কেমন লাগবে

💟💟 কেমন লাগবে, যদি দেখেন রাতের দুইটাতে অদ্ভুত কালোমেঘে ছেয়ে গেছে পুরো ঘর। এতোটাই ঘনো এ মেঘ যে ফ্ল্যাশ লাইটের আলোতে ঘরের ভেতরে একজন অন্যজনকেই, ঠিক ভালো মতোন দেখতে পাচ্ছেন না। একটু কল্পনা করুন তো।
.

প্রচণ্ড ঝড়ো হাওয়ায় দুলছে, এক দিককার বাঁশের বেড়া আর সেখান দিয়ে করুণ শীষ বাজায় ঢুকছে ঠাণ্ডা বাতাস। বাতাসের সাথে, যুদ্ধে পরাজিত হয়ে নিস্তেজে পড়ে রয়েছে, প্রজ্জলিত থাকা মোমবাতি দুইটি। সে কী যে ভয়ংকর এক রাত।
.
এবং এই সকল কিছুই যদি হয় সমুদ্রপৃষ্ঠের থেকে ৩,২৩৫ফুট উচ্চতার কোন পাহাড়ের চূড়াতে কোন একটা টিনের চৌচালার ঘর অথবা বাঁশের বেড়ায় ছাওনি দেয়া কোন ঘর বিশেষে। যাকে ভালোবেসে পাহাড়িরা ডাকে—জুমঘর—নামে।
.


এমন ভয়ংকর সুন্দর রাত পার করতে চাইলে এই বর্ষাতেই চলুন কেওকারাডংয়ের চূড়াতে জুমঘরে। একেক জনে দুই তিনটা করে কম্বল গায়ে জড়ায়ে রাত জাগবেন। আর শেষ রাতে, বাতাসে ঘরভাঙা আতঙ্কে ব্যাগ নিয়ে ছুটবেন নিরাপদ আশ্রয়ে।
.
এ আপনার জিবনের মোষ্ট মেমোরেবল নাইট। যে রাত রোমাঞ্চে আর অ্যডভেঞ্চারে ভরা। যে রাতের কথা কখনো ভুলতে পারবেন না। এবং আফসোস করবেন এ ভেবে, জীবনে আরেকবার যদি এমোন একটা রাত আসতো।
.
ঢাকা হতে সরাসরি বাসে করে বান্দরবানে। সেখান থেকে, চান্দের গাড়ি রিজার্ভ করে, অথবা লোকাল বাসে চড়ে রুমা বাজার। রুমা বাজার থেকে গাইড নিয়ে যাবতীয় ফর্মালিটিজ শেষে, চান্দের গাড়িতে করে, বগালেকের নীচ পর্যন্ত।
.
সেখান হতে ট্র্যাকিং করে বগালেক হয়ে দার্জিলিং পাড়া দিয়ে কেওক্রাডংয়ের চুড়ায়। নীচের ছবিতে দেখুন কেওকারাডংয়ের চূড়াতে এবং আশেপাশে অবস্থিত জুমঘর। রুমা। বান্দরবান।
.
সবশেষে, সৌন্দর্য্য অবলোকনের অধিকার সবার। কিন্তু নষ্ট করার অধিকার কারো নেই। যাত্রার পথে কোন রকমের আবর্জনা ফেলা থেকে বিরত থাকুন কিবা সঙ্গে একটি ব্যাগ রাখতে পারেন। যাতে করে আবর্জনা ফেরৎ আনুন !! ( সংগৃহীত )

Comments

Popular posts from this blog

ভাড়াটিয়া-ভাড়াদার আইনের জটিলতা পার হওয়া: ভাড়াটিয়াদের জন্য একটি গাইড

একটি ভিত্তিহীন গুজব উড়িয়ে দেওয়া: বাংলাদেশী সাংবাদিকদের ফ্রেঞ্চ ভিসা প্রত্যাখ্যান করা হয়নি৷

অধ্যায় 2: বাংলায় ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসন