Skip to main content

২৮ অক্টোবর ২০০৬: বিএনপি-জামায়াত সরকারের নৃশংস হামলা

২৮ অক্টোবর ২০০৬: বিএনপি-জামায়াত সরকারের নৃশংস হামলা

২৮ অক্টোবর ২০০৬: বিএনপি-জামায়াত সরকারের নৃশংস হামলা

প্রেক্ষাপট

২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত ক্ষমতাসীন বিএনপি-জামায়াত সরকার বিচারপতি কেএম হাসানকে পরবর্তী তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান করার নিমিত্তে বিচারকদের অবসরের বয়স বাড়িয়ে দেয়। উদ্দেশ্য ছিল ভোট কারচুপির মাধ্যমে ক্ষমতায় ফিরে আসা। আওয়ামী লীগ এতে আপত্তি জানায় এবং এর বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরু করে।

সেই অনুযায়ী, ২৮ অক্টোবর পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে ঢাকার পল্টন, জিরো পয়েন্ট, মুক্তাগাছা এলাকায় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা জড়ো হতে শুরু করেন।

অন্যদিকে, যুদ্ধাপরাধী আলী আহসান মোজাহিদের নেতৃত্বে জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্র শিবিরের সশস্ত্র ক্যাডাররা সশস্ত্র পুলিশের সহযোগিতায় বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের উত্তর গেটে অবস্থান নেয়।

সহিংসতা

কোন প্ররোচনা ছাড়াই বিএনপি ও জামায়াত ক্যাডাররা সশস্ত্র পুলিশের সহযোগিতায় আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দলের কর্মীদের উপর হামলা চালায়। এভাবেই শুরু হয় সেদিনের সহিংসতা।

জামায়াত শিবিরের সশস্ত্র ক্যাডারদের মাথায় পুলিশের হেলমেট এবং তাদের হাতে ঢাল ছিল। আওয়ামী লীগের উপর গুলি বর্ষণ করা হয়, কারণ জামায়াত শিবিরের সশস্ত্র উপস্থিতি সেদিন সাধারণ মুসলমানদের জাতীয় মসজিদ ব্যবহার করতে বাধা দেয়।

মন্তব্য

২৮ অক্টোবর ২০০৬ সালের ঘটনা বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে একটি কলঙ্কজনক অধ্যায়। বিএনপি-জামায়াত সরকারের এই নৃশংস হামলায় শহীদ হন আওয়ামী লীগ ও ১৪ দলের অনেক নেতাকর্মী। আহত হন শত শত মানুষ।

এই হামলায় বিএনপি-জামায়াত সরকারের অমানবিক এবং স্বৈরাচারী মনোভাবের প্রমাণ পাওয়া যায়। যে সরকারের দায়িত্ব ছিল জনগণকে নিরাপত্তা দেওয়া, সেই সরকারই নিজের নাগরিকদের উপর এত নৃশংস হামলা চালিয়েছিল।

এই ঘটনার সঠিক বিচারের দাবিতে আওয়ামী লীগ ও ১৪ দলের নেতাকর্মীরা দীর্ঘদিন আন্দোলন চালিয়েছেন। অবশেষে ২০১৪ সালে ক্ষমতায় এসে আওয়ামী লীগ সরকার এই ঘটনার বিচার শুরু করে। ২০১৮ সালে এই মামলায় বেশ কয়েকজন বিএনপি-জামায়াত নেতাকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়।

Copyright © 2023

Comments

Popular posts from this blog

How to Protect Your Intellectual Property Rights in Bangladesh

Banking Litigation and Dispute Resolution