বাংলাদেশে একটি প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানি কিভাবে গঠন করবেন
বাংলাদেশে একটি প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানী গঠনের জন্য বেশ কিছু পদক্ষেপ এবং রেজিস্ট্রার অফ জয়েন্ট স্টক কোম্পানিজ অ্যান্ড ফার্মস (RJSC) দ্বারা বাধ্যতামূলক নির্দিষ্ট পদ্ধতি মেনে চলতে হয়। নীচে প্রতিটি ধাপে একটি বিস্তারিত নির্দেশিকা রয়েছে:
ধাপ 1: নাম ছাড়পত্র
প্রাথমিক পদক্ষেপ হল কোম্পানির জন্য একটি উপযুক্ত নাম বেছে নেওয়া এবং RJSC থেকে নাম ছাড়পত্র নেওয়া। এই শংসাপত্রটি নিশ্চিত করে যে প্রস্তাবিত নাম উপলব্ধ এবং প্রবিধানের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ। প্রক্রিয়াটির মধ্যে অনলাইনে প্রয়োজনীয় তথ্য জমা দেওয়া, প্রয়োজনীয় ফি পরিশোধ করা এবং কয়েক দিনের মধ্যে ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট প্রাপ্তি জড়িত৷
ধাপ 2: সমিতির স্মারকলিপি
অ্যাসোসিয়েশনের মেমোরেন্ডামে কোম্পানির নাম, নিবন্ধিত অফিসের ঠিকানা, উদ্দেশ্য এবং ক্রিয়াকলাপের সুযোগের মতো প্রয়োজনীয় বিশদ বিবরণ রয়েছে। এটি একটি মৌলিক দলিল যা কোম্পানির পরিচয় এবং উদ্দেশ্যকে সংজ্ঞায়িত করে। ব্যবসার প্রকৃতির উপর নির্ভর করে, প্রাসঙ্গিক কর্তৃপক্ষের পূর্বানুমতি প্রয়োজন হতে পারে।
ধাপ 3: অ্যাসোসিয়েশনের নিবন্ধগুলি
অ্যাসোসিয়েশনের নিবন্ধগুলি কোম্পানির জন্য অভ্যন্তরীণ নিয়মপুস্তক হিসাবে কাজ করে, যেখানে শেয়ারহোল্ডার, পরিচালক এবং অফিসারদের ভূমিকা, দায়িত্ব এবং অধিকারের বিবরণ রয়েছে। এই নথিতে শেয়ার মূলধন, শেয়ার স্থানান্তর, বোর্ড মিটিং এবং বিলুপ্তির পদ্ধতির মতো বিষয়গুলিও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। আইনি প্রয়োজনীয়তার সাথে সম্মতি এবং নির্ধারিত ফরম্যাটের আনুগত্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
ধাপ 4: RJSC এর সাথে নিবন্ধন
একবার মেমোরেন্ডাম এবং আর্টিকেল অফ অ্যাসোসিয়েশন প্রস্তুত হয়ে গেলে, সেগুলি অবশ্যই অন্যান্য প্রয়োজনীয় নথি সহ RJSC-তে জমা দিতে হবে। এর মধ্যে রয়েছে পরিচালকদের বিবরণ, ব্যবস্থাপনা পরিচালক, চেয়ারম্যান, জাতীয় পরিচয়পত্র (NID), ট্যাক্স আইডেন্টিফিকেশন নম্বর (TIN), এবং শেয়ারহোল্ডারের ছবি। যাচাইকরণ এবং নির্ধারিত ফি প্রদানের পরে, কোম্পানি নিবন্ধিত হয়।
ধাপ 5: ইনকর্পোরেশন সার্টিফিকেট
সফল রেজিস্ট্রেশনের পর, RJSC কোম্পানির প্রতিষ্ঠাকে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি দিয়ে ইনকর্পোরেশন সার্টিফিকেট জারি করে। এই শংসাপত্রটি নিশ্চিত করে যে সমস্ত আইনি প্রয়োজনীয়তা পূরণ করা হয়েছে, এবং কোম্পানি এখন তার মালিকদের থেকে আলাদা একটি স্বতন্ত্র আইনি সত্তা৷
ধাপ 6: ট্যাক্স আইডেন্টিফিকেশন নম্বর (টিআইএন)
নিগমকরণের পরে, কোম্পানিকে অবশ্যই জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (NBR) থেকে ট্যাক্স আইডেন্টিফিকেশন নম্বর (TIN) এর জন্য আবেদন করতে হবে। এই সংখ্যাটি করের বাধ্যবাধকতা পূরণ এবং আর্থিক লেনদেন পরিচালনার জন্য অপরিহার্য। একবার আবেদন প্রক্রিয়া করা হলে, এনবিআর টিআইএন শংসাপত্র জারি করে।
ধাপ 7: ট্রেড লাইসেন্স
আইনগতভাবে কাজ করার জন্য, কোম্পানির সংশ্লিষ্ট সিটি কর্পোরেশন থেকে একটি ট্রেড লাইসেন্স প্রয়োজন। আবেদন প্রক্রিয়ার সাথে মেমোরেন্ডাম এবং আর্টিকেলস অফ অ্যাসোসিয়েশন, ফটো, টিআইএন, অফিস ভাড়া চুক্তি এবং এনআইডির মতো নথি জমা দেওয়া জড়িত। পর্যালোচনার পর, সিটি কর্পোরেশন ট্রেড লাইসেন্স প্রদান করে, সাধারণত কয়েক কার্যদিবসের মধ্যে।
ধাপ 8: একটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খোলা
অবশেষে, কোম্পানি তার অর্থ পরিচালনা করতে এবং ব্যবসায়িক লেনদেন পরিচালনা করতে একটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খুলতে পারে। নেম ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট, মেমোরেন্ডাম এবং আর্টিকেল অফ অ্যাসোসিয়েশন, কোম্পানির টিআইএন, ফটো, এনআইডি এবং ইনকর্পোরেশনের সার্টিফিকেট সহ প্রয়োজনীয় নথিগুলি অবশ্যই নির্বাচিত ব্যাঙ্কে জমা দিতে হবে৷ যাচাই করার পরে, ব্যাঙ্ক কোম্পানির জন্য একটি অস্থায়ী অ্যাকাউন্ট খোলে।
এই পদক্ষেপগুলি সাবধানতার সাথে অনুসরণ করে এবং আইনি প্রয়োজনীয়তা মেনে চলা নিশ্চিত করার মাধ্যমে, উদ্যোক্তারা বাংলাদেশে সফলভাবে একটি প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানি প্রতিষ্ঠা করতে পারে এবং তাদের ব্যবসায়িক প্রচেষ্টা শুরু করতে পারে।
Afzal Hosen Mandal - Legal Services
Profile and Work
Contact Information
Email: advafzalhosen@gmail.com, advafzalhosen@outlook.com
Phone: 01726634656
Comments