বাংলাদেশের গ্রামীণ দোকানীরা সন্ধার পর সুই বিক্রি করে না- মজার বিষয়

গ্রামীণ দোকানীরা সন্ধার পর সুই বিক্রি করে না- সত্যিই বিষয়টা ইন্টারেস্টিং। তবে এ ব্যপারে দোকানদারদের জিজ্ঞেস করে প্রত্যকেবার একই উত্তর পেয়েছি- রাতে সুই বিক্রি করতে হয় না! কেউ কেউ বলেছেন সুই বাকীও দিতে হয় না! কেউ জানে না কেন বিক্রি করতে হয় না, কেন বাকী দিতে হয় না, মজার না বিষয়টা?
রাতে সুই বিক্রি না করাটা এক প্রকার কুসংস্কার। তবে কুসংস্কারের পিছনেও যুক্তি বা কারন থাকে। সেই যুক্তি বা কারন যদিও জোরালো নয় তবুও তার অস্তিত্ব ছিল একটা সময়, যা আমরা হারিয়ে ফেলেছি।
কেন দোকানীরা সন্ধার পরে সুই বিক্রি করে না -সে বিষয়ে আমার একটা নিজস্ব ব্যাখ্যা আছে।
গ্রামীণ এলাকায় কিছুদিন আগেও বিদ্যুৎ ছিল না। সেই সময়ে অধিকাংশ দোকানী হারিকেন অথবা কুপি জ্বালিয়ে রাতে দোকানদারি করতো। দোকান ঘরগুলোও সাধারণত কাচা আর কিছুটা অগোছালো হতো। এরকম একটা দোকানে সুই যদি একবার হাত থেকে পরে যায় তাহলে খুজে পেতে জান বেড়িয়ে যাবে। আর সত্যি সত্যি যদি সুই খুজে পাওয়া না যায় তাহলে আহত হওয়ার সম্ভাবনাকে উড়িয়ে দেয়া যায় না। তাই বুদ্ধিমান কোন এক দোকানী এই অহেতুক বিড়ম্বনা থেকে বাচতে বিক্রির কৌশল হিসেবে রাতে সুই বিক্রি বন্ধ করে দিয়েছিল। যা বংশ পরম্পরায় চলতে চলতে একসময় প্রথা হয়ে গিয়েছে! আজও হয়তো দোকানীরা সেই প্রথা না জেনেই পালন করে আসছে!

Comments

Popular posts from this blog

ভাড়াটিয়া-ভাড়াদার আইনের জটিলতা পার হওয়া: ভাড়াটিয়াদের জন্য একটি গাইড

একটি ভিত্তিহীন গুজব উড়িয়ে দেওয়া: বাংলাদেশী সাংবাদিকদের ফ্রেঞ্চ ভিসা প্রত্যাখ্যান করা হয়নি৷

অধ্যায় 2: বাংলায় ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসন