ঢাকা-কক্সবাজার রেলপথটি ২০২৩ সালের অক্টোবরে চালু হওয়ার পর থেকেই দেশের অর্থনীতিতে ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে শুরু করেছে। এই রেলপথটি দেশের দূরতম দুই স্থানকে নিকটবর্তী করেছে, যা পর্যটন শিল্পের বিকাশে সহায়ক হয়েছে। এছাড়াও, এই রেলপথটি কৃষি ও শিল্প পণ্য পরিবহনে খরচ কমিয়েছে এবং সময় বাঁচিয়েছে।
**পর্যটন শিল্পের বিকাশ**
কক্সবাজার বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত হিসেবে পরিচিত। প্রতি বছর লাখ লাখ দেশি-বিদেশী পর্যটক কক্সবাজারে ঘুরতে আসেন। ঢাকা থেকে কক্সবাজারে সরাসরি রেল যোগাযোগ চালু হওয়ার পর থেকে কক্সবাজারে পর্যটকদের আগমন বৃদ্ধি পেয়েছে। এছাড়াও, রেল যোগাযোগ চালু হওয়ার ফলে কক্সবাজারে পর্যটন ব্যবসায়ীরা নতুন নতুন বিনিয়োগ করছেন। ফলে, কক্সবাজারের পর্যটন শিল্প দ্রুত বিকাশ লাভ করছে।
**কৃষি ও শিল্প পণ্য পরিবহনে খরচ কমেছে এবং সময় বাঁচিয়েছে**
ঢাকা-কক্সবাজার রেলপথটি চালু হওয়ার আগে কৃষি ও শিল্প পণ্য ঢাকা থেকে কক্সবাজারে সড়ক পথে পরিবহন করা হত। সড়ক পথে পরিবহনে খরচ বেশি এবং সময়ও বেশি লাগত। কিন্তু রেলপথ চালু হওয়ার পর থেকে কৃষি ও শিল্প পণ্য রেলপথে পরিবহন করা হচ্ছে। ফলে, পরিবহন খরচ কমেছে এবং সময়ও বাঁচিয়েছে।
**অর্থনৈতিক প্রভাব**
ঢাকা-কক্সবাজার রেলপথটির অর্থনৈতিক প্রভাব অপরিসীম। এই রেলপথটি পর্যটন শিল্প, কৃষি ও শিল্প খাতের বিকাশে সহায়ক হয়েছে। এছাড়াও, এই রেলপথটি কর্মসংস্থান সৃষ্টি করেছে এবং দেশের জিডিপি বৃদ্ধিতে অবদান রাখছে।
একটি গবেষণায় দেখা গেছে, ঢাকা-কক্সবাজার রেলপথটির অর্থনৈতিক প্রভাব ২০২৪ সালে ১০,২৮৮ মিলিয়ন টাকা হবে এবং ২০৪৬ সালে তা বেড়ে ৮৮,৬৯৭ মিলিয়ন টাকা হবে। এছাড়াও, এই রেলপথটি ২০২৪ সালে ৪,৪৭২ মিলিয়ন টাকা পরিবহন খরচ কমিয়ে আনবে এবং ২০৪৬ সালে তা বেড়ে ১১,৮৬৬ মিলিয়ন টাকা হবে।
**উপসংহার**
ঢাকা-কক্সবাজার রেলপথটি দেশের অর্থনীতিতে ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে শুরু করেছে। এই রেলপথটি পর্যটন শিল্প, কৃষি ও শিল্প খাতের বিকাশে সহায়ক হয়েছে। এছাড়াও, এই রেলপথটি কর্মসংস্থান সৃষ্টি করেছে এবং দেশের জিডিপি বৃদ্ধিতে
Comments