"মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের রাজনৈতিক দলের সংকট


"মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের রাজনৈতিক দলের সংকট







স্বাধীনতার পর বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় আক্ষেপ হলো মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের বিরোধী দল না থাকা।

দেশের মানুষ একমাত্র বঙ্গবন্ধু,জাতীয় চার নেতার অবদান , মুক্তিযুদ্ধ,বীর যোদ্ধাদের বীরত্বগাঁথা,এই ভূখণ্ডের মানুষের আত্মত্যাগ একমাত্র আওয়ামী লীগ এলেই শুনতে পায়।

ইতিহাস সাক্ষ্য দেয় অন্যরা ক্ষমতায় এসে বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় চার নেতার ঘাতকদের, রাজাকার, যুদ্ধাপরাধীদের তোষণে মত্ত থাকে।রাজাকার,বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের কোলে পিঠে বসিয়ে ইতিহাসের অকাট্য দলিল পরিবর্তনের আপ্রাণ চেষ্টা করে যায় এই অপশক্তি ক্ষমতায় আসলে।

এরপর মুক্তিযুদ্ধের কথা বলা,মুক্তিযুদ্ধের প্রচারণা আওয়ামী লীগকেই করতে হয়,অন্য সকল দল মুক্তিযুদ্ধকে রাজনীতি বলে এড়িয়ে যায় কূটকৌশলে নিজেদের অপকর্ম ঢাকার জন্য। বঙ্গবন্ধু,জাতীয় চার নেতার ঘাতকদের এবং যুদ্ধাপরাধীদের তোষণ এবং পুনর্বাসন বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় চার নেতা হত্যার মাধ্যমে জন্ম নেওয়া রাজনৈতিক দলটির অন্যতম বৈশিষ্ট্য!



বিরোধী দলগুলোর যুদ্ধাপরাধী তোষণ, যুদ্ধাপরাধী ভিত্তিক কূট-রাজনীতি মুক্তিযুদ্ধের চেতনা শুধু ভুলুন্ঠিত করেনি,তারা মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে কথা বলার অধিকার ও হারিয়েছে।বিরোধী দলগুলোর স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তির সাথে হৃদ্যতা ” মুক্তিযুদ্ধ এবং তার ইতিহাসকে প্রচারের দায়িত্ব” আওয়ামী লীগের হাতেই সমর্পণ করেছে।

একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে আওয়ামী লীগ ছিল একা,পাশে ছিল নিপীড়িত জনতার অকুণ্ঠ সমর্থন,এখন স্বাধীনতার ৫০ বছর পরও মুক্তিযুদ্ধের ব্র্যান্ডিং আওয়ামী লীগকে একাই করতে হচ্ছে।স্বাধীন বাংলাদেশে সবচেয়ে বড় আক্ষেপের বিষয় এটাই …
সেদিন অনেক দূরে যেদিন দেশের সকল রাজনৈতিক দল , মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে একসাথে গলা মেলাবে, রাজাকার বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় চার নেতার খুনিদের কুশপুত্তলিকা দাহ করে ঘৃণার চরম বার্তা দিবে দেশবাসীকে। এটাই একদিন দেশকে ভোগাবে!"

Comments

Popular posts from this blog

ভাড়াটিয়া-ভাড়াদার আইনের জটিলতা পার হওয়া: ভাড়াটিয়াদের জন্য একটি গাইড

একটি ভিত্তিহীন গুজব উড়িয়ে দেওয়া: বাংলাদেশী সাংবাদিকদের ফ্রেঞ্চ ভিসা প্রত্যাখ্যান করা হয়নি৷

অধ্যায় 2: বাংলায় ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসন