঠামোর আমূল পরিবর্তন ঘটিয়েছে, যা আঞ্চলিক বাণিজ্য, নগর অর্থনীতি এবং সরবরাহ শৃঙ্খলকে গতিশীল করেছে।

II.১. স্ব-অর্থায়ন এবং আঞ্চলিক প্রভাব: পদ্মা সেতু ও যমুনা রেল সেতু

পদ্মা বহুমুখী সেতু ও রেল লাইন (পয়েন্ট ১)

পদ্মা বহুমুখী সেতু ও রেল লাইন (পয়েন্ট ১) পদ্মা সেতু প্রকল্পকে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সক্ষমতার এক যুগান্তকারী দৃষ্টান্ত হিসেবে বিবেচনা করা হয় । বিশ্বব্যাংক ২০১২ সালে ১.২ বিলিয়ন ডলারের অর্থায়ন বাতিল করার পর, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজস্ব অর্থায়নে ৬.১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এই সড়ক-রেল সেতুটি বাস্তবায়নের ঘোষণা দেন । এই প্রকল্পে মোট ব্যয় প্রায় ৩০,১৯৩ কোটি টাকা (প্রায় $৩.৮৬ বিলিয়ন) । সেতুটি উদ্বোধনের ফলে দক্ষিণাঞ্চলের ২১টি জেলার সঙ্গে ঢাকার যোগাযোগ দূরত্ব ২ থেকে ৪ ঘণ্টা কমে এসেছে। বিভিন্ন সমীক্ষা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে, এই সেতু নির্মাণের ফলে দেশের সামগ্রিক জিডিপিতে ১ শতাংশের বেশি এবং দক্ষিণাঞ্চলের জিডিপিতে ২ শতাংশ হারে প্রবৃদ্ধি যোগ হবে । অর্থনৈতিক আভ্যন্তরীণ আয়ের হার (EIRR) ২২ শতাংশে দাঁড়াবে বলে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছিল।

তবে, এই নিজস্ব অর্থায়নের একটি গুরুতর অর্থনৈতিক প্রভাব দেখা গেছে। বিশ্বব্যাংকের স্বল্প সুদের (সর্বোচ্চ ১%) ঋণের বিকল্প হিসেবে সরকারকে স্থানীয় মুদ্রা বাজারে ৭ শতাংশ থেকে ৮ শতাংশ সুদের হারে ট্রেজারি বিল ও বন্ডের মাধ্যমে ঋণ সংগ্রহ করতে হয়েছে । এছাড়া, যন্ত্রপাতি ও কাঁচামাল আমদানি এবং বিদেশি কর্মীদের বেতন পরিশোধের জন্য রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন অগ্রণী ব্যাংক স্থানীয় বাজার থেকে প্রায় ১.৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলার সংগ্রহ করে। এই বিপুল পরিমাণ অর্থ অভ্যন্তরীণ বাজার থেকে সংগ্রহ এবং উচ্চ সুদের ঋণ গ্রহণের ফলে সরকারের সুদ পরিশোধের ব্যয় বেড়ে যায়, যা জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধির রূপে জনগণের ওপর করের বোঝা বাড়ায় এবং ফলস্বরূপ মূল্যস্ফীতি বৃদ্ধি পায় । দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাসের পেছনেও এই ব্যয়ের ধারাবাহিক প্রভাব ছিল । এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় যে, যেখানে পদ্মা সেতুর নিজস্ব অর্থায়ন বিশ্ব মঞ্চে জাতীয় আত্মনির্ভরতার প্রতীক হয়ে ওঠে, সেখানে এর উচ্চ আর্থিক মূল্য সামষ্টিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার ওপর স্বল্পমেয়াদী চাপ সৃষ্টি করে।

যমুনা রেল সেতু ও রেল সম্প্রসারণ (পয়েন্ট ৮, ২৬, ৭৯)

যমুনা নদীর ওপর নির্মিত বঙ্গবন্ধু রেলওয়ে সেতু (পয়েন্ট ৮) রেলওয়ের সক্ষমতা বৃদ্ধির এক কৌশলগত পদক্ষেপ। এই ডুয়েল গেজ ডাবল লাইন সেতুটির দৈর্ঘ্য ৪.৮ কিলোমিটার এবং এটি ১২০ কিলোমিটার/ঘণ্টা গতিতে এবং ২৫ টন এক্সেল লোড বহনে সক্ষম । এর নির্মাণ কাজ বাস্তবায়নে জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি (জাইকা) ৭২.৪০ শতাংশ ঋণ দিয়েছে । প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে বিদ্যমান ঝুঁকিপূর্ণ বঙ্গবন্ধু সেতুর ওপর থেকে ট্রেনের চাপ কমবে, ফলে ভারী মালবাহী এবং উচ্চ-গতির ট্রেন চলাচল সম্ভব হবে । এই সেতুটি কেবল অভ্যন্তরীণ আন্তঃআঞ্চলিক যোগাযোগ নয়, বরং এশিয়ান হাইওয়ে রোড প্রকল্পের (পয়েন্ট ২৯) সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে ভারত, নেপাল, ভুটান এবং মিয়ানমারের মতো সার্কভুক্ত দেশগুলোর সাথে রেলপথে ব্যবসা-বাণিজ্যের জন্য শক্তিশালী বাণিজ্যিক সংযোগ স্থাপন করবে । দেশের সমস্ত দেশকে রেলওয়ে আওতায় আনার উদ্যোগের (পয়েন্ট ২৬) অংশ হিসেবে কুলাউড়া-শাহবাজপুর, বড়লেখা নতুন রেললাইনও (পয়েন্ট ৭৯) নির্মাণ করা হচ্ছে। এছাড়া ঢাকা ও চট্টগ্রাম এক্সপ্রেসওয়ে (পয়েন্ট ১৪) এবং মহাসড়কগুলোকে চার, ছয় ও আট লেনে উন্নতিকরণের (পয়েন্ট ২৮) মাধ্যমে সড়ক যোগাযোগে গতি আনা হয়েছে।

II.২. মহানগরীর আধুনিকীকরণ: মেট্রোরেল, এক্সপ্রেসওয়ে ও অন্যান্য প্রকল্প

ঢাকা মেট্রোরেল (পয়েন্ট ২)

ঢাকা শহরের তীব্র যানজট নিরসনে মেট্রোরেল (MRT Line-6) প্রকল্প ছিল একটি সময়োপযোগী পদক্ষেপ। এই প্রকল্পের সংশোধিত প্রাক্কলিত ব্যয় ৩৩,৪৭১.৯৯ কোটি টাকা । উত্তরা উত্তর থেকে মতিঝিল পর্যন্ত ২০.১০ কিলোমিটার দীর্ঘ এই মেট্রোরেলের বাণিজ্যিক চলাচল দুটি ধাপে (ডিসেম্বর ২০২২ এবং নভেম্বর ২০২৩) শুরু হয়েছে । ঢাকা শহরের যানজট নিরসনের মাধ্যমে জনগণের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে মেট্রোরেলের ভূমিকা অনস্বীকার্য। গবেষণায় দেখা গেছে, যানজটের কারণে ঢাকা শহরে প্রতিদিন ৩.৮ মিলিয়ন কর্মঘণ্টা নষ্ট হতো এবং বছরে ৪.৪ বিলিয়ন ডলারের অতিরিক্ত খরচ হতো । মেট্রোরেল উত্তরা থেকে মতিঝিল যেতে সময় ৩-৪ ঘণ্টা থেকে কমিয়ে ৪০ মিনিটে নামিয়ে এনেছে, যা কর্মীদের উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি এবং নগর অর্থনীতিতে নতুন গতি সঞ্চার করবে । পরিবেশগত দৃষ্টিকোণ থেকেও গুরুত্বপূর্ণ যে, বিদ্যুত-চালিত এই ট্রেনগুলো প্রতিবছর ২.০২ লাখ টন কার্বন নিঃসরণ কমিয়ে দেবে ।

এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, থার্ড টার্মিনাল ও ফ্লাইওভার (পয়েন্ট ৩, ৪, ৭, ২৭, ৩১)

যোগাযোগ ব্যবস্থায় বড় অর্জনগুলোর মধ্যে রয়েছে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে (পয়েন্ট ৩) নির্মাণ এবং হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের থার্ড টার্মিনালের (পয়েন্ট ৪) উন্নয়ন। থার্ড টার্মিনালটি সিঙ্গাপুরের চাঙ্গি বিমানবন্দরের আদলে নির্মিত হচ্ছে, যার লক্ষ্য বছরে ২ কোটি যাত্রীসেবা দেওয়া । এর সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে এবং মেট্রোরেল-১ (পয়েন্ট ২) সরাসরি এই টার্মিনালের সাথে যুক্ত হচ্ছে। এর ফলে যাত্রীরা যানজট এড়িয়ে দ্রুততম সময়ে বিমানবন্দরে পৌঁছাতে এবং বের হতে পারবেন, যা দেশের প্রধান বিমানবন্দরকে আধুনিক লজিস্টিকস কেন্দ্রে রূপান্তরিত করবে । এছাড়াও, উড়াল সেতু নির্মাণ (পয়েন্ট ৭, ২৭, ৩১) এবং ফ্লাইওভার নির্মাণ ঢাকা শহরের যানজট কমাতে এবং যোগাযোগের গতি বাড়াতে সহায়ক হয়েছে।

হাতিরঝিল ও পূর্বাচল ৩০০ ফিট (পয়েন্ট ৫, ৬)

হাতিরঝিল প্রকল্প (পয়েন্ট ৫) এবং পূর্বাচল ৩০০ ফিট সড়ক উন্নয়ন (পয়েন্ট ৬) মহানগরীর সৌন্দর্য ও জলাবদ্ধতা নিরসনে ভূমিকা রেখেছে। কুড়িল থেকে কাঞ্চন ব্রিজ পর্যন্ত সাড়ে ১২ কিলোমিটার দীর্ঘ পূর্বাচল এক্সপ্রেসওয়েটি ১৪ লেনে বিভক্ত (৮টি এক্সপ্রেসওয়ে, ৬টি সার্ভিস রোড) । এটি ট্রাফিক সিগনাল ছাড়াই দ্রুত চলাচল নিশ্চিত করে। হাতিরঝিলের আদলে ১৩টি আর্চ ব্রিজ এবং ৩৯ কিলোমিটার পায়ে হাঁটা পথ নির্মাণ করা হয়েছে, যা বিনোদন কেন্দ্র হিসেবেও কাজ করছে। এর পাশাপাশি, ৩০০ ফিট সড়কের দু'পাশে ১০০ ফুট প্রশস্ত খাল এবং এর সাথে বোয়ালিয়া, ডুমনি, ও এডি-৮ খাল যুক্ত করার মাধ্যমে বিস্তীর্ণ এলাকার জলাবদ্ধতা নিরসনে (যা নদী ভাঙন রোধ প্রকল্প পয়েন্ট ৩২ এর অংশ হিসেবে বিবেচনা করা যায়) সহায়ক হবে ।

II.৩. চট্টগ্রাম-কক্সবাজার করিডোর: সুড়ঙ্গ ও বন্দর সুবিধা

কর্ণফুলী টানেল (পয়েন্ট ১২)

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল (কর্ণফুলী টানেল) দক্ষিণ এশিয়ার প্রথম সড়ক টানেল। ৩.৩২ কিলোমিটার দীর্ঘ এই টানেলটি গত ২৯ অক্টোবর ২০২৩ তারিখ থেকে যান চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করা হয়েছে এবং এতে মোট ১০,২৫৫ কোটি ২৯ লক্ষ টাকা ব্যয় হয়েছে । এর কৌশলগত লক্ষ্য হলো চট্টগ্রামকে চীনের সাংহাই শহরের মতো “One City Two Town” মডেলে গড়ে তোলা । টানেলটি মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্রবন্দর এবং ঢাকা-চট্টগ্রাম-কক্সবাজারের মধ্যে সরাসরি সড়ক যোগাযোগ স্থাপন করেছে, যা পূর্ব প্রান্তের শিল্প এলাকার উন্নয়ন ত্বরান্বিত করবে । এই প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে জাতীয় জিডিপিতে ০.১৬৬% অবদান রাখবে বলে সম্ভাব্যতা সমীক্ষায় উল্লেখ করা হয় ।

তবে, টানেলটি চালু হওয়ার পর একটি অপারেশনাল চ্যালেঞ্জ সামনে এসেছে: প্রত্যাশা অনুযায়ী যানবাহন চলাচল না করায় প্রকল্পটি লোকসানের মুখে। রক্ষণাবেক্ষণ ব্যয় (দৈনিক ৩৭.৫ লাখ টাকা) টোল আদায় (দৈনিক ১১ লাখ টাকা) থেকে অনেক বেশি। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, এই প্রকল্পের পূর্ণ অর্থনৈতিক সুবিধা পেতে হলে আনোয়ারা প্রান্তে শিল্প কারখানা বিকাশ এবং কক্সবাজারের সাথে সরাসরি সংযোগ স্থাপন (পয়েন্ট ১৩) জরুরি । এর মাধ্যমে বোঝা যায়, কেবল অবকাঠামো নির্মাণই যথেষ্ট নয়, বরং তার আশেপাশে সংশ্লিষ্ট অর্থনৈতিক ইকোসিস্টেমের দ্রুত উন্নয়ন প্রয়োজন।

কক্সবাজার সংযোগ (পয়েন্ট ১৩, ৭৬)

চট্টগ্রাম-কক্সবাজার করিডোর উন্নয়নের অংশ হিসেবে কক্সবাজার রেল লাইন (পয়েন্ট ১৩) চালু করা হয়েছে, যা ঢাকা থেকে সরাসরি পর্যটন কেন্দ্রে দ্রুত রেল যোগাযোগ স্থাপন করেছে। পাশাপাশি, কক্সবাজার আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি দিয়ে পর্যটন শিল্পের প্রসারে ভূমিকা রাখা হচ্ছে। উপকূলীয় অঞ্চলে মেরিন ড্রাইভ নির্মাণ (পয়েন্ট ৭৫) পর্যটনকে আরও আকর্ষণীয় করেছে।

Table 1: প্রধান মেগা-অবকাঠামো প্রকল্পসমূহ: ব্যাপ্তি, ব্যয় এবং সম্ভাব্য প্রভাব

প্রকল্পের নাম সম্পন্ন হওয়ার অবস্থা মূল কার্যকারিতা ব্যয় (আনুমানিক) প্রধান আর্থ-সামাজিক প্রভাব IRR/BCR
পদ্মা সেতু ও রেল লাইন সড়ক চালু (২০২২) দক্ষিণ-পশ্চিম সংযোগ, জিডিপি বৃদ্ধি ৩০,১৯৩ কোটি টাকা / $৩.৮৬ বিলিয়ন জিডিপি > ১%, ২১ জেলার অর্থনীতিতে ২% বৃদ্ধি IRR: ২২%, BCR: ২.১
মেট্রোরেল (MRT Line-6) উত্তরা-মতিঝিল (বাণিজ্যিক চালু) নগর যানজট নিরসন, উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি ৩৩,৪৭১.৯৯ কোটি টাকা কর্মঘণ্টা সাশ্রয়, বার্ষিক কার্বন নিঃসরণ হ্রাস (২.০২ লাখ টন) জিডিপিতে ২% যোগ (যৌথভাবে)
কর্ণফুলি টানেল চালু (অক্টোবর ২০২৩) "ওয়ান সিটি টু টাউন" মডেল, কক্সবাজার করিডোর ১০,২৫৫ কোটি টাকা চট্টগ্রাম বন্দর সুবিধা বৃদ্ধি, শিল্পায়ন ত্বরান্বিত Economic IRR: ১২.৪৯%
যমুনা রেল সেতু নির্মাণাধীন (লক্ষ্য ২০২৫) উচ্চ-গতির, উচ্চ-ধারণক্ষমতা সম্পন্ন রেলওয়ে ১৬,৭৮০.৯৬ কোটি টাকা (সংশোধিত) আঞ্চলিক বাণিজ্য বৃদ্ধি, উত্তর-পূর্বাঞ্চলে নিরবচ্ছিন্ন রেল সংযোগ -

III. জ্বালানি নিরাপত্তা ও শিল্পায়ন চালক (Energy Security and Industrialization Drivers)

অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বজায় রাখতে, বিশেষ করে শিল্পায়নের গতি বাড়াতে, সরকার বিদ্যুৎ উৎপাদন এবং বন্দর সক্ষমতা বৃদ্ধির ওপর সর্বোচ্চ গুরুত্ব আরোপ করেছে।

III.১. বৃহৎ বিদ্যুৎ কেন্দ্র ও সক্ষমতা বৃদ্ধি

শতভাগ বিদ্যুতায়ন (পয়েন্ট ১৮, ৩০)

২০০৯ সালে দায়িত্ব গ্রহণের পর সরকার বিপর্যস্ত বিদ্যুৎ খাতের উন্নয়নে সুদূরপ্রসারী কর্মপন্থা গ্রহণ করে। এর ফলস্বরূপ, ২০২২ সালের ২১ মার্চ দেশব্যাপী উদযাপনের মধ্যদিয়ে শতভাগ বিদ্যুতায়ন (পয়েন্ট ৩০) সম্পন্ন করা হয় । গ্রিড-সংযুক্তির পাশাপাশি দুর্গম পাহাড়, চর ও দ্বীপে বিদ্যুৎ পৌঁছে দিতে সাবমেরিন ক্যাবল এবং সৌর বিদ্যুৎ (সোলার হোম সিস্টেম) ব্যবহার করা হয়েছে । এই সময়ে ১১৯টি বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে (পয়েন্ট ১৮), ফলে ২০২৩ সালে দেশের বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা প্রায় ২৫,০০০ মেগাওয়াটে পৌঁছেছে । শতভাগ বিদ্যুতায়ন দেশের কৃষি, শিল্প ও সেবা খাতে উন্নয়ন সম্ভব করেছে এবং জীবনমান উন্নয়নে সহায়ক হয়েছে ।

রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র (পয়েন্ট ১১)

রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় একক অবকাঠামো প্রকল্প। এটি রাশিয়ার আর্থিক ও কারিগরি সহায়তায় নির্মিত হচ্ছে এবং এতে ১,২০০ মেগাওয়াট ক্ষমতার দুটি ইউনিট (মোট ২,৪০০ মেগাওয়াট) থাকবে । পারমাণবিক শক্তি কার্যকরভাবে কার্বন ডাই অক্সাইড নির্গমন কমাবে, যা জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সহায়ক। এটি ২৪ ঘণ্টা নিরবচ্ছিন্ন শক্তি সরবরাহ নিশ্চিত করবে । যদিও প্রকল্পটি দেশের জ্বালানি নিরাপত্তা দেবে, গ্রিডের সমস্যা এবং কেন্দ্রের প্রস্তুতি সম্পন্ন না হওয়ায় বাণিজ্যিক উৎপাদন আগামী বছরের (২০২৫) জুনের আগে শুরু হওয়ার সম্ভাবনা কম । এই বিলম্বের কারণে জনবলের পেছনে খরচ বাড়ছে এবং বিদ্যুৎ উৎপাদন খরচও বেড়ে যাচ্ছে। এছাড়া, উচ্চ নির্মাণ ব্যয় এবং পারমাণবিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনার নিরাপত্তা ঝুঁকি একটি বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে রয়ে গেছে ।

কয়লাভিত্তিক মেগা-প্রকল্পসমূহ (পয়েন্ট ১৫, ১৬, ১৭)

কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ বেশ কয়েকটি কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে:

  • রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র (পয়েন্ট ১৬): এটি ১,৩২০ মেগাওয়াট ক্ষমতা সম্পন্ন সুপার ক্রিটিক্যাল প্রযুক্তির কেন্দ্র। এর দ্বিতীয় ইউনিট ২০২৪ সালের মার্চ মাসে বাণিজ্যিক উৎপাদনে এসেছে ।
  • পায়রা বিদ্যুৎ কেন্দ্র (পয়েন্ট ১৫): এটি একটি আল্ট্রা সুপার ক্রিটিক্যাল কেন্দ্র, যা শতভাগ বিদ্যুতায়নের ঘোষণায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিল ।
  • মাতারবাড়ী তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র (পয়েন্ট ১৭): এটি ১,২০০০ মেগাওয়াট (২x৬০০) ক্ষমতা সম্পন্ন আল্ট্রা সুপার ক্রিটিক্যাল প্রকল্প। এর মোট প্রাক্কলিত ব্যয় ৫১,৮৫৪.৮৮ কোটি টাকা, যার বেশিরভাগ অর্থায়ন করছে জাইকা । আগস্ট ২০২৫ পর্যন্ত এই প্রকল্পের ভৌত অগ্রগতি ৯৪.৫৫% ।

এই কয়লাভিত্তিক প্রকল্পগুলো উচ্চ সক্ষমতা যোগ করলেও, এদের আর্থিক কাঠামো নিয়ে উদ্বেগ রয়েছে। রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রের আয়ের প্রায় ৬৪ শতাংশই ক্যাপাসিটি চার্জ (Capacity Charge) হিসেবে আসছে। এর ফলে রামপালের বিদ্যুৎ উৎপাদন খরচ ইউনিটপ্রতি ১৩-১৪ টাকা পড়ছে । আমদানিকৃত জীবাশ্ম জ্বালানির ওপর নির্ভরতা এবং উচ্চ ক্যাপাসিটি চার্জের কারণে সরকারের ভর্তুকি এবং সামগ্রিকভাবে মূল্যস্ফীতির ওপর চাপ সৃষ্টি হচ্ছে, যা জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণের উচ্চ ব্যয়কে প্রতিফলিত করে।

III.২. বন্দর ও অর্থনৈতিক অঞ্চল

পায়রা সমুদ্র বন্দর (পয়েন্ট ১৯)

পটুয়াখালী জেলার রাবনাবাদ চ্যানেলে অবস্থিত পায়রা সমুদ্র বন্দর দেশের লজিস্টিকস গেটওয়ে হিসেবে কাজ করবে । এই বন্দর প্রতিষ্ঠার ফলে দেশের আমদানি-রপ্তানিতে এক যুগান্তকারী অধ্যায়ের সূচনা হবে এবং দেশের জিডিপির প্রায় ২ শতাংশ বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করা হচ্ছে । পায়রাকে কেন্দ্র করে অর্থনৈতিক অঞ্চল, গার্মেন্টস, সার কারখানা এবং রেল সংযোগসহ ১৯টি উন্নয়ন পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। এই বন্দর উন্নয়নের মূল লক্ষ্য হলো আঞ্চলিক বৈষম্য কমিয়ে সমগ্র দেশে ভারসাম্যপূর্ণ অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বাড়ানো ।

১০০টি ইকোনমিক জোন (পয়েন্ট ২০)

শিল্পায়ন ত্বরান্বিত করার লক্ষ্যে ১০০টি ইকোনমিক জোন (পয়েন্ট ২০) স্থাপনের উদ্যোগ রফতানিমুখী শিল্প স্থাপন এবং বিদেশী বিনিয়োগ আকৃষ্ট করার জন্য একটি অনুকূল পরিবেশ তৈরি করছে। এটি রাজস্ব আয় বৃদ্ধি এবং ব্যাপক কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে । মাতারবাড়ী তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের পাশে গভীর সমুদ্র বন্দর নির্মাণ (পয়েন্ট ১৭-এর সাথে সংযুক্ত) বিদ্যুৎ এবং লজিস্টিকস উভয় খাতকে একীভূত করে একটি সমন্বিত অর্থনৈতিক কেন্দ্র তৈরির কৌশলকে শক্তিশালী করেছে ।

Table 2: প্রধান বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র ও সক্ষমতা

প্রকল্পের নাম অবস্থান প্রযুক্তি/ধরন সক্ষমতা (MW) অবস্থা/বাণিজ্যিক উৎপাদন মূল বিবেচনা
রুপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র ঈশ্বরদী, পাবনা নিউক্লিয়ার (VVER-1200) ২,৪০০ (২x১,২০০) পরীক্ষামূলক উৎপাদন বিলম্বিত (২০২৫ এর পরে প্রত্যাশিত) দেশের সর্বোচ্চ একক অবকাঠামো ব্যয়, কম কার্বন নিঃসরণ
রামপাল তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র বাগেরহাট সুপার ক্রিটিক্যাল কয়লা ১,৩২০ (২x৬৬০) ইউনিট-২ চালু (মার্চ ২০২৪) উচ্চ ক্যাপাসিটি চার্জ (বিদ্যুৎ মূল্যের প্রায় ৬৪%), পরিবেশ সুরক্ষা ব্যবস্থা
মাতারবাড়ী তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র মহেশখালী, কক্সবাজার আল্ট্রা সুপার ক্রিটিক্যাল কয়লা ১,২০০০ (২x৬০০) ভৌত অগ্রগতি ৯৪.৫৫% (আগস্ট ২০২৫) গভীর সমুদ্র বন্দরের সাথে সংযুক্ত, জাইকা অর্থায়ন

IV. সামষ্টিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা ও বৈশ্বিক অবস্থান (Macroeconomic Stability and Global Positioning)

বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতি বিশ্বজুড়ে স্বীকৃত, যা দেশটিকে উন্নয়নশীল দেশের কাতারে নিয়ে যাওয়ার পথে চালিত করেছে। তবে, এই অর্জনের পাশাপাশি সামষ্টিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার ক্ষেত্রে কিছু চ্যালেঞ্জ সৃষ্টি হয়েছে।

IV.১. অর্থনৈতিক সূচক এবং LDC উত্তরণ

উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণ (পয়েন্ট ২৪)

বাংলাদেশ জাতিসংঘের মানদণ্ড পূরণ করে ২০২৬ সালের ২৪ নভেম্বরের মধ্যে স্বল্পোন্নত দেশ (LDC) থেকে উত্তরণের জন্য সময় নির্ধারণ করেছে । অর্থনৈতিক ভঙ্গুরতা সূচক (EVI) ৩২ শতাংশের নিচে রাখা সম্ভব হয়েছে (বাংলাদেশের ক্ষেত্রে ২৪.৮%) । এই উত্তরণ আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করবে এবং বিদেশি বিনিয়োগকারীদের আস্থা বাড়াবে। তবে, মেগা-প্রকল্প বাস্তবায়নের আর্থিক চাপ এবং ভর্তুকি প্রত্যাহারের সম্ভাব্য চ্যালেঞ্জের কারণে কিছু পক্ষ সময়সীমা কিছুটা পিছিয়ে দেওয়ার কথা বিবেচনা করছে ।

মাথাপিছু আয়, রপ্তানি ও রিজার্ভ (পয়েন্ট ৫০, ৬০, ৬৯)

মাথাপিছু আয় বৃদ্ধি (পয়েন্ট ৬০) বিগত দশকে একটি বড় সাফল্য ছিল, যা ২০১৭-১৮ অর্থবছরে ১,৭৫১ মার্কিন ডলারে উন্নীত হয়েছিল । তবে, অভ্যন্তরীণ অর্থনীতির ওপর মেগা প্রকল্পের বোঝা, ব্যাংক লুটপাট এবং দুর্নীতির ফলে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের চূড়ান্ত হিসাবে মাথাপিছু আয় ৪৬ ডলার কমে ২,৭৩৮ মার্কিন ডলারে দাঁড়িয়েছে । এটি অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির গুণগত মান এবং সুশাসনের ঘাটতি নির্দেশ করে।

বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বৃদ্ধি (পয়েন্ট ৬৯) একসময় শক্তিশালী অবস্থানে থাকলেও, অবকাঠামো ব্যয় মেটাতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে ডলার বিক্রির ফলে রিজার্ভের ওপর ব্যাপক চাপ সৃষ্টি হয় । অক্টোবর ২০২৪ পর্যন্ত রিজার্ভ ১৯.৮ বিলিয়ন ডলারে নেমে এসেছিল। তবে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) নির্ধারিত পদ্ধতি (BPM6) অনুযায়ী তা ২৬.৯ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে ।

দেশের রপ্তানি আয় বৃদ্ধি (পয়েন্ট ৫০) অব্যাহত রয়েছে। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে মোট রপ্তানি আয় ছিল ৪৪.৪৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, যেখানে তৈরি পোশাক (RMG) খাত ৮.৮৪ শতাংশ প্রবৃদ্ধি সহ ৩৯.৩৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার অবদান রেখেছে ।

IV.২. সার্বভৌমত্ব এবং মানবিক কূটনীতি

সমুদ্র সীমা বিজয় ও ছিটমহল সমস্যার সমাধান (পয়েন্ট ৯, ৭১)

কূটনৈতিক অঙ্গনে বাংলাদেশের দুটি বড় সাফল্য হলো সমুদ্র সীমা বিজয় (পয়েন্ট ৯) এবং ভারতের সঙ্গে ছিটমহল সমস্যার সমাধান (পয়েন্ট ৭১)। আন্তর্জাতিক আদালতের রায়ের মাধ্যমে বঙ্গোপসাগরের বিস্তীর্ণ অঞ্চলের ওপর বাংলাদেশের সার্বভৌম অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়, যা দেশের ব্লু ইকোনমির নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছে। ছিটমহল বিনিময় প্রক্রিয়া ঔপনিবেশিক প্রভুদের চাপিয়ে দেওয়া সমস্যা শান্তিপূর্ণ উপায়ে সমাধানের একটি নজির স্থাপন করে, যা ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে আস্থা এবং আন্তর্জাতিক চুক্তি বাস্তবায়নের পথে আস্থা তৈরি করেছে ।

রোহিঙ্গাদের আশ্রয়দান (পয়েন্ট ২৫)

২০১৭ সালের আগস্টের পর মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য থেকে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত প্রায় ৭,৫০,০০০ জন রোহিঙ্গা নাগরিক বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়। এর আগে ও পরে আসা রোহিঙ্গাদের নিয়ে বর্তমানে মোট ১১,৫৬,০০১ জন মিয়ানমারের নাগরিককে মানবিক কারণে বাংলাদেশ সরকার আশ্রয় দিয়েছে । শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনারের কার্যালয় (RRRC) জাতিসংঘ এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সহযোগিতায় এই বিশাল সংখ্যক জনগোষ্ঠীর মানবিক সহায়তা নিশ্চিত করছে । যদিও এই মানবিক পদক্ষেপ আন্তর্জাতিকভাবে প্রশংসিত, দীর্ঘমেয়াদী প্রত্যাবাসন নিশ্চিত না হওয়ায় এই বিপুল সংখ্যক জনগোষ্ঠীর ভরণপোষণ দেশের নিরাপত্তা, পরিবেশ এবং অর্থনীতির ওপর একটি বিশাল বহিরাগত বোঝা (external burden) হিসেবে কাজ করছে।

V. সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী ও কল্যাণ (Social Safety Net and Welfare)

সরকারের উন্নয়ন কৌশলের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ ছিল দারিদ্র্য বিমোচন এবং প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর সামাজিক সুরক্ষা নিশ্চিত করা। এ লক্ষ্যে সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী কর্মসূচির ব্যাপক সম্প্রসারণ এবং আধুনিকায়ন করা হয়েছে।

V.১. ভাতা কর্মসূচির সম্প্রসারণ এবং ডিজিটালাইজেশন

সামাজিক নিরাপত্তা খাতে ২০২৫-২৬ অর্থবছরে পেনশন বাদে ৯১ হাজার ২৯৭ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখার প্রস্তাব করা হয়েছে ।

ভাতা কর্মসূচির বিস্তার (পয়েন্ট ৩৪, ৩৫, ৩৬, ৩৭, ৩৯, ৪০)

সরকার প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জন্য বিভিন্ন ধরনের ভাতা চালু করেছে এবং এর পরিমাণ বাড়িয়েছে:

  • বয়স্ক ভাতা (পয়েন্ট ৩৪): ১৯৯৭-৯৮ অর্থ বছরে শুরু হওয়া এই কর্মসূচিতে ২০২৫-২৬ অর্থবছরে ৬১ লক্ষ উপকারভোগীর জন্য জনপ্রতি মাসিক ৬৫০ টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে (যা শুরুতে ছিল ১০০ টাকা) ।
  • বিধবা ও স্বামী নিগৃহীতা ভাতা (পয়েন্ট ৩৬, ৪০): ২০২৫-২৬ অর্থবছরে ২৯ লক্ষ উপকারভোগীর জন্য জনপ্রতি মাসিক ৬৫০ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে ।
  • মাতৃত্বকালীন ভাতা (পয়েন্ট ৩৫): দরিদ্র মায়েদের জন্য মাতৃত্বকাল ভাতা প্রদান কর্মসূচির আওতায় বর্তমানে ৩৬ মাস ধরে ৮০০ টাকা হারে ভাতা দেওয়া হচ্ছে। এর লক্ষ্য হলো মা ও শিশুর পুষ্টি নিশ্চিত করা এবং ২০২৬ সালের মধ্যে ০ থেকে ৪ বছর বয়সী শিশুদের ৫০% কে এর আওতায় আনা ।
  • মুক্তিযোদ্ধা ভাতা (পয়েন্ট ৩৭): বীর মুক্তিযোদ্ধারা মাসিক ২০,০০০ টাকা করে সম্মানী ভাতা পাচ্ছেন ।
  • অন্যান্য ভাতা: প্রতিবন্ধী ভাতা (পয়েন্ট ৩৯), শিক্ষা ভাতা (পয়েন্ট ৩৮), ঈমামদের ভাতা (পয়েন্ট ৪২), এবং বৈশাখী ভাতা (পয়েন্ট ৪৩) চালু ও সম্প্রসারিত হয়েছে। এছাড়া শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধি (পয়েন্ট ৩৩) এবং বেদে ও অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর জন্য বিশেষ ভাতার ব্যবস্থাও করা হয়েছে ।

G2P পদ্ধতির মাধ্যমে ডিজিটালাইজেশন

বর্তমানে বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা এবং অন্যান্য সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির সকল উপকারভোগীর কাছে মোবাইল ফিনান্সিয়াল সার্ভিস (যেমন নগদ ও বিকাশ) এবং এজেন্ট ব্যাংকিং-এর মাধ্যমে G2P (Government to Person) পদ্ধতিতে সরাসরি ভাতা প্রদান করা হচ্ছে । এই প্রযুক্তিনির্ভর স্বচ্ছতা ভাতা বিতরণে সিস্টেম লস এবং দুর্নীতি কমাতে সহায়ক হয়েছে।

তবে, একটি উল্লেখযোগ্য নীতিগত চ্যালেঞ্জ হলো, অর্থনীতিবিদদের মতে, উচ্চ মূল্যস্ফীতির বাজারে এই সামান্য মাসিক ভাতা (যেমন ৬৫০ টাকা) প্রকৃত সুবিধাভোগীর জীবনযাত্রার মান উন্নয়নে খুব বেশি ভূমিকা রাখতে পারছে না। এছাড়া, একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে যে, সরকারি ভাতা প্রাপ্তদের ৫০ শতাংশেরই তা পাওয়ার কথা নয়, যা এই কর্মসূচির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ এবং তালিকাভুক্তির ত্রুটি নির্দেশ করে ।

V.২. খাদ্য নিরাপত্তা ও গ্রামীণ স্বনির্ভরতা

খাদ্য সহায়তা কর্মসূচি (পয়েন্ট ৪৪, ৪৫, ৪৬, ৪৭, ৪১)

সরকার নিম্ন আয়ের এবং হতদরিদ্র জনগোষ্ঠীর খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে একাধিক কর্মসূচি চালু রেখেছে:

  • ভিজিএফ কার্ড (VGF) (পয়েন্ট ৪৫): ভালনারেবল গ্রুপ ফিডিং-এর আওতায় রমজান ও ঈদ উপলক্ষে ১ কোটির বেশি হতদরিদ্র পরিবারকে বিনামূল্যে ১০ কেজি করে চাল প্রদান করা হয় ।
  • ওএমএস কর্মসূচি (OMS) (পয়েন্ট ৪৬): খোলাবাজারে বিক্রয় কর্মসূচিতে নিম্ন আয়ের লোকেরা মাত্র ৩০ টাকায় ৫ কেজি চাল এবং ২৪ টাকায় ৩ কেজি আটা কিনতে পারে । এই কর্মসূচি বাজারে খাদ্যপণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে সহায়ক ভূমিকা পালন করে।
  • খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি (১০ টাকা মূল্যে চাল বিতরণ) (পয়েন্ট ৪৭): প্রায় ৫০ লাখ পরিবারকে প্রতি কেজি ১৫ টাকা দরে ৩০ কেজি চাল দেওয়া হয় । এই কর্মসূচি দরিদ্র পরিবারগুলিকে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সহায়তা করে।
  • ডি জি ডি কার্ড (পয়েন্ট ৪৪) এবং জেলেদের খাদ্য সহায়তা (পয়েন্ট ৪১): প্রান্তিক পেশাজীবী এবং দুর্বল জনগোষ্ঠীর জন্য বিশেষ খাদ্য সহায়তা নিশ্চিত করা হয়েছে।

একটি বাড়ী একটি খামার প্রকল্প (পয়েন্ট ৭৩)

এই প্রকল্পটি ("আমার বাড়ি আমার খামার" নামেও পরিচিত) গ্রামীণ দরিদ্র মানুষের আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নয়নের লক্ষ্যে গ্রহণ করা হয়। এটির মূল উদ্দেশ্য প্রতিটি পরিবারকে মানব ও অর্থনৈতিক সম্পদের সর্বোত্তম ব্যবহারের মাধ্যমে স্বাবলম্বী করা । প্রকল্পের কৌশলগত পরিবর্তন হলো—অনুদান নির্ভরতা কমিয়ে দরিদ্র সদস্যদের সঞ্চয়মুখী করা। সদস্যদের মাসিক সঞ্চয়ের বিপরীতে প্রকল্প থেকে সমপরিমাণ কল্যাণ অনুদান (Matching Grant) প্রদান করা হয়, যা গ্রামভিত্তিক সমিতিতে ঘূর্ণায়মান তহবিল তৈরি করে। এই তহবিল পারিবারিক কৃষিজ খামার স্থাপনে বিনিয়োগ করা হয় । এই মডেলটি ৪,৫০৩টি ইউনিয়নের ৪০,৯৫০টি গ্রামে বাস্তবায়িত হচ্ছে । এটি দারিদ্র্য বিমোচনে কাঠামোগত পরিবর্তন এনেছে এবং দীর্ঘমেয়াদী আর্থিক সক্ষমতা তৈরির দিকে মনোযোগ দিয়েছে।

Table 3: প্রধান সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী কর্মসূচির সম্প্রসারণ

কর্মসূচি শুরুর বছর উপকারভোগী সংখ্যা (২০২৫-২৬ লক্ষ্য) মাসিক ভাতার হার (২০২৫-২৬) বিতরণ পদ্ধতি গুরুত্ব
বয়স্ক ভাতা ১৯৯৭-৯৮ ৬১ লক্ষ (৬.১ মিলিয়ন) ৬৫০ টাকা G2P (নগদ/বিকাশ) বয়োজ্যেষ্ঠ দুস্থ জনগোষ্ঠীর সামাজিক নিরাপত্তা বিধান
বিধবা ও স্বামী নিগৃহীতা ভাতা ১৯৯৮-৯৯ ২৯ লক্ষ (২.৯ মিলিয়ন) ৬৫০ টাকা G2P (নগদ/বিকাশ) পরিবার ও সমাজে মর্যাদা বৃদ্ধি, দারিদ্র্য বিমোচন
মুক্তিযোদ্ধা সম্মানী ভাতা ১৯৯৬ (শুরু) প্রায় ২ লাখ ২০,০০০ টাকা G2P বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সর্বোচ্চ সম্মান প্রদান

VI. শিক্ষা, স্বাস্থ্য এবং নারীর ক্ষমতায়ন (Education, Health and Women's Empowerment)

সামাজিক সূচকগুলোর উন্নয়ন বাংলাদেশের সামগ্রিক প্রবৃদ্ধিতে শক্তিশালী ভিত্তি দিয়েছে, যেখানে শিক্ষা এবং জেন্ডার সমতায় বিশেষ অগ্রগতি লক্ষ্য করা যায়।

VI.১. মানবসম্পদ ও জেন্ডার সমতা

শিক্ষার অগ্রগতি (পয়েন্ট ৪৮, ৫১, ৬২, ৮০, ৮১, ৮২)

সরকার শিক্ষার সম্প্রসারণ ও মানোন্নয়নে ব্যাপক বিনিয়োগ করেছে। ২০০৯ সাল থেকে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শতভাগ ছাত্র-ছাত্রীর মাঝে প্রতিবছর বিনামূল্যে নতুন বই বিতরণ (পয়েন্ট ৪৮) করা হচ্ছে, যা শিক্ষা গ্রহণের হার বাড়াতে সহায়ক হয়েছে । শিক্ষার প্রসারে ১৪৫৮টি প্রাথমিক বিদ্যালয় স্থাপন (পয়েন্ট ৮০) করা হয়েছে। ২০১৩ সালের জানুয়ারিতে ২৬,১৯৩টি বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সরকারিকরণের (পয়েন্ট ৮১) ঘোষণা দেওয়া হয়, যা শিক্ষকদের চাকরির নিরাপত্তা প্রদান এবং প্রাথমিক শিক্ষাব্যবস্থার মান উন্নয়নে একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ ছিল । এছাড়াও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ (পয়েন্ট ৫১), আরবি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন (পয়েন্ট ৬২), এবং কম্পিউটার ল্যাব ও মাল্টিমিডিয়া শিক্ষা ক্লাস চালু করণের (পয়েন্ট ৮২) মাধ্যমে আধুনিক শিক্ষার প্রচলন করা হয়েছে।

স্বাস্থ্যসেবার প্রাতিষ্ঠানিকীকরণ (পয়েন্ট ৪৯, ৬৩)

গ্রামীণ জনগণের দোরগোড়ায় প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছানোর লক্ষ্যে কমিউনিটি ক্লিনিক (পয়েন্ট ৪৯) গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। এই ক্লিনিকগুলির কার্যক্রমকে টেকসই করার জন্য কমিউনিটি ক্লিনিক স্বাস্থ্য সহায়তা ট্রাস্ট আইন প্রণয়ন করা হয়েছে, যা গ্রামীণ স্বাস্থ্যসেবাকে একটি স্থায়ী প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিয়েছে । বিশেষায়িত স্বাস্থ্যসেবার ক্ষেত্রে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন হাসপাতাল (পয়েন্ট ৬৩) প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে, যা পোড়া ও প্লাস্টিক সার্জারি সেবার মান আন্তর্জাতিক স্তরে উন্নীত করেছে ।

নারীর ক্ষমতায়ন ও কর্মসংস্থান (পয়েন্ট ৬৬, ৬৮, ৭০)

নারীর ক্ষমতায়ন (পয়েন্ট ৬৮) বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান সাফল্য হিসেবে বিবেচিত। কর্মক্ষেত্রে নারীর অংশগ্রহণের হার বর্তমানে ৩৮ শতাংশে পৌঁছেছে। তৈরি পোশাক খাত এবং স্বাস্থ্যসেবা খাতে ৭০ শতাংশেরও বেশি কর্মী নারী । অর্থনীতিতে নারীর ক্রমবর্ধমান অবদান দেশের মোট দেশজ উৎপাদনে (জিডিপি) প্রায় ২০ শতাংশ যোগ করছে । দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে জেন্ডার ইক্যুইটি প্রতিষ্ঠায় বাংলাদেশ শীর্ষে রয়েছে। প্রাথমিক এবং মাধ্যমিক স্কুলে ছাত্রীদের ভর্তির হার এখন ছেলেদের চেয়ে বেশি । এছাড়া মাতৃত্বকালীন ছুটি বৃদ্ধির (পয়েন্ট ৭০) মাধ্যমে নারীর কর্মজীবনের নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করা হয়েছে। কর্মসংস্থান সৃষ্টি (পয়েন্ট ৬৬) নীতির মাধ্যমে বেকার নারীর সংখ্যা হ্রাস একটি ইতিবাচক প্রবণতা ।

VI.২. কৃষি ও গ্রামীণ অর্থনীতি

কৃষিতে সফলতা (পয়েন্ট ৬৭)

জনসংখ্যা বৃদ্ধি এবং মাথাপিছু জমির পরিমাণ হ্রাস সত্ত্বেও বাংলাদেশ কৃষিতে সফলতা (পয়েন্ট ৬৭) অর্জন করেছে এবং খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা বজায় রেখেছে। বর্তমানে বাংলাদেশ ধান উৎপাদনে বিশ্বে দ্বিতীয়, পাট উৎপাদনে দ্বিতীয় এবং মাছ ও সবজি চাষেও শীর্ষ দশে রয়েছে । এই সাফল্যে নারী কৃষকের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ; কৃষি উৎপাদনের প্রায় ৭০ শতাংশ প্রক্রিয়ায় তাদের অংশগ্রহণ রয়েছে। সরকার কৃষিঋণ প্রদানের ক্ষেত্রে সহজীকরণ এবং প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতে ৩০% নারীর অংশগ্রহণ বাধ্যতামূলক করার মতো নীতি গ্রহণ করেছে । সীমিত সম্পদের মধ্যে বিজ্ঞানভিত্তিক কৃষিচর্চা এবং প্রযুক্তির প্রয়োগের মাধ্যমেই এই খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সম্ভব হয়েছে।

VII. ডিজিটাল গভর্নেন্স ও প্রাতিষ্ঠানিক উন্নয়ন (Digital Governance and Institutional Development)

ডিজিটাল বাংলাদেশের রূপকল্প বাস্তবায়নে সরকার যোগাযোগ, সেবা বিতরণ এবং প্রশাসনিক প্রক্রিয়াকে আধুনিকীকরণের ওপর জোর দিয়েছে।

VII.১. ডিজিটাল অবকাঠামো এবং সেবা

বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ (পয়েন্ট ১০)

২০১৮ সালের মে মাসে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ উৎক্ষেপণের মাধ্যমে বাংলাদেশ বিশ্বের ৫৭তম স্যাটেলাইট সদস্য দেশের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয় । ২,৯০২ কোটি টাকা ব্যয়ে বাস্তবায়িত এই স্যাটেলাইট ৪০ ধরনের সেবা দিচ্ছে। এই স্যাটেলাইটের মাধ্যমে দেশীয় টিভি চ্যানেলগুলোর ভাড়া বাবদ বছরে প্রায় ১২৫ কোটি টাকা সাশ্রয় হচ্ছে, এবং এর ব্যান্ডউইডথ ব্যবহার করে প্রত্যন্ত অঞ্চলে ইন্টারনেট সুবিধা দেওয়া সম্ভব হচ্ছে । এটি প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময় নিরবচ্ছিন্ন যোগাযোগ ব্যবস্থা বহাল রাখতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

ডিজিটাল তথ্য ও ইন্টারনেট সেবা (পয়েন্ট ৬৪, ৬৫, ৭৭, ৭৯)

প্রতিটি ইউনিয়নে ডিজিটাল তথ্য সেবা (পয়েন্ট ৬৪) প্রদানের লক্ষ্যে ২০১০ সালে ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টার (UDC) চালু করা হয় । UDC-এর মূল লক্ষ্য হলো 'জনগণের দোরগোড়ায় সেবা' পৌঁছে দেওয়া। এই কেন্দ্রগুলি থেকে প্রায় ৬০ ধরনের সরকারি-বেসরকারি সেবা (যেমন জমির পর্চা, জন্ম-মৃত্যু নিবন্ধন, মোবাইল ব্যাংকিং) পাওয়া যায়। প্রতিষ্ঠার পর থেকে প্রায় সাড়ে ১১ কোটি সেবা প্রদান করা হয়েছে এবং UDC উদ্যোক্তারা মাসে সাড়ে ৫ কোটি টাকা আয় করছেন । এটি গ্রামীণ পর্যায়ে প্রযুক্তি-ভিত্তিক কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে সহায়ক একটি টেকসই অর্থনৈতিক মডেল। মোবাইল ও ইন্টারনেট সেবা বৃদ্ধি (পয়েন্ট ৬৫) এবং ডিজিটাল পাসপোর্ট (পয়েন্ট ৭৭) চালু করার মাধ্যমে নাগরিক পরিষেবা সহজ হয়েছে। এছাড়া মোবাইল ব্যাংকিং চালু করণ (পয়েন্ট ৭৯) আর্থিক অন্তর্ভুক্তির পরিধি বিস্তৃত করেছে ।

VII.২. ধর্মীয় ও বিচারিক অবকাঠামো

মডেল মসজিদ ও মাদ্রাসা উন্নয়ন (পয়েন্ট ২১, ২২, ২৩)

