Skip to main content

অনলাইনে বা স্যোসাল মিডিয়াতে হয়রানির শিকার হলে কোথায় অভিযোগ করবেন | How to complain against online harassment in Bangladesh



অনলাইনে বা স্যোসাল মিডিয়াতে হয়রানির শিকার হলে কোথায় অভিযোগ করবেন | How to complain against online harassment in Bangladesh


ফোর জি, ফাইব জি আর ওয়াইফাইএর এই যুগে প্রযুক্তি পণ্যের সহজলভ্যতার কারনে, ব্যাপক ভাবে বেড়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ব্যবহার। তথ্যের আদান প্রদান যেমন সহজতর হয়েছে তেমনি বৃদ্ধি পেয়েছে ব্যক্তিগত তথ্য ও ছবি/ভিডিও অপব্যবহার করে ব্লাকমেইলিংসহ নানান ধরনের হয়রানির পরিমাণ।কোন কোন ক্ষেত্রে ভিকটিম নিজেও জানছেন না অপরাধী তার তথ্য ও ছবি ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দিচ্ছে আবার অনেকেই সামাজিক লোক-লজ্জার ভয়ে প্রকাশ করেন না। যে কেউই হতে পারেন এ ধরণের সাইবার অপরাধের শিকার। 

কি ধরণের হয়রানি হয় অনলাইনে

ফেসবুক বা ই-মেইল অ্যাকাউন্ট হ্যাক হওয়া, ফেইক আইডি খুলে আপত্তিকর ছবি/ভিডিও শেয়ার, উগ্রধর্মীয়-সন্ত্রাসবাদী লেখা ও ছবি শেয়ার, অন্যকে ফাঁসানোর উদ্দেশ্যে বিকৃত তথ্য ও ছবি ব্যবহার, হুমকি দিয়ে টাকা আদায়, অনলাইনে প্রশ্নফাঁস ইত্যাদি।

কারা অনলাইনে হয়রানির শিকার হন





সাইবার অপরাধ এবং প্রযুক্তির নিরাপদ ব্যবহার নিয়ে মানুষকে সচেতন করার কাজে নিয়োজিত বেসরকারি প্রতিষ্ঠান সাইবার ক্রাইম অ্যাওয়ারনেস ফাউন্ডেশন দেশের সাইবার অপরাধ নিয়ে একটি গবেষণার প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। সেখান থেকে জানা যায়, শতকরা প্রায় ৫২ ভাগ অভিযোগই আসে নারীদের থেকে৷ সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন ১৮ থেকে ৩০ বছর বয়সী মেয়েরা। শতাংশের হিসাবে যা প্রায় ৭৪ শতাংশ।

অভিযোগ দায়েরের মাধ্যম

আপনি চার ভাবে অভিযোগ জানাতে পারেন-

ইমেইলে

প্রাথমিকভাবে অভিযোগ করতে পারেন আপনার নিকটস্থ থানায়।

অথবা ই-মেইলে অভিযোগ জানাতে পারেন cyberunit@dmp.gov.bd এই ঠিকানায়।

স্মার্টফোন এপ্লিকেশন ব্যবহার করে



যদি পরিচয় গোপন রেখে অভিযোগ করতে চান তাহলে ‘Google Play Store’ থেকে ডাউনলোড করুন ডিএমপির কাউন্টার টেরোরিজম এন্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিট এর ‘Hello CT’ অ্যাপ্লিকেশন (অ্যাপ)। এ অ্যাপ ব্যবহার করে পাঠাতে পারবেন আপনার ব্যক্তিগত তথ্য ও অভিযোগ। যা সম্পূর্ণ নিরাপদ ও অপ্রকাশিত থাকবে। এছাড়াও এটি একটি ইউসফুল এ্যাপস্‌, এই এপ্লিকেশন ব্যবহার করে আপনি পুলিশকে অন্যান্ন বিভিন্ন ধরণের অপরাধের তথ্য প্রদান করতে পারেন।

ফেসবুক পেজে

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ এর ফেসবুক পেজেও অভিযোগ জানাতে পারে


সরাসরি



সরাসরি কথা বলার প্রয়োজন হলে যোগাযোগ করতে পারেন পারেন ‘৩৬, শহীদ ক্যাপ্টেন মনসুর আলী স্মরণী, রমনা, ঢাকা’ ঠিকানার ডিএমপির কাউন্টার টেরোরিজম ডিভিশনের সাইবার ক্রাইম ইউনিট কার্যালয়ে। কথা বলতে পারেন দায়িত্বরত কর্মকর্তার সাথে।

কিভাবে অভিযোগ করবেন?

