বেশ কয়েকজন বাঙালীই পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন।
লিয়াকত আলি খানের পর ঢাকার নবাব হিজ এক্সেলেন্সি স্যার খাজা নাজিমুদ্দিন পাকিস্তানের দ্বিতীয় প্রধানমন্ত্রী হন এবং দের বছর পদে থাকেন।
খাজা নাজিমুদ্দিন এর পরে বরিশালের মোহাম্মদ আলী বগুড়া পাকিস্তানের তৃতীয় প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দুই বছর তিন মাস পদে থাকেন।
হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী পাকিস্তানের পঞ্চম প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ১ বছর ১ মাস ৫ দিন ক্ষমতায় থাকেন।
৪। Nurul Amin
শাহবাজপুরের নুরুল আমিন পাকিস্তানের অষ্টম প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন। ওনাকে পাকিস্তানের সর্বশেষ বাঙালী নেতা বলা হয়ে থাকে। ৭১ এর পাক-ভারত যুদ্ধের নেতৃত্বও ইনিই দিয়েছিলেন (পাক পক্ষের)। শুরুতে বাংলাদেশ এর স্বাধীনতার কট্টর বিরোধী হলেও ২৫ এ মার্চ এর গনহত্যা শুরু হবার পর তার মন পাল্টায় এবং তিনি শান্তিময় ভাবে দুই দেশকে এক রাখার চেষ্টা করেন, যুদ্ধাপরাধ ঠেকানোর চেষ্টা করেছিলেন বলে জানা যায়। পরে পাকিস্তান থেকে বাঙালীদের বাংলাদেশে ফেরত পাঠাতে সাহায্য করেন। ১৯৭৪ সালে পাকিস্তানের রাওয়ালপিন্ডিতে মৃত্যূবরণ করেন এবং মোহাম্মদ আলী জিন্নাহর পাশেই রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় তাকে দাফন করা হয়।
তিনি পাকিস্তানের প্রথম এবং একমাত্র ভাইস প্রেসিডেন্ট।
বলাই বাহুল্য যে এদের কারোরই বস্তুত তেমন কোন ক্ষমতা ছিলোনা।
এছাড়া ৭০ সালে পাকিস্তানের প্রথম সাধারণ নির্বাচনে বঙ্গবন্ধু নিরঙ্কুষ সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ করলেও তার কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করা হয়নি।
Comments