Skip to main content

শিশু জ্বরে ভুগছে, করোনা পরিস্থিতিতে কী করবেন?




করোনাভাইরাসের মহামারি পরিস্থিতিতে জ্বর হলেই ছোট বড় সবার মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে। কারণ করোনার প্রধান উপসর্গ জ্বর। যদিও ঋতু পরিবর্তনের সময় শিশুদের ভাইরাসজনিত জ্বর ও কাশি হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেড়ে যায়।
আর জ্বর হলেই কোভিড-১৯-এর ভয়ে আতঙ্কিত হয়ে পড়ছে অভিভাবকরা এবিষয়ে শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ বলছে, শুধু করোনার কারণেই যে জ্বর হচ্ছে তা নয়, ফিরে এসেছে ডেঙ্গু জ্বরও। এ ছাড়া সাধারণ ভাইরাল ফিভার তো আছেই। তাই জ্বর হলেই কোভিড-১৯ মনে করার কোনও কারণ নেই, বরং উপসর্গের দিকে নজর দেওয়া দরকার। জ্বর কোনও অসুখই নয়: জ্বর কিন্তু আদৌ কোনও রোগ নয় রোগের উপসর্গ মাত্র
। 
জীবাণুর সংক্রমণ বা অন্যান্য কারণে আমাদের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা শরীরের তাপমাত্রা বাড়িয়ে দিয়ে ভাইরাসকে শরীর থেকে বের করে দেওয়ার চেষ্টা করে, তাই জ্বর হয়। শিশুরোগ বিশেষজ্ঞদের মতে, “বেশির ভাগ জ্বরের নেপথ্যেই শ্বাসনালী, গলা, পেট-সহ কোনও না কোনও সংক্রমণ আছে। কোভিড-১৯ ভাইরাস ছাড়াও এই সময়টায় বৃষ্টি ও তাপমাত্রার পরিবর্তনের কারণে ডেঙ্গু, ম্যালেরিয়া-সহ অন্যান্য জীবাণুদের সংক্রমণেও জ্বর হতে পারে।
 তবে ইদানীং যত শিশু জ্বর নিয়ে আসছে, তাদের বেশির ভাগেরই ভাইরাল ফিভার। বাতাসবাহিত এই অসুখ হাঁচি-কাশির মাধ্যমে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। এমনকি কথা বলার সময়েও এই জীবাণুরা বাতাসে মিশে রোগ ছড়াতে পারে। তাই শিশুদের মাস্ক পরিয়ে রাখা ও ভিড় এড়িয়ে চলার পাশাপাশি হ্যান্ড হাইজিন মেনে চলার অভ্যাসও গড়ে তুলতে হবে বলেও মনে করেন চিকিৎসকরা। জ্বর হলেই অ্যান্টিবায়োটিক নয়: বাচ্চার জ্বর হলে ভয় পেয়ে অনেক অভিভাবক শিশুকে তড়িঘড়ি অ্যান্টিবায়োটিক খাওয়ানোর চেষ্টা করেন। 
অনেকে আবার জ্বর হলেই কোভিড-১৯-এর ভয়ে আতঙ্কিত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি করতে চান। এর কোনওটাই করার দরকার নেই। চিকিৎসকদের মতে, শিশুর জ্বর হলে অবশ্যই চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে রাখবেন, কিন্তু নিজে নিজে চিকিৎসা করে বিপদ বাড়াবেন না। দরকার হলে তবেই রক্ত পরীক্ষা করান: জ্বর হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই অনেক বাবা মা নিজেরাই শিশুর ব্লাড টেস্ট করান নিজেদের ইচ্ছে মতো। 
কিন্তু বাচ্চাদের জ্বর হলেই রক্ত পরীক্ষা করার দরকার নেই। বিশেষজ্ঞদের মতে, “সাধারণ ভাইরাল ফিভারের সঙ্গে গলা ব্যথা, শ্বাসকষ্ট বা ডায়রিয়া হলে এবং বাচ্চা যদি নেতিয়ে পরে তা হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে তবেই রক্ত পরীক্ষা করানো উচিত।এদিকে চিকিৎসকরা সতর্ক করে বলেছে, করোনা পরিস্থিতিতে শিশুকে সুস্থ রাখতে তাকে অকারণে বাইরে নিয়ে যাবেন না, শপিং মল বা বাজারে গেলে করোনা ছাড়াও অন্যান্য জ্বরের ঝুঁকি থাকে। বাড়ির পরিবেশ পরিচ্ছন্ন রেখে মশা মাছির হাত থেকে শিশুদের রক্ষা করে সুস্থ রাখুন।  সূত্র- আনন্দবাজার পত্রিকা

Comments

Popular posts from this blog

How to Protect Your Intellectual Property Rights in Bangladesh

Banking Litigation and Dispute Resolution