পটভূমি
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর (এইচএসআইএ) বাংলাদেশের প্রধান বিমানবন্দর, যা দেশের দেশীয় এবং আন্তর্জাতিক উভয় বিমান ট্র্যাফিকের প্রায়% ০% পরিচালনা করে। বিমানবন্দরটি প্রাথমিকভাবে 1941 সালে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় অতিরিক্ত আকাশপথ হিসাবে নির্মিত হয়েছিল। ১৯৪ in সালে ভারত বিভাজন এবং পরবর্তীকালে পূর্ব পাকিস্তানের (বর্তমানে বাংলাদেশ) জন্মের পরে, তেজগাঁও বিমানবন্দরটিকে বাণিজ্যিক বিমানবন্দরে পরিণত করা হয়েছিল, তত্কালীন পূর্ব পাকিস্তানের প্রথম ধরণের।
সম্প্রসারণের প্রয়োজন
সাম্প্রতিক বছরগুলিতে বাংলাদেশের বিমান ট্র্যাফিক উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। 2019 সালে, বিমানবন্দরটি million মিলিয়নেরও বেশি যাত্রী পরিচালনা করেছে, যা প্রতি বছর সর্বোচ্চ 8 মিলিয়ন যাত্রীর সর্বোচ্চ ধারণের কাছাকাছি। বিমানবন্দরটি কার্গো পরিচালনার জন্য ক্রমবর্ধমান চাহিদা বজায় রাখতে লড়াই করে চলেছে। ২০১৫ সালে, বাংলাদেশ প্রায় ২0০ হাজার টন আন্তর্জাতিক ও স্থানীয় মালবাহী সমন্বয় পরিচালনা করেছিল, যা 600০০ হাজার টনে পৌঁছানোর সম্ভাবনা রয়েছে।
সম্প্রসারণ পরিকল্পনা
ক্ষমতার সীমাবদ্ধতাগুলি সমাধান করতে এবং বিমান ভ্রমণের ক্রমবর্ধমান চাহিদা মেটাতে বাংলাদেশি সরকার Dhaka আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর সম্প্রসারণ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে, যা একটি দ্বি-পর্যায়ের প্রকল্প। প্রকল্পের প্রথম পর্বে, যা বর্তমানে চলছে, তৃতীয় টার্মিনাল এবং অন্যান্য অবকাঠামো উন্নয়নমূলক কাজগুলি যেমন দুটি দ্রুত প্রস্থান ট্যাক্সিওয়ে এবং একটি প্রসারিত পার্কিং অ্যাপ্রোন নির্মাণ অন্তর্ভুক্ত। তৃতীয় টার্মিনালটি 2023 সালে শেষ হবে বলে আশা করা হচ্ছে এবং প্রতি বছর 20 মিলিয়ন যাত্রী পরিচালনা করার ক্ষমতা থাকবে।
সম্প্রসারণ পরিকল্পনার সুবিধা
এইচএসআই বিমানবন্দরের সম্প্রসারণের মধ্যে বেশ কয়েকটি সুবিধা থাকবে:
- যাত্রীবাহী হ্যান্ডলিং ক্ষমতা বৃদ্ধি: সম্প্রসারণ বিমানবন্দরের যাত্রীবাহী হ্যান্ডলিং ক্ষমতা দ্বিগুণ করবে প্রতি বছর 20 মিলিয়ন যাত্রী। এটি বিমানবন্দরে যানজট হ্রাস করতে এবং যাত্রীদের জন্য সংক্ষিপ্ত অপেক্ষার সময়গুলির দিকে পরিচালিত করতে সহায়তা করবে।
- উন্নত যাত্রীর অভিজ্ঞতা: নতুন টার্মিনাল যাত্রীদের আরও আধুনিক এবং আরামদায়ক ভ্রমণের অভিজ্ঞতা সরবরাহ করবে। টার্মিনালে 26 টি বোর্ডিং ব্রিজ, 16 কনভেয়ার বেল্ট, 115 চেক-ইন কাউন্টার (15 স্ব-পরিষেবা চেক-ইন কাউন্টার সহ), 66 প্রস্থান ইমিগ্রেশন কাউন্টার (10 টি স্বয়ংক্রিয় পাসপোর্ট কন্ট্রোল কাউন্টার সহ) এবং 59 সহ বেশ কয়েকটি সুযোগ-সুবিধা থাকবে আগমন ইমিগ্রেশন ডেস্ক (5 ই-গেট সহ)।
- কার্গো হ্যান্ডলিং ক্ষমতা বৃদ্ধি: সম্প্রসারণ বিমানবন্দরের কার্গো হ্যান্ডলিং ক্ষমতা প্রতি বছর 500 হাজার টন বাড়িয়ে তুলবে। এটি বাংলাদেশের ক্রমবর্ধমান রফতানি ও আমদানি বাণিজ্যকে সমর্থন করতে সহায়তা করবে।
- অর্থনৈতিক সুবিধা: বিমানবন্দরের সম্প্রসারণ কর্মসংস্থান তৈরি করে এবং নতুন ব্যবসা এবং বিনিয়োগকে আকর্ষণ করে দেশের অর্থনীতি বাড়িয়ে তুলবে বলে আশা করা হচ্ছে।
উপসংহার
Dhaka আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর সম্প্রসারণ প্রকল্প একটি বড় অবকাঠামো প্রকল্প যা বাংলাদেশে বিমান ভ্রমণ এবং কার্গো পরিচালনার ক্রমবর্ধমান চাহিদা মেটাতে সহায়তা করবে। সম্প্রসারণটি সামগ্রিকভাবে যাত্রী, বিমান সংস্থা এবং বাংলাদেশি অর্থনীতিতে উপকৃত হবে।
অতিরিক্ত সুবিধা
উপরে উল্লিখিত সুবিধাগুলি ছাড়াও, এইচএসআই বিমানবন্দরের সম্প্রসারণও আশা করা যায়:
- পর্যটন প্রচার করুন: প্রসারিত বিমানবন্দর পর্যটকদের পক্ষে বাংলাদেশ পরিদর্শন করা আরও সহজ করে তুলবে। এটি দেশের পর্যটন শিল্পকে বাড়াতে এবং বৈদেশিক মুদ্রা তৈরি করতে সহায়তা করবে।
- সংযোগ বাড়ান: প্রসারিত বিমানবন্দরটি অন্যান্য দেশের সাথে বাংলাদেশের সংযোগকে উন্নত করবে। এটি বাণিজ্য ও বিনিয়োগকে সহজতর করবে এবং অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিকে প্রচার করবে।
- চাকরি তৈরি করুন: সম্প্রসারণ প্রকল্পটি প্রত্যক্ষ এবং অপ্রত্যক্ষ উভয়ই হাজার হাজার কাজ তৈরি করবে বলে আশা করা হচ্ছে। এটি বেকারত্ব হ্রাস করতে এবং দেশের অর্থনীতি বাড়াতে সহায়তা করবে।
- Dhaka আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর সম্প্রসারণ প্রকল্পটি বাংলাদেশের ভবিষ্যতে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিনিয়োগ। এই সম্প্রসারণটি অর্থনীতির সমস্ত সেক্টরে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে এবং লক্ষ লক্ষ বাংলাদেশিদের জীবন উন্নত করবে বলে আশা করা হচ্ছে।
Comments