দেশের প্রতিটি জেলা ও উপজেলায় একটি করে ৫৬০টি মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র স্থাপন (পয়েন্ট ২১) প্রকল্পটি ৮,৭২২ কোটি টাকা ব্যয়ে বাস্তবায়িত হচ্ছে । এই কেন্দ্রগুলো কেবল নামাজের সুবিধা প্রদান করে না, বরং লাইব্রেরি, গবেষণা, হজ্জযাত্রী নিবন্ধন, ইমাম প্রশিক্ষণ এবং আবাসন সুবিধাসহ একটি সামাজিক সেবা কেন্দ্র হিসেবে কাজ করছে । এর পাশাপাশি, ১৬৮১টি মাদ্রাসা ভবন নির্মাণ (পয়েন্ট ২২) এবং কওমি মাদ্রাসার স্বীকৃতির (পয়েন্ট ২৩) মাধ্যমে ধর্মীয় শিক্ষার মানোন্নয়ন ও মূলধারার শিক্ষায় অন্তর্ভুক্তির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে ।

বিচারিক সংস্কার (পয়েন্ট ৭৪, ৭৬)

দেশব্যাপী বহুতল আদালত ভবন নির্মাণ (পয়েন্ট ৭৪) বিচার ব্যবস্থার জন্য উন্নত ভৌত অবকাঠামো নিশ্চিত করেছে। একই সাথে তৃণমূল পর্যায়ে বিচারকে সহজলভ্য করার জন্য গ্রাম আদালত কার্যকর (পয়েন্ট ৭৬) করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

VIII. কৌশলগত সুপারিশমালা এবং ভবিষ্যতের উন্নয়ন ট্র্যাজেক্টরি (Strategic Recommendations and Future Trajectories)

বাংলাদেশের ষোলো বছরের উন্নয়ন যাত্রা অবকাঠামো ও সামাজিক সক্ষমতার ক্ষেত্রে বড় অর্জন এনেছে। তবে, এই অর্জনগুলোর টেকসইতা নিশ্চিত করতে এবং সামষ্টিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে কিছু কৌশলগত পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি।

  1. অপারেশনাল দক্ষতা এবং সমন্বয় নিশ্চিতকরণ: কর্ণফুলী টানেলের মতো মেগা-প্রকল্পগুলোর পূর্ণ অর্থনৈতিক সুবিধা পেতে হলে এর সংযোগ সড়ক এবং টানেলের পূর্ব প্রান্তে প্রস্তাবিত শিল্প অঞ্চলগুলির উন্নয়ন দ্রুত সম্পন্ন করতে হবে। পায়রা সমুদ্র বন্দরের (পয়েন্ট ১৯) সাথে রেল সংযোগ (২০৩০ সালের লক্ষ্য) সহ অন্যান্য অবকাঠামোর সমন্বয় নিশ্চিত করা অপরিহার্য।
  2. সামষ্টিক অর্থনীতির স্থিতিশীলতা পুনরুদ্ধার: মেগা-প্রকল্পের উচ্চ ব্যয়ভার এবং ডলার বিক্রির কারণে সৃষ্ট রিজার্ভের ওপর চাপ কমাতে (পয়েন্ট ৬৯), অভ্যন্তরীণ আর্থিক খাত, বিশেষ করে ব্যাংকিং খাতের সংস্কার এবং অর্থ লোপাট ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করা হয় । এটি বৈদেশিক বিনিয়োগ আকর্ষণ এবং LDC উত্তরণের সন্ধিক্ষণে দেশের অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতাকে শক্তিশালী করবে।
  3. জ্বালানি নীতির পুনর্মূল্যায়ন: বিদ্যুৎ উৎপাদনে রামপাল ও মাতারবাড়ীর মতো কয়লা এবং রূপপুরের পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র (পয়েন্ট ১১, ১৫-১৭) সক্ষমতা চার্জের কারণে সরকারের ওপর যে আর্থিক ঝুঁকি সৃষ্টি করছে, তা কমাতে হবে। নবায়নযোগ্য জ্বালানি উৎসের দিকে মনোযোগ বাড়ানো এবং ক্যাপাসিটি চার্জের ব্যয় নিয়ন্ত্রণ করা প্রয়োজন।
  4. সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির লক্ষ্যমাত্রা উন্নতকরণ: সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির (পয়েন্ট ৩৪-৪৭) প্রকৃত সুবিধাভোগীরা যেন সঠিক সময়ে সুবিধা পান, তা নিশ্চিত করতে হবে। তালিকাভুক্তির ত্রুটি (যেমন: ৫০% অযোগ্য সুবিধাভোগীর অভিযোগ ) দূর করতে আধুনিক এবং নির্ভুল ডেটাবেজ ব্যবহারের মাধ্যমে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণের প্রক্রিয়া আরও উন্নত করা। এছাড়া, উচ্চ মূল্যস্ফীতির বিপরীতে ভাতার বাস্তব ক্রয়ক্ষমতা (Real Value) বাড়ানোর জন্য ভাতার পরিমাণ নিয়মিতভাবে পর্যালোচনা করা উচিত।

