Skip to main content

রোহিঙ্গা সংকট: সমাধানের আহ্বান

রোহিঙ্গা সংকট: সমাধানের আহ্বান

রোহিঙ্গা সংকট: সমাধানের আহ্বান

28 জানুয়ারী, 2024-এ, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে একটি শক্তিশালী আবেদন করেছিলেন। তার সরকারী বাসভবন গণভবন থেকে কথা বলার সময়, তিনি রোহিঙ্গা সংকটের সমাধান খুঁজে বের করার জন্য বিশ্বের প্রতি আহ্বান জানান, যাতে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমারের নাগরিকদের তাদের স্বদেশে ফিরে যেতে এবং একটি শালীন জীবনযাপন করতে সক্ষম করে।

আন্তর্জাতিক আপিল

বীরেন্দ্র শর্মার নেতৃত্বে একটি ব্রিটিশ ক্রস-পার্টি সংসদীয় প্রতিনিধি দলের সাথে বৈঠকের সময় প্রধানমন্ত্রীর আবেদন করা হয়েছিল। প্রতিনিধি দলের অন্যান্য সদস্যদের মধ্যে ছিলেন পল স্কুলি, নিল কোয়েল এবং অ্যান্ড্রু ওয়েস্টার্ন। বার্তাটি স্পষ্ট ছিল: রোহিঙ্গা জনগণের দুর্ভোগ অবসানে বিশ্বকে অবশ্যই কাজ করতে হবে।

বাংলাদেশের উপর বোঝা

বাংলাদেশ, একটি ছোট দেশ, রোহিঙ্গা সংকটের ভারী বোঝা বহন করছে। ছয় বছর আগে বাংলাদেশে এসে অসহায় রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়া ছাড়া সরকারের আর কোনো উপায় ছিল না। তাদের মধ্যে প্রায় 40,000 গর্ভবতী মহিলা ছিলেন। সরকার এবং দেশের জনগণ তাদের খাদ্য ও আশ্রয় প্রদান করেছে, মানবিক নীতির প্রতি তাদের অঙ্গীকার প্রদর্শন করেছে।

বর্তমান পরিস্থিতি

রোহিঙ্গাদের আগমনের পর ছয় বছর অতিবাহিত হয়েছে, কিন্তু মিয়ানমার তাদের নাগরিকদের ফিরিয়ে নিতে সম্মত হওয়া সত্ত্বেও কোনো বাস্তব ও বাস্তব পদক্ষেপ নেয়নি। ফলে এসব বাস্তুচ্যুত ব্যক্তিরা বাংলাদেশের বিভিন্ন ক্যাম্পে অমানবিক জীবনযাপন করছে। সংঘাত, মানব পাচার, অস্ত্র ও মাদক চোরাচালান এবং অন্যান্য অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের কারণে বিভিন্ন গোষ্ঠীর মধ্যে রক্তপাত সহ শিবিরগুলি অপরাধের কেন্দ্রস্থলে পরিণত হয়েছে৷

বাংলাদেশ সরকারের প্রচেষ্টা

বাংলাদেশ সরকার রোহিঙ্গাদের জীবনযাত্রার উন্নতির জন্য প্রচেষ্টা চালিয়েছে। তারা ভাষানচর দ্বীপে রোহিঙ্গাদের জন্য উন্নত আবাসনের ব্যবস্থা করেছে, খাবার, চিকিৎসা সুবিধা, শিক্ষা ও কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করেছে। যাইহোক, রোহিঙ্গাদের মধ্যে উপ-গোষ্ঠীর কারণে, যখন একটি দল দ্বীপে যেতে চায়, অন্য দল বাধা সৃষ্টি করে।

গ্লোবাল ইভেন্টের প্রভাব

কোভিড-১৯ মহামারী এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে রোহিঙ্গাদের জন্য বৈদেশিক সহায়তার প্রবাহ দিন দিন কমছে। এই চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও, বাংলাদেশ 2017 সালে নৃশংস দমন-পীড়ন থেকে বাঁচতে মিয়ানমারে তাদের বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়ে আসা ১০ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিচ্ছে।

উপসংহার

রোহিঙ্গা সঙ্কট আন্তর্জাতিক সহযোগিতা ও পদক্ষেপের জরুরি প্রয়োজনের একটি স্পষ্ট অনুস্মারক। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আবেদন একটি সমাধান খোঁজার গুরুত্বের ওপর জোর দেয় যা রোহিঙ্গাদের তাদের স্বদেশে প্রত্যাবর্তন করতে সক্ষম করে, যেখানে তারা একটি শালীন জীবনযাপন করতে পারে। বিশ্বকে অবশ্যই এই আহ্বানে সাড়া দিতে হবে এবং রোহিঙ্গা জনগণের দুর্ভোগের অবসান ঘটাতে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।

Afzal and Associates

Afzal Hosen Mandal

Contact:

Email: advafzalhosen@gmail.com, advafzalhosen@outlook.com

Phone: 01726634656

Comments

Popular posts from this blog

How to Protect Your Intellectual Property Rights in Bangladesh

Banking Litigation and Dispute Resolution