Skip to main content

One Person Company (OPC) বা একব্যক্তির কোম্পানি কি? সুবিধা/অসুবিধা, রেজিস্টেশনের নিয়ম, বিস্তারিত আলোচনা

One Person Company (OPC) বা একব্যক্তির কোম্পানি কি? সুবিধা/অসুবিধা, রেজিস্টেশনের নিয়ম, বিস্তারিত আলোচনা






আমরা সবাই জানি কোন প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানী গঠন করলে হলে নূন্যতম ২ জন এবং পাবলিক লিমিটেড কোম্পানীর ক্ষেত্রে নূন্যতম ৭ জন সদস্যের প্রয়োজন হয়, কিন্তু কোম্পানী সংশোধন আইন ২০২০ এ নতুন এক ধরনের কোম্পানী অর্থ্যাৎ একজন ব্যক্তিই একাই একটা কোম্পানী খুলতে পারবে সেই বিধান রাখা হয়েছে। এ ধরনের কোম্পানীকে ওয়ান-পারছোন কোম্পানী বা ওপিসি বলা হয়।


বিশ্বের অন্যান্য বিভিন্ন দেশে এক ব্যক্তি কোম্পানীর প্রচলন অনেক আগে থেকে থাকলেও বাংলাদেশের জন্য এটা একদমই নতুন সংযোজন। কোম্পানি আইন ১৯৯৪ এর ২য় সংশোধনী ২০২০ এ দশম-(ক) খন্ড যোগ করে অর্থ্যাৎ ধারা ৩৯২ এর উপধারা (ক) থেকে (ঠ), পর্যন্ত ওয়ান পারছোন কোম্পানী বা এক-ব্যক্তির কোম্পানি সম্পর্কে বলা হয়েছে।


এক ব্যক্তির কোম্পানির ক্ষেত্রে নামের শেষে লিখতে হবে ওপিসি /OPC (ONE PERSON COMPANY)


একজন প্রাকৃতিক স্বত্বাবিশিষ্ট ব্যক্তি কেবল একটি ওপিসি গঠন করতে পারবেন। কোম্পানি আইনে ওয়ান পারছোন কোম্পানীর ক্ষেত্রে একজনই শতভাগ শেয়ারের মালিক হবেন। তবে কোম্পানি স্মারকে তার একজন উত্তরাধিকারী বা মনোনীত ব্যক্তির নাম দিতে হবে। এক্ষেত্রে আরজেএসসির নিবন্ধককে জানিয়ে মনোনীত ব্যক্তি পরিবর্তন করার সুযোগ থাকবে।


কোম্পানির শেয়ারহোল্ডারের মৃত্যুর পর তিনি ওই কোম্পানির মালিক হবেন। শেয়ারহোল্ডারের মৃত্যুর আগেই মনোনীত ব্যক্তি মারা গেলে অন্য কোনো উত্তরাধিকার বা মনোনীত ব্যক্তি নির্ধারণ করা যাবে।


এই কোম্পানীর পরিচালনা পর্ষদের সদস্যও হবেন সম্পূর্ণ শেয়ারের মালিক একজন মাত্র ব্যক্তি। এক ব্যক্তি কোম্পানীর ব্যবস্থাপনার জন্য ব্যবস্থাপক, কোম্পানী সচিব এবং অন্যান্য কর্মচারী নিয়োগ করা যাবে। এক ব্যক্তি কোম্পানীর পরিচালক প্রতি ৬ মাসে নূন্যতম একটি বোর্ড মিটিং কল করবে।


ওপিসি গঠন করতে গেলে- সর্বোনিন্ম পেইড-আপ শেয়ার ক্যাপিটাল হবে ২৫ লাখ টাকা, এবং সর্বোচ্চ পেইড আপ ক্যাপিটাল হবে ৫ কোটি টাকা। এবং পূর্ববর্তী অর্থ বছরে এ্যনুয়াল টার্ণ-ওভারের পরিমান নূন্যতম ১ কোটি এবং সর্বোচ্চ ৫০ কোটি টাকার মধ্যে থাকতে হবে।


যদি ব্যবসা করতে করতে ওয়ান পারছোন কোম্পানীর পেইড আপ শেয়ার ক্যাপিটাল ৫ কোটি টাকার বেশি হয় অথবা এ্যানুয়াল টার্ণ-ওভারের পরিমান ৫০ কোটি টাকার বেশি হয় তাহলে প্রয়োজনীয় শর্ত-পূরণ সাপেক্ষে উক্ত ওয়ান পারছোন কোম্পানিকে প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানি বা পাবলিক লিমিটেড কোম্পানিতে কনভার্ট করা যাবে।


ওয়ান পারছোন কোম্পানী গঠনের আবেদনের জন্য কি কি ডকুমেন্টস্‌ দরকার হয়ঃ

  • ১। জাতীয় পরিচয় পত্র
  • ২। মোবাইল নম্বর
  • ৩। আবেদন কারির ছবি
  • ৪। ইমেইল এড্রেস
  • ৫। আবেদনকারীর টিন সার্টিফিকেটের কপি ইত্যাদি



ওপিসি শুরু করার জন্য আগে থেকে ট্রেড লাইসেন্স করার দরকার হয় না। কোম্পানি খোলার পর সেই কোম্পানির নামে ট্রেড লাইসেন্স এর আবেদন করতে হয়।


এক ব্যক্তি কোম্পানীর সকল শেয়ার কেবল একজন প্রাকৃতিক সত্ত্বাবিশিষ্ট ব্যক্তির নিকট হস্তান্তর করা যাইবে এবং শেয়ার হস্তান্তরের ক্ষেত্রে ধারা ৩৮ এর বিধানাবলি, প্রয়োজনীয় অভিযোজন সহকারে, প্রযোজ্য হইবে।







একব্যক্তি কোম্পানির সুবিধাঃ
So what are the benefits of One Person Company. What are the advantages-


  • · The biggest advantage is that you can keep all the money or profit to yourself. You don’t need to split it with anyone else like a PLC.


  • · Another advantage is that you are the sole decision maker of your company…. যে কোন বিষয়ে যে কোন সিদ্ধান্ত নিজেই নিতে পারবেন।


  • · এবং it’ll accelerate the process, এখানো যেহেতু বোর্ড মেম্বার একজন সেহেতু অন্য কারো এপ্রুভালের জন্য ওয়েট করতে হয় না। অপরদিকে প্রাইভেট বা পাবলিক লিমিটেড কোম্পানিতে যেমন কোন ডিসিশন নিতে গেলে বোর্ড মেম্বারদের অধিকারংশে বা ২/৩ মেজরিটির ঐক্যমত্য দরকার হয়।


  • · ব্যবসায়ের প্রাইভেসি খুব ভালো ভাবে রক্ষিত হয়।


  • · একটা একমালিকানা ব্যবসায়ের ক্ষেত্রে যেমন মালিকের দায় অসীম, কিন্তু এক-ব্যক্তি কোম্পানি বা ওপিসির ক্ষেত্রে শেয়ার হোল্ডারের দায় সীমিত।


  • · ওয়াইন্ডিং-আপ এর ক্ষেত্রে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়া যায়।


একব্যক্তি কোম্পানির অসুবিধাঃ


  • · একজন ব্যক্তি কেবল মাত্র একটি ওপিসি খুলতে পারবেন।


  • · একজন মাত্র ব্যক্তি হওয়ার কারনে ব্যবসায়ীক সম্পদের সাথে ব্যক্তিগত সম্পদ বা দায়বদ্ধতা মিলিয়ে ফেলার একটা সম্ভাবনা দেখা দিতে পারে।

  • · এছাড়া এই সংশোধিত আইনের বিধিমালা এখনো আসে নাই, এখানে অনেক বিষয়ের স্পষ্টতার দরকার রয়েছে, এক ব্যক্তি কোম্পানির শেয়ার হোল্ডারের ট্যাক্সেশন কি ভাবে হবে। তার কি ব্যক্তিগত আয়ের উপর ট্যাক্স আরোপ করা হবে, নাকি কোম্পানির আয়ের উপর করর্পোরেট ট্যাক্স আরোপ করা হবে, নাকি ডাবল ট্যাক্সেশন হবে ইত্যাদি বিষয় গুলো আশাকরি বিধিমালা প্রকাশিত হলে জানা যাবে।




তো বন্ধুরা এই ছিল মোটা-মুটি আজকের সংক্ষিপ্ত আর্টিকেল। আশাকরি আপনারা ওয়ান পারছোন কোম্পানি সম্পর্কে একটা ধারণা পেয়েছেন। এর রেজিষ্টেশন প্রক্রিয়া প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানির মতই। In the following video… I’ll try to discuss about the distinctions between a sole proprietorship concern and a company… আই মিন এক-মালিকানা ব্যবসা এবং কোম্পানির মধ্যে পার্থ্যক্য, একটা কোম্পানি গঠন করার সুবিধা ইত্যাদি সম্পর্কে। আপনাদের কারো কোম্পানি নিবন্ধনের ব্যপারে হেল্প লাগলে…. 

Comments

Popular posts from this blog

Ahmedabad Satyagraha in Gujarat (1918)

Ahmedabad Satyagraha in Gujarat (1918) Introduction The Ahmedabad Satyagraha of 1918 marks a significant chapter in India's struggle for independence. It was a labor strike initiated by the mill workers in Ahmedabad, Gujarat, demanding an increase in wages. The strike was not just a protest against economic injustice, but it also symbolized the fight against oppressive colonial rule. The term 'Satyagraha' was coined by Mahatma Gandhi, which translates to 'insistence on truth' or 'soul force'. It was a method of non-violent resistance, and the Ahmedabad Satyagraha was one of the early instances where this method was employed in the Indian independence movement. The Satyagraha in Ahmedabad was a turning point as it marked the beginning of Gandhi's active involvement in Indian politics. It was here that Gandhi first introduced his methodology of peaceful resistance and negotiation as a means to achieve political and social change. The event holds histori...

অধ্যায় 2: বাংলায় ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসন

বাংলায় ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসন বাংলায় ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসন সুচিপত্র ভূমিকা পলাশীর যুদ্ধ (১৭৫৭) ব্রিটিশ শাসনের প্রাথমিক বছরগুলি (1757-1857) 1857 সালের বিদ্রোহ এবং এর প্রভাব প্রয়াত ঔপনিবেশিক সময়কাল (1858-1947) বঙ্গভঙ্গ (1905) ব্রিটিশ শাসনের অবসান এবং ভারত বিভাজন (1947) উপসংহার বাংলায় ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসন (1757-1947) পরিচয় বাংলায় ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসন 1757 থেকে 1947 সাল পর্যন্ত প্রায় দুই শতাব্দী বিস্তৃত ছিল। এই সময়কালে উল্লেখযোগ্য রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক এবং সামাজিক পরিবর্তন দেখা যায় যা এই অঞ্চলে স্থায়ী প্রভাব ফেলে। বাংলার ইতিহাসের জটিলতা এবং ঔপনিবেশিকতার বৃহত্তর প্রেক্ষাপটে এর স্থানকে উপলব্ধি করার জন্য এই ঐতিহাসিক যুগকে বোঝা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ৷ ...

ভাড়াটিয়া-ভাড়াদার আইনের জটিলতা পার হওয়া: ভাড়াটিয়াদের জন্য একটি গাইড

ভাড়াটিয়া-ভাড়াদার আইনের জটিলতা পার হওয়া: ভাড়াটিয়াদের জন্য একটি গাইড ভাড়াটিয়া-ভাড়াদার আইনের জটিলতা পার হওয়া: ভাড়াটিয়াদের জন্য একটি গাইড সূচিপত্র ভূমিকা অধ্যায় 1: ভাড়াটিয়া হিসেবে আপনার অধিকার ও দায়িত্ব বুঝুন অধ্যায় 2: বহিষ্করণ ও ভাড়াদারি শেষ অধ্যায় 3: ভাড়া ও নিরাপত্তা জমা অধ্যায় 4: রক্ষণাবেক্ষণ ও মেরামত অধ্যায় 5: আফজাল অ্যান্ড অ্যাসোসিয়েটস কীভাবে ভাড়াটিয়া পরামর্শ দিতে পারে উপসংহার অতিরিক্ত সংস্থান যোগাযোগের তথ্য ভূমিকা ভাড়াটিয়া-ভাড়াদার আইন বুঝতে ভাড়াটিয়াদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই সম্পূর্ণ গাইডের উদ্দেশ্য হচ্ছে ভাড়াটিয়াদের তাদের সম্পত্তি পরিচালনা করার জন্য প্রয়োজনীয় তথ্য প্রদান করা। আপনি একজন অভিজ্ঞ ভাড়াটিয়া হোক বা শুরু করছেন, এই নিবন্ধটি আপনাকে আপনার অধিকার ও দায়িত্ব, বহিষ্করণ প্রক্রিয়া, ভাড়া ও নিরাপত্তা জমা, রক্ষণাবেক্ষণ ও মেরামত, এবং আফজাল অ্যান্ড অ্যাসোসিয়েটস কীভাবে বিশেষজ্ঞ আইনি পরামর্শ দিতে পারে তা ব...