How to get travel agency license in BD online | ট্রাভেল এজেন্সির লাইসেন্স করার নিয়ম

How to get travel agency license in BD online | ট্রাভেল এজেন্সির লাইসেন্স করার নিয়ম



 ভ্রমণ মানুষের অন্যতম প্রধান একটি শখ, কর্মব্যস্ত জীবনে একটু অবসর পেলেই মানুষ ছুটে যেতে চায় নতুন কোন জায়গায় একটু এ্যডভেঞ্চার কিংবা প্রশান্তির খোজে। ঘোরাঘুরি যদি আপনার প্যাশন হয়ে থাকে এবং অল্পপূজিতে কোন লাভ জনক ব্যবসা করার চিন্তা থাকে, তাহলে আপনিও শুরু করতে পারেন ট্রাভেল এজেন্সির ব্যবসা।


বাংলাদেশ কোন ব্যক্তি ট্রাভেল, ট্যুরিজম এর ব্যবসা করতে চাইলে তাকে অবশ্যই ট্রাভেল এজেন্সির মালিক হতে হবে এবং এই এজেন্সিটির নিবন্ধন করতে হবে-

ট্রাভেল এজেন্সি নিবন্ধন এবং পরিচালনা সংক্রান্ত বিদ্যমান আইন হল-

বাংলাদেশ ট্রাভেল এজেন্সি (নিবন্ধন ও নিয়ন্ত্রণ) আইন, ২০১৩ এবং বাংলাদেশ ট্রাভেল এজেন্সি (নিবন্ধন ও নিয়ন্ত্রণ) বিধিমালা ২০১৪।

ট্রাভেল এজেন্সির সনদ প্রাপ্তির যোগ্যতাঃ

কোন ব্যক্তি ট্রাভেল এজেন্ট হিসাবে নিবন্ধন সনদ পেতে চাইলে তাকে-

  • · অবশ্যই বাংলাদেশের নাগরিক হতে হবে
  • · প্রাপ্ত বয়স্ক হতে হবে
  • · সুস্থ মস্তিষ্কের হতে হবে
  • · কোন আদালত কর্তৃক দেউলিয়া ঘোষিত না হওয়া।
  • · সে যদি রাষ্ট্রদ্রোহিতা বা নৈতিক স্খলনজনিত কোন অপরাধে দণ্ডিত হয়ে থাকে তাহলে দণ্ড ভোগের পর ২ (দুই) বৎসর সময় অতিবাহিত হতে হবে।  

বাংলাদেশে যে কোন ধরনের ব্যাবসা শুরু করার পূর্বে প্রাথমিক পদক্ষেপ হিসাবে কিছু কাজ করতে হয়, যেমন-

১। প্রথমে আপনার একটি ব্যবসায়িক ঠিকানা দরকার, অর্থাৎ যেখানে আপনার অফিস হবে; এর জন্য আপনি আপনার নিজেস্ব কোন ভবনে অথবা সুবিধামত কোন জায়গায় অফিস ভাড়া নিতে পারেন।

২। ব্যাবসা পরিচালনার জন্য আপনার প্রতিষ্ঠান যেই এলাকায় অবস্থিত সেই এলাকার ইউনিয়ন পরিষধ বা সিটি কর্পোরেশন থেকে ট্রেড লাইসেন্স সংগ্রহ করতে হবে।

৩। ট্যাক্স আইডেন্টিফিকেশন নম্বর বা TIN সার্টিফিকেট সংগ্রহ করতে হবে।

নিবন্ধন সনদের আবেদনঃ

এই তিনটি কাজ করার পর এবার আপনার ট্রাভেল এজেন্সির নিবন্ধনের জন্য বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান পরিবহণ ও পর্যটন মন্ত্রনালয় অর্থাৎ সিভিল এভিয়েসন এ আবেদন করতে হবে।

আবেদনের জন্য যে সকল কাগজপত্র জমা দিতে হবে তা হলঃ- 

  • · ট্রেড লাইসেন্স এর সত্যায়িত ফটোকপি

  • · TIN certificate বা Tax identification certificate এর সত্যায়িত ফটোকপি

  • · ব্যবসায়িক ঠিকানা (অফিস ভাড়া নেওয়ার চুক্তির ফটোকপি)

  • · কোম্পানি হইলে, মেমোরেন্ডাম অফ এসোসিয়েশন, আর্টিকেলস অফ এসোসিয়েশন, এবং সার্টিফিকেট অফ ইনকর্পোরেশনের সত্যায়িত অনুলিপি, এবং;
  • · ভ্রমণের সাথে সংশ্লিষ্ট পরিবহন, আবাসন ও অনুরূপ অন্যান্য সুবিধা প্রদানের ক্ষেত্রে কোন ব্যক্তির নিকট হইতে অতিরিক্ত অর্থ গ্রহণ করিবেন না বা তাহাকে মিথ্যা প্রলোভন দেখাইবেন না বা তাহার সাথে কোন প্রতারণার আশ্রয় গ্রহণ করা হইবে না মর্মে হলফনামা প্রদান করতে হবে।
  • · আবেদন ফি হিসাবে পাঁচ হাজার (৫,০০০) টাকা [pause] সরকার নির্ধারিত কোডে ট্রেজারি চালানের মাধ্যমে জমা দিয়ে হবে এবং ঐ চালানের মূল কপি।
  • · ট্রাভেল এজেন্সি ব্যবসা পরিচালনার প্রাথমিক মূলধন হিসাবে কোন তফসিলি ব্যাংকে ১০ লক্ষ টাকা স্থিতির ব্যাংক সার্টিফিকেট।

আবেদন প্রকৃয়াঃ ট্রাভেল এজেন্সি নিবন্ধনের আবেদন শুধুমাত্র অনলাইনে জমা দেওয়া যায়। ট্রাভেল এজেন্সি ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম নামে একটি ওয়েব এপ্লিকেশন ব্যাবহার করে মূলত এই কাজটি করা হয়।

আবেদন জমা দেওয়ার জন্য আমি যেই সকল কাগজ পত্রের কথা বললাম তার সবগুলো স্ক্যান করে রাখুন এর পর https://www.regtravelagency.gov.bd এই ওয়েব এড্রেস এ প্রবেশ করে সাইন আপ করে একটি একাউন্ট খুলে ফেলুন এবার নির্ধারিত ফর্ম ফিল-আপ করুন এবং এটাচমেন্টে স্ক্যান করে রাখা ফাইল গুলো আপলোড করে দিন এবং সব কিছু পুনরায় চেক করে সাবমিট করুন, ব্যাস হয়ে গেল আপনার এপ্লিকেশন জমা দেওয়া।

নিবন্ধন কর্তৃপক্ষ অর্থাৎ বাংলাদেশ সিভিল এভিয়েশন উপরে উল্লেখিত সকল কাগজ পত্র পাবার পর ১৫ (পনের) দিনের মধ্যে তা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করবেন এবং আরো কোন ইনফরমেশন বা ডকুমেন্টস্‌ প্রয়োজন হলে চাইতে পারেন।

নিবন্ধন সনদ ইস্যুঃ

আবেদনের সাথে সংযুক্ত কাগজ পত্র যাচাই বাচাই করে এর সত্যতা/ভ্যালিডিটি সম্পর্কে নিশ্চিত হলে তা আবেদন কারীকে জানাবেন। এর পর নির্ধারিত কোডে ট্রেজারি চালানের মাধ্যমে ১৫ দিনের ভেতর ৫০ (পঞ্চাশ) হাজার টাকা নিবন্ধন সনদ ফি জমা দিতে বলবেন এবং এর মূল কপি নিবন্ধন কর্তৃপক্ষের নিকট দাখিল করতে বলবেন।

নিবন্ধন কর্তৃপক্ষ কোন কারনে নিবন্ধন সনদের আবেদন না মঞ্জুর করলেও কারণ সহ তা আবেদন কারীকে ১৫ দিনের মধ্যে জানাবেন।

নিবন্ধন সনদের মেয়াদ ও নবায়নঃ

নিবন্ধন সনদ ফি এর টাকা পাওয়ার ১৫ দিনের মধ্যে নিবন্ধন কর্তৃপক্ষ আবেদন কারির অনুকূলে নিবন্ধন সনদ ইস্যু করবেন। এই সনদের মেয়াদ তিন (৩) বছর এবং এটা নবায়ন যোগ্য।

লাইসেন্স নবায়নঃ

মেয়াদ শেষ হওয়ার কমপক্ষে ৬০ দিন পূর্বে সনদ নবায়নের জন্য আবেদন করতে হবে। নবায়ন ফি ২৫,০০০ (পঁচিশ হাজার) টাকা এবং একবার নবায়ন করলে পুনরায় ৩ (তিন) বছর মেয়াদ পাওয়া যায়।

কোন কারনে নিবন্ধন কর্তৃপক্ষের ইস্যুকৃত লাইসেন্স হারিয়ে গেলে যুক্তি সংগত কারণ ও প্রমাণ দাখিল করে ৫,০০০ (পাঁচ হাজার) টাকা জমা দিয়ে ডুপ্লিকেট লাইসেন্স সংগ্রহ করা যাবে।

প্রত্যেকটি ট্রাভেল এজেন্সিকে তার অফিসে সনদ প্রদর্শন করতে হবে। সরকার যে কোন সময় কোন ট্রাভেল এজেন্সির নিকট কোন তথ্য চাইলে, তা সরকারকে অবশ্যই প্রদান করতে হবে।

ট্রাভেল এজেন্সির লাইসেন্স পাওয়ার পর আপনি বৈধ ভাবে একজন ট্রাভেল এজেন্ট হিসাবে ব্যবসা পরিচালনা শুরু করতে পারেন।

তবে প্রত্যকেটা পেশাজীবীদের বা ব্যবসায়ীদের কিছু সংগঠন থাকে, ঠিক তেমন ভাবে ট্রাভেল এজেন্সি ব্যাবসায়ি হিসাবে আপনি আটাব বা Association of Travel Agents Bangladesh; (টোয়াব) Tour operators association of Bangladesh এবং (আয়াটা) International Air Transport Association এর মেম্বারশিপ নিতে পারেন, যার ফলে আপানার ব্যবসা পরিচালনা অনেকে সহজ ও সাচ্ছন্দময় হবে।

তো বন্ধুরা আপনারা প্রথমিক ভাবে মোটামুটি ১ থেকে ২ লক্ষ টাকা বিনিয়োগ করে ছোট পরিসরে একটা ট্রাভেল এজেন্সির ব্যাবসা শুরু করতে পারেন। কাজ শেখার জন্য আটাব থেকে বিভিন্ন ধরনের ট্রেইনিং কোর্স করতে পারেন অথবা কোন ট্রাভেল এজেন্সিতে কয়েক মাস চাকুরী করতে পারেন।  

দেখা হবে পরবর্তী post এ, till then You take care….. Ta ta !







Comments

Popular posts from this blog

ভাড়াটিয়া-ভাড়াদার আইনের জটিলতা পার হওয়া: ভাড়াটিয়াদের জন্য একটি গাইড

একটি ভিত্তিহীন গুজব উড়িয়ে দেওয়া: বাংলাদেশী সাংবাদিকদের ফ্রেঞ্চ ভিসা প্রত্যাখ্যান করা হয়নি৷

অধ্যায় 2: বাংলায় ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসন