পৃথিবীর একদিক থেকে গর্ত করতে করতে অন্যদিক থেকে কি বের হওয়া সম্ভব



আপাতত সম্ভব নয়। কারন পৃথিবীর উপরিভাগ ঠান্ডা হলেও, এর ভেতরটা অনেক উত্তপ্ত। এটা ঠিক কতটা উত্তপ্ত তা এখনো আবিষ্কার করা সম্ভব হয়নি। যার কারনে বিজ্ঞানীদের পক্ষে সেই ধরনের প্রযুক্তি তৈরি করা সম্ভব হয়নি।যেটা দিয়ে পৃথিবীর গভীরে থাকা উত্তপ্ত স্তরকে ভেদ করে পৃথিবীর আরও গহীন গর্ভে খনন করে প্রবেশ করা যায়।
এই পর্যন্ত পৃথিবীতে মানুষের তৈরি সবচেয়ে বড় গর্ত হলো “Kola Super deep Borehole. সোভিয়েত ইউনিয়ন পৃথিবীতে গর্ত খুরে বৈজ্ঞানিক তথ্য সংগ্রহের জন্য সিদ্ধান্ত নেয় এবং তারা ১৯৮৯ সালে পৃথিবীর Mantel layer মানে ৪০ হাজার ২৩০ফুট পর্যন্ত গর্ত করতে সক্ষম হয়। এরপর আর খনন করা সম্ভব হয়নি।
এর কারন হলো গর্তের শেষ প্রন্তের তাপমাত্রা ছিল ১৮০ ° সেলসিয়াস। তাদের যে প্রযুক্তি ছিল তা ঐ তাপমাত্রা ভেদ করে আরও গভীরে hole করার ক্ষমতা ছিল না । তারা মনেকরে ছিল সেখানে হয়তো ১০০° সেলসিয়াস তাপমাত্রা হবে, কিন্তু সেখানকার তাপমাত্রা ছিল অস্বাভাবিক তাদের ধারণারও বাইড়ে।
বৈজ্ঞানিকদের মতে আরও বেশি এটাকে খনন করা হলে, এটা পৃথিবীর ভারসাম্য নষ্ট করে ফেলত। এছাড়াও এটি তীব্র ভুমিকম্পের সৃষ্টি করত এবং সুপ্ত আগ্নেয়গিরি গুলো জেগে উঠত যা ভয়ানক সুনামির সৃষ্টি করত। এক কথায় পৃথিবী ধ্বংস হয়ে যেতে পারত। একারনে প্রজেক্টটি বন্ধ করে দেওয়া হয়।
ধন্যবাদ

Comments

Popular posts from this blog

ভাড়াটিয়া-ভাড়াদার আইনের জটিলতা পার হওয়া: ভাড়াটিয়াদের জন্য একটি গাইড

একটি ভিত্তিহীন গুজব উড়িয়ে দেওয়া: বাংলাদেশী সাংবাদিকদের ফ্রেঞ্চ ভিসা প্রত্যাখ্যান করা হয়নি৷

অধ্যায় 2: বাংলায় ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসন