Search This Blog

Stories with afzal

"Stories with Afzal" is a platform where Afzal Hosen Mandal shares insights, experiences, and narratives on various topics, including legal advice, personal growth, and community stories. It serves as a space for thought-provoking content, aiming to inform and inspire readers with professional expertise, personal stories, and meaningful discussions.

Followers

STORIES WITH AFZAL

আর্টিকেল গল্পের আকারে অডিও ফাইল।

Subscribe Us

Recents

{getWidget} $results={3} $label={recent} $type={list1}

Updates

{getWidget} $results={4} $label={recent} $type={list2}

Main Tags

JSON Variables

Comments

{getWidget} $results={3} $label={comments} $type={list1}

যাদের নেতৃত্বে ভারত স্বাধীনতা পেয়েছে , বঙ্গবন্ধু তাদের চেয়ে বড় নেতা – অটল বিহারী বাজপেয়ী



যাদের নেতৃত্বে ভারত স্বাধীনতা পেয়েছে , বঙ্গবন্ধু তাদের চেয়ে বড় নেতা – অটল বিহারী বাজপেয়ী


ভারতবর্ষের স্বাধীনতা সংগ্রামের নেতাদের চেয়েও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে বড় নেতা বলে মন্তব্য করেছেন ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারী বাজপেয়ী। সশ্রদ্ধ চিত্তে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বের প্রশংসা করে তিনি বাংলাদেশি সাংবাদিক মুসা সাদিককে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ‘ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামে যারা প্রথম সারির নেতা ছিলেন এবং যাদের নেতৃত্বে ভারত স্বাধীনতা অর্জন করেছিল, তাদের সবার চেয়ে শেখ মুজিব অনেক বড় নেতা ছিলেন। ভারতের নেতাজি সুভাষ বসু, যিনি বাংলাদেশের মতো মুক্তিযুদ্ধ করে ভারতের আজাদি ছিনিয়ে আনতে চেয়েছিলেন, একমাত্র তার সঙ্গে তোমাদের নেতার (বঙ্গবন্ধুর) তুলনা হতে পারে।’



১৯৯৬ সালের ২৫ মে, ভারতে বসে বাংলাদেশ ও মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে খোলামেলা কথা বলেন অটল বিহারী বাজপেয়ী। বাংলাদেশি সাংবাদিককে তিনি আরো বলেন, ‘তোমাদের মুক্তিযোদ্ধাদের জানিয়ে দিও যে- আমি বলেছি, তোমাদের শেখ মুজিবুর রহমান, বিশ্বের বহু নেতার চেয়ে অনেক বড় নেতা। তিনি পাকিস্তানের মোহাম্মদ আলী জিন্নাহর চেয়েও অনেক বড় নেতা। এমনকি ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামে যারা প্রথম সারির নেতা ছিলেন এবং যাদের নেতৃত্বে ভারত স্বাধীনতা অর্জন করেছিল, তাদের সবার চেয়ে শেখ মুজিব অনেক বড় নেতা ছিলেন।’ উল্লেখ্য যে, ১৯৭১ সালে ভারতের লোকসভায় বাংলাদেশের স্বীকৃতির প্রস্তাবটি অটল বিহারী বাজপেয়ীই প্রথম উত্থাপন করেছিলেন।



বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে তার এই মন্তব্যের ব্যাখ্যা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘তুমি কী হে ছেলে, ইতিহাস পড়োনি? তুমি একজন মুক্তিযোদ্ধা, তুমি তো মুক্তিযুদ্ধ দেখেছ, কিন্তু কে তোমাকে মুক্তিযুদ্ধ দেখিয়েছে? কে তোমাকে মুক্তিযোদ্ধা করেছে? তোমাদের জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমান। কিন্তু ভারতের স্বাধীনতা অর্জনের জন্য আমরা কোনো মুক্তিযুদ্ধ করিনি। আমাদের নেতারা আমাদের মুক্তিযোদ্ধা হতে দেয়নি। আমাদের নেতারা সমঝোতা করে, সব অধিকার ও দাবি- দাওয়া ছেড়ে দিয়ে, ব্রিটিশ সরকারের কাছে আত্মসমর্পণ করে, ভারতের স্বাধীনতা উপহার হিসেবে নিয়েছেন। কিন্তু তোমাদের বীর বাঙালি জাতির জনক শেখ মুজিবুর রহমান মুক্তিযুদ্ধ করে তোমাদের স্বাধীনতা ছিনিয়ে এনেছেন। আফ্রো-এশিয়ার দেশে দেশে, পাহাড়ে- জঙ্গলে মুক্তিযুদ্ধের জন্য যারা আজও লড়ছে, তারা তার (বঙ্গবন্ধুর) নামে জয়ধ্বনি দিচ্ছে। তার নামের ধ্বনি দিয়ে তারা মুক্তিযুদ্ধের প্রেরণা লাভ করছে। এই একটি ঐতিহাসিক কারণে তোমাদের জাতির পিতা পাকিস্তান ও ভারতের শীর্ষ সব নেতাকে অতিক্রম করে গেছেন। সত্য খুবই নির্মম, সেই নির্মম সত্য আমি উচ্চারণ করলাম। আমার যথেষ্ট বয়স হয়ে গেছে। কত দিন বেঁচে থাকব জানি না।’



অটল বিহারী বাজপেয়ীকে ভারতীয় রাজনীতির প্রবাদপুরুষদের একজন বলে গণ্য করা হয়। তিনি যখন তরুণ, তখনই তার বক্তব্য শুনে পন্ডিত জওহরলাল নেহেরু বলেছিলেন, ‘বাজপেয়ী একদিন প্রধানমন্ত্রী হবে।’ সেই বাণী সত্য হয়েছিল। দল-মত নির্বিশেষে ভারতের রাজনীতিতে সর্বজন শ্রদ্ধেয় ব্যক্তি হিসেবে সন্মানিত হয়েছেন বাজপেয়ী। ভারতবর্ষের বিভাজন থেকে শুরু করে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ, সবকিছুর সঙ্গেই জড়িয়ে আছেন তিনি। এমন একজন মহীরূহ ব্যক্তিত্ব নিজের জীবন সায়াহ্নে এসে অকপটে নির্মম সত্যের স্বীকারোক্তি দিয়ে গেছেন। এক জীবনে দেখা নেতাদের মধ্যে তিনি বঙ্গবন্ধুকেই শ্রেষ্ঠ নেতা হিসেবে অভিহিত করেছেন। বঙ্গবন্ধুর মতো তীব্র জাতীয়তাবাদী নেতা বিশ্বের ইতিহাসে আর নেই, যিনি কিনা একইসঙ্গে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে দীর্ঘ দুই যুগ ধরে সংগ্রাম চালিয়ে গেছেন। এমনকি একটা জাতিকে গোলামি থেকে মুক্ত করার পর গণতন্ত্রকে অর্থবহ করে তুলে মানুষের মুখে হাসি ফোটানোর উদ্যোগ নিয়েছেন।



#বঙ্গবন্ধু #Mujib100 #SheikhMujib #AtalBihari
Vajpayee


Post a Comment

0 Comments