IX. পরিশিষ্ট: ৮২টি অর্জনের বিস্তারিত সারণী ও বিশ্লেষণ

ক্রম উন্নয়ন তালিকা ক্ষেত্রের শ্রেণীবিভাগ বিশ্লেষণ ও অর্জন
১. পদ্মা সেতু ও রেল লাইন অবকাঠামো ও সংযোগ দেশের নিজস্ব সক্ষমতায় নির্মিত সর্ববৃহৎ সেতু; দক্ষিণাঞ্চলের ২১টি জেলার সাথে সরাসরি সংযোগ স্থাপন। জিডিপিতে ১% এর অধিক অবদান নিশ্চিত ।
২. মেট্রোরেল নগর পরিবহন ঢাকা শহরের গণপরিবহন ব্যবস্থায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন, যানজট হ্রাস ও কর্মঘণ্টা সাশ্রয় ।
৩. এলিভেটেড এক্সপ্রেস নগর পরিবহন যানজট নিরসন ও দ্রুততম সময়ে গন্তব্যে পৌঁছানোর লক্ষ্যে ঢাকাতে উড়াল সড়ক নির্মাণ।
৪. থার্ড টার্মিনাল বিমান পরিবহন হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সক্ষমতা বৃদ্ধি, বছরে ২ কোটি যাত্রীসেবার লক্ষ্য ।
৫. হাতিরঝিল প্রকল্প নগর সৌন্দর্য ও বিনোদন ঢাকার হৃদয়ে জলাধারকে ব্যবহার করে দৃষ্টিনন্দন যোগাযোগ ও বিনোদন কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা।
৬. পূর্বাচল ৩০০ ফিট নগর উন্নয়ন ও সংযোগ কুড়িল থেকে কাঞ্চন ব্রিজ পর্যন্ত ১৪ লেনের এক্সপ্রেসওয়ে, জলাবদ্ধতা নিরসন এবং পরিকল্পিত নগর উন্নয়ন ।
৭. উড়াল সেতু নির্মাণ নগর পরিবহন শহরগুলোতে যানজট নিরসনে একাধিক উড়াল সেতু নির্মাণ (ফ্লাইওভারের সঙ্গে সম্পর্কিত)।
৮. যমুনা রেল সেতু রেল সংযোগ ডুয়েল গেজ ডাবল লাইন সেতু, আঞ্চলিক রেল বাণিজ্য এবং ভারী পণ্য পরিবহনের সক্ষমতা বৃদ্ধি ।
৯. সমুদ্র সীমা বিজয় সার্বভৌমত্ব ও কূটনীতি আন্তর্জাতিক আদালতের রায়ের মাধ্যমে বঙ্গোপসাগরে সার্বভৌম অধিকার প্রতিষ্ঠা এবং ব্লু ইকোনমির সুযোগ সৃষ্টি।
১০. বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট ডিজিটাল অবকাঠামো ২০১৮ সালে উৎক্ষেপিত, বাংলাদেশ বিশ্বের ৫৭তম স্যাটেলাইট সদস্য দেশ। বছরে ১২৫ কোটি টাকা সাশ্রয় ।
১১. রুপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র জ্বালানি ও বিদ্যুৎ দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় একক অবকাঠামো প্রকল্প (২,৪০০ মেগাওয়াট), নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের লক্ষ্যে ।
১২. কর্নফুলি টানেল সংযোগ ও পরিবহন দক্ষিণ এশিয়ার প্রথম সড়ক টানেল, চট্টগ্রামকে 'ওয়ান সিটি টু টাউনস' মডেলে রূপান্তরিতকরণ ।
১৩. কক্সবাজার রেল লাইন রেল সংযোগ ঢাকা থেকে সরাসরি কক্সবাজার পর্যন্ত রেল যোগাযোগ স্থাপন, পর্যটন শিল্পে গতি আনা।
১৩. কক্সবাজার আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর বিমান পরিবহন বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক মানে উন্নীতকরণ, পর্যটন ও লজিস্টিকস সক্ষমতা বৃদ্ধি ।
১৪. ঢাকা ও চট্টগ্রাম এক্সপ্রেসওয়ে সড়ক যোগাযোগ প্রধান অর্থনৈতিক করিডোরের মধ্যে দ্রুত ও নিরবচ্ছিন্ন সড়ক যোগাযোগ স্থাপন।
১৫. পায়রা বিদ্যুৎ কেন্দ্র জ্বালানি ও বিদ্যুৎ ১৩২০ মেগাওয়াট আল্ট্রা সুপার ক্রিটিক্যাল তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র, শতভাগ বিদ্যুতায়নে সহায়ক ।
১৬. রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র জ্বালানি ও বিদ্যুৎ ১,৩২০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কেন্দ্র, দেশের জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ ।
১৭. মাতারবাড়ী তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র জ্বালানি ও বিদ্যুৎ ১,২০০০ মেগাওয়াট আল্ট্রা সুপার ক্রিটিক্যাল কেন্দ্র, গভীর সমুদ্রবন্দরের সাথে সংযুক্ত ।
১৮. ১১৯ টি বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন জ্বালানি ও বিদ্যুৎ বিদ্যুতের উৎপাদন ক্ষমতা প্রায় ২৫,০০০ মেগাওয়াটে উন্নীতকরণ ।
১৯. পায়রা সমুদ্র বন্দর লজিস্টিকস ও অর্থনীতি জিডিপিতে ২% প্রবৃদ্ধি নিশ্চিত করার লক্ষ্যে গুরুত্বপূর্ণ গভীর সমুদ্র বন্দর ।
২০. ১০০ টি ইকোনমিক জোন শিল্পায়ন ও কর্মসংস্থান রফতানিমুখী শিল্প স্থাপন ও বিদেশী বিনিয়োগ আকৃষ্টকরণের মাধ্যমে কর্মসংস্থান সৃষ্টি ।
২১. ৫৬০ টি মডেল মসজিদ ধর্মীয় ও প্রাতিষ্ঠানিক প্রতিটি জেলা ও উপজেলায় ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র ও মডেল মসজিদ স্থাপন ।
২২. ১৬৮১ টি মাদ্রাসা ভবন নির্মাণ শিক্ষা ও অবকাঠামো ধর্মীয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলির অবকাঠামোগত উন্নয়ন।
২৩. কওমি মাদ্রাসার স্বীকৃতি শিক্ষা ও সামাজিক অন্তর্ভুক্তি কওমি মাদ্রাসার দাওরায়ে হাদীসের সনদের মান বাস্তবায়ন ।
২৪. উন্নয়নশীল দেশে উন্নীতকরণ অর্থনৈতিক স্থিতি জাতিসংঘের মানদণ্ড পূরণ করে LDC থেকে উত্তরণের পথে (২০২৬ সালের মধ্যে) ।
২৫. রোহিঙ্গাদের আশ্রয়দান মানবিক কূটনীতি ২০১৭ সালের আগস্টের পর থেকে প্রায় ১১.৫৬ লাখ রোহিঙ্গা নাগরিককে মানবিক সহায়তা প্রদান ।
২৬. সমস্ত দেশকে রেলওয়ে আওতায় আনার উদ্যোগ রেল সংযোগ দেশের অভ্যন্তরে রেল যোগাযোগ ব্যবস্থা সম্প্রসারণ।
২৭. ফ্লাইওভার নির্মাণ নগর পরিবহন নগর যানজট কমাতে এবং ট্রাফিক প্রবাহ উন্নত করতে বিভিন্ন স্থানে নির্মাণ।
২৮. মহাসড়ক গুলো চার,ছয় ও আট লাইনে উন্নতিকরণ সড়ক যোগাযোগ দেশের প্রধান মহাসড়কগুলির ধারণক্ষমতা ও গতি বৃদ্ধি।
২৯. এশিয়ান হাইওয়ে রোড প্রকল্প আঞ্চলিক সংযোগ এশিয়ান আঞ্চলিক সংযোগের অংশ হিসেবে সড়ক নেটওয়ার্কের উন্নয়ন।
৩০. ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ জ্বালানি ও বিদ্যুৎ দেশব্যাপী শতভাগ বিদ্যুতায়ন সম্পন্নকরণ (মার্চ ২০২২) ।
৩১. ফ্লাইওভার নির্মাণ নগর পরিবহন উড়াল সেতু ও ফ্লাইওভার নির্মাণ (পুনরাবৃত্তি, নগর অবকাঠামোর গুরুত্ব)।
৩২. নদী ভাঙ্গন রোদ প্রকল্প পরিবেশ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা নদীর তীর সংরক্ষণ ও নদী ভাঙন রোধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ।
৩৩. শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধি সামাজিক কল্যাণ শ্রমিকদের জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন ও ক্রয়ক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে মজুরি কাঠামো সংশোধন।
৩৪. বয়স্ক ভাতা সামাজিক নিরাপত্তা ৬১ লক্ষ উপকারভোগীকে মাসিক ৬৫০ টাকা হারে ভাতা প্রদান ।
৩৫. মাতৃত্বকালীন ভাতা সামাজিক নিরাপত্তা দরিদ্র মা ও শিশুর পুষ্টি নিশ্চিত করতে ৩৬ মাস ধরে মাসিক ৮০০ টাকা হারে ভাতা প্রদান ।
৩৬. বিধবা ভাতা সামাজিক নিরাপত্তা ২৯ লক্ষ উপকারভোগীকে মাসিক ৬৫০ টাকা হারে ভাতা প্রদান ।
৩৭. মুক্তিযোদ্ধা ভাতা সামাজিক নিরাপত্তা বীর মুক্তিযোদ্ধাদের মাসিক ২০,০০০ টাকা করে সম্মানী ভাতা প্রদান ।
৩৮. শিক্ষা ভাতা সামাজিক নিরাপত্তা দরিদ্র ও পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর সন্তানদের জন্য শিক্ষা সহায়তা।
৩৯. প্রতিবন্ধী ভাতা সামাজিক নিরাপত্তা শারীরিক ও মানসিক প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের সামাজিক সুরক্ষা ও সহায়তার জন্য ভাতা।
৪০. স্বামী পরিত্যক্ত ভাতা সামাজিক নিরাপত্তা বিধবা ভাতার আওতায় স্বামী নিগৃহীতা মহিলাদের জন্য মাসিক ভাতা ।
৪১. জেলেদের খাদ্য সহায়তা সামাজিক নিরাপত্তা মাছ ধরার নিষেধাজ্ঞার সময় জেলেদের জন্য খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ।
৪২. ঈমামদের ভাতা সামাজিক নিরাপত্তা ধর্মীয় ও সামাজিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখার জন্য ইমামদের সম্মানী ভাতা।
৪৩. বৈশাখী ভাতা সামাজিক নিরাপত্তা বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে সরকারি কর্মীদের জন্য বিশেষ ভাতা।
৪৪. ডি জি ডি কার্ড খাদ্য নিরাপত্তা ভালনারেবল গ্রুপ ডেভেলপমেন্ট (ভিজিডি) কর্মসূচির মাধ্যমে খাদ্য সহায়তা প্রদান।
৪৫. ভি জি এফ কার্ড খাদ্য নিরাপত্তা ভালনারেবল গ্রুপ ফিডিং (ভিজিএফ) এর মাধ্যমে বিনামূল্যে খাদ্যশস্য বিতরণ ।
৪৬. ও এম এস কর্মসূচি খাদ্য নিরাপত্তা খোলাবাজারে সুলভ মূল্যে চাল ও আটা বিক্রি করে বাজার নিয়ন্ত্রণ ।
৪৭. ১০ টাকা মুল্যে চাল বিতরণ খাদ্য নিরাপত্তা খাদ্যবান্ধব কর্মসূচিতে ১৫ টাকা কেজি দরে চাল বিতরণ (১০ টাকা উল্লেখটি পূর্বতন কর্মসূচি) ।
৪৮. বিনামূল্যে বই শিক্ষা প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের জন্য প্রতি বছর বিনামূল্যে নতুন বই বিতরণ ।
৪৯. কমিউনিটি ক্লিনিক এর মাধ্যমে স্বাস্থ্য সেবা স্বাস্থ্যসেবা গ্রামীণ জনগণের দোরগোড়ায় প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দেওয়া ।
৫০. দেশের রপ্তানি আয় বৃদ্ধি অর্থনৈতিক স্থিতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরে মোট রপ্তানি আয় ৪৪.৪৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে উন্নীতকরণ ।
৬০. মাথাপিছু আয় বৃদ্ধি অর্থনৈতিক স্থিতি ধারাবাহিক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির মাধ্যমে মাথাপিছু আয় বৃদ্ধি ।
৬১. বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ শিক্ষা শিক্ষার মানোন্নয়ন ও শিক্ষক-কর্মচারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ।
৬২. আরবি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন শিক্ষা উচ্চতর ইসলামিক শিক্ষার প্রসারের জন্য বিশেষায়িত বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা।
৬৩. শেখ হাসিনা বার্ন হাসপাতাল স্বাস্থ্যসেবা বিশেষায়িত প্লাস্টিক ও বার্ন সার্জারি চিকিৎসার জন্য আন্তর্জাতিক মানের প্রতিষ্ঠান স্থাপন ।
৬৪. প্রতিটি ইউনিয়নে ডিজিটাল তথ্য সেবা ডিজিটাল গভর্নেন্স ২০১০ সালে UDC চালু, ৬০টিরও বেশি সরকারি-বেসরকারি সেবা তৃণমূল পর্যায়ে প্রদান ।
৬৫. মোবাইল ও ইন্টারনেট সেবা বৃদ্ধি ডিজিটাল অবকাঠামো দেশব্যাপী মোবাইল ও ইন্টারনেট পরিষেবার সহজলভ্যতা ও সম্প্রসারণ ।
৬৬. কর্মসংস্থান সৃষ্টি অর্থনীতি ও শ্রম অর্থনৈতিক অঞ্চল ও অবকাঠামো প্রকল্পের মাধ্যমে ব্যাপক কর্মসংস্থান সৃষ্টি।
৬৭. কৃষিতে সফলতা কৃষি ও খাদ্য নিরাপত্তা ধান, পাট, মাছ ও সবজি উৎপাদনে বিশ্বে শীর্ষ অবস্থানে থাকা ।
৬৮. নারীর ক্ষমতায়ন সামাজিক ও জেন্ডার কর্মক্ষেত্রে নারীর অংশগ্রহণ ৩৮% এ উন্নীতকরণ এবং জেন্ডার সমতায় আঞ্চলিক নেতৃত্ব ।
৬৯. বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বৃদ্ধি অর্থনৈতিক স্থিতি বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ শক্তিশালীকরণের পদক্ষেপ গ্রহণ ।
৭০. মাতৃত্বকালীন ছুটি বৃদ্ধি নারীর কল্যাণ কর্মজীবী মায়েদের জন্য মাতৃত্বকালীন ছুটির সময়সীমা বাড়ানো।
৭১. ছিটমহল সমস্যার সমাধান সার্বভৌমত্ব ও কূটনীতি ভারতের সাথে শান্তিপূর্ণভাবে ছিটমহল বিনিময় চুক্তি বাস্তবায়ন ।
৭২. দেশের বিভিন্ন স্থানে বিনোদন কেন্দ্র নির্মাণ নগর উন্নয়ন ও কল্যাণ হাতিরঝিল ও মেরিন ড্রাইভসহ বিভিন্ন স্থানে বিনোদনমূলক অবকাঠামো তৈরি ।
৭৩. একটি বাড়ী একটি খামার প্রকল্প গ্রামীণ অর্থনীতি সঞ্চয়মুখী মডেলের মাধ্যমে গ্রামীণ দরিদ্রদের স্বনির্ভর করে তোলা ।
৭৪. দেশ ব্যাপি বহুতল আদালত ভবন নির্মাণ বিচারিক অবকাঠামো বিচার ব্যবস্থার জন্য আধুনিক ও পর্যাপ্ত ভৌত অবকাঠামো নিশ্চিত করা।
৭৫. মেরিন ড্রাইভ নির্মাণ সংযোগ ও পর্যটন উপকূলীয় অঞ্চলে সড়ক অবকাঠামো নির্মাণ, পর্যটনের প্রসার।
৭৬. গ্রাম আদালত কার্যকর বিচারিক প্রক্রিয়া তৃণমূল পর্যায়ে বিচার ব্যবস্থা সহজলভ্য করার জন্য গ্রাম আদালতের সক্ষমতা বৃদ্ধি।
৭৭. ডিজিটাল পাসপোর্ট ডিজিটাল গভর্নেন্স ই-পাসপোর্ট চালু এবং নাগরিক পরিষেবা আধুনিকীকরণ।
৭৯. মোবাইল ব্যাংকিং চালু করণ ডিজিটাল গভর্নেন্স আর্থিক অন্তর্ভুক্তির প্রসার এবং জিটুপি পদ্ধতিতে ভাতা বিতরণে সহায়ক ।
৮০. ১৪৫৮ টি প্রাথমিক বিদ্যালয় স্থাপন শিক্ষা নতুন প্রাথমিক বিদ্যালয় নির্মাণের মাধ্যমে শিক্ষায় প্রবেশাধিকার নিশ্চিতকরণ।
৮১. ২৬১৯৩ টি প্রাথমিক বিদ্যালয় সরকারিকরণ শিক্ষা ২০১৩ সালের ঘোষণা অনুযায়ী বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়কে জাতীয়করণ ।
৮২. কম্পিউটার ল্যাব ও মাল্টিমিডিয়া শিক্ষা ক্লাস চালু করণ শিক্ষা আধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর শিক্ষা ব্যবস্থার প্রচলন।

যেসব কাজের উদ্ধৃতি যোগ করা হয়েছে (References)

  1. বাংলাদেশের স্বল্পোন্নত দেশ এলডিসি থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তোরণ ঘটেছে। জাতিসংঘের অর্থনৈতিক ও, http://file.portal.gov.bd/files/publiclibrary.sunamganj.gov.bd/page/198c385b_3332_4baf_a09c_7398b5431c64/a90e225ddcdf6f01645082683cffeaba.pdf
  2. পদ্মা সেতুর অর্থনীতি - Daily Inqilab, https://m.dailyinqilab.com/article/359051/%E0%A6%AA%E0%A6%A6%E0%A7%8D%E0%A6%AE%E0%A6%BE-%E0%A6%B8%E0%A7%87%E0%A6%A4%E0%A7%81%E0%A6%B0-%E0%A6%85%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%A5%E0%A6%A8%E0%A7%80%E0%A6%A4%E0%A6%BF
  3. আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে মেট্রোরেল - BD Bulletin, https://www.bd-bulletin.com/news/77813
  4. বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ - portal.gov., https://bba.portal.gov.bd/site/project/8f5123d8-39de-4f21-a46c-af930f377c27
  5. পদ্মাসেতু প্রকল্পে 'নিজস্ব অর্থায়ন' যেভাবে মুদ্রাবাজার সংকট ও মূল্যস্ফীতির সূচনা করে, https://www.tbsnews.net/bangla/%E0%A6%85%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%A5%E0%A6%A8%E0%A7%80%E0%A6%A4%E0%A6%BF/news-details-267891
  6. বিধবা-ভাতা - সমাজসেবা অধিদফতর-গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার, https://dss.gov.bd/site/page/b7c725f3-ad58-4ca8-811d-236f052bb6b0/%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%A7%E0%A6%AC%E0%A6%BE-%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A6%A4%E0%A6%BE
  7. বয়স্ক-ভাতা - সমাজসেবা অধিদফতর-গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার, https://dss.gov.bd/site/page/7314930b-3f4b-4f90-9605-886c36ff423a/%E0%A6%AC%E0%A7%9F%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%95-%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A6%A4%E0%A6%BE
  8. ভারতের সাথে ছিটমহল বিনিময়ের পর বাংলাদেশের আয়তন ও মানচিত্রে কী পরিবর্তন হয়েছে? - Quora, https://bn.quora.com/%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%A4%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%B8%E0%A6%BE%E0%A6%A5%E0%A7%87-%E0%A6%9B%E0%A6%BF%E0%A6%9F%E0%A6%AE%E0%A6%B9%E0%A6%B2-1
  9. বঙ্গবন্ধু রেলওয়ে সেতু নির্মাণ প্রকল্পের পরিবেশগত প্রভাব নিরূপন প্ৰতিবেদন, https://railway.portal.gov.bd/sites/default/files/files/railway.portal.gov.bd/notices/a8b63f16_3034_43c3_a28d_c0069d28fb7b/EIA%20(Bangla%20Translation)%20-%20V-15.1.18%20(2).pdf
  10. ৩ মিনিটে ৪.৮ কিলোমিটারের যমুনা রেল সেতু পার, https://ekhon.tv/article/677bd7b3fdafba0cf62af4f3
  11. যমুনায় হচ্ছে চার লেনের রেল সেতু - Protidiner Sangbad, https://www.protidinersangbad.com/todays-newspaper/sangbad/4055/%E0%A6%AF%E0%A6%AE%E0%A7%81%E0%A6%A8%E0%A6%BE%E0%A7%9F-%E0%A6%B9%E0%A6%9A%E0%A7%8D%E0%A6%9B%E0%A7%87-%E0%A6%9A%E0%A6%BE%E0%A6%B0-%E0%A6%B2%E0%A7%87%E0%A6%A8%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%B0%E0%A7%87%E0%A6%B2-%E0%A6%B8%E0%A7%87%E0%A6%A4%E0%A7%81
  12. MRT Line-6 - ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল), https://dmtcl.gov.bd/site/page/2e752bbe-a0bf-4764-a4cc-fd6640db4cd6/-
  13. এক্সপ্রেসওয়ে-মেট্রোতে সরাসরি যুক্ত হচ্ছে তৃতীয় টার্মিনাল - Durbin News, https://durbin.news/%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%82%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B6%E0%A7%87%E0%A6%B0%20%E0%A6%89%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A8%E0%A6%AF%E0%A6%BC%E0%A6%A8%20%E0%A5%A4%20Bangladesh%20Development/2232
  14. ঢাকার পূর্বাচল ৩০০ ফিট সড়ক, কিভাবে যাবেন, কী দেখবেন - Grihotagi, https://grihotagi.com/blog/137
  15. বদলে যাবে ৩০০ ফুট সড়ক - প্রথম আলো, https://www.prothomalo.com/bangladesh/%E0%A6%AC%E0%A6%A6%E0%A6%B2%E0%A7%87-%E0%A6%AF%E0%A6%BE%E0%A6%AC%E0%A7%87-%E0%A7%A9%E0%A7%A6%E0%A7%A6-%E0%A6%AB%E0%A7%81%E0%A6%9F-%E0%A6%B8%E0%A7%9C%E0%A6%95
  16. কর্ণফুলী টানেল চট্টগ্রামকে 'ওয়ান সিটি টু টাউনসে' পরিণত করার পথ খুলে দেবে, https://www.bonikbarta.com/home/news_description/326190/%E0%A6%95%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%A3%E0%A6%AB%E0%A7%81%E0%A6%B2%E0%A7%80-%E0%A6%9F%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A7%87%E0%A6%B2-%E0%A6%9A%E0%A6%9F%E0%A7%8D%E0%A6%9F%E0%A6%97%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%AE%E0%A6%95%E0%A7%87-%E2%80%98%E0%A6%93%E0%A7%9F%E0%A6%BE%E0%A6%A8-%E0%A6%B8%E0%A6%BF%E0%A6%9F%E0%A6%BF-%E0%A6%9F%E0%A7%81-%E0%A6%9F%E0%A6%BE%E0%A6%89%E0%A6%A8%E0%A6%B8%E0%A7%87%E2%80%99-%E0%A6%AA%E0%A6%B0%E0%A6%BF%E0%A6%A3%E0%A6%A4-%E0%A6%95%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%B0-%E0%A6%AA%E0%A6%A5-%E0%A6%96%E0%A7%81%E0%A6%B2%E0%A7%87-%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%AC%E0%A7%87-
  17. কর্ণফুলী টানেলের সংযোগ সড়কে আসছে পরিবর্তন - Independent Television, https://www.itvbd.com/economy/179840/%E0%A6%95%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%A3%E0%A6%AB%E0%A7%81%E0%A6%B2%E0%A7%80-%E0%A6%9F%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A7%87%E0%A6%B2%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%B8%E0%A6%82%E0%A6%AF%E0%A7%8B%E0%A6%97-%E0%A6%B8%E0%A7%9C%E0%A6%95%E0%A7%87-%E0%A6%86%E0%A6%B8%E0%A6%9B%E0%A7%87-%E0%A6%AA%E0%A6%B0%E0%A6%BF%E0%A6%AC%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%A8
  18. বাংলাদেশের বিদ্যুৎ খাত অভাবনীয় সাফল্যের পনের বছর - Untitled, http://powerdivision.portal.gov.bd/sites/default/files/files/powerdivision.portal.gov.bd/page/a3406cd7_0715_42a4_81cc_ab2861b48659/%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%A6%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A7%81%E0%A7%8E%20%E0%A6%96%E0%A6%BE%E0%A6%A4%2C%20%E0%A6%85%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A6%AC%E0%A6%A8%E0%A7%80%E0%A7%9F%20%E0%A6%B8%E0%A6%BE%E0%A6%AB%E0%A6%B2%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A7%87%E0%A6%B0%20%E0%A6%AA%E0%A6%A8%E0%A7%87%E0%A6%B0%20%E0%A6%AC%E0%A6%9B%E0%A6%B0%208.6%20MB.pdf
  19. শতভাগ বিদ্যুতায়ন দেশের অর্থনীতির ভিতকে আরও শক্তিশালী করবে - Alokito Bangladesh, https://www.alokitobangladesh.com/print-edition/editorial/112193/%E0%A6%87%E0%A6%B2%E0%A6%BF%E0%A6%B6%20%E0%A6%A7%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A7%9F%20%E0%A6%A8%E0%A6%BF%E0%A6%B7%E0%A7%87%E0%A6%A7%E0%A6%BE%E0%A6%9C%E0%A7%8D%E0%A6%9E%E0%A6%BE%20%E0%A6%B6%E0%A7%87%E0%A6%B7%20%E0%A6%B9%E0%A6%9A%E0%A7%8D%E0%A6%9B%E0%A7%87%20%E0%A6%86%E0%A6%9C
  20. বাংলাদেশে বিদ্যুৎ উৎপাদন: চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনা - Bidyutseba.com, https://bidyutseba.com/%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%82%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B6%E0%A7%87-%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%A6%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A7%81%E0%A7%8E-%E0%A6%89%E0%A7%8E%E0%A6%AA%E0%A6%BE%E0%A6%A6%E0%A6%A8/
  21. রূপপুর পারমাণবিক কেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ পেতে আরও অপেক্ষা - প্রথম আলো, https://www.prothomalo.com/bangladesh/nxkdmj88q9
  22. রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র: সুবিধা ও ক্ষতি বিশ্লেষণ -রেজুয়ান আহম্মেদ - Janomot, https://www.janomot.com/news/62815
  23. রামপাল প্রজেক্ট - বিদ্যুৎ বিভাগ, https://powerdivision.gov.bd/site/page/040c1168-9bc5-416d-a8e3-7d44a40954b8/%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%AE%E0%A6%AA%E0%A6%BE%E0%A6%B2-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%9C%E0%A7%87%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%9F
  24. বর্তমান-প্রকল্প - কোল পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানী বাংলাদেশ লিমিটেড (সিপিজিসিবিএল)- - cpgcbl, https://cpgcbl.gov.bd/site/page/5aa213a7-eea4-4163-9417-d604a1a0f8fb/%E0%A6%AC%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%A8-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%95%E0%A6%B2%E0%A7%8D%E0%A6%AA
  25. রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের আয়ের প্রায় ৬৪ শতাংশই ক্যাপাসিটি চার্জ | বণিক বার্তা, https://bonikbarta.com/bangladesh/CTY5pGDeDeYGWiW9
  26. পায়রা বন্দর - উইকিপিডিয়া, https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AA%E0%A6%BE%E0%A6%AF%E0%A6%BC%E0%A6%B0%E0%A6%BE_%E0%A6%AC%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A6%E0%A6%B0
  27. পায়রা সমুদ্রবন্দরের অর্থনৈতিক সম্ভাবনা - Daily Bonik Barta ( বণিক বার্তা ), https://www.bonikbarta.com/editorial/D8pEeQUXNAp9H8CY
  28. এলডিসি উত্তরণ নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়ানো দেশের জন্য ক্ষতিকারক - দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য | CPD, https://cpd.org.bd/%E0%A6%8F%E0%A6%B2%E0%A6%A1%E0%A6%BF%E0%A6%B8%E0%A6%BF-%E0%A6%89%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%B0%E0%A6%A3/
  29. অগ্রযাত্রার দশ বছর (২০০৮-০৯ হতে ২০১৭-১৮), https://mof.portal.gov.bd/sites/default/files/files/mof.portal.gov.bd/page/8b8065c7_6df9_4c17_b576_2a5202c8f05a/part_1.pdf
  30. সংকটে মাথাপিছু আয় - কারেন্ট অ্যাফেয়ার্স / BCS Confidence, https://bcsconfidence.online/current-affairs/sngkte-mathapichu-ay
  31. বাংলাদেশের-বৈদেশিক-মুদ্রার-রিজার্ভ-৩১-বিলিয়ন-ডলার-ছাড়িয়েছে - বাংলাদেশ টেলিভিশন, https://btv.portal.gov.bd/site/news/2d148866-39f1-4913-9e28-0b68a6090d9a/%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%82%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B6%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%AC%E0%A7%88%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B6%E0%A6%BF%E0%A6%95-%E0%A6%AE%E0%A7%81%E0%A6%A6%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%B0-%E0%A6%B0%E0%A6%BF%E0%A6%9C%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%AD-%E0%A7%A9%E0%A7%A7-%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%B2%E0%A6%BF%E0%A7%9F%E0%A6%A8-%E0%A6%A1%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%B0-%E0%A6%9B%E0%A6%BE%E0%A7%9C%E0%A6%BF%E0%A7%9F%E0%A7%87%E0%A6%9B%E0%A7%87
  32. ২০২৪-২৫ অর্থবছরে রপ্তানি আয়ে প্রবৃদ্ধি ৮.৫৮ শতাংশ | জাতীয় | বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা (বাসস), https://www.bssnews.net/bangla/national/212526
  33. - শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনারের কার্যালয়, https://rrrc.gov.bd/site/page/b6b4b598-2d29-447b-b6ce-b844ca4470d2/-
  34. সামাজিক সুরক্ষায় ভাতা ও উপকারভোগীর সংখ্যা বাড়ছে | জাতীয় বাজেট ২০২৫-২০২৬ - BSS, https://www.bssnews.net/bangla/national-budget-2025-2026/205062
  35. গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার - মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়, https://mowca.portal.gov.bd/site/page/0da42466-a2a6-4fd6-b757-d1f59ebd9ccc
  36. বয়স্ক, বিধবা, প্রতিবন্ধী ও অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর ভাতা বাড়বে ৫০ থেকে ১৫০ টাকা | প্রথম আলো, https://www.prothomalo.com/business/economics/ppfghjig1i
  37. রমজানে বিনা মূল্যে ১০ কেজি করে চাল পাবে এক কোটি পরিবার - প্রথম আলো, https://www.prothomalo.com/bangladesh/4fmsvt52e9
  38. ঈদের আগে ১০ কেজি করে চাল পাবে হতদরিদ্র আড়াই লাখ পরিবার - দৈনিক আজাদী, https://dainikazadi.net/%E0%A6%88%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%86%E0%A6%97%E0%A7%87-%E0%A7%A7%E0%A7%A6-%E0%A6%95%E0%A7%87%E0%A6%9C%E0%A6%BF-%E0%A6%95%E0%A6%B0%E0%A7%87-%E0%A6%9A%E0%A6%BE%E0%A6%B2-%E0%A6%AA%E0%A6%BE/
  39. রমজানে বিনা মূল্যে ১০ কেজি করে চাল পাবে এক কোটি পরিবার - The Daily Ittefaq, https://www.ittefaq.com.bd/632326/%E0%A6%B0%E0%A6%AE%E0%A6%9C%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A7%87-%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%A8%E0%A6%BE%E0%A6%AE%E0%A7%82%E0%A6%B2%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A7%87-%E0%A7%A7%E0%A7%A6-%E0%A6%95%E0%A7%87%E0%A6%9C%E0%A6%BF-%E0%A6%95%E0%A6%B0%E0%A7%87-%E0%A6%9A%E0%A6%BE%E0%A6%B2-%E0%A6%AA%E0%A6%BE%E0%A6%AC%E0%A7%87-%E0%A6%8F%E0%A6%95-%E0%A6%95%E0%A7%8B%E0%A6%9F%E0%A6%BF
  40. একটি বাড়ি একটি খামার - ত্রিবেনী ইউনিয়ন, https://tribeniup.jhenaidah.gov.bd/bn/site/page/qkvB-%E0%A6%8F%E0%A6%95%E0%A6%9F%E0%A6%BF-%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%A1%E0%A6%BC%E0%A6%BF-%E0%A6%8F%E0%A6%95%E0%A6%9F%E0%A6%BF-%E0%A6%96%E0%A6%BE%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%B0
  41. - - আমার বাড়ি আমার খামার প্রকল্প-(একটি বাড়ি একটি খামার), https://ebek-rdcd.gov.bd/site/page/2f42cdf9-f493-4976-9443-09d40c240be4/-
  42. একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্প - আমুচিয়া ইউনিয়ন, https://amuchiaup.chittagong.gov.bd/bn/site/page/TQpP-%E0%A6%8F%E0%A6%95%E0%A6%9F%E0%A6%BF-%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%A1%E0%A6%BC%E0%A6%BF-%E0%A6%8F%E0%A6%95%E0%A6%9F%E0%A6%BF-%E0%A6%96%E0%A6%BE%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%B0-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%95%E0%A6%B2%E0%A7%8D%E0%A6%AA
  43. একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্প - উইকিপিডিয়া, https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%8F%E0%A6%95%E0%A6%9F%E0%A6%BF_%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%A1%E0%A6%BC%E0%A6%BF_%E0%A6%8F%E0%A6%95%E0%A6%9F%E0%A6%BF_%E0%A6%96%E0%A6%BE%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%B0_%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%95%E0%A6%B2%E0%A7%8D%E0%A6%AA
  44. প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের তথ্য অবমুক্তকরণ নীতিমালা-২০১৫ - Untitled, https://bangladesh.gov.bd/sites/default/files/files/bangladesh.gov.bd/policy/3fa93b95_4069_44f3_9aa1_af6ce8dab689/6.%20%E0%A6%A4%E0%A6%A5%E0%A7%8D%E0%A6%AF%20%E0%A6%85%E0%A6%AC%E0%A6%AE%E0%A7%81%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%95%E0%A6%B0%E0%A6%A3%20%E0%A6%A8%E0%A7%80%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A6%BE%20%E0%A7%A8%E0%A7%A6%E0%A7%A7%E0%A7%AB.pdf
  45. 8. প্রাথমিক স্তরে বিনামূল্যে পাঠ্যপুস্তক বিতরন নীতিমালা.pdf - বাংলাদেশ জাতীয় তথ্য বাতায়ন, https://bangladesh.gov.bd/sites/default/files/files/bangladesh.gov.bd/policy/d19e8f45_d9d4_470f_9f83_e8cf5f995b22/8.%20%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%A5%E0%A6%AE%E0%A6%BF%E0%A6%95%20%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%B0%E0%A7%87%20%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%A8%E0%A6%BE%E0%A6%AE%E0%A7%82%E0%A6%B2%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A7%87%20%E0%A6%AA%E0%A6%BE%E0%A6%A0%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%AA%E0%A7%81%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%95%20%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%A4%E0%A6%B0%E0%A6%A8%20%E0%A6%A8%E0%A7%80%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A6%BE.pdf
  46. কমিউনিটি ক্লিনিক স্বাস্থ্য সহায়তা ট্রাস্ট আইন, ২০১৮ - Laws of Bangladesh, http://bdlaws.minlaw.gov.bd/act-details-1267.html
  47. শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট, ঢাকায় রাজস্বখাতে অস্থায়ীভাবে সৃজনকৃত ৪৪ (চুয়াল্লিশ) টি শুন্য পদে নিয়োগের লক্ষ্যে বিগত ২০/০৫/২০২২ ইং তারিখে লিখিত পরীক্ষা এবং ১৮/০৬/২০২২ ইং তারিখে গৃহীত ব্যবহারিক পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে মৌখিক পরীক্, https://old.dghs.gov.bd/index.php/en/home/97-bengali/2013-06-17-10-33-51/5998-2022-06-19-11-35-11
  48. নারীর ক্ষমতায়ন প্রেক্ষিত বাংলাদেশ সানজিদা আমীন - তথ্য অধিদফতর (পিআইডি), https://pressinform.portal.gov.bd/sites/default/files/files/pressinform.portal.gov.bd/page/50aa82ee_7a92_4aa7_817b_bb323c098833/2024-06-23-08-50-a545d8096ce7ae438e677f9af5c0cf59.pdf
  49. কৃষিতে নারী: স্বীকৃতি এবং বাজেটে বরাদ্দ বাড়ানো জরুরি - SAMAKAL, https://samakal.com/special-ayojon/article/148905/%E0%A6%95%E0%A7%83%E0%A6%B7%E0%A6%BF%E0%A6%A4%E0%A7%87-%E0%A6%A8%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A7%80-%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%AC%E0%A7%80%E0%A6%95%E0%A7%83%E0%A6%A4%E0%A6%BF-%E0%A6%8F%E0%A6%AC%E0%A6%82-%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%9C%E0%A7%87%E0%A6%9F%E0%A7%87-%E0%A6%AC%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%A6%E0%A7%8D%E0%A6%A6-%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A7%9C%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A7%8B-%E0%A6%9C%E0%A6%B0%E0%A7%81%E0%A6%B0%E0%A6%BF
  50. স্যাটেলাইট বা কৃত্রিম উপগ্রহ কী: মনুষ্যবিহীন ১ টি অত্যাধুনিক ইলেকট্রনিক যন্ত্র যা ভূ- পৃষ্ঠ থেকে একটি নির্দিষ্ট উচ্চতায়, https://ssd.portal.gov.bd/sites/default/files/files/ssd.portal.gov.bd/page/c62badea_563c_4b6e_bcdf_6ba1af666779/Bangabandhu_Satellite.pdf
  51. ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টার | People's Republic of Bangladesh | গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার, https://bangladesh.gov.bd/site/page/0c7e9be3-db6b-4679-913b-0f347ab411ea/%E0%A6%87%E0%A6%89%E0%A6%A8%E0%A6%BF%E0%A7%9F%E0%A6%A8-%E0%A6%A1%E0%A6%BF%E0%A6%9C%E0%A6%BF%E0%A6%9F%E0%A6%BE%E0%A6%B2-%E0%A6%B8%E0%A7%87%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%9F%E0%A6%BE%E0%A6%B0
  52. ৫৬০ মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র। 560 Model Mosques and Islamic Cultural Centers., https://sqsf.org/560_Model_Mosques_and_Islamic_Cultural_Centers
  53. প্রতিটি জেলা ও উপজেলায় একটি করে ৫৬০টি মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র স্থাপন শীর্ষক - গণপূর্ত বিভাগ, কুষ্টিয়া, https://pwd.kushtia.gov.bd/bn/site/project/%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%9F%E0%A6%BF-%E0%A6%9C%E0%A7%87%E0%A6%B2%E0%A6%BE-%E0%A6%93-%E0%A6%89%E0%A6%AA%E0%A6%9C%E0%A7%87%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A7%9F-%E0%A6%8F%E0%A6%95%E0%A6%9F%E0%A6%BF-%E0%A6%95%E0%A6%B0%E0%A7%87-%E0%A7%AB%E0%A7%AC%E0%A7%A6%E0%A6%9F%E0%A6%BF-%E0%A6%AE%E0%A6%A1%E0%A7%87%E0%A6%B2-%E0%A6%AE%E0%A6%B8%E0%A6%9C%E0%A6%BF%E0%A6%A6-%E0%A6%93-%E0%A6%87%E0%A6%B8%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%AE%E0%A6%BF%E0%A6%95-%E0%A6%B8%E0%A6%BE%E0%A6%82%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%95%E0%A7%83%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%95-%E0%A6%95%E0%A7%87%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A6%E0%A7%8D%E0%A6%B0-%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%A5%E0%A6%BE%E0%A6%AA%E0%A6%A8-%E0%A6%B6%E0%A7%80%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%B7%E0%A6%95-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%95%E0%A6%B2%E0%A7%8D%E0%A6%AA%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%A8%E0%A6%BF%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%A3-%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%9C%E0%A5%A4
  54. কওমি সনদের স্বীকৃতি: মান বাস্তবায়নে ২২ সদস্যের কমিটি | মাদরাসা নিউজ - Dainikshiksha, https://www.dainikshiksha.com/%E0%A6%95%E0%A6%93%E0%A6%AE%E0%A6%BF-%E0%A6%B8%E0%A6%A8%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%AC%E0%A7%80%E0%A6%95%E0%A7%83%E0%A6%A4%E0%A6%BF-%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%A8-%E0%A6%AC/61692/

Afzal Hosen Mandal

Position: Lawyer at Afzal and Associates

Specializations: Civil Litigation, Criminal Defense, Property Law

Location: Narsingdi Judge Court, Bangladesh

Contact Information:

Follow Me:

Website & Blog: Afzal and Associates Official Website

GitHub: Afzal's GitHub Profile

About Afzal and Associates: Learn more about us

Contact Us: Contact Afzal and Associates

Comments

Popular posts from this blog

Comprehensive Guide on Media and Entertainment Law in Bangladesh

Comprehensive Guide on Media and Entertainment Law in Bangladesh Comprehensive Guide on Media and Entertainment Law in Bangladesh Introduction Overview of Media and Entertainment Law Definition and Scope Media and entertainment law encompasses a broad spectrum of legal issues related to the creation, production, distribution, and consumption of media and entertainment content. This includes various sectors such as film, television, music, publishing, digital media, and advertising. The scope of this law covers intellectual property rights, contracts, censorship, licensing, and regulatory compliance. It is essential for protecting the rights of creators, producers, and consumers, ensuring fair use, preventing unauthorized exploitation, and maintaining ethical standards in content creation and distribution. ...

Ahmedabad Satyagraha in Gujarat (1918)

Ahmedabad Satyagraha in Gujarat (1918) Introduction The Ahmedabad Satyagraha of 1918 marks a significant chapter in India's struggle for independence. It was a labor strike initiated by the mill workers in Ahmedabad, Gujarat, demanding an increase in wages. The strike was not just a protest against economic injustice, but it also symbolized the fight against oppressive colonial rule. The term 'Satyagraha' was coined by Mahatma Gandhi, which translates to 'insistence on truth' or 'soul force'. It was a method of non-violent resistance, and the Ahmedabad Satyagraha was one of the early instances where this method was employed in the Indian independence movement. The Satyagraha in Ahmedabad was a turning point as it marked the beginning of Gandhi's active involvement in Indian politics. It was here that Gandhi first introduced his methodology of peaceful resistance and negotiation as a means to achieve political and social change. The event holds histori...

অধ্যায় 2: বাংলায় ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসন

বাংলায় ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসন বাংলায় ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসন সুচিপত্র ভূমিকা পলাশীর যুদ্ধ (১৭৫৭) ব্রিটিশ শাসনের প্রাথমিক বছরগুলি (1757-1857) 1857 সালের বিদ্রোহ এবং এর প্রভাব প্রয়াত ঔপনিবেশিক সময়কাল (1858-1947) বঙ্গভঙ্গ (1905) ব্রিটিশ শাসনের অবসান এবং ভারত বিভাজন (1947) উপসংহার বাংলায় ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসন (1757-1947) পরিচয় বাংলায় ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসন 1757 থেকে 1947 সাল পর্যন্ত প্রায় দুই শতাব্দী বিস্তৃত ছিল। এই সময়কালে উল্লেখযোগ্য রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক এবং সামাজিক পরিবর্তন দেখা যায় যা এই অঞ্চলে স্থায়ী প্রভাব ফেলে। বাংলার ইতিহাসের জটিলতা এবং ঔপনিবেশিকতার বৃহত্তর প্রেক্ষাপটে এর স্থানকে উপলব্ধি করার জন্য এই ঐতিহাসিক যুগকে বোঝা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ৷ ...