পুলিশের পরামর্শ অনুযায়ী এই ধরনের সাইবার ক্রাইমের ঘটনার শিকার হলে যত দ্রুত সম্ভব অভিযোগ জানানো উচিত। অভিযোগ করার ক্ষেত্রে আপনার অভিযোগের স্বপক্ষে কিছু তথ্য ও প্রমাণ সঙ্গে রাখা প্রয়োজন।

সাইবার ক্রাইমের ক্ষেত্রে প্রয়োজন সংশ্লিষ্ট আলামতের স্ক্রীনশট, লিংক, অডিও/ভিডিও ফাইল অথবা সংশ্লিষ্ট কাগজপত্র।

স্ত্রিনশট সংগ্রহের ক্ষেত্রে খেয়াল রাখতে হবে যেন এড্রেসবারের ইউআরএলটি দেখা যায়। এ ছাড়া পুলিশের ‘Hello CT’ অ্যাপ ও ই-মেইলের মাধ্যমে অভিযোগ জানাতে চাইলে এসব তথ্যপ্রমাণাদি এটাচ করে আপলোড করা যাবে।

সরাসরি দেখা করে অভিযোগ জানানোর ক্ষেত্রে সফটকপি দেওয়া যেতে পারে। পরামর্শ নেওয়া যেতে পারে সাইবার ক্রাইম ইউনিটের দায়িত্বরত কর্মকর্তাদের সঙ্গেও।


প্রতিরোধ আপনার হাতেই:

জেনে নিন এমন বিব্রতকর ঘটনা এড়িয়ে নিরাপদ থাকার কিছু কৌশল:

  • ১। অচেনা, অপরিচিত কারো ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট Accept করবেন না।

  • ২। ফেসবুকে নিজের ব্যক্তিগত তথ্য সবার জন্য উম্মুক্ত(Public) রাখবেন না।

  • ৩। আপনার ফেসবুক প্রোফাইলের প্রাইভেসি সেটিংস চেক করুন। অন্য কারো পোস্টে আপনাকে Tag করার অপশন উম্মুক্ত রাখবেন না।

  • ৪। প্ররোচিত হয়ে উস্কানিমূলক ছবি/ভিডিও শেয়ার করা থেকে বিরত থাকুন।

  • ৫। সন্দেহজনক কোন লিংকে ক্লিক করবেন না।

  • ৬। লগ-ইন আইডি ও পাসওয়ার্ড সংরক্ষণ করুন এবং কোন পাবলিক পিসি থেকে ব্যবহারের ক্ষেত্রে প্রতিবার ব্যবহার শেষে লগ-আউট করুন।

  • ৭। সন্দেহজনক কোন ইমেইল বা মেসেজ এর উত্তর প্রদান হতে বিরত থাকুন।

  • ৮। আপনার কোন পরিচিতজনের বিপদের কথা জানিয়ে ইমেইল অথবা মেসেজ আসলে আগে যাচাই করুন এবং যোগাযোগের ক্ষেত্রে সতর্ক থাকুন।

  • ৯। বিপুল পরিমাণ অর্থ লটারীতে জিতেছেন-এমন তথ্যসহকারে পাঠানো ইমেইল বা মেসেজ এর উত্তর প্রদান হতে বিরত থাকুন। এসকল তথ্যসম্বলিত মেইল অনুসন্ধানে ভুয়া বলে প্রমাণিত হয়েছে।

একজন সুনাগরিক হিসেবে আপনার সচেতনতা ও সহযোগিতা সাইবার অপরাধ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে এবং আপনিও বাঁচতে পারেন বিভিন্ন ধরণের হয়রানীর শিকার হওয়া থেকে।



Comments

Popular posts from this blog

Ahmedabad Satyagraha in Gujarat (1918)

Ahmedabad Satyagraha in Gujarat (1918) Introduction The Ahmedabad Satyagraha of 1918 marks a significant chapter in India's struggle for independence. It was a labor strike initiated by the mill workers in Ahmedabad, Gujarat, demanding an increase in wages. The strike was not just a protest against economic injustice, but it also symbolized the fight against oppressive colonial rule. The term 'Satyagraha' was coined by Mahatma Gandhi, which translates to 'insistence on truth' or 'soul force'. It was a method of non-violent resistance, and the Ahmedabad Satyagraha was one of the early instances where this method was employed in the Indian independence movement. The Satyagraha in Ahmedabad was a turning point as it marked the beginning of Gandhi's active involvement in Indian politics. It was here that Gandhi first introduced his methodology of peaceful resistance and negotiation as a means to achieve political and social change. The event holds histori...

অধ্যায় 2: বাংলায় ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসন

বাংলায় ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসন বাংলায় ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসন সুচিপত্র ভূমিকা পলাশীর যুদ্ধ (১৭৫৭) ব্রিটিশ শাসনের প্রাথমিক বছরগুলি (1757-1857) 1857 সালের বিদ্রোহ এবং এর প্রভাব প্রয়াত ঔপনিবেশিক সময়কাল (1858-1947) বঙ্গভঙ্গ (1905) ব্রিটিশ শাসনের অবসান এবং ভারত বিভাজন (1947) উপসংহার বাংলায় ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসন (1757-1947) পরিচয় বাংলায় ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসন 1757 থেকে 1947 সাল পর্যন্ত প্রায় দুই শতাব্দী বিস্তৃত ছিল। এই সময়কালে উল্লেখযোগ্য রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক এবং সামাজিক পরিবর্তন দেখা যায় যা এই অঞ্চলে স্থায়ী প্রভাব ফেলে। বাংলার ইতিহাসের জটিলতা এবং ঔপনিবেশিকতার বৃহত্তর প্রেক্ষাপটে এর স্থানকে উপলব্ধি করার জন্য এই ঐতিহাসিক যুগকে বোঝা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ৷ ...

ভাড়াটিয়া-ভাড়াদার আইনের জটিলতা পার হওয়া: ভাড়াটিয়াদের জন্য একটি গাইড

ভাড়াটিয়া-ভাড়াদার আইনের জটিলতা পার হওয়া: ভাড়াটিয়াদের জন্য একটি গাইড ভাড়াটিয়া-ভাড়াদার আইনের জটিলতা পার হওয়া: ভাড়াটিয়াদের জন্য একটি গাইড সূচিপত্র ভূমিকা অধ্যায় 1: ভাড়াটিয়া হিসেবে আপনার অধিকার ও দায়িত্ব বুঝুন অধ্যায় 2: বহিষ্করণ ও ভাড়াদারি শেষ অধ্যায় 3: ভাড়া ও নিরাপত্তা জমা অধ্যায় 4: রক্ষণাবেক্ষণ ও মেরামত অধ্যায় 5: আফজাল অ্যান্ড অ্যাসোসিয়েটস কীভাবে ভাড়াটিয়া পরামর্শ দিতে পারে উপসংহার অতিরিক্ত সংস্থান যোগাযোগের তথ্য ভূমিকা ভাড়াটিয়া-ভাড়াদার আইন বুঝতে ভাড়াটিয়াদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই সম্পূর্ণ গাইডের উদ্দেশ্য হচ্ছে ভাড়াটিয়াদের তাদের সম্পত্তি পরিচালনা করার জন্য প্রয়োজনীয় তথ্য প্রদান করা। আপনি একজন অভিজ্ঞ ভাড়াটিয়া হোক বা শুরু করছেন, এই নিবন্ধটি আপনাকে আপনার অধিকার ও দায়িত্ব, বহিষ্করণ প্রক্রিয়া, ভাড়া ও নিরাপত্তা জমা, রক্ষণাবেক্ষণ ও মেরামত, এবং আফজাল অ্যান্ড অ্যাসোসিয়েটস কীভাবে বিশেষজ্ঞ আইনি পরামর্শ দিতে পারে তা